সাক্ষাৎকার-সীমিত সাধ্যের মধ্যে সেবা দিচ্ছে সরকারি হাসপাতাল by আবু তৈয়ব

বেশির ভাগ মানুষকে চিকিৎসাসেবার জন্য নির্ভর করতে হচ্ছে সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ওপর। কিন্তু পর্যাপ্ত সেবা পাচ্ছেন না রোগীরা। বিশেষ করে গ্রামের স্বাস্থ্যসেবার চিত্র খুবই করুণ। চট্টগ্রামের সার্বিক চিকিৎসাব্যবস্থা নিয়ে জেলা সিভিল সার্জন আবু তৈয়বের সঙ্গে কথা বলেছেন আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক


প্রথম আলো: সরকারি হাসপাতালের ওপর মানুষ নির্ভরশীল। কিন্তু এসব হাসপাতাল সে অনুযায়ী সেবা দিতে পারছে?
আবু তৈয়ব: সরকারি হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত জনবলের অভাব রয়েছে। তার পরও সীমিত সাধ্যের মধ্যে হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলো সেবা দিয়ে যাচ্ছে। বিনা মূল্যে ওষুধও দিচ্ছে।
প্রথম আলো: গ্রামাঞ্চলে চিকিৎসকদের অনুপস্থিতির অভিযোগ অনেক পুরোনো। সেখানে চিকিৎসকের উপস্থিতি কীভাবে নিশ্চিত করা যায়?
আবু তৈয়ব: গত তিন বছরে চট্টগ্রামে আমরা ১৪ জন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছি। তাঁদের কাউকে বরখাস্ত আবার কাউকে বেতন ফেরত দানে বাধ্য করেছি। প্রধানমন্ত্রী গ্রামাঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। এই অঙ্গীকার বাস্তবায়নে আমরা সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে এই ব্যবস্থাগুলো নিয়েছি।
প্রথম আলো: চট্টগ্রামের মানুষের জন্য পর্যাপ্ত হাসপাতাল আছে বলে কি মনে করেন?
আবু তৈয়ব: পর্যাপ্ত চিকিৎসাব্যবস্থা নেই, এটা সত্য। চট্টগ্রামে আরও একটি সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থাকলে ভালো হতো। আমরা জেনারেল হাসপাতালকে ১৫০ থেকে ২৫০ শয্যায় উন্নীত করেছি। কিন্তু এখনো সে অনুযায়ী জনবল পাইনি। আশা করি কিছুদিনের মধ্যে এটা হয়ে যাবে।
প্রথম আলো: কিছুদিন ধরে চট্টগ্রামে একটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও আরেকটি মেডিকেল কলেজের কথা শোনা যাচ্ছে। এটি বাস্তবায়ন কত দূর?
আবু তৈয়ব: চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবি উঠেছে। যদি এটা না-ও হয়, তাহলে চট্টগ্রামের অন্য কোনো জায়গায় হলেও মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় করা দরকার। এ ছাড়া জেনারেল হাসপাতালকে ৫০০ শয্যায় উন্নীতকরণ ও মেডিকেল কলেজে রূপান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। এ ব্যাপারে আমরা ঢাকায় চিঠি চালাচালি করছি।

No comments

Powered by Blogger.