সিইসির মন্তব্য অসতর্ক ও আইন-অসমর্থিত-ডিসিসি নির্বাচন
ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আইনবহির্ভূত আগাম প্রচারাভিযানকে সিইসির তরফে ‘উৎসবের আমেজ’ বলায় যথেষ্ট বিভ্রম সৃষ্টি হয়েছে। আমরা বিস্মিত যে তাঁর মতো দায়িত্বশীল ব্যক্তি কীভাবে এমন ঢালাও মন্তব্য করতে পারলেন। আগাম প্রচারণার নামে যা চলছে, তা উৎসব নয়, অন্তত কিছু ক্ষেত্রে তা মচ্ছব।
উপরন্তু নির্বাচনকালে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কী হতে পারে, তা এখনই বলা যায় না। ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনেই লালবাগে এক ঘটনায় একসঙ্গে ছয়জনকে ব্রাশফায়ারে হত্যা করা হয়েছিল। সেনা মোতায়েন দরকার হলে যেকোনো সময় জেলা প্রশাসকেরাও তা নিশ্চিত করতে পারেন। এটি শুধু নির্বাচন কমিশনের একক এখতিয়ারের বিষয় নয়। সুতরাং, আগ বাড়িয়ে পুলিশ দিয়ে সব ঠিক করার মতো বক্তব্য অপরিপক্ব ও অপ্রয়োজনীয়।
নির্বাচনে উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হওয়া গণতন্ত্রের জন্য ভালো। গত ২৯ মের মধ্যে নির্বাচনের চূড়ান্ত সময়সীমা থাকলেও যথাসময়ে নির্বাচন হবে কি না, সে বিষয়ে সচেতন মহলের একটা চাপা উদ্বেগ এখনো একেবারে উবে যায়নি। নির্বাচন কমিশন যে ভোট গ্রহণে উদগ্রীব, সে ধরনের বার্তা তার কাছ থেকে প্রত্যাশিত। কিন্তু তা তো কোনোভাবেই আইন থেকে বিচ্যুত হয়ে হতে পারে না।
পোস্টার ও দেয়াললিখন ইতিমধ্যেই জনজীবনে একটা গুরুতর ব্যাধি হয়ে বাসা বেঁধেছে। সে কারণে বর্তমান সরকারকে এ বিষয়ে বিধিনিষেধ আরোপ করে নতুন আইন করতে হয়েছে। এতে কেবল সিটি করপোরেশনের নির্দিষ্ট করে দেওয়া স্থানে পোস্টার লাগানোর বিধান করা হয়েছে।
সিটি করপোরেশন নির্বাচন আইনেও বলা আছে, দেয়ালে লিখে ও অঙ্কন করে কোনো প্রকার নির্বাচনী প্রচার চালানো যাবে না। সিটি করপোরেশন নির্বাচন বিধিমালা ২০১০-এর ৪ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, নির্ধারিত তারিখে ভোট গ্রহণের ২১ দিন আগে কোনো ধরনের নির্বাচনী প্রচার চালানো যাবে না। কিন্তু বাস্তবে নানা ধরনের কৌশলের আশ্রয় নিয়ে এই বিধিনিষেধ সম্ভাব্য প্রার্থীদের অনেকেই লঙ্ঘন করে চলেছেন।
গত ১৮ মার্চ বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতির (বেলা) করা এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট বিভাগের একটি দ্বৈত বেঞ্চ ১০ দিনের মধ্যে অননুমোদিত পোস্টার, ফেস্টুন, ব্যানার ইত্যাদি অপসারণে নির্দেশ দিয়েছিলেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি অবশ্য আশাবাদ ব্যক্ত করেন, আইন মেনেই প্রার্থীরা প্রচারণা উপকরণ অপসারণ করবেন। কিন্তু এ-বিষয়ক আইন প্রয়োগে সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ হিসেবে সিইসির কাছে এ ধরনের মামুলি বক্তব্য আমাদের অবাকই করেছে। এ ধরনের অসতর্ক মন্তব্যে আইন অমান্য করার প্রবণতাকেই উসকে দিতে পারে। আমরা প্রচলিত আইনকানুনের কঠোর প্রয়োগ ও অনুশীলন আশা করি এবং তা নির্বাচন কমিশনকেই নিশ্চিত করতে হবে। দায় এড়ানোর কোনো সুযোগ নেই।
নির্বাচনে উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হওয়া গণতন্ত্রের জন্য ভালো। গত ২৯ মের মধ্যে নির্বাচনের চূড়ান্ত সময়সীমা থাকলেও যথাসময়ে নির্বাচন হবে কি না, সে বিষয়ে সচেতন মহলের একটা চাপা উদ্বেগ এখনো একেবারে উবে যায়নি। নির্বাচন কমিশন যে ভোট গ্রহণে উদগ্রীব, সে ধরনের বার্তা তার কাছ থেকে প্রত্যাশিত। কিন্তু তা তো কোনোভাবেই আইন থেকে বিচ্যুত হয়ে হতে পারে না।
পোস্টার ও দেয়াললিখন ইতিমধ্যেই জনজীবনে একটা গুরুতর ব্যাধি হয়ে বাসা বেঁধেছে। সে কারণে বর্তমান সরকারকে এ বিষয়ে বিধিনিষেধ আরোপ করে নতুন আইন করতে হয়েছে। এতে কেবল সিটি করপোরেশনের নির্দিষ্ট করে দেওয়া স্থানে পোস্টার লাগানোর বিধান করা হয়েছে।
সিটি করপোরেশন নির্বাচন আইনেও বলা আছে, দেয়ালে লিখে ও অঙ্কন করে কোনো প্রকার নির্বাচনী প্রচার চালানো যাবে না। সিটি করপোরেশন নির্বাচন বিধিমালা ২০১০-এর ৪ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, নির্ধারিত তারিখে ভোট গ্রহণের ২১ দিন আগে কোনো ধরনের নির্বাচনী প্রচার চালানো যাবে না। কিন্তু বাস্তবে নানা ধরনের কৌশলের আশ্রয় নিয়ে এই বিধিনিষেধ সম্ভাব্য প্রার্থীদের অনেকেই লঙ্ঘন করে চলেছেন।
গত ১৮ মার্চ বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতির (বেলা) করা এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট বিভাগের একটি দ্বৈত বেঞ্চ ১০ দিনের মধ্যে অননুমোদিত পোস্টার, ফেস্টুন, ব্যানার ইত্যাদি অপসারণে নির্দেশ দিয়েছিলেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি অবশ্য আশাবাদ ব্যক্ত করেন, আইন মেনেই প্রার্থীরা প্রচারণা উপকরণ অপসারণ করবেন। কিন্তু এ-বিষয়ক আইন প্রয়োগে সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ হিসেবে সিইসির কাছে এ ধরনের মামুলি বক্তব্য আমাদের অবাকই করেছে। এ ধরনের অসতর্ক মন্তব্যে আইন অমান্য করার প্রবণতাকেই উসকে দিতে পারে। আমরা প্রচলিত আইনকানুনের কঠোর প্রয়োগ ও অনুশীলন আশা করি এবং তা নির্বাচন কমিশনকেই নিশ্চিত করতে হবে। দায় এড়ানোর কোনো সুযোগ নেই।
No comments