বঙ্গোপসাগরের সোনালি কোরাল-দাম তার ৩২ লাখ by রফিকুল বাহার
মাছটির ওজন ৩৭ কেজি। দেখতে কোরালের মতোই। রংটা কেবল সোনালি। বিক্রি হয়েছে ৩২ লাখ এক হাজার টাকায়। সে হিসাবে প্রতি কেজি মাছের দাম পড়েছে প্রায় ৮৬ হাজার ৫০০ টাকা। বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশ সীমানায় ধরা পড়া মাছটি চট্টগ্রাম নগরের ফিশারি ঘাটে আনা হয় গতকাল বুধবার।
বোট মালিকের কাছ থেকে মাছটি প্রথমে কিনে নেন আড়তদার মোহাম্মদ শাহজালাল। ৩০ লাখ এক হাজার টাকায় কিনে তিনি ৩২ লাখ এক হাজার টাকায় বিক্রি করেন জাহাঙ্গীর সওদাগরের কাছে। এদিকে সোনালি কোরাল ধরা পড়ার খবরে বাজারে কৌতূহলী মানুষের ভিড় জমে যায়। ক্রেতা হিসেবে হাজির হন এক বিদেশি। তাঁর কাছে মাছটির দাম হাঁকা হয় ৩৫ লাখ টাকা। ওই বিদেশি শেষ পর্যন্ত মাছটি কিনেছেন কি না, তা নিয়ে লুকোচুরি করছেন আড়তদাররা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাছ বিক্রেতা জানান, এক কেজি ১০০ গ্রাম ওজনের ফোত্না হবে- এ ধারণার ওপর ভিত্তি করে মাছটি এত দাম দিয়ে কেনা হয়েছে। প্রতি কেজি ফোত্নার দাম প্রায় ৩০ লাখ টাকা। আয়কর বিভাগের দৃষ্টি পড়ার আশঙ্কায় মাছটি বাস্তবে কত টাকায় বিক্রি হয়েছে তা গোপন রাখা হচ্ছে।
জানা গেছে, চীন, হংকং ও কোরিয়ায় সোনালি কোরাল মাছের ফোত্না বেশ মূল্যবান। স্বাদ বাড়াতে ও মনকাড়া সুগন্ধের জন্য দামি খাবারের স্যুপে এই ফোত্না ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া অপারেশনের সার্জারির গ্লাসেও এর ব্যবহার হয়।
মাছটির আঁশ সোনালি রঙের বলে একে বলা হয় 'সোনালি কোরাল'। স্থানীয় ভাষায় ডাকা হয় 'খৈয়া ফুল'। খেতে বেশ সুস্বাদু। দামি মাছ লাক্ষ্যার চেয়েও স্বাদ বেশি সোনালি কোরালের। ১০-১২ বছরের মধ্যেই দামি হয়ে ওঠে এই প্রজাতির কোরাল।
নগরীর অভিজাত কাঁচাবাজার কাজীর দেউড়ির মাছ বিক্রেতা মিন্টু মিয়া কালের কণ্ঠকে বলেন, '১০ বছর আগেও সোনালি কোরালের কেজি বিক্রি হতো ৭০-৮০ টাকায়। কেউ কিনতে চাইত না। একবার এক বিদেশি এসে এক কেজি ওজনের একটি ফোত্না ১০ হাজার টাকায় কিনে নেওয়ার পরই সবার আগ্রহ বেড়ে যায়। ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে সোনালি কোরালের ফোত্নার দাম। এখন এক কেজি ফোত্নার দাম ৩০ লাখ টাকা।'
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সামুদ্রিক বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাফর বলেন, 'আগে মাছ কেটে পেট থেকে ফোত্না বের করে সেই ফোত্না ফ্রিজিং করে বিদেশে নিয়ে যাওয়া হতো। এখন বিদেশিদের এজেন্ট থাকে এখানে। খবর পাওয়ার পর তাঁরা মাছ কিনে সরাসরি বিমানে সেটি বিদেশে নিয়ে যান, যাতে স্বাস্থ্যকর পরিবেশে সংরক্ষণ করে মাছটির ফোত্না নেওয়া যায়।'
অধ্যাপক জাফর আরো জানান, সোনালি কোরাল মূলত স্রোতের অনুকূলে থাকতে পছন্দ করে। এটি বিচরণক্ষেত্র পরিবর্তনকারী মাছ (মাইগ্রেটরি ফিশ) হিসেবেও পরিচিত। সাগরের পানির ওপরের দিকে বিচরণের সময় এই মাছ ধরা পড়ে। সাইক্লোন ও নিম্নচাপের সময় এই মাছ টেকনাফ, সেন্ট মার্টিন ও কক্সবাজার উপকূল এলাকায় চলে আসে।
জানা গেছে, চীন, হংকং ও কোরিয়ায় সোনালি কোরাল মাছের ফোত্না বেশ মূল্যবান। স্বাদ বাড়াতে ও মনকাড়া সুগন্ধের জন্য দামি খাবারের স্যুপে এই ফোত্না ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া অপারেশনের সার্জারির গ্লাসেও এর ব্যবহার হয়।
মাছটির আঁশ সোনালি রঙের বলে একে বলা হয় 'সোনালি কোরাল'। স্থানীয় ভাষায় ডাকা হয় 'খৈয়া ফুল'। খেতে বেশ সুস্বাদু। দামি মাছ লাক্ষ্যার চেয়েও স্বাদ বেশি সোনালি কোরালের। ১০-১২ বছরের মধ্যেই দামি হয়ে ওঠে এই প্রজাতির কোরাল।
নগরীর অভিজাত কাঁচাবাজার কাজীর দেউড়ির মাছ বিক্রেতা মিন্টু মিয়া কালের কণ্ঠকে বলেন, '১০ বছর আগেও সোনালি কোরালের কেজি বিক্রি হতো ৭০-৮০ টাকায়। কেউ কিনতে চাইত না। একবার এক বিদেশি এসে এক কেজি ওজনের একটি ফোত্না ১০ হাজার টাকায় কিনে নেওয়ার পরই সবার আগ্রহ বেড়ে যায়। ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে সোনালি কোরালের ফোত্নার দাম। এখন এক কেজি ফোত্নার দাম ৩০ লাখ টাকা।'
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সামুদ্রিক বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাফর বলেন, 'আগে মাছ কেটে পেট থেকে ফোত্না বের করে সেই ফোত্না ফ্রিজিং করে বিদেশে নিয়ে যাওয়া হতো। এখন বিদেশিদের এজেন্ট থাকে এখানে। খবর পাওয়ার পর তাঁরা মাছ কিনে সরাসরি বিমানে সেটি বিদেশে নিয়ে যান, যাতে স্বাস্থ্যকর পরিবেশে সংরক্ষণ করে মাছটির ফোত্না নেওয়া যায়।'
অধ্যাপক জাফর আরো জানান, সোনালি কোরাল মূলত স্রোতের অনুকূলে থাকতে পছন্দ করে। এটি বিচরণক্ষেত্র পরিবর্তনকারী মাছ (মাইগ্রেটরি ফিশ) হিসেবেও পরিচিত। সাগরের পানির ওপরের দিকে বিচরণের সময় এই মাছ ধরা পড়ে। সাইক্লোন ও নিম্নচাপের সময় এই মাছ টেকনাফ, সেন্ট মার্টিন ও কক্সবাজার উপকূল এলাকায় চলে আসে।
No comments