রাজধানীর ঝিলপাড়ে ও করাইল বস্তির কিছু অংশে বিটিসিএলের অভিযান-দুই হাজারের বেশি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
রাজধানীর গুলশান-মহাখালী ওয়্যারলেস গেট ও টিঅ্যান্ডটি স্কুল মাঠের পাশের ঝিলপাড়ে ও করাইল বস্তির কিছু অংশে অভিযান চালিয়ে দুই হাজারের বেশি দোকানপাট ও বস্তিঘর উচ্ছেদ করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল)। গতকাল বুধবার সকাল ১০টা থেকে প্রায় সাত ঘণ্টা চলে এই অভিযান। অভিযানের শুরুতে কিছু দোকানি বাধা দেওয়ার জন্য জড়ো হলেও পুলিশের তৎপরতা দেখে তাঁরা সরে পড়েন।
গুলশান লেক ও টিঅ্যান্ডটি ঝিলপাড়ের মধ্যবর্তী স্থানের প্রায় ১৭০ একর জায়গার মালিকানা রয়েছে বিটিসিএলের। এর মধ্যে গুলশান-বনানী লেকপাড়ে রয়েছে প্রায় ৪০ একর। মালিকানা থাকলেও এসব জমি দেখাশোনার কেউ ছিল না। লেক ও পাশের ঝিল রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব রাজউকের হলেও অনেকটা পরিচর্যার অভাবে পর্যায়ক্রমে দখল হয়ে যায় এই মূল্যবান জমি। গড়ে ওঠে হাজার হাজার বস্তি, রিকশা ও মোটর গ্যারেজ, অবৈধ দোকানপাট আর মাদকাসক্ত মানুষের আড্ডাখানা।
আগে থেকেই এসব জায়গার মালিকানার দাবিদার ছিল বিটিসিএল। তবে মালিকানা নিয়ে অনেক দিন ধরেই রাজউক ও বিটিসিএলের মধ্যে বিরোধ ছিল। প্রকৃত মালিকানা নির্ধারণের জন্য রাজউকের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে তিন দফায় মানচিত্র পাঠানো হয় ২০১০ সালে। পরে এ বিষয়ে ভূমি ও আইন মন্ত্রণালয়ের বৈঠক হয় এবং লেকটি উদ্ধারের সিদ্ধান্ত হয়।
গত ১৭ জানুয়ারি ‘বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে গুলশান লেক, বাঁধ দিয়ে নতুন নতুন অবৈধ স্থাপনা’ শিরোনামে প্রথম আলোয় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এর ভিত্তিতে হাইকোর্ট ওই দিন স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে একটি রুল জারি করেন। একই সঙ্গে লেক রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে ব্যর্থতার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে রাজউক ও বিটিসিএলের চেয়ারম্যানকে আদালতে হাজির হতে বলেন।
এর ধারাবাহিকতায় গত ২৫ জানুয়ারি আদালত লেকের সীমানা নির্ধারণ করে দুই মাসের মধ্যে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে রাজউক পাঁচ দফায় অভিযান চালিয়ে প্রায় এক হাজার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে।
বিটিসিএলের দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা জানান, হাইকোর্টের নির্দেশের অনুমিত প্রতিলিপি সংগ্রহ করতে দেরি হওয়ায় এত দিন অভিযান চালানো যায়নি। গত সপ্তাহে ওই প্রতিলিপি তাঁদের হাতে আসে।
রাজউক গত পাঁচ দিনের অভিযানে উচ্ছেদ করেছে প্রায় এক হাজার অবৈধ স্থাপনা। বিটিসিএল গতকাল এক দিনেই ভেঙে দেয় দুই হাজারের বেশি স্থাপনা। একসঙ্গে এতগুলো স্থাপনা উচ্ছেদ করার নজির এ সময়ের মধ্যে নেই।
বিটিসিএলের ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্রের পাশের রাস্তার দুই পাশে ২০ বছরের বেশি সময় আগে এখানে বেশির ভাগ দোকানপাট ও ঘরবাড়ি গড়ে ওঠে বলে এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়। মুদি দোকান থেকে শুরু করে ওষুধ, কাপড়চোপড়, জুতা, ফোন-ফ্যাক্সের দোকান সবই রয়েছে এখানে। গতকাল সকাল ১০টার দিকে অভিযানকারী দল ঘটনাস্থলে গেলে কিছু দোকানি এবং বস্তিবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে কয়েকজন দোকানি জোট পাকানোর চেষ্টা করেন। পরে পুলিশের আধিক্য দেখে তাঁরা যার যার মতো সরে যান। পরে দোকানিরা মালামাল সরানোর কাজেই বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়েন।
মুদি দোকানি আবদুস সাত্তার জানান, ১৮ বছর ধরে এখানে তিনি দোকান করছেন। ওই সময়ে এককালীন টাকা দিয়ে তিনি দোকানঘরের দখল নেন ওই সময়ের ক্ষমতাসীন বিএনপির টিঅ্যান্ডটি শাখার একজন নেতার কাছ থেকে।
আবদুস সাত্তারসহ কয়েকজন দোকানি অভিযোগ করেন, উচ্ছেদের সময় তাঁদের কিছু মাল লুটও হয়।
দোকানঘরগুলোর পেছনে রয়েছে বেশ কিছু বস্তি। উচ্ছেদের সময় বস্তিবাসী, বিশেষ করে মহিলা ও শিশুরা কান্নায় ভেঙে পড়ে। জমিলা বেগম নামের এক বস্তিবাসী কাঁদতে কাঁদতেই বলেন, শিশুসন্তানদের নিয়ে এখন কোথায় যাবেন?
