বিশেষ সাক্ষাৎকার : মামুন রশীদ-বাজেট : কতটা দারিদ্র্য দূর করতে পারবে সেটাই দেখতে হবে

আগামী ৯ জুন জাতীয় সংসদে ২০১১-১২ সালের বাজেট উপস্থাপন করা হবে। পত্রিকায় বাজেট সম্পর্কে কিছু আগাম খবরও এসেছে। অর্থনীতিবিদ ও রাজনীতিবিদরা বাজেট নিয়ে বক্তব্য দিচ্ছেন। আসন্ন বাজেটের কিছু সাধারণ বৈশিষ্ট্য ও অগ্রাধিকার বিষয় সম্পর্কে আমরা কথা বলেছি বিশিষ্ট ব্যাংকার ও অর্থনীতি-বিশ্লেষক এবং ব্র্যাক বিজনেস স্কুলের পরিচালক অধ্যাপক মামুন রশীদের সঙ্গে।


তাঁর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ফরহাদ মাহমুদ কালের কণ্ঠ : নতুন বাজেট আসছে। এ বিষয়ে আলাপ করার আগে বিগত বাজেট বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সাফল্য ও ব্যর্থতা এবং বিগত বাজেটের ঘাটতিগুলো সম্পর্কে সংক্ষেপে কিছু বলবেন কি?
মামুন রশীদ : আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশের কতকগুলো টিপিক্যাল সমস্যা থাকে। বাংলাদেশেরও এ ধরনের কিছু সমস্যা রয়েছে। এর মধ্যে প্রধান হচ্ছে উদ্বৃত্ত শ্রম। অর্থাৎ বহু মানুষ রয়েছে, যারা শ্রম দিতে প্রস্তুত, কিন্তু তাদের শ্রম দেওয়ার স্থান বা কর্মসংস্থান নেই। তাদের কর্মসংস্থান করা সরকারের একটি প্রধান এবং সাংবিধানিক দায়িত্ব। দ্বিতীয় যে সমস্যাটি রয়েছে, তা সব স্বল্পোন্নত দেশের সমস্যা নয়। বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশগুলোর মধ্যে একটি অগ্রসর দেশ; এবং এখানে উদ্বৃত্ত সঞ্চয়ও একটি সমস্যা হিসেবে বিরাজ করছে। অর্থাৎ আমরা আমাদের মোট জাতীয় সঞ্চয়ের সঠিক বিনিয়োগ করতে পারি না। এটাকে বলা হয় সক্ষমতার ব্যবহার বা ক্যাপাসিটি ইউটিলাইজেশনের সমস্যা। বাংলাদেশের বর্তমান বাজেট হচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার বা মধ্যম আয়ের বাংলাদেশে উত্তরণের লক্ষ্য নিয়ে প্রণীত বাজেট। এর উদ্দেশ্য হলো জনসম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করে দারিদ্র্য বিমোচনের মাধ্যমে মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি, মানুষের জীবনমান উন্নয়ন এবং জাতীয় সম্পদ বৃদ্ধি করা। এ জন্য আরো বেশি উদ্যোক্তা সৃষ্টি করা এবং আরো বেশি ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করাও বাজেটের একটি বড় চ্যালেঞ্জ। তাই আমি মনে করি, বাজেটের সাফল্য-ব্যর্থতা এগুলোর আলোকেই বিচার করা প্রয়োজন। দেখতে হবে, বাজেট কতটা দারিদ্র্য বিমোচন করতে পেরেছে, কতটা কর্মসংস্থান ও ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করতে পেরেছে এবং কতটা জাতীয় সম্পদ সৃষ্টি করতে পেরেছে।
বাজেটের আরেকটি দিক হলো, রাজস্ব বা কর আদায়। দক্ষতার সঙ্গে এই খাতের সম্প্রসারণ বা আয় বৃদ্ধির ওপরও বাজেটের সাফল্য নির্ভর করে। এখানে সরকারের প্রাধিকার এবং ব্যবসায়ীদের প্রাধিকার এক নয়। সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে উদ্বৃত্ত খাত বা অঞ্চলগুলো থেকে অর্থ সংগ্রহ করে দারিদ্র্যপীড়িত বা ঘাটতি অঞ্চলগুলোতে বা খাতগুলোতে পুঁজির প্রবাহ বৃদ্ধি করা। এ ধরনের খাতগুলোর মধ্যে রয়েছে গ্রামীণ শিক্ষা, গ্রামীণ কৃষি ও গ্রামীণ অবকাঠামো। এই তিনটিকে যদি সঠিকভাবে মোকাবিলা করা না যায়, তা হলে গ্রামের মানুষ আরো বেশি দরিদ্র হবে, শহরে পাড়ি জমাবে এবং সামাজিক শৃঙ্খলা নষ্ট হবে।
কালের কণ্ঠ : আপনার মতে নতুন বাজেটে কোন কোন খাত সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাওয়া উচিত এবং কেন?
