আন্তর্জাতিক-ফিলিস্তিনি বসন্ত by ড্যানিয়েল বেথেলহেম
জাতিসংঘের কাছে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের মর্যাদা চাওয়ার মধ্যে ঝুঁকি ও সুযোগ দুটোই রয়েছে। সুযোগগুলো বাস্তবায়ন করা কঠিন এবং এ জন্য ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন উভয় পক্ষের পরিপকস্ফ আলাচনার প্রয়োজন রয়েছে। ঝুঁকিটা গুরুত্বপূর্ণ ও এটা পরিহার করা কঠিন। ফিলিস্তিনি নেতৃত্ব যদি বিশেষভাবে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সাফল্য ও রাস্তায় জনগণের ব্যাপক
সমর্থনে উজ্জীবিত হয়ে থাকে, তবে তাদের একটি পরিমিতি বোধসম্পন্ন সরকারে উত্তরণ ঘটাতে হবে; যেটা ইসরায়েলের সঙ্গে স্থায়ী মীমাংসার নীতির বাস্তবায়ন সম্ভব করে তুলবে ও নিজেদের ভূখণ্ডে আরও স্থিতিশীল ও কার্যকর সরকার উপহার দেবে। ইসরায়েলকে নেতৃত্বের সহজ বুদ্ধির বাইরে সক্রিয় হতে হবে এবং ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য একটি জাতীয় রাষ্ট্র গড়ে তোলার প্রচেষ্টাকে সহায়তা করতে হবে।
রাষ্ট্রীয় মর্যাদার উদ্যোগে দ্বিপক্ষীয় সমাধানের প্রসঙ্গ টেনে অচলাবস্থা সৃষ্টি করা হয়। এ উদ্যোগ ফিলিস্তিনি জনগণের মর্যাদা ও রাজনৈতিক মুক্তির উদ্দেশ্যতাড়িত। এখানেই সুযোগ রয়েছে। মর্যাদা ও মুক্তির মধ্যে আস্থা ও দায়িত্বশীলতার বীজ নিহিত। কর্তৃত্বের সঙ্গে সমগ্র ফিলিস্তিনি জনগণের পক্ষ হয়ে কথা বলার মতো নেতৃত্বের আস্থাশীলতা থাকা চাই। ফিলিস্তিন সরকারকে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ইসরায়েলের সঙ্গে একটি নিরাপদ সম্পর্ক গড়ে তোলায় এগিয়ে যেতে হবে। একটি দায়িত্বশীল সরকারের নমুনা হলো, সে কেবল নিজেদের দিকেই তাকায় না, বাইরের প্রতিও দৃষ্টি দেয়। উদ্দেশ্য জনগণের প্রকৃত আশা-আকাঙ্ক্ষাকে সরকারের ধারণ করতে পারা।
২০ বছর ধরে শান্তি অন্বেষায় কোনো সামঞ্জস্য ছিল না। ইসরায়েল একটি রাষ্ট্র হিসেবে এ পর্যন্ত তার নিজের স্থিতিশীল নিরাপত্তা পরিবেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ফিলিস্তিনি নেতৃত্বে অভীপ্সা ছিল তার চেয়ে কিছুটা কম। তারা যাদের ওপর কোনো না কোনোভাবে নির্ভরশীল তাদের থেকে মুক্তি অর্জনের মাধ্যমে মর্যাদা ও আস্থাশীলতা অর্জন করতে চেয়েছে। এখন সময় এসেছে এর থেকে বেরিয়ে আসার। এটা ঠিক যে, একটা অধিকতর স্থায়ী আপসরফার জন্য পক্ষগুলোর মধ্যে মর্যাদাপূর্ণ ভারসাম্য প্রতিষ্ঠিত হওয়া দরকার।
বর্তমান উদ্যোগের সুবিধা হলো, এটা আস্থা ও দায়িত্বশীলতা সৃষ্টি করেছে এবং এটা ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি সম্পর্কে পুনঃভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করেছে। দখলদারিত্বের জজবা তোলা বাদ দিয়ে এখন ফিলিস্তিনিদের তাদের ভূখণ্ড কোনো সহিংসতা চালানোর ক্ষেত্র হিসেবে ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না_ সে নিশ্চয়তা দিতে হবে। রাষ্ট্রীয় মর্যাদা এটাকে আরও কঠিন করে তুলবে। আইনি বলুন, নৈতিক বলুন আর রাজনৈতিকই বলুন না কেন, সীমান্তের ওপার থেকে হামলার হুমকি মোকাবেলার কথা বলে ইসরায়েলের আত্মরক্ষামূলক পাল্টা ব্যবস্থা গ্রহণের অধিকার সংরক্ষণের বিষয়কেও আমল দেওয়া চলবে না। উভয়ের ওপরই সমানভাবে প্রযোজ্য আইন ও বিধিসম্মত বাধ্যবাধকতা থাকবে। উভয়ের মধ্যকার সম্পর্ক আন্তর্জাতিক আইনের বাধ্যবাধকতা দ্বারা নির্ণিত হবে এবং এই আইন সব রাষ্ট্রের ক্ষেত্রেই সমানভাবে প্রযোজ্য হবে।
