মুক্তিবাহিনীর অভিযানে আহত হয়েছিলেন সাকা চৌধুরী by আজাদুর রহমান চন্দন
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় সালাহউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর বর্বর নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে তাঁকে হত্যা করার জন্য তিনবার উদ্যোগ নিয়েছিলেন মুক্তিযোদ্ধারা। প্রতিবারই তিনি বেঁচে যান। তবে শেষবারের অভিযানে তিনি গুরুতর আহত হয়েছিলেন। নিহত হয়েছিলেন তাঁর ব্যক্তিগত গাড়ির চালক;
যদিও মুক্তিবাহিনীর ওই অভিযানে সাকার মৃত্যুর খবর রটে গিয়েছিল। পরে পাকিস্তান টাইমস, বিবিসি এবং ভয়েস অব আমেরিকার খবরে তাঁর আহত হওয়ার কথা জানা যায়। লাহোরের পাকিস্তান টাইমসে সংবাদটি পরিবেশিত হয়েছিল পিপিআইয়ের বরাত দিয়ে। পাকিস্তান টাইমসের বরাত দিয়ে পরে ওই সংবাদ প্রকাশ করে দৈনিক পাকিস্তানও।
'বোমার আঘাতে ফজলুল কাদেরের ছেলে আহত : গুলিতে ড্রাইভার নিহত' শিরোনামে ২৯ সেপ্টেম্বর ১৯৭১ তারিখে দৈনিক পাকিস্তানে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, 'কনভেনশন মুসলিম লীগ প্রধান ফজলুল কাদের চৌধুরীর ছেলের ওপর হামলা চালালে তিনি আহত হন। গত ২০ শে সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামে এই ঘটনা ঘটে। গত শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর ১৯৭১) রাতে ঢাকায় জনাব ফজলুল কাদের চৌধুরী এই তথ্য প্রকাশ করেছেন। তিনি জানান, যে গাড়ীতে তাঁর ছেলে ছিল সে গাড়ির ড্রাইভার এই হামলার ফলে নিহত হয়েছে।'
চট্টগ্রামের কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা সম্প্রতি জানান, ১৯৭১ সালে সেপ্টেম্বরে সাকা চৌধুরী বিয়ে করে অনুষ্ঠান থেকে বের হওয়ার সময় মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণের শিকার হয়েছিলেন। এর আগে জুলাই ও আগস্টে মুক্তিযোদ্ধারা নগরীর গুডস হিলের বাসার সামনে সাকা চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিলেন। সর্বশেষ হমলায় আহত হয়ে সাকা চৌধুরী উন্নত চিকিৎসার জন্য সেপ্টেম্বর মাসের শেষ দিকে লন্ডন যান। ১৯৭৫ সালে পটপরিবর্তনের পর তিনি দেশে ফিরে আসেন।
মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বশেষ হামলায় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এস এম মাহবুব-উল-আলম। ২০১০ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি কালের কণ্ঠকে জানান, হত্যার দায়িত্ব নেওয়ার পর সাকা চৌধুরীর গতিবিধির ব্যাপারে খোঁজ নেওয়া শুরু করেন মুক্তিযোদ্ধারা। এর মধ্যে খবর আসে, সেপ্টেম্বর মাসের কোনো এক বৃহস্পতিবার দেওয়ানবাজার এলাকার বাসিন্দা ডা. ছমিউদ্দিনের মেয়ের সঙ্গে সাকা চৌধুরী বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবেন। তবে ছমিউদ্দিনের মেয়ে এ বিয়েতে রাজি নন। এক প্রকার জোর করেই তাঁকে বিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাই ডা. ছমিউদ্দিনের ছেলে আজিজ এগিয়ে আসেন মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা করতে। মাহবুব-উল-আলমের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক ভুঁইয়া ও শচীন্দ্রনাথ সেন ওরফে কামাল তখন হামলার প্রস্তুতি নেন। ঘটনার দিন বিকেল ৫টায় তিনজন মুক্তিযোদ্ধা গ্রেনেড, স্টেনগান ও রিভলবার নিয়ে অবস্থান নেন চন্দনপুরা পেচুমিয়া গলির ড্রেনে। সন্ধ্যা ৬টায় সাকা চৌধুরী গাড়িতে ওই বাসায় যান। আকদ পর্ব শেষ করে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যে সাকা চৌধুরী গাড়ি নিয়ে বাসা থেকে বেরিয়ে এলে পরিকল্পনা অনুযায়ী আজিজ সংকেত দেন টর্চ জ্বালিয়ে। মুক্তিযোদ্ধারা গাড়ি লক্ষ্য করে গ্রেনেড হামলার পাশাপাশি গুলিবর্ষণ শুরু করেন। সাকা চৌধুরী মারা গেছেন মনে করে মুক্তিযোদ্ধারা বাড়ি ফিরে যান।