মামুন রশীদ : বাংলাদেশে এখনো বহু মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে। আমরা ২০১০ সালের গৃহস্থালি আয়সংক্রান্ত জরিপের ফলটাকে যদি বিবেচনায় নিই, তাহলেও দেখা যাবে, ৩১ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ এখনো দারিদ্র্যসীমার নিচে রয়েছে। অর্থাৎ, এদের দৈনিক আয় ১ দশমিক ২৫ ডলারের নিচে। যে দেশে মোট জনসংখ্যার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছে, সেই দেশে দারিদ্র্য বিমোচনই বাজেটের প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত। আর এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে স্থানীয় সরকার কাঠামোগুলোকে শক্তিশালী করা, সরকার ও প্রশাসনে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠা খুবই জরুরি। বাজেট বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে এগুলোর অভাব এখনো বিরাট বাধা হয়ে আছে।
বাংলাদেশের জনসংখ্যা এখন প্রায় ১৬ কোটি। এর ৩০ শতাংশেরও বেশি দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে। আমরা যদি দারিদ্র্য কমিয়ে আনতে চাই, যদি মাথাপিছু আয় বাড়াতে চাই, উদ্বৃত্ত সঞ্চয়কে কাজে লাগাতে চাই, বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে দেখতে চাই, তা হলে আমাদের অবশ্যই গ্রামীণ শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও অবকাঠামো উন্নয়নকে প্রাধিকার দিতে হবে। কারণ, দুর্বল স্বাস্থ্য এবং অশিক্ষা নিয়ে মানুষ ভালো কর্মী হতে পারে না, উদ্যোগী বা উদ্যমী হতে পারে না। দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টি হয় না। মান্ধাতা আমলের শিক্ষা বা স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে তা সম্ভব নয়। আবার দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টির পাশাপাশি তাদের কর্মসংস্থানও সৃষ্টি করতে হবে। পাশাপাশি খাদ্যনিরাপত্তা এবং সামাজিক শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য আমাদের কৃষক ও কৃষি খাতকে রক্ষা এবং কৃষির আধুনিকায়ন করতে হবে। মনে রাখতে হবে, বছরে আমাদের যে পরিমাণ খাদ্য প্রয়োজন, আমদানি করে সেই চাহিদা মেটানো সম্ভব নয়। ঘাটতি পূরণ করতে গিয়েই প্রতিবছর বিশাল অঙ্কের অর্থ প্রয়োজন হয়। এই অর্থ আমরা কৃষি খাতের উন্নয়নে ব্যয় করে যদি উৎপাদন বাড়াতে পারি, তা হলে ঘাটতি পূরণের পাশাপাশি খাদ্যনিরাপত্তাও সুদৃঢ় হবে। এ জন্য কৃষি খাতকে অগ্রাধিকার দিতেই হবে।
কালের কণ্ঠ : ব্যবসায়ীরা প্রাতিষ্ঠানিক আয়করের হার কমানোর কথা বলছেন। চাকরিজীবীরা ব্যক্তিগত আয়করের সীমা বাড়ানোর দাবি করছেন। এ ব্যাপারে আপনার মতামত কী?
