কর্মসূচির নামে ভাঙচুর-জ্বালাও পোড়াও নয়-অযৌক্তিক ও বাড়াবাড়ির হরতাল
প্রস্তাবিত নারী উন্নয়ন নীতি বাতিলসহ তিন দফা দাবিতে সোমবার সারা দেশে হরতালের নামে যা হলো, তা যতটা না প্রতিবাদ, তার থেকে বেশি নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা। তার চেয়েও বড় কথা হচ্ছে, প্রস্তাবিত নারী উন্নয়ন নীতি, শিক্ষানীতি বা হাইকোর্টের ফতোয়াবিরোধী রায় বাতিলের দাবির মতো ইস্যুতে হরতাল ডাকার বিষয়টিই ছিল পুরোপুরি অযৌক্তিক।
এই অযৌক্তিক হরতাল ‘সফল’ করতে গিয়ে ইসলামী আইন বাস্তবায়ন কমিটি নামের সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন স্থানে নির্বিচারে গাড়ি ভাঙচুর, পুলিশের ওপর হামলা ও তাদের অস্ত্র ছিনতাই, গাড়ি পোড়ানোসহ নানা সহিংস ঘটনা ঘটালেন। ধর্মের নাম নিয়ে এ ধরনের হিংসাত্মক কাজ কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
আমরা সব সময় হরতাল-অবরোধের বিরোধিতা করে আসছি। গণতান্ত্রিক অধিকারের নামে এ ধরনের কর্মসূচি পালিত হলেও শেষ পর্যন্ত তা জনগণের ওপর জোর-জবরদস্তি ছাড়া কিছুই নয়। সোমবারের হরতালেও একই ঘটনা ঘটেছে। হরতাল আহ্বানকারীরা রাস্তায় নেমে পুলিশের ওপর চড়াও হয়েছে, সাধারণ মানুষের গাড়ি ভেঙেছে, আগুন দিয়েছে, সম্পদ ধ্বংসের উৎসবে মেতে উঠেছে। তারা এ কাজে মাঠে নামিয়েছিল তাদের নিয়ন্ত্রিত বিভিন্ন মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের। হরতালের আগের দিন হরতালের সমর্থনে এক মিছিলের সময় পুলিশের সঙ্গে মিছিলকারীরা সংঘাত ও সহিংসতায় জড়িয়ে পড়লে পঞ্চম শ্রেণী-পর্যায়ের এক মাদ্রাসাছাত্র দুঃখজনকভাবে প্রাণ হারায়। এই শিশুটিকে হত্যার দায় আসলে কার? হরতালের দিনেও শিশুদের হাতে লাঠিসোঁটা দিয়ে রাস্তায় নামানো হয়েছে। এটি অনৈতিক। এবারের হরতালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের তুলনামূলকভাবে সংযত মনে হয়েছে। তারা মারমুখী হলে পরিস্থিতি আরও নাজুক হতো। হরতালের নামে সহিংসতা বা অগ্নিসংযোগের ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের খুঁজে বের করে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। আইন হাতে নেওয়ার অধিকার কারও নেই।
প্রস্তাবিত নারী উন্নয়ন নীতি ধর্মীয় বিশেষজ্ঞসহ সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেই করা হয়েছে। এর পরও এ নিয়ে কোনো মহলের আপত্তি থেকে থাকলে পরিষ্কারভাবে তা তুলে ধরা এবং এ নিয়ে জনমত সৃষ্টি করা যেতে পারে; আলাপ-আলোচনার সুযোগও নেওয়া যায়। এ নিয়ে হরতাল ডাকার বিষয়টি তাই কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। আর হাইকোর্টের ফতোয়াবিরোধী রায়টি আইনি বিষয় এবং তা আপিল বিভাগে নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে। দেশের প্রচলিত আইন ও সংবিধান মানলে এ নিয়ে বিরোধিতার কোনো সুযোগ নেই।
