কালের পুরাণ-‘বুকের মধ্যে পোস্টার আছে’ by সোহরাব হাসান

বুধবার রাতে একটি টিভি চ্যানেলে নারায়ণগঞ্জের ‘ভোটের লড়াই’ দেখছিলাম। তিন মেয়র পদপ্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী, শামীম ওসমান ও তৈমুর আলম খন্দকার মুখোমুখি হয়েছিলেন। সেই অনুষ্ঠানের প্রায় পুরো সময় সরব ছিলেন ডা. আইভী ও শামীম ওসমান। তুলনায় নিষ্প্রভ তৈমুর। ডা. আইভী আট বছর নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ছিলেন।
তাঁর বাবা আলী আহাম্মেদ চুনকাও পৌরসভার মেয়র ছিলেন। দল বা কারও দয়ায় নয়, দলের বিপক্ষে দাঁড়িয়ে জয়ী হয়েছিলেন। দুজনই সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। বিএনপি-সমর্থক প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকারও স্বীকার করেছেন, পৌরসভার চেয়ারম্যান থাকাকালে ডা. আইভী কোনো দুর্নীতি করেননি। তার পরও অনুষ্ঠানে শামীম ওসমান পৌরসভার কাজের ঠিকাদারি নিয়োগ ও খাল ভরাট করে মার্কেট নির্মাণের যেসব অভিযোগ আনেন, তিনি তথ্যপ্রমাণসহ তার যথাযথ জবাব দেন।
ওই অনুষ্ঠানেই শামীম ওসমানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস, সড়ক অবরোধ, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজির অভিযোগ তোলেন আইভী। অধিকাংশ অভিযোগ অস্বীকার করলেও বিএনপির নেত্রী খালেদা জিয়ার গাড়িবহর ১১ ঘণ্টা আটকে দেওয়ার অভিযোগটি অস্বীকার করতে পারেননি শামীম ওসমান। তবে তিনি নিজেকে গুলি ছোড়া জওয়ানের সঙ্গে তুলনা করে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে হুকুমদাতা হিসেবে অভিহিত করেছেন। অর্থাৎ শামীম ওসমান নিজের অপকর্মের দায় কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ওপর চাপিয়েছেন। সে সময় খালেদা জিয়া বিরোধীদলীয় নেতা (এবং এখনো)। সংসদীয় গণতন্ত্রে যাঁকে ছায়া সরকারের প্রধান বিবেচনা করা হয়। দলবলসহ তাঁকে ১১ ঘণ্টা রাস্তার মধ্যে আটকে রাখা রাজনৈতিক মাস্তানি ছাড়া কিছু নয়। কোনো সভ্য দেশে হলে এর জন্য তাঁকে কঠিন শাস্তি পেতে হতো। তবে শাস্তি শামীম ওসমান না পেলেও নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা পেয়েছেন ২০০১ সালের নির্বাচনের পর। শাস্তি পেয়েছেন সেখানকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষও। কেননা বিএনপি মনে করে, সংখ্যালঘুরা আওয়ামী লীগের ভোটব্যাংক। এদের যত আঘাত করা যাবে, আওয়ামী লীগের তত ভোট কমবে।
২০০১ সালে নারায়ণগঞ্জের সব কটি আসনে আওয়ামী লীগ পরাজিত হলেও এলাকা ছাড়তে হয়েছে একমাত্র শামীম ওসমানকেই। এর কারণ স্বনামখ্যাত এই জনপ্রতিনিধির আগের পাঁচ বছরের কর্মকাণ্ড। কেবল শামীম ওসমান নন, সেদিন পালিয়ে গিয়েছিলেন ফেনীর জয়নাল হাজারী, লক্ষ্মীপুরের আবু তাহের, ঢাকার হাজি সেলিম, হাজি মকবুল এবং আরও কেউ কেউ। একই কারণে তাঁরা খ্যাতিমান।
ওই অনুষ্ঠানে শামীম ওসমানকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, এলাকায় কেন তিনি গডফাদার হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। জবাবে শামীম ওসমান বলেছেন, যেদিন তিনি যুদ্ধাপরাধী হিসেবে গোলাম আযমের বিচার দাবি করেছিলেন এবং নারায়ণগঞ্জে তাঁর প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছিলেন, সেদিন থেকেই রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ তাঁকে গডফাদার উপাধি দিয়েছিল। গোলাম আযমের বিচার চেয়ে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ আন্দোলন করেছেন নব্বইয়ের দশক থেকে। আন্দোলন করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। ১৯৯২ সালের ২৬ মার্চ তাঁর বিচারের দাবিতে ২৪ জন বিশিষ্ট নাগরিকের উদ্যোগে গণ-আদালত গঠন করা হয়েছিল। তাঁদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হলেও কেউ গডফাদার হিসেবে চিহ্নিত হননি। শামীম ওসমান কেন এই ভূষণে ভূষিত হলেন নারায়ণগঞ্জের ভোটাররা কেন্দ্রে যাওয়ার আগে নিশ্চয়ই একবার ভাববেন।
২.
