রাজনীতি-মঞ্চ-বাণিজ্য জিন্দাবাদ! by শেখ হাফিজুর রহমান
গত ১৬ অক্টোবর প্রথম আলোর শেষ পাতার একটি খবর পড়ে চমকে উঠেছি। জনসভার মঞ্চে উঠিয়ে বক্তৃতা দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার বিনিময়ে বিএনপির এক নেতা আরেক নেতার কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। ৫, ১০, ৫০ হাজার নয়, ২০ লাখ টাকা। রাজনীতির দুর্বৃত্তায়ন শুরু হয়েছে অনেক আগেই। ব্যবসা আর রাজনীতি এখন মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ।
সাংসদদের মধ্যে এখন অধিকাংশই ব্যবসায়ী। ফলে গণতন্ত্র বা জনগণের স্বার্থ নয়, ব্যবসায়িক স্বার্থ রক্ষা এবং ব্যবসার লাভকে জ্যামিতিক হারে বৃদ্ধি করাই হচ্ছে ব্যবসায়িক রাজনীতিকদের ধ্যান, জ্ঞান ও আরাধনা।
১৬ অক্টোবর প্রথম আলোয় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, সিলেট এলাকার বিএনপিদলীয় সাবেক সাংসদ সৈয়দ মকবুল হোসেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি ইলিয়াস আলীর বিরুদ্ধে ‘মঞ্চবাণিজ্য’র অভিযোগ এনেছেন। সৈয়দ মকবুল হোসেন প্রথম আলোকে বলেছেন, ‘আমার কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা নিয়েছেন ইলিয়াস আলী। বলা হয়েছিল মঞ্চে তুলে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হবে। আমাকে মঞ্চে তোলা হয়েছিল, কিন্তু বক্তব্যের সুযোগ দেওয়া হয়নি। আমি অপমানিত হয়েছি। আমি টাকার হিসাব চাই। আমার টাকা গেল কই?’
আমরা কত রকম বাণিজ্যই না দেখেছি—মনোনয়ন-বাণিজ্য, আবাসন-বাণিজ্য, শিক্ষা-বাণিজ্য, বিচার-বাণিজ্য। এবার দেখলাম মঞ্চ-বাণিজ্য। বিএনপির নেত্রী খালেদা জিয়া রোডমার্চ করে সিলেটে গিয়ে জনসভা করেন। যে মঞ্চ থেকে খালেদা জিয়া ওই জনসভায় ভাষণ দেন, জানা গেছে তার দখল নিয়েছিল ইলিয়াস আলীর লোকেরা। মঞ্চে কাকে তোলা হবে এবং কাকে বক্তৃতা দিতে দেওয়া হবে, তার হর্তাকর্তাও ছিল তাঁর ‘ঠ্যাঙ্গাড়ে বাহিনী’। অভিযোগ সত্য হয়ে থাকলে এই মঞ্চ-বাণিজ্য করে নিশ্চয়ই ইলিয়াস আলীর আয়-রোজগার ভালোই হয়েছে। এক সৈয়দ মকবুলের কাছ থেকে নিয়েছেন ২০ লাখ। বাকিদের কাছ থেকেও নিশ্চয় ভালোই কামাই-রোজগার হয়েছে। জয়তু রাজনীতি! জাতীয়তাবাদের মহান সৈনিক ইলিয়াস ভাই জিন্দাবাদ! এক জনসভার মঞ্চ দখল করেই যদি কোটিপতি বনে যাওয়া যায়, তাহলে তো আমাদের সবার চাকরি-বাকরি, ব্যবসা-বাণিজ্য, কৃষিকাজ, উৎপাদন—সবকিছু বাদ দিয়ে দলে দলে রাজনীতির ময়দানে শামিল হওয়া উচিত। আসুন, আমরা সবাই রাজনীতির ময়দানে নেমে পড়ি, আর বজ্রকণ্ঠে আওয়াজ তুলি, ‘আদর্শ মোদের ইলিয়াস ভাই, কোটি টাকায় দখল চাই।’