ফিলিস্তিনি নেতৃত্বকে তাদের এই বিজয়কে ভঙ্গুর বিজয় বলে ভাবতে হবে এবং এই বিজয় টেকসই হবে কি-না তা পরবর্তী পদপেক্ষ দ্বারা নির্ণিত হবে_ এটা বুঝতে হবে। ফিলিস্তিনি নেতৃত্বের জনগণকে অনুসরণ করার পরিবর্তে তাদের নেতৃত্ব দিয়ে এগিয়ে নেওয়ার কথা ভাবতে হবে। ইসরায়েলের সঙ্গে বিভক্তিকে আরও জোরালো করার মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় মর্যাদাকে আরও সুসংহত করতে হবে বলে যারা যুক্তি দেন তাদের প্রতিহত করতে হবে। ইসরায়েলকেও নতুন বাস্তবতা অনুধাবন করতে হবে এবং শান্তির সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার পথ নিতে হবে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পক্ষ-বিপক্ষ সবাইকে স্থিতিশীলতার পক্ষে অবস্থান নিতে হবে।
এসব হলো গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ। আরও প্রণালিবদ্ধ, প্রাতিষ্ঠানিক ও আসন্ন অনেক সমস্যা রয়েছে, যেগুলোকে যথাযথভাবে অ্যাড্রেস করতে হবে। দুই পক্ষের মধ্যে রাজনৈতিক ও প্রাতিষ্ঠানিক সম্পর্ক ও ফিলিস্তিনি রাজনীতির কাঠামো ইত্যাদির উৎস হলো গত এক দশক ধরেই অন্তর্বর্তীকালীন চুক্তি ও ওসলো চুক্তি। রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ এগুলোকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে এবং শূন্যতা ঝুঁকি সৃষ্টি করে। চতুর্পক্ষীয় রোডম্যাপ ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য একটি ভিন্ন ভিশন তুলে ধরেছে। এটা যদি এখনও প্রাসঙ্গিক হয়ে থাকে, তাহলে এর সতর্ক পুনঃক্রমাঙ্কন প্রয়োজন। নিরাপত্তার বিষয়টি সঠিকভাবেই মূল বিষয় বলে বিবেচনার দাবি রাখে। রাষ্ট্রীয় মর্যাদার সঙ্গে সঙ্গে ফিলিস্তিনিরা বেশ কয়েকটি সুযোগ লাভ করতে পারে। তারা ইসরায়েলকে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইহুদি বসতি স্থাপন, সামরিক অভিযান ও আরও কতিপয় বিষয়ে আন্তর্জাতিক আদালতের মুখোমুখি করার সুযোগ পাবে।
আর এটাই হলো এমন মারাত্মক একটা ইস্যু যেটা কি-না উভয় পক্ষের মধ্যে বিরোধ নিরসনকে দুরূহ করে তুলতে পারে। ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসকে তার এজেন্ডা থেকে এখন এটাকে বাদ রাখতে হবে। আর বিষয়টি তো একেবারে তামাদি হয়ে যাচ্ছে না। যদি প্রয়োজন পড়ে, ভবিষ্যতে না হয় তোলা যাবে। এ অবস্থায় এসব বিষয়কে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে নিয়ে যাওয়া ফিলিস্তিনিদের জন্য বোকামি হবে এবং এতে প্রকৃত শান্তির সম্ভাবনা তিরোহিত হবে। ফিলিস্তিনিদের এটা মনে রাখতে হবে যে, একটি আদালতের রায় তাদের ও ইসরায়েলের মধ্যে স্থায়ী নিষ্পত্তির প্রশ্নে কোনো অবদান রাখবে না।
ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রীয় মর্যাদার প্রশ্নে যখন ভোটাভুটির প্রসঙ্গ আসবে তখন প্রেসিডেন্ট আব্বাসকে ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাতের পথ পরিহার করে সংলাপের সম্ভাবনার পক্ষে বলতে হবে। আর তার এই ধারণাটির ওপর শুধু পশ্চিম তীরের জনগণ আস্থা স্থাপন করলে হবে না; একই সঙ্গে গাজার মানুষদেরও এ ব্যাপারে অভিন্ন মত পোষণ করতে হবে। ইসরায়েলকে এই উদ্যোগ সমর্থন করা উচিত। তবে রাজনৈতিক বাস্তবতা হলো, বিরুদ্ধ অবস্থানেই থাকবে ইসরায়েল। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলকে নিরাপত্তা ইস্যুতে বলিষ্ঠ ভূমিকায় থাকতে হবে। তবে তাদেরও বুঝতে হবে, সাবেক অবস্থা আর কোনোমতেই বজায় থাকতে পারে না এবং এটা অগ্রহণযোগ্যও।
