ইনসুলিনের বিকল্পের খোঁজে টেক্সাসের বিজ্ঞানীরা
ডায়াবেটিস-রোগীদের জন্য সুখবর। এতদিন ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণের একমাত্র উপায় ছিল ইনজেকশনের মাধ্যমে শরীরে ইনসুলিন প্রয়োগ। টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের দাবি, তারা ইনসুলিনের বিকল্প এক হরমোনের সন্ধান পেয়েছেন। তাদের মতে, রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে ইনসুলিনের সমান পারদর্শী এই হরমোনটি।
তবে বিকল্প ওষুধটি রোগীদের হাতে আসতে এখনও ঢের দেরি। কারণ মানবদেহে এই হরমোনটি কতটা কার্যকরী হবে সেটি পরীক্ষা করে দেখা এখনও বাকি রয়েছে। ‘সেল মেটাবলিজম’ পত্রিকায় টেক্সাসের বিজ্ঞানীদের গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে।
ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের শরীরে পর্যাপ্ত ইনসুলিন তৈরি হয় না। ইনসুলিনের প্রধান কাজই হলো রক্তের গ্লুকোজ পেশী কোষে স্থানান্তরিত করা। ইনসুলিন তৈরি না হলে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যায়। টাইপ-১ ডায়াবেটিস রোগীদের শরীরে একেবারেই ইনসুলিন তৈরি হয় না। তখন রোগীদের একমাত্র ভরসা কৃত্রিম ভাবে ইনসুলিন নেয়া। তারও আবার অনেক সীমাবদ্ধতা আছে। তবে টেক্সাসের বিজ্ঞানীদের দাবি সত্যি প্রমাণ হলে, ভবিষ্যতে বদলে যেতে পারে ডায়াবেটিসের চিকিৎসা।
বিজ্ঞানীদের দলটিকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন জনাথন গ্রাফ। তিনি জানান, গবেষণার কাজে বেছে নেয়া হয় ইঁদুর। এই প্রাণীটির রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ খুব কম। কারণ খুঁজতে গিয়ে ধরা পড়ে, স্বাভাবিকের থেকে ইঁদুরের পেশী কোষ দ্বিগুণ বা কোনো ক্ষেত্রে চার গুণ বেশি গ্লুকোজ গ্রহণ করতে পারে।
জনাথন জানান, ইঁদুরের শরীরে ফ্যাটের পরিমাণও বেশ কম। মানুষের দেহে এই ফ্যাট কম থাকার অবস্থাকে লিপোডাইস্ট্রোফি বলে। এ ক্ষেত্রে সাধারণত রক্তে সুগারের পরিমাণ বেড়ে ডায়াবেটিসের প্রবণতা দেখা যায়। কিন্তু একই রকম পরিস্থিতিতেও ইঁদুরদের দেহে ডায়াবেটিস হয় না। কেন? এদের পেশী কোষের গ্লুকোজ গ্রহণ ক্ষমতাই বা এত বেশি কী করে?
কারণ খুঁজতে জনাথনরা এবার ইঁদুরের পেশী কোষগুলির ওপর আলাদা করে পরীক্ষা চালান। দেখা যায়, পরীক্ষাগারেও এদের পেশী কোষের রক্ত থেকে গ্লুকোজ গ্রহণের ক্ষমতা স্বাভাবিকের থেকে অনেক বেশি। বিজ্ঞানীদের মতে, এর একটাই ব্যাখ্যা হতে পারে। ইঁদুরের পেশী কোষে এমন কোনো উপাদান আছে, যা কোষের গ্লুকোজ গ্রহণ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। তাদের কথায়, “সেই উপাদানটিকে ইঁদুরের পেশী কোষ থেকে আলাদা করে মানুষের দেহে প্রবেশ করাতে পারলেই কেল্লাফতে।”
তবে জনাথনদের আবিষ্কৃত ওই হরমোন মানুষের দেহে কতটা সাড়া দেবে, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকবে কি না, সবই ক্রমশ প্রকাশ্য। সূত্র: ওয়েবসাইট।
ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের শরীরে পর্যাপ্ত ইনসুলিন তৈরি হয় না। ইনসুলিনের প্রধান কাজই হলো রক্তের গ্লুকোজ পেশী কোষে স্থানান্তরিত করা। ইনসুলিন তৈরি না হলে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যায়। টাইপ-১ ডায়াবেটিস রোগীদের শরীরে একেবারেই ইনসুলিন তৈরি হয় না। তখন রোগীদের একমাত্র ভরসা কৃত্রিম ভাবে ইনসুলিন নেয়া। তারও আবার অনেক সীমাবদ্ধতা আছে। তবে টেক্সাসের বিজ্ঞানীদের দাবি সত্যি প্রমাণ হলে, ভবিষ্যতে বদলে যেতে পারে ডায়াবেটিসের চিকিৎসা।
বিজ্ঞানীদের দলটিকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন জনাথন গ্রাফ। তিনি জানান, গবেষণার কাজে বেছে নেয়া হয় ইঁদুর। এই প্রাণীটির রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ খুব কম। কারণ খুঁজতে গিয়ে ধরা পড়ে, স্বাভাবিকের থেকে ইঁদুরের পেশী কোষ দ্বিগুণ বা কোনো ক্ষেত্রে চার গুণ বেশি গ্লুকোজ গ্রহণ করতে পারে।
জনাথন জানান, ইঁদুরের শরীরে ফ্যাটের পরিমাণও বেশ কম। মানুষের দেহে এই ফ্যাট কম থাকার অবস্থাকে লিপোডাইস্ট্রোফি বলে। এ ক্ষেত্রে সাধারণত রক্তে সুগারের পরিমাণ বেড়ে ডায়াবেটিসের প্রবণতা দেখা যায়। কিন্তু একই রকম পরিস্থিতিতেও ইঁদুরদের দেহে ডায়াবেটিস হয় না। কেন? এদের পেশী কোষের গ্লুকোজ গ্রহণ ক্ষমতাই বা এত বেশি কী করে?
কারণ খুঁজতে জনাথনরা এবার ইঁদুরের পেশী কোষগুলির ওপর আলাদা করে পরীক্ষা চালান। দেখা যায়, পরীক্ষাগারেও এদের পেশী কোষের রক্ত থেকে গ্লুকোজ গ্রহণের ক্ষমতা স্বাভাবিকের থেকে অনেক বেশি। বিজ্ঞানীদের মতে, এর একটাই ব্যাখ্যা হতে পারে। ইঁদুরের পেশী কোষে এমন কোনো উপাদান আছে, যা কোষের গ্লুকোজ গ্রহণ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। তাদের কথায়, “সেই উপাদানটিকে ইঁদুরের পেশী কোষ থেকে আলাদা করে মানুষের দেহে প্রবেশ করাতে পারলেই কেল্লাফতে।”
তবে জনাথনদের আবিষ্কৃত ওই হরমোন মানুষের দেহে কতটা সাড়া দেবে, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকবে কি না, সবই ক্রমশ প্রকাশ্য। সূত্র: ওয়েবসাইট।
No comments