বাংলাদেশের রাজনীতির এ সর্বনাশ কে করল? সামরিক শাসকেরা। প্রথম সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান বলেছিলেন, তিনি রাজনীতিকে রাজনীতিকদের জন্য ‘ডিফিকাল্ট’ করে তুলবেন। তাঁর প্ররোচনায়ই সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা রাজনৈতিক দল ভাঙাগড়ার খেলায় মেতে ওঠে। বিভিন্ন দল থেকে রাজনীতিক ভাগিয়ে এনে সামরিক গোয়েন্দারা যে দলটির পত্তন করেন, সেই দলটির নাম বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বা বিএনপি। বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ জিন্দাবাদ! একই ধারা চালু করেন তাঁর উত্তরসূরি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তিনি বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের সমর্থক।
কিন্তু এ কেমন জাতীয়তাবাদ? জাতীয়তাবাদীরা তো হয় ভীষণ দেশপ্রেমিক। জাতীয়তাবাদীরা তো নিজের দেশের মুক্তিযুদ্ধকে বিতর্কিত করে না, জাতীয়তাবাদীরা তো স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে নিয়ে জোট গড়ে গদগদ আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে ওঠে না। কিন্তু বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদীদের কথাই আলাদা। আওয়ামী ও ভারত-বিরোধিতাই তাদের রাজনীতির মূল সম্বল। বিএনপির জন্ম যেমন অরাজনৈতিক, ভেতরটাও তেমন শূন্য গর্ভ। তবু বাংলার মানুষ জিয়াউর রহমানকে পছন্দ করে। তার অবশ্য একটি কারণ ছিল। ব্যক্তিগতভাবে তিনি সৎ ছিলেন, কিন্তু রাজনীতিকে করেছেন কলুষিত। তার ছেলে তারেক রহমান অবশ্য হাওয়া ভবনের হাওয়াই রাজনীতি দিয়ে দুর্নীতির বরপুত্র সেজে বসেন। এবারে তারেক রহমানকে পেছনে ফেলে ইলিয়াস আলী যেন বাজিমাত করে দিলেন। নষ্ট রাজনীতির গ্রেডিংয়ে এবার তিনি এ-প্লাস পেয়েছেন। আমরা কায়মনোবাক্যে প্রার্থনা করি যে, ‘মঞ্চ-বাণিজ্য’র আবিষ্কারক এবং তার সফল রূপকার ইলিয়াস আলী যেন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক শিরোপায় অভিষিক্ত হন।
ব্যবসায়ীদের হাতে রাজনীতিকে কে তুলে দিল? রাজনীতি নিজেই ব্যবসায়ীদের কাছে গেল? নাকি ব্যবসায়ীরাই রাজনীতিকে গিলে ফেলল? আমরা আমজনতা অনেক কিছু বুঝতে পারি না। আমরা শুধু জিয়ার আদর্শের কথা শুনি। আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কথা শুনি। কিন্তু শেয়ারবাজার থেকে যখন শীর্ষ দুই দলের সমর্থক বড় বড় ব্যবসায়ীরা ২০ হাজার কোটি টাকা নিয়ে সটকে পড়েন, তখন আওয়ামী আদর্শ ও জাতীয়তাবাদী আদর্শ মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়। কী সেলুকাস এই দেশ, দুর্ঘটনায় লাশের সারি, মন্ত্রী যায় শ্বশুরবাড়ি!
রাজনীতি কেন দুর্বৃত্ত ও মাস্তানদের হাতে জিম্মি হয়ে যায়? রাজনৈতিক দলগুলোকে কেন দুর্বৃত্তদের ওপর নির্ভর করতে হয়? নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচনে শামীম ওসমানের মতো লোককে সমর্থন দেওয়া কি আওয়ামী লীগের জন্য খুব দরকার ছিল? শামীম ওসমান জনগণের সমর্থন কতটা পাবেন, জানি না। তবে বৈঠকখানার রাজনীতি যে তাঁর কবজায়, তা আমরা বুঝতে পেরেছি। শামীম ওসমান জিন্দাবাদ!