অভিযান পরিচালনাকারী জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেলিম হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ তথা আইন অনুযায়ী গতকালের অভিযান পরিচালিত হয়েছে।
ঢাকা জেলা প্রশাসন ও গণপূর্ত অধিদপ্তরের সহায়তায় অভিযানে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সরবরাহ করা পে-লোডার, বুলডোজার ব্যবহার করা হয়।
আগে থেকেই এসব জায়গার মালিকানার দাবিদার ছিল বিটিসিএল। তবে মালিকানা নিয়ে অনেক দিন ধরেই রাজউক ও বিটিসিএলের মধ্যে বিরোধ ছিল। প্রকৃত মালিকানা নির্ধারণের জন্য রাজউকের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে তিন দফায় মানচিত্র পাঠানো হয় ২০১০ সালে। পরে এ বিষয়ে ভূমি ও আইন মন্ত্রণালয়ের বৈঠক হয় এবং লেকটি উদ্ধারের সিদ্ধান্ত হয়।
গত ১৭ জানুয়ারি ‘বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে গুলশান লেক, বাঁধ দিয়ে নতুন নতুন অবৈধ স্থাপনা’ শিরোনামে প্রথম আলোয় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এর ভিত্তিতে হাইকোর্ট ওই দিন স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে একটি রুল জারি করেন। একই সঙ্গে লেক রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে ব্যর্থতার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে রাজউক ও বিটিসিএলের চেয়ারম্যানকে আদালতে হাজির হতে বলেন।
এর ধারাবাহিকতায় গত ২৫ জানুয়ারি আদালত লেকের সীমানা নির্ধারণ করে দুই মাসের মধ্যে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে রাজউক পাঁচ দফায় অভিযান চালিয়ে প্রায় এক হাজার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে।
বিটিসিএলের দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা জানান, হাইকোর্টের নির্দেশের অনুমিত প্রতিলিপি সংগ্রহ করতে দেরি হওয়ায় এত দিন অভিযান চালানো যায়নি। গত সপ্তাহে ওই প্রতিলিপি তাঁদের হাতে আসে।
রাজউক গত পাঁচ দিনের অভিযানে উচ্ছেদ করেছে প্রায় এক হাজার অবৈধ স্থাপনা। বিটিসিএল গতকাল এক দিনেই ভেঙে দেয় দুই হাজারের বেশি স্থাপনা। একসঙ্গে এতগুলো স্থাপনা উচ্ছেদ করার নজির এ সময়ের মধ্যে নেই।
বিটিসিএলের ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্রের পাশের রাস্তার দুই পাশে ২০ বছরের বেশি সময় আগে এখানে বেশির ভাগ দোকানপাট ও ঘরবাড়ি গড়ে ওঠে বলে এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়। মুদি দোকান থেকে শুরু করে ওষুধ, কাপড়চোপড়, জুতা, ফোন-ফ্যাক্সের দোকান সবই রয়েছে এখানে। গতকাল সকাল ১০টার দিকে অভিযানকারী দল ঘটনাস্থলে গেলে কিছু দোকানি এবং বস্তিবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে কয়েকজন দোকানি জোট পাকানোর চেষ্টা করেন। পরে পুলিশের আধিক্য দেখে তাঁরা যার যার মতো সরে যান। পরে দোকানিরা মালামাল সরানোর কাজেই বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়েন।
মুদি দোকানি আবদুস সাত্তার জানান, ১৮ বছর ধরে এখানে তিনি দোকান করছেন। ওই সময়ে এককালীন টাকা দিয়ে তিনি দোকানঘরের দখল নেন ওই সময়ের ক্ষমতাসীন বিএনপির টিঅ্যান্ডটি শাখার একজন নেতার কাছ থেকে।
আবদুস সাত্তারসহ কয়েকজন দোকানি অভিযোগ করেন, উচ্ছেদের সময় তাঁদের কিছু মাল লুটও হয়।
দোকানঘরগুলোর পেছনে রয়েছে বেশ কিছু বস্তি। উচ্ছেদের সময় বস্তিবাসী, বিশেষ করে মহিলা ও শিশুরা কান্নায় ভেঙে পড়ে। জমিলা বেগম নামের এক বস্তিবাসী কাঁদতে কাঁদতেই বলেন, শিশুসন্তানদের নিয়ে এখন কোথায় যাবেন?
অভিযান পরিচালনাকারী জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেলিম হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ তথা আইন অনুযায়ী গতকালের অভিযান পরিচালিত হয়েছে।
ঢাকা জেলা প্রশাসন ও গণপূর্ত অধিদপ্তরের সহায়তায় অভিযানে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সরবরাহ করা পে-লোডার, বুলডোজার ব্যবহার করা হয়।
No comments