মামুন রশীদ : বাজেটের লক্ষ্য অর্জনের জন্যই সরকারের আয় বাড়ানো প্রয়োজন। আর তার উপায় হলো কর আদায় বাড়ানো। এখনো আমাদের দেশে করের হার জাতীয় আয় বা জিডিপির ১০ শতাংশের মতো। অথচ আমাদের সমপর্যায়ের দেশগুলোতেও এই হার ১২-১৪ শতাংশ পর্যন্ত আছে। আমরা খুব সহজেই এটাকে ১৪ শতাংশে নিয়ে যেতে পারি। এ জন্য আমাদের যা করা প্রয়োজন, তা হলো কর খাতকে সম্প্রসারণ করা। কিন্তু কর খাতকে সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে দুটি প্রধান বাধা রয়েছে। প্রথমটি হলো, আমরা কার ওপর কর আরোপ করব, সেটাকে সঠিকভাবে চিহ্নিত করতে পারছি না। অর্থাৎ কোথায় কোথায় পুঁজি সংগঠিত বা পুঞ্জীভূত হচ্ছে, সেগুলো সঠিকভাবে নির্ধারণ করতে পারছি না। যেমন, শহরের বিত্তবান অংশ বা রিয়েল এস্টেট ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো। অর্থাৎ কারা কী পরিমাণ পুঁজি খাটাচ্ছে, কারা ফ্ল্যাট বা প্লট কিনছে, তারা কত টাকা আয় করছে, সেগুলো সঠিকভাবে জানা এবং সেভাবে করারোপ করা প্রয়োজন। এভাবে কর খাত থেকে যে বর্ধিত আয় পাওয়া যাবে, তার একটি অংশ গ্রাম্য এলাকা বা বঞ্চিত এলাকায় বণ্টন করা যাবে। গ্রামের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর উন্নয়নের জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অবকাঠামো গড়ে তোলা যাবে। এটা আমরা করতে পারছি না মূলত দুটি কারণে_ ১. রাজনৈতিকভাবে আমরা কর প্রদানে মানুষকে উৎসাহিত বা প্রস্তুত করতে পারছি না। দুই. কর প্রশাসনকে আমরা দক্ষ করতে পারছি না, তার দুর্নীতি দূর করতে পারছি না এবং তাকে প্রয়োজনীয় পর্যায়ে সম্প্রসারণ করতে পারছি না। ফলে অনেকের কর প্রদানের ইচ্ছা থাকলেও তারা তা সহজে দিতে পারে না। কারো নিয়মিত মাসিক আয় ১৫ হাজার টাকা হলে তাকে বছরে ১২০০ টাকার মতো কর দিতে হবে। অনেকেই এটা দিতে চায়। কিন্তু নানা রকম জটিলতা ও ভোগান্তির কথা বিবেচনা করে তারা কর প্রদানে উৎসাহ হারিয়ে ফেলে। অর্থাৎ, আমরা দেখতে পাচ্ছি, কর প্রশাসন জনগণের দোরগোড়ায় যেতে পারছে না, কর আদায়ের কাজটি সহজ ও স্বচ্ছ করতে পারছে না, যা কর খাতে আয় বৃদ্ধির বড় অন্তরায়।
ব্যবসায়ীরা প্রাতিষ্ঠানিক কর কমানোর কথা বলছেন। এটাই স্বাভাবিক। এ দেশে এখনো করপোরেট বা প্রাতিষ্ঠানিক আয়করই বেশি এবং প্রাতিষ্ঠানিক আয়করের হারও বেশি। ফলে ব্যবসায়ীরা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে আগ্রহী হচ্ছেন না। তাঁরা প্রতিষ্ঠানের খরচ বেশি দেখানোর জন্য অনেক ব্যক্তিগত খরচও প্রতিষ্ঠানের ওপর চাপিয়ে দেন। যেমন, ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার না করে প্রতিষ্ঠানের গাড়ি ব্যবহার করেন। যদি প্রাতিষ্ঠানিক আয়কর এবং ব্যক্তিগত আয়করের পার্থক্য কমিয়ে আনা যেত, তাহলে মোট আয়করের পরিমাণ বৃদ্ধি পেত। এটা অনেকাংশে কর প্রশাসনের দক্ষতার ওপর নির্ভরশীল। আর ব্যক্তিগত আয়করের সীমা বাড়ানোই উচিত। কারণ, দ্রব্যমূল্য এবং অন্যান্য খরচ ক্রমাগত বাড়তে থাকায় মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় অনেক বেড়ে গেছে। ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স থেকেও এই দাবি করা হয়েছে। আমরা মনে করি, এই সীমা কমপক্ষে দুই লাখ টাকায় উন্নীত করা প্রয়োজন।