ছোট্ট এই দেশটি আমাদের। স্বাধীনতার পর ৪০ বছর হতে চলল। দেশটা এখনো কেন সোনার বাংলা হয়ে উঠছে না, তা নিয়ে আমাদের শঙ্কার অন্ত নেই। ইলিয়াস ও শামীমেরা রাজনীতির নিয়ন্ত্রণ নিলে শনৈঃ শনৈঃ দেশ ও দশের উন্নতি হবে। ইলিয়াসদের মতো ‘মঞ্চ-বাণিজ্য’ করে যে কেউ রাতারাতি কোটিপতি হতে পারবেন। শামীমদের মতো ‘দখল-বাণিজ্য’ করেও যে কেউ দলের সমর্থন পেতে পারেন। এবং আমরা সবাই যদি তাঁদের অনুসরণ করি, তাহলে বাংলার প্রতিটি ঘর কিছু দিনের মধ্যে কোটিপতিতে সয়লাব হয়ে যাবে। এমন একটি স্বপ্নিল সম্ভাবনাকে বাস্তবায়ন করার জন্য আসুন, সবাই রাজনীতিকে জীবনের ‘ধ্রুবতারা’ করে সামনের দিকে এগিয়ে যাই।
শেখ হাফিজুর রহমান: সহযোগী অধ্যাপক, আইন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
hrkarzon@yahoo.com
১৬ অক্টোবর প্রথম আলোয় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, সিলেট এলাকার বিএনপিদলীয় সাবেক সাংসদ সৈয়দ মকবুল হোসেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি ইলিয়াস আলীর বিরুদ্ধে ‘মঞ্চবাণিজ্য’র অভিযোগ এনেছেন। সৈয়দ মকবুল হোসেন প্রথম আলোকে বলেছেন, ‘আমার কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা নিয়েছেন ইলিয়াস আলী। বলা হয়েছিল মঞ্চে তুলে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হবে। আমাকে মঞ্চে তোলা হয়েছিল, কিন্তু বক্তব্যের সুযোগ দেওয়া হয়নি। আমি অপমানিত হয়েছি। আমি টাকার হিসাব চাই। আমার টাকা গেল কই?’
আমরা কত রকম বাণিজ্যই না দেখেছি—মনোনয়ন-বাণিজ্য, আবাসন-বাণিজ্য, শিক্ষা-বাণিজ্য, বিচার-বাণিজ্য। এবার দেখলাম মঞ্চ-বাণিজ্য। বিএনপির নেত্রী খালেদা জিয়া রোডমার্চ করে সিলেটে গিয়ে জনসভা করেন। যে মঞ্চ থেকে খালেদা জিয়া ওই জনসভায় ভাষণ দেন, জানা গেছে তার দখল নিয়েছিল ইলিয়াস আলীর লোকেরা। মঞ্চে কাকে তোলা হবে এবং কাকে বক্তৃতা দিতে দেওয়া হবে, তার হর্তাকর্তাও ছিল তাঁর ‘ঠ্যাঙ্গাড়ে বাহিনী’। অভিযোগ সত্য হয়ে থাকলে এই মঞ্চ-বাণিজ্য করে নিশ্চয়ই ইলিয়াস আলীর আয়-রোজগার ভালোই হয়েছে। এক সৈয়দ মকবুলের কাছ থেকে নিয়েছেন ২০ লাখ। বাকিদের কাছ থেকেও নিশ্চয় ভালোই কামাই-রোজগার হয়েছে। জয়তু রাজনীতি! জাতীয়তাবাদের মহান সৈনিক ইলিয়াস ভাই জিন্দাবাদ! এক জনসভার মঞ্চ দখল করেই যদি কোটিপতি বনে যাওয়া যায়, তাহলে তো আমাদের সবার চাকরি-বাকরি, ব্যবসা-বাণিজ্য, কৃষিকাজ, উৎপাদন—সবকিছু বাদ দিয়ে দলে দলে রাজনীতির ময়দানে শামিল হওয়া উচিত। আসুন, আমরা সবাই রাজনীতির ময়দানে নেমে পড়ি, আর বজ্রকণ্ঠে আওয়াজ তুলি, ‘আদর্শ মোদের ইলিয়াস ভাই, কোটি টাকায় দখল চাই।’
বাংলাদেশের রাজনীতির এ সর্বনাশ কে করল? সামরিক শাসকেরা। প্রথম সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান বলেছিলেন, তিনি রাজনীতিকে রাজনীতিকদের জন্য ‘ডিফিকাল্ট’ করে তুলবেন। তাঁর প্ররোচনায়ই সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা রাজনৈতিক দল ভাঙাগড়ার খেলায় মেতে ওঠে। বিভিন্ন দল থেকে রাজনীতিক ভাগিয়ে এনে সামরিক গোয়েন্দারা যে দলটির পত্তন করেন, সেই দলটির নাম বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বা বিএনপি। বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ জিন্দাবাদ! একই ধারা চালু করেন তাঁর উত্তরসূরি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তিনি বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের সমর্থক।