স্যার ড্যানিয়েল বেথেলহেম :লিগ্যাল পলিসি ইন্টারন্যাশনালের পরিচালক
খালিজ টাইমস থেকে সংক্ষেপিত ভাষান্তর সুভাষ সাহা
রাষ্ট্রীয় মর্যাদার উদ্যোগে দ্বিপক্ষীয় সমাধানের প্রসঙ্গ টেনে অচলাবস্থা সৃষ্টি করা হয়। এ উদ্যোগ ফিলিস্তিনি জনগণের মর্যাদা ও রাজনৈতিক মুক্তির উদ্দেশ্যতাড়িত। এখানেই সুযোগ রয়েছে। মর্যাদা ও মুক্তির মধ্যে আস্থা ও দায়িত্বশীলতার বীজ নিহিত। কর্তৃত্বের সঙ্গে সমগ্র ফিলিস্তিনি জনগণের পক্ষ হয়ে কথা বলার মতো নেতৃত্বের আস্থাশীলতা থাকা চাই। ফিলিস্তিন সরকারকে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ইসরায়েলের সঙ্গে একটি নিরাপদ সম্পর্ক গড়ে তোলায় এগিয়ে যেতে হবে। একটি দায়িত্বশীল সরকারের নমুনা হলো, সে কেবল নিজেদের দিকেই তাকায় না, বাইরের প্রতিও দৃষ্টি দেয়। উদ্দেশ্য জনগণের প্রকৃত আশা-আকাঙ্ক্ষাকে সরকারের ধারণ করতে পারা।
২০ বছর ধরে শান্তি অন্বেষায় কোনো সামঞ্জস্য ছিল না। ইসরায়েল একটি রাষ্ট্র হিসেবে এ পর্যন্ত তার নিজের স্থিতিশীল নিরাপত্তা পরিবেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ফিলিস্তিনি নেতৃত্বে অভীপ্সা ছিল তার চেয়ে কিছুটা কম। তারা যাদের ওপর কোনো না কোনোভাবে নির্ভরশীল তাদের থেকে মুক্তি অর্জনের মাধ্যমে মর্যাদা ও আস্থাশীলতা অর্জন করতে চেয়েছে। এখন সময় এসেছে এর থেকে বেরিয়ে আসার। এটা ঠিক যে, একটা অধিকতর স্থায়ী আপসরফার জন্য পক্ষগুলোর মধ্যে মর্যাদাপূর্ণ ভারসাম্য প্রতিষ্ঠিত হওয়া দরকার।
বর্তমান উদ্যোগের সুবিধা হলো, এটা আস্থা ও দায়িত্বশীলতা সৃষ্টি করেছে এবং এটা ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি সম্পর্কে পুনঃভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করেছে। দখলদারিত্বের জজবা তোলা বাদ দিয়ে এখন ফিলিস্তিনিদের তাদের ভূখণ্ড কোনো সহিংসতা চালানোর ক্ষেত্র হিসেবে ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না_ সে নিশ্চয়তা দিতে হবে। রাষ্ট্রীয় মর্যাদা এটাকে আরও কঠিন করে তুলবে। আইনি বলুন, নৈতিক বলুন আর রাজনৈতিকই বলুন না কেন, সীমান্তের ওপার থেকে হামলার হুমকি মোকাবেলার কথা বলে ইসরায়েলের আত্মরক্ষামূলক পাল্টা ব্যবস্থা গ্রহণের অধিকার সংরক্ষণের বিষয়কেও আমল দেওয়া চলবে না। উভয়ের ওপরই সমানভাবে প্রযোজ্য আইন ও বিধিসম্মত বাধ্যবাধকতা থাকবে। উভয়ের মধ্যকার সম্পর্ক আন্তর্জাতিক আইনের বাধ্যবাধকতা দ্বারা নির্ণিত হবে এবং এই আইন সব রাষ্ট্রের ক্ষেত্রেই সমানভাবে প্রযোজ্য হবে।