'বোমার আঘাতে ফজলুল কাদেরের ছেলে আহত : গুলিতে ড্রাইভার নিহত' শিরোনামে ২৯ সেপ্টেম্বর ১৯৭১ তারিখে দৈনিক পাকিস্তানে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, 'কনভেনশন মুসলিম লীগ প্রধান ফজলুল কাদের চৌধুরীর ছেলের ওপর হামলা চালালে তিনি আহত হন। গত ২০ শে সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামে এই ঘটনা ঘটে। গত শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর ১৯৭১) রাতে ঢাকায় জনাব ফজলুল কাদের চৌধুরী এই তথ্য প্রকাশ করেছেন। তিনি জানান, যে গাড়ীতে তাঁর ছেলে ছিল সে গাড়ির ড্রাইভার এই হামলার ফলে নিহত হয়েছে।'
চট্টগ্রামের কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা সম্প্রতি জানান, ১৯৭১ সালে সেপ্টেম্বরে সাকা চৌধুরী বিয়ে করে অনুষ্ঠান থেকে বের হওয়ার সময় মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণের শিকার হয়েছিলেন। এর আগে জুলাই ও আগস্টে মুক্তিযোদ্ধারা নগরীর গুডস হিলের বাসার সামনে সাকা চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিলেন। সর্বশেষ হমলায় আহত হয়ে সাকা চৌধুরী উন্নত চিকিৎসার জন্য সেপ্টেম্বর মাসের শেষ দিকে লন্ডন যান। ১৯৭৫ সালে পটপরিবর্তনের পর তিনি দেশে ফিরে আসেন।
মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বশেষ হামলায় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এস এম মাহবুব-উল-আলম। ২০১০ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি কালের কণ্ঠকে জানান, হত্যার দায়িত্ব নেওয়ার পর সাকা চৌধুরীর গতিবিধির ব্যাপারে খোঁজ নেওয়া শুরু করেন মুক্তিযোদ্ধারা। এর মধ্যে খবর আসে, সেপ্টেম্বর মাসের কোনো এক বৃহস্পতিবার দেওয়ানবাজার এলাকার বাসিন্দা ডা. ছমিউদ্দিনের মেয়ের সঙ্গে সাকা চৌধুরী বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবেন। তবে ছমিউদ্দিনের মেয়ে এ বিয়েতে রাজি নন। এক প্রকার জোর করেই তাঁকে বিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাই ডা. ছমিউদ্দিনের ছেলে আজিজ এগিয়ে আসেন মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা করতে। মাহবুব-উল-আলমের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক ভুঁইয়া ও শচীন্দ্রনাথ সেন ওরফে কামাল তখন হামলার প্রস্তুতি নেন। ঘটনার দিন বিকেল ৫টায় তিনজন মুক্তিযোদ্ধা গ্রেনেড, স্টেনগান ও রিভলবার নিয়ে অবস্থান নেন চন্দনপুরা পেচুমিয়া গলির ড্রেনে। সন্ধ্যা ৬টায় সাকা চৌধুরী গাড়িতে ওই বাসায় যান। আকদ পর্ব শেষ করে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যে সাকা চৌধুরী গাড়ি নিয়ে বাসা থেকে বেরিয়ে এলে পরিকল্পনা অনুযায়ী আজিজ সংকেত দেন টর্চ জ্বালিয়ে। মুক্তিযোদ্ধারা গাড়ি লক্ষ্য করে গ্রেনেড হামলার পাশাপাশি গুলিবর্ষণ শুরু করেন। সাকা চৌধুরী মারা গেছেন মনে করে মুক্তিযোদ্ধারা বাড়ি ফিরে যান।
No comments