সংস্কৃতির বিকাশ
সাংস্কৃতিক জাগরণ বা এর বিকাশ একটি দেশ ও জাতির জন্য কতটা কল্যাণকর হতে পারে, বিশ্বে এমন দৃষ্টান্ত রয়েছে অসংখ্য। এই ভূখণ্ডও এর বাইরে নয়। সমাজের অন্ধকার দূরীকরণে এটি হলো মোক্ষম হাতিয়ার। অনগ্রসর, পশ্চাৎপদ, ধর্মীয় গোঁড়ামি, সামাজিক অস্থিরতা কিংবা অস্থিতিশীলতা থেকে পরিত্রাণের পথ অনেকটাই মসৃণ করে দিতে পারে অব্যাহত সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড।
স্বাধীন বাংলাদেশেও আমরা দেখেছি সমাজের, রাষ্ট্রের দুঃসময়ে সাংস্কৃতিক কর্মীরা যখন শিরদাঁড়া টান করে দাঁড়িয়েছেন মানুষের কল্যাণে কিংবা স্বস্তির লক্ষ্যে, তখনই এর ইতিবাচক প্রভাব আলো ছড়িয়েছে। কাজেই কূপমণ্ডূকতার রাহুগ্রাস থেকে মুক্তির লক্ষ্যে এর কোনোই বিকল্প নেই।
বাংলাদেশ পথনাটক পরিষদের উদ্যোগে সারা দেশে শুরু হয়েছে পথনাটকের অভিনয়, নির্মাণবিষয়ক কর্মশালা, সেমিনার ও পথনাট্যোৎসব। এর চর্চার বিকাশে সরকারের দেওয়া ৪৩ লাখ টাকার অনুদানে এসব কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। আমরা সরকারকে এমন মহতি কাজের পেছনে অনুপ্রেরণা, সহযোগিতা জোগানের জন্য ধন্যবাদ জানাই। পাঁচ দিনব্যাপী জেলাভিত্তিক নাটক নির্মাণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবে ৩০টি জেলায়। এর মধ্যে ৯টি জেলায় এ কর্মশালা সম্পন্ন হয়েছে। এখনো বিভিন্ন বিভাগ ও জেলায় চলছে নানা কর্মসূচি। রাজধানী ঢাকায়ও অনুষ্ঠিত হবে এমন কর্মযজ্ঞ। ১৯ এপ্রিল ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মহানগর পথনাট্যোৎসব উদ্বোধন করবেন তথ্য ও সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী। সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা এ ক্ষেত্রে যে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে, এর সুদূরপ্রসারী ফল আমাদের মঙ্গল বয়ে আনবে_এ প্রত্যাশা অমূলক নয়। সাংস্কৃতিক কর্মীদের নানা রকম কর্মপ্রচেষ্টা সত্ত্বেও তৃণমূল মানুষের কাছে এখনো নাটক নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। মৌলবাদীদের নানা রকম প্রতিবন্ধকতা তো আছেই, পাশাপাশি আছে সাংস্কৃতিক কর্মীদেরও সীমাবদ্ধতা। আমরা আশা করি, বাধা কিংবা সীমাবদ্ধতার সব প্রাচীর ভেঙে সাংস্কৃতিক অগ্রযাত্রা আরো বেগবান করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্টদের সর্বতো প্রয়াস অব্যাহত থাকবে।
আমরা আলোকিত জীবন চাই, সমাজ চাই। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি মানুষকে যদি সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের আলোর রশ্মি স্পর্শ করে, তা হলে সমাজের সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিত করা কোনো দুরূহ বিষয় নয়। আমরা নানা দিকে অত্যন্ত জটিল সময় অতিক্রম করছি। এ থেকে উত্তরণে দরকার দেশের সচেতন, প্রগতিশীল জনগোষ্ঠীর ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস। শুভবুদ্ধিসম্পন্ন সবার সম্মিলিত প্রয়াসই এর ভিত মজবুত করতে পারে। তৃণমূলের মানুষ যাতে সাংস্কৃতিক আলোর রশ্মি পায়, সে জন্য সরকারকে অধিক মনোযোগী হয়ে সাংস্কৃতিক কর্মীদের আরো পৃষ্ঠপোষকতা করতে হবে। দৃষ্টিশক্তির যেমন খুব দরকার, তেমনি দরকার আত্মশক্তি ও এর বিকাশের। এ কাজটি দেশের সাংস্কৃতিক কর্মীদের দ্বারাই সম্পন্ন করা সম্ভব। জয় হোক প্রগতির, জয় হোক শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের।