নারায়ণগঞ্জ ঐতিহ্যবাহী শহর। একসময় এটি ছিল দেশের অন্যতম প্রধান নৌবন্দর এবং ব্যবসাকেন্দ্র। বিশেষ করে পাটকে কেন্দ্র করে এখানে গড়ে উঠেছিল বিখ্যাত আদমজী জুট মিল। ১৯৪৯ সালে আওয়ামী লীগ গঠিত হওয়ার আগে অনেকগুলো প্রস্তুতি সভা হয়েছিল এই নারায়ণগঞ্জে। এখানে উপমহাদেশের অনেক খ্যাতিমান ব্যক্তির আগমন ঘটেছিল। নারায়ণগঞ্জে বোস কেবিন বলে খ্যাত রেস্তোরাঁয় একবার সুভাষচন্দ্র বোস এসে চা খেয়েছিলেন। এ জন্য নারায়ণগঞ্জবাসী গর্ব বোধ করেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলামও কলকাতা থেকে স্টিমারে ঢাকায় আসতেন নারায়ণগঞ্জ হয়ে। সেই নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে স্বভাবতই সারা দেশের মানুষের আগ্রহ ও কৌতূহল। এবারে বাড়তি কৌতূহলের কারণ এটিই সম্ভবত বর্তমান নির্বাচন কমিশনের শেষ নির্বাচন। ফেব্রুয়ারিতে তাদের মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে।
প্রশ্ন উঠেছে, আগামী পাঁচ বছর কে নেতৃত্ব দেবেন নারায়ণগঞ্জকে? শামীম ওসমান, তৈমুর আলম খন্দকার না সেলিনা হায়াৎ আইভী? কার নেতৃত্ব বরণ করে নেবেন নারায়ণগঞ্জবাসী? একদা যে নারায়ণগঞ্জ শান্তি ও সমৃদ্ধির শহর হিসেবে পরিচিত ছিল, সেই নারায়ণগঞ্জে কার জন্য সন্ত্রাসের জনপদের বদনাম কুড়িয়েছে? এসব প্রশ্নের উত্তর ভোটাররা ৩০ অক্টোবর দেবেন আশা করি।
নারায়ণগঞ্জে মেয়র পদে তিন প্রধান প্রার্থীর ভাবমূর্তি তিন রকম—একজন দুর্নীতির মামলার আসামি, একজন সন্ত্রাসের দায়ে অভিযুক্ত, অপরজন আট বছর পৌরসভার মেয়রের দায়িত্ব পালন করার পরও পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির অধিকারী। এটি স্থানীয় নির্বাচন। দলীয় পরিচয়ের চেয়ে ব্যক্তিগত ভাবমূর্তি ও সততা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আইভী ও শামীম আওয়ামী লীগ পরিবারের হলেও কেউ সেই অর্থে দলের প্রার্থী নন। আবার দুজনই দলের প্রার্থী। কেন্দ্রীয় নেতারা শামীম ওসমানের পক্ষে নেমেছেন, তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের বৃহত্তর অংশ আইভীর সঙ্গে আছেন। আছেন স্থানীয় সাংসদ সারাহ্ বেগম কবরীও। তাঁর পক্ষে গণজোয়ার দেখে কেউ কেউ অপপ্রচার চালাচ্ছেন। ভোটারদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন।
আমরা লক্ষ করি, সেলিনা হায়াৎ আইভী গুটিকয়েক সমর্থক নিয়ে প্রচারণায় নামলেও কয়েক মিনিটের মধ্যে তা জনস্রোতে রূপ নেয়। শত শত মানুষ তাঁর পেছনে কাতারবন্দী হয়। সর্বস্তরের নারী-পুরুষের কাছে তিনি সততা ও শান্তির প্রতীক। তৃণমূলের আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী-সমর্থকদের প্রত্যাশা ছিল, আইভীই দলের সমর্থন পাবেন। পাননি। তার বদলে বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর সমর্থন পেয়েছেন। তাঁর সমর্থনে নাগরিক পরিষদ গঠিত হয়েছে। সৃষ্টি হয়েছে গণজোয়ার।
নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই উত্তেজনা বাড়ছে। সেটি স্বাভাবিক। কিন্তু গুজব কাম্য নয়। শামীম ওসমান বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করে বলেছেন, জঙ্গি হামলা হবে। এটি কিসের আলামত? জঙ্গি হামলার খবর তিনি আগাম কী করে জানলেন? সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কাছে এ ধরনের তথ্য থাকলে তাদের প্রথম ও প্রধান কর্তব্য হবে সম্ভাব্য হামলা নস্যাৎ করা এবং চক্রান্তকারীদের পাকড়াও করা। কোনো ব্যক্তি বা প্রার্থীর কাছে এই তথ্য ফাঁস করার অর্থ হবে জঙ্গিদের আত্মগোপন করার সুযোগ দেওয়া? কোনো পেশাদার গোয়েন্দা তা করতে পারে না। শামীম ওসমানের আরেকটি গুরুতর অভিযোগ, তাঁর সমর্থক কারও হাতে কালোটাকা ধরিয়ে দিয়ে বলা হবে, এরা শামীমের লোক। এরা কালো টাকা ছড়াচ্ছে। এর উত্তরে সেই বাংলা প্রবাদটির কথাই মনে পড়ে, ‘ঠাকুর ঘরে কে রে, আমি কলা খাই না।’
নির্বাচনী প্রচারে ইতিমধ্যে বেশ কিছু অঘটন ঘটেছে। কোথাও ডা. আইভীর পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে, কোথাও ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। ‘আইভী পাঁচ হাজার ভোটও পাবেন না’ বলে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। বিশেষ করে সংখ্যালঘু ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানোর বিষয়টি খুবই উদ্বেগজনক। তাঁরা সব সময়ই শঙ্কা ও উদ্বেগে থাকেন। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত না হলে তাঁদের অনেকেই ভোটকেন্দ্রে যাবেন না। এই অবস্থায় ভোট কারচুপি করা সহজ।

৩.
নারায়ণগঞ্জের এই নির্বাচনী যজ্ঞে অনেকগুলো পক্ষ—সরকার, নির্বাচন কমিশন, প্রার্থী ও ভোটার। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করা সবার জন্যই চ্যালেঞ্জ। সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ সরকারের জন্য। কেননা একটি সিটি করপোরেশনে কথিত ‘মনোনীত’ প্রার্থী পরাজিত হলে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়বে না, সরকারের পতনও ঘটবে না। তবে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু না হলে কিংবা কেউ জনরায় উল্টে দেওয়ার চেষ্টা হলে সরকারের অপূরণীয় ক্ষতি হবে। বিশ্বাসযোগ্যতা হারাবে। বিরোধীরা বলার সুযোগ পাবে, যেই সরকার সুষ্ঠুভাবে একটি স্থানীয় সংস্থার নির্বাচন করতে পারে না, সেই সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন হতে পারে না।
নির্বাচন কমিশনের জন্য চ্যালেঞ্জ হলো এত দিনের সুনাম রক্ষা করা। বিএনপি যা-ই বলুক না কেন, বর্তমান কমিশনের অধীনে ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনসহ অধিকাংশ স্থানীয় সংস্থার নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে। কূলে এসে যাতে তরী না ডুবে যায়, সেটি কঠিন পরীক্ষা তাদের। প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ টি এম শামসুল হুদা বলেছেন, ‘ভোটাররা বাড়ি থেকে বের হয়ে নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিয়ে নিরাপদে বাড়ি ফিরে আসতে পারলেই নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে বলা যাবে।’ এ হলো নির্বাচনের প্রকাশ্য রূপ। কিন্তু দৃশ্যের বাইরেও যে অনেক অঘটন ঘটে, সে সম্পর্কেও কমিশনকে সজাগ থাকতে হবে। কালোটাকা ছড়ানো তেমনই একটি অদৃশ্য রূপ।