যে ইস্যুতে সোমবার হরতাল ডাকা হলো এবং হরতালের দিন যা ঘটল, দেশের শুভবুদ্ধিসম্পন্ন কোনো মানুষ তা সমর্থন করতে পারেন না। কিন্তু দুঃখজনক বাস্তবতা হচ্ছে, সমাজে এ ধরনের শক্তি সক্রিয় রয়েছে এবং তাদের ইন্ধন জোগানোর লোকেরও অভাব নেই। এসব ইস্যুতে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে সরকারের পাশাপাশি সমাজের সচেতন ও অগ্রসর মহলকেও এগিয়ে আসতে হবে।
আমরা সব সময় হরতাল-অবরোধের বিরোধিতা করে আসছি। গণতান্ত্রিক অধিকারের নামে এ ধরনের কর্মসূচি পালিত হলেও শেষ পর্যন্ত তা জনগণের ওপর জোর-জবরদস্তি ছাড়া কিছুই নয়। সোমবারের হরতালেও একই ঘটনা ঘটেছে। হরতাল আহ্বানকারীরা রাস্তায় নেমে পুলিশের ওপর চড়াও হয়েছে, সাধারণ মানুষের গাড়ি ভেঙেছে, আগুন দিয়েছে, সম্পদ ধ্বংসের উৎসবে মেতে উঠেছে। তারা এ কাজে মাঠে নামিয়েছিল তাদের নিয়ন্ত্রিত বিভিন্ন মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের। হরতালের আগের দিন হরতালের সমর্থনে এক মিছিলের সময় পুলিশের সঙ্গে মিছিলকারীরা সংঘাত ও সহিংসতায় জড়িয়ে পড়লে পঞ্চম শ্রেণী-পর্যায়ের এক মাদ্রাসাছাত্র দুঃখজনকভাবে প্রাণ হারায়। এই শিশুটিকে হত্যার দায় আসলে কার? হরতালের দিনেও শিশুদের হাতে লাঠিসোঁটা দিয়ে রাস্তায় নামানো হয়েছে। এটি অনৈতিক। এবারের হরতালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের তুলনামূলকভাবে সংযত মনে হয়েছে। তারা মারমুখী হলে পরিস্থিতি আরও নাজুক হতো। হরতালের নামে সহিংসতা বা অগ্নিসংযোগের ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের খুঁজে বের করে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। আইন হাতে নেওয়ার অধিকার কারও নেই।
প্রস্তাবিত নারী উন্নয়ন নীতি ধর্মীয় বিশেষজ্ঞসহ সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেই করা হয়েছে। এর পরও এ নিয়ে কোনো মহলের আপত্তি থেকে থাকলে পরিষ্কারভাবে তা তুলে ধরা এবং এ নিয়ে জনমত সৃষ্টি করা যেতে পারে; আলাপ-আলোচনার সুযোগও নেওয়া যায়। এ নিয়ে হরতাল ডাকার বিষয়টি তাই কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। আর হাইকোর্টের ফতোয়াবিরোধী রায়টি আইনি বিষয় এবং তা আপিল বিভাগে নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে। দেশের প্রচলিত আইন ও সংবিধান মানলে এ নিয়ে বিরোধিতার কোনো সুযোগ নেই।
যে ইস্যুতে সোমবার হরতাল ডাকা হলো এবং হরতালের দিন যা ঘটল, দেশের শুভবুদ্ধিসম্পন্ন কোনো মানুষ তা সমর্থন করতে পারেন না। কিন্তু দুঃখজনক বাস্তবতা হচ্ছে, সমাজে এ ধরনের শক্তি সক্রিয় রয়েছে এবং তাদের ইন্ধন জোগানোর লোকেরও অভাব নেই। এসব ইস্যুতে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে সরকারের পাশাপাশি সমাজের সচেতন ও অগ্রসর মহলকেও এগিয়ে আসতে হবে।
No comments