ফিলিস্তিনি নেতৃত্বকে তাদের এই বিজয়কে ভঙ্গুর বিজয় বলে ভাবতে হবে এবং এই বিজয় টেকসই হবে কি-না তা পরবর্তী পদপেক্ষ দ্বারা নির্ণিত হবে_ এটা বুঝতে হবে। ফিলিস্তিনি নেতৃত্বের জনগণকে অনুসরণ করার পরিবর্তে তাদের নেতৃত্ব দিয়ে এগিয়ে নেওয়ার কথা ভাবতে হবে। ইসরায়েলের সঙ্গে বিভক্তিকে আরও জোরালো করার মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় মর্যাদাকে আরও সুসংহত করতে হবে বলে যারা যুক্তি দেন তাদের প্রতিহত করতে হবে। ইসরায়েলকেও নতুন বাস্তবতা অনুধাবন করতে হবে এবং শান্তির সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার পথ নিতে হবে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পক্ষ-বিপক্ষ সবাইকে স্থিতিশীলতার পক্ষে অবস্থান নিতে হবে।
এসব হলো গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ। আরও প্রণালিবদ্ধ, প্রাতিষ্ঠানিক ও আসন্ন অনেক সমস্যা রয়েছে, যেগুলোকে যথাযথভাবে অ্যাড্রেস করতে হবে। দুই পক্ষের মধ্যে রাজনৈতিক ও প্রাতিষ্ঠানিক সম্পর্ক ও ফিলিস্তিনি রাজনীতির কাঠামো ইত্যাদির উৎস হলো গত এক দশক ধরেই অন্তর্বর্তীকালীন চুক্তি ও ওসলো চুক্তি। রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ এগুলোকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে এবং শূন্যতা ঝুঁকি সৃষ্টি করে। চতুর্পক্ষীয় রোডম্যাপ ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য একটি ভিন্ন ভিশন তুলে ধরেছে। এটা যদি এখনও প্রাসঙ্গিক হয়ে থাকে, তাহলে এর সতর্ক পুনঃক্রমাঙ্কন প্রয়োজন। নিরাপত্তার বিষয়টি সঠিকভাবেই মূল বিষয় বলে বিবেচনার দাবি রাখে। রাষ্ট্রীয় মর্যাদার সঙ্গে সঙ্গে ফিলিস্তিনিরা বেশ কয়েকটি সুযোগ লাভ করতে পারে। তারা ইসরায়েলকে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইহুদি বসতি স্থাপন, সামরিক অভিযান ও আরও কতিপয় বিষয়ে আন্তর্জাতিক আদালতের মুখোমুখি করার সুযোগ পাবে।
আর এটাই হলো এমন মারাত্মক একটা ইস্যু যেটা কি-না উভয় পক্ষের মধ্যে বিরোধ নিরসনকে দুরূহ করে তুলতে পারে। ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসকে তার এজেন্ডা থেকে এখন এটাকে বাদ রাখতে হবে। আর বিষয়টি তো একেবারে তামাদি হয়ে যাচ্ছে না। যদি প্রয়োজন পড়ে, ভবিষ্যতে না হয় তোলা যাবে। এ অবস্থায় এসব বিষয়কে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে নিয়ে যাওয়া ফিলিস্তিনিদের জন্য বোকামি হবে এবং এতে প্রকৃত শান্তির সম্ভাবনা তিরোহিত হবে। ফিলিস্তিনিদের এটা মনে রাখতে হবে যে, একটি আদালতের রায় তাদের ও ইসরায়েলের মধ্যে স্থায়ী নিষ্পত্তির প্রশ্নে কোনো অবদান রাখবে না।
ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রীয় মর্যাদার প্রশ্নে যখন ভোটাভুটির প্রসঙ্গ আসবে তখন প্রেসিডেন্ট আব্বাসকে ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাতের পথ পরিহার করে সংলাপের সম্ভাবনার পক্ষে বলতে হবে। আর তার এই ধারণাটির ওপর শুধু পশ্চিম তীরের জনগণ আস্থা স্থাপন করলে হবে না; একই সঙ্গে গাজার মানুষদেরও এ ব্যাপারে অভিন্ন মত পোষণ করতে হবে। ইসরায়েলকে এই উদ্যোগ সমর্থন করা উচিত। তবে রাজনৈতিক বাস্তবতা হলো, বিরুদ্ধ অবস্থানেই থাকবে ইসরায়েল। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলকে নিরাপত্তা ইস্যুতে বলিষ্ঠ ভূমিকায় থাকতে হবে। তবে তাদেরও বুঝতে হবে, সাবেক অবস্থা আর কোনোমতেই বজায় থাকতে পারে না এবং এটা অগ্রহণযোগ্যও।
স্যার ড্যানিয়েল বেথেলহেম :লিগ্যাল পলিসি ইন্টারন্যাশনালের পরিচালক
খালিজ টাইমস থেকে সংক্ষেপিত ভাষান্তর সুভাষ সাহা
No comments