এর পরের চ্যালেঞ্জ স্থানীয় প্রশাসনের। ভয়ভীতি ও প্রলোভন উপেক্ষা করে তারা কতটা নিরপেক্ষ ও সততার সঙ্গে কাজ করতে পারে, তার ওপরই নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া না-হওয়া নির্ভর করে। কোনো দিকে তাদের সামান্য হেলে পড়লে চলবে না। স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কেউ যদি কোনো প্রার্থীর পক্ষে কাজ করে, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে এখনই ব্যবস্থা নিন।
প্রার্থীর চ্যালেঞ্জ হলো নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে করতে সহযোগিতা করা; কোনো অপকৌশল বা ছলচাতুরীর আশ্রয় না নেওয়া; প্রত্যেক প্রার্থীর প্রভাবিত এলাকায় পেশিশক্তি, কালোটাকা কিংবা আইনবহির্ভূত প্রভাব না খাটানো। কেউ কালোটাকা ও অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহার করলে পুরো নির্বাচনই কালিমালিপ্ত হবে। আমরা আশা করব, নারায়ণগঞ্জের সচেতন ভোটাররা তা হতে দেবেন না।
সবশেষে ভোটার তথা নারায়ণগঞ্জবাসীর বড় চ্যালেঞ্জ হলো, তাঁরা কেমন নেতৃত্ব বেছে নেবেন? গডফাদার না পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির প্রার্থীকে? সৎ না দুর্নীতিবাজ ব্যক্তিকে? তারা কি শান্তিতে থাকবেন, না সন্ত্রাসের সঙ্গে বসবাস করবেন—সেই সিদ্ধান্ত তাদেরই নিতে হবে। তাঁরা কি এমন প্রার্থী বাছাই করবেন, যাঁরা বিপদ দেখলে দেশ থেকে পালিয়ে যান? না, তারা এমন প্রার্থীকে নির্বাচন করবেন, যিনি সুখে-দুঃখে তাঁদের সঙ্গে থাকবেন, বিপদে সহায় হবেন?
সব প্রশ্নের জবাব পাওয়া যাবে ৩০ অক্টোবর। সেদিনই স্পষ্ট হবে নারায়ণগঞ্জ তুমি কারা—শান্তির না সন্ত্রাসের? দুর্নীতির না সততার? নৈরাজ্যের না সমৃদ্ধির? নেতাশক্তির না জনশক্তির?

৫.
লেখাটি শেষ করব এক বন্ধু সাংবাদিকের অভিজ্ঞতার কথা পাঠকদের জানিয়ে। তিনি কয়েক দিন আগে নারায়ণগঞ্জে গিয়েছিলেন নির্বাচনী প্রচারণা দেখতে। শীতলক্ষ্যা নদীর ওপারে বন্দর থানা ঘুরে তাঁর খটকা লাগল, প্রতিপক্ষ দুই প্রার্থীর অসংখ্য পোস্টার ঝুললেও সেলিনা হায়াৎ আইভীর পোস্টার দেখছেন না। দেখলেও কদাচিৎ।
চায়ের দোকানের মলিন পোশাকের এক প্রৌঢ় লোককে জিজ্ঞেস করলেন, ‘শামীম ও তৈমুরের পোস্টারে পুরো বন্দর ছেয়ে গেছে। কিন্তু আইভীর পোস্টার দেখছি না যে?’ জবাবে কণ্ঠে জোর এনে ওই ভদ্রলোক বললেন, ‘বুকের মধ্যে আইভী আপার পোস্টার আছে। ৩০ অক্টোবর ভোটের দিন দেখিয়ে দেব।’ তিনি আরও জানালেন, ‘রাতের আন্ধারে কাগজের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা যায় কিন্তু মানুষের বুকের মধ্যে যাঁর পোস্টার গেঁথে আছে, সেই পোস্টার কখনোই ছেঁড়া যায় না।’
তাঁর কথা সত্য হোক। নারায়ণগঞ্জে নৈরাজ্য ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে শান্তির জয় হোক। গণতন্ত্র বাঁচুক।
সোহরাব হাসান: কবি, সাংবাদিক।
sohrab03@dhaka.net

No comments

Powered by Blogger.