বাংলাদেশ পথনাটক পরিষদের উদ্যোগে সারা দেশে শুরু হয়েছে পথনাটকের অভিনয়, নির্মাণবিষয়ক কর্মশালা, সেমিনার ও পথনাট্যোৎসব। এর চর্চার বিকাশে সরকারের দেওয়া ৪৩ লাখ টাকার অনুদানে এসব কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। আমরা সরকারকে এমন মহতি কাজের পেছনে অনুপ্রেরণা, সহযোগিতা জোগানের জন্য ধন্যবাদ জানাই। পাঁচ দিনব্যাপী জেলাভিত্তিক নাটক নির্মাণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবে ৩০টি জেলায়। এর মধ্যে ৯টি জেলায় এ কর্মশালা সম্পন্ন হয়েছে। এখনো বিভিন্ন বিভাগ ও জেলায় চলছে নানা কর্মসূচি। রাজধানী ঢাকায়ও অনুষ্ঠিত হবে এমন কর্মযজ্ঞ। ১৯ এপ্রিল ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মহানগর পথনাট্যোৎসব উদ্বোধন করবেন তথ্য ও সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী। সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা এ ক্ষেত্রে যে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে, এর সুদূরপ্রসারী ফল আমাদের মঙ্গল বয়ে আনবে_এ প্রত্যাশা অমূলক নয়। সাংস্কৃতিক কর্মীদের নানা রকম কর্মপ্রচেষ্টা সত্ত্বেও তৃণমূল মানুষের কাছে এখনো নাটক নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। মৌলবাদীদের নানা রকম প্রতিবন্ধকতা তো আছেই, পাশাপাশি আছে সাংস্কৃতিক কর্মীদেরও সীমাবদ্ধতা। আমরা আশা করি, বাধা কিংবা সীমাবদ্ধতার সব প্রাচীর ভেঙে সাংস্কৃতিক অগ্রযাত্রা আরো বেগবান করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্টদের সর্বতো প্রয়াস অব্যাহত থাকবে।
আমরা আলোকিত জীবন চাই, সমাজ চাই। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি মানুষকে যদি সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের আলোর রশ্মি স্পর্শ করে, তা হলে সমাজের সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিত করা কোনো দুরূহ বিষয় নয়। আমরা নানা দিকে অত্যন্ত জটিল সময় অতিক্রম করছি। এ থেকে উত্তরণে দরকার দেশের সচেতন, প্রগতিশীল জনগোষ্ঠীর ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস। শুভবুদ্ধিসম্পন্ন সবার সম্মিলিত প্রয়াসই এর ভিত মজবুত করতে পারে। তৃণমূলের মানুষ যাতে সাংস্কৃতিক আলোর রশ্মি পায়, সে জন্য সরকারকে অধিক মনোযোগী হয়ে সাংস্কৃতিক কর্মীদের আরো পৃষ্ঠপোষকতা করতে হবে। দৃষ্টিশক্তির যেমন খুব দরকার, তেমনি দরকার আত্মশক্তি ও এর বিকাশের। এ কাজটি দেশের সাংস্কৃতিক কর্মীদের দ্বারাই সম্পন্ন করা সম্ভব। জয় হোক প্রগতির, জয় হোক শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের।
No comments