দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে-আবারও রেলের জমি দখল
রাজনীতিতে ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলের মধ্যে যতই বিবাদ থাকুক না কেন, দখলবাজিতে পরস্পরের সহযোগিতার বিষয়টি এখন ‘ওপেন সিক্রেট’। গত বৃহস্পতিবার প্রথম আলোর এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, রাজধানীর সায়েদাবাদ রেলক্রসিংয়ের উত্তর দিকে রেলওয়ের জমি দখল করে অবৈধ মার্কেট তৈরির সঙ্গে জড়িত আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের
নেতারা। আর তাতে আছে রেলওয়ের ভূসম্পত্তি বিভাগের একাংশের যোগসাজশ। সরকার পরিবর্তিত হলেও যাতে কোনো অসুবিধায় পড়তে না হয়, সে জন্য বিএনপির স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মার্কেটের কয়েকটি দোকান ‘উপহার’ দেওয়ার পরিকল্পনাও নিয়েছে তারা।
একদিকে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা ভূমিদখল করছেন, অন্যদিকে তদারকির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষ এই দুষ্কর্মে সহযোগিতা অথবা দায়িত্বে অবহেলা করছে। এভাবেই বিভিন্ন স্থানে ক্ষমতাধর ও প্রভাব-প্রতিপত্তিশালীরা রেলওয়ের হাজার হাজার একর জমি দখল করে থাকলেও কর্তৃপক্ষ চোখ বুজে আছে। যখন যে দল ক্ষমতায় থাকে, সেই দলের নেতা-কর্মীরা নিজেদের আইনের ঊর্ধ্বে ভাবেন। নীতিনির্ধারকদের পক্ষ থেকে মাঝেমধ্যে সতর্কবাণী উচ্চারণ করলেও দলীয় নেতা-কর্মীরা তা আমলে নেন না। চারদলীয় জোট সরকারের আমলে আমরা দেখেছি, প্রভাবশালী নেতারা রেলওয়ের জমি দখল করে খোদ রাজধানীতে অবৈধ মার্কেট তৈরি করেছেন। তখন আওয়ামী লীগ সেই দখলদারির বিরুদ্ধে সোচ্চার হলেও ক্ষমতায় এসে কিন্তু সেসব জায়গা দখলমুক্ত করার উদ্যোগ নেয়নি। নতুন করে দখলদারিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন সরকারি দলের নেতা-কর্মীরা। এ অবস্থা চলতে থাকলে রেলওয়ের সম্পত্তিই বেহাত হবে না, গরিব যাত্রীদের সহায় এই পরিবহনব্যবস্থাটিও ধ্বংস হয়ে যাবে।
একদিকে রেলওয়ের সম্পত্তি বেদখল, অন্যদিকে রেলওয়ের সেবার মান নিচে নেমে যাওয়া কী ইঙ্গিত দেয়? খোদ সরকারি দলের সাংসদেরা রেলওয়ের অব্যবস্থায় সংসদেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। পেশিশক্তি ব্যবহার করে কেউ জবাবদিহির ঊর্ধ্বে উঠে গেলে দেশে ‘আইনের শাসন’ বলে কিছু থাকে না।
সায়েদাবাদে রেলওয়ের জমিতে অবৈধভাবে মার্কেট গড়ে তোলা বন্ধ করে জমিটি দখলমুক্ত করতে হবে। জনগণের প্রতি ক্ষমতাসীন দলের দেওয়া প্রতিশ্রুতি মাথায় রেখে অবিলম্বে তাদের নেতা-কর্মীদের লাগাম টেনে ধরা উচিত এবং এসব দুষ্কর্মে সহযোগীদের বিরুদ্ধেও কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থা নিতে হবে।
একদিকে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা ভূমিদখল করছেন, অন্যদিকে তদারকির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষ এই দুষ্কর্মে সহযোগিতা অথবা দায়িত্বে অবহেলা করছে। এভাবেই বিভিন্ন স্থানে ক্ষমতাধর ও প্রভাব-প্রতিপত্তিশালীরা রেলওয়ের হাজার হাজার একর জমি দখল করে থাকলেও কর্তৃপক্ষ চোখ বুজে আছে। যখন যে দল ক্ষমতায় থাকে, সেই দলের নেতা-কর্মীরা নিজেদের আইনের ঊর্ধ্বে ভাবেন। নীতিনির্ধারকদের পক্ষ থেকে মাঝেমধ্যে সতর্কবাণী উচ্চারণ করলেও দলীয় নেতা-কর্মীরা তা আমলে নেন না। চারদলীয় জোট সরকারের আমলে আমরা দেখেছি, প্রভাবশালী নেতারা রেলওয়ের জমি দখল করে খোদ রাজধানীতে অবৈধ মার্কেট তৈরি করেছেন। তখন আওয়ামী লীগ সেই দখলদারির বিরুদ্ধে সোচ্চার হলেও ক্ষমতায় এসে কিন্তু সেসব জায়গা দখলমুক্ত করার উদ্যোগ নেয়নি। নতুন করে দখলদারিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন সরকারি দলের নেতা-কর্মীরা। এ অবস্থা চলতে থাকলে রেলওয়ের সম্পত্তিই বেহাত হবে না, গরিব যাত্রীদের সহায় এই পরিবহনব্যবস্থাটিও ধ্বংস হয়ে যাবে।
একদিকে রেলওয়ের সম্পত্তি বেদখল, অন্যদিকে রেলওয়ের সেবার মান নিচে নেমে যাওয়া কী ইঙ্গিত দেয়? খোদ সরকারি দলের সাংসদেরা রেলওয়ের অব্যবস্থায় সংসদেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। পেশিশক্তি ব্যবহার করে কেউ জবাবদিহির ঊর্ধ্বে উঠে গেলে দেশে ‘আইনের শাসন’ বলে কিছু থাকে না।
সায়েদাবাদে রেলওয়ের জমিতে অবৈধভাবে মার্কেট গড়ে তোলা বন্ধ করে জমিটি দখলমুক্ত করতে হবে। জনগণের প্রতি ক্ষমতাসীন দলের দেওয়া প্রতিশ্রুতি মাথায় রেখে অবিলম্বে তাদের নেতা-কর্মীদের লাগাম টেনে ধরা উচিত এবং এসব দুষ্কর্মে সহযোগীদের বিরুদ্ধেও কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থা নিতে হবে।
No comments