ব্যবসায়ীরা আয়কর দিতে চান না_এ ধরনের কথা অনেকেই বলেন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে হয় তো সত্যিও। কারণ, ভালো-মন্দ সব জায়গায়ই আছে। ব্যক্তি পর্যায়েও হয়তো কেউ কেউ কর দিতে না-ও চাইতে পারেন। এ জন্য যথাযথ আইনি কাঠামো থাকা প্রয়োজন। পাশাপাশি রাজনৈতিকভাবে আয়কর প্রদানে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে, সক্ষম মানুষের মধ্যে দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে অংশগ্রহণের বোধ সৃষ্টি করতে হবে। একই সঙ্গে আয়কর আদায় প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত সবাইকে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মধ্যে আনতে হবে। আমি বা আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান যদি আয়কর ফাঁকি দিতে চায়, তাহলে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টদের সহযোগিতা ছাড়া কি তা পারব? আয়কর আইনজীবীদের সহযোগিতা কি প্রয়োজন হবে না? কর প্রশাসনের দক্ষতা বৃদ্ধি পেলে, তাদের কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা থাকলে, সহযোগী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলোর সততা থাকলে এবং মানুষকে কর প্রদানে উৎসাহিত করা গেলে কর ফাঁকি দেওয়ার প্রবণতা অনেক কমে যাবে। ইতিমধ্যে কর প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের দুর্নীতি কিছুটা কমেছে। অন্যান্য দেশের মতো তাদের যদি প্রণোদনা বাড়ানো যায়, তাহলে আমাদের কর প্রশাসনও আরো দক্ষতার পরিচয় দিতে সক্ষম হবে।
কালের কণ্ঠ : বর্তমানে বাজেটের একটি বড় অংশ চলে যায় বৈদেশিক ঋণ পরিশোধে। এর পরও দিন দিন বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ বাড়ছে। এ ব্যাপারে আপনার বক্তব্য কী?
মামুন রশীদ : আমাদের বাজেটে বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের পরিমাণকে এখনো কোনো প্রতিবন্ধক বলে আমি মনে করি না। কারণ, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কাসহ আমাদের সমপর্যায়ের দেশগুলোর তুলনায় তা এখনো অনেক কম। তা ছাড়া আমাদের বৈদেশিক ঋণের শর্ত এমন, তা অনেকটা অনুদানের পর্যায়েই আছে। পাশাপাশি অধিকাংশই দীর্ঘমেয়াদি ঋণ। ফলে বৈদেশিক ঋণের দিক থেকে বাংলাদেশ তুলনামূলক অনেক সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে। বরং আমি মনে করি, ঋণের অর্থের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা আমাদের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এই ঋণকে সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে আমরা যদি পর্যাপ্ত উন্নয়নকাজ করতে পারি, তা হলে আমাদের জাতীয় সম্পদ বাড়বে, মানুষের মাথাপিছু আয় বাড়বে এবং দেশ অনেক বেশি লাভবান হবে। আমরা যদি বৈদেশিক ঋণ ও সাহায্য দিয়ে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে পারি, তা হলে আমাদের প্রবাসী আয় অনেক বাড়বে। আমাদের আরেকটি প্রধান রপ্তানি খাত তৈরি পোশাক শিল্প। সেখানেও আমরা যদি দক্ষ জনবল তৈরি করতে পারি, সাধারণ পোশাকের পাশাপাশি ফ্যাশন বা ডিজাইন পোশাক তৈরির উপযোগী প্রচুর জনবল তৈরি করতে পারি, তা হলে এই খাতেও আমাদের রপ্তানি আয় কয়েক গুণ বেড়ে যাবে। কাজেই বৈদেশিক ঋণ আমরা কিভাবে ব্যবহার করছি, সেটা আমাদের দেখতে হবে।
কালের কণ্ঠ : আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
মামুন রশীদ : কালের কণ্ঠকেও অনেক ধন্যবাদ।

No comments

Powered by Blogger.