কিন্তু এ কেমন জাতীয়তাবাদ? জাতীয়তাবাদীরা তো হয় ভীষণ দেশপ্রেমিক। জাতীয়তাবাদীরা তো নিজের দেশের মুক্তিযুদ্ধকে বিতর্কিত করে না, জাতীয়তাবাদীরা তো স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে নিয়ে জোট গড়ে গদগদ আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে ওঠে না। কিন্তু বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদীদের কথাই আলাদা। আওয়ামী ও ভারত-বিরোধিতাই তাদের রাজনীতির মূল সম্বল। বিএনপির জন্ম যেমন অরাজনৈতিক, ভেতরটাও তেমন শূন্য গর্ভ। তবু বাংলার মানুষ জিয়াউর রহমানকে পছন্দ করে। তার অবশ্য একটি কারণ ছিল। ব্যক্তিগতভাবে তিনি সৎ ছিলেন, কিন্তু রাজনীতিকে করেছেন কলুষিত। তার ছেলে তারেক রহমান অবশ্য হাওয়া ভবনের হাওয়াই রাজনীতি দিয়ে দুর্নীতির বরপুত্র সেজে বসেন। এবারে তারেক রহমানকে পেছনে ফেলে ইলিয়াস আলী যেন বাজিমাত করে দিলেন। নষ্ট রাজনীতির গ্রেডিংয়ে এবার তিনি এ-প্লাস পেয়েছেন। আমরা কায়মনোবাক্যে প্রার্থনা করি যে, ‘মঞ্চ-বাণিজ্য’র আবিষ্কারক এবং তার সফল রূপকার ইলিয়াস আলী যেন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক শিরোপায় অভিষিক্ত হন।
ব্যবসায়ীদের হাতে রাজনীতিকে কে তুলে দিল? রাজনীতি নিজেই ব্যবসায়ীদের কাছে গেল? নাকি ব্যবসায়ীরাই রাজনীতিকে গিলে ফেলল? আমরা আমজনতা অনেক কিছু বুঝতে পারি না। আমরা শুধু জিয়ার আদর্শের কথা শুনি। আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কথা শুনি। কিন্তু শেয়ারবাজার থেকে যখন শীর্ষ দুই দলের সমর্থক বড় বড় ব্যবসায়ীরা ২০ হাজার কোটি টাকা নিয়ে সটকে পড়েন, তখন আওয়ামী আদর্শ ও জাতীয়তাবাদী আদর্শ মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়। কী সেলুকাস এই দেশ, দুর্ঘটনায় লাশের সারি, মন্ত্রী যায় শ্বশুরবাড়ি!
রাজনীতি কেন দুর্বৃত্ত ও মাস্তানদের হাতে জিম্মি হয়ে যায়? রাজনৈতিক দলগুলোকে কেন দুর্বৃত্তদের ওপর নির্ভর করতে হয়? নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচনে শামীম ওসমানের মতো লোককে সমর্থন দেওয়া কি আওয়ামী লীগের জন্য খুব দরকার ছিল? শামীম ওসমান জনগণের সমর্থন কতটা পাবেন, জানি না। তবে বৈঠকখানার রাজনীতি যে তাঁর কবজায়, তা আমরা বুঝতে পেরেছি। শামীম ওসমান জিন্দাবাদ!
ছোট্ট এই দেশটি আমাদের। স্বাধীনতার পর ৪০ বছর হতে চলল। দেশটা এখনো কেন সোনার বাংলা হয়ে উঠছে না, তা নিয়ে আমাদের শঙ্কার অন্ত নেই। ইলিয়াস ও শামীমেরা রাজনীতির নিয়ন্ত্রণ নিলে শনৈঃ শনৈঃ দেশ ও দশের উন্নতি হবে। ইলিয়াসদের মতো ‘মঞ্চ-বাণিজ্য’ করে যে কেউ রাতারাতি কোটিপতি হতে পারবেন। শামীমদের মতো ‘দখল-বাণিজ্য’ করেও যে কেউ দলের সমর্থন পেতে পারেন। এবং আমরা সবাই যদি তাঁদের অনুসরণ করি, তাহলে বাংলার প্রতিটি ঘর কিছু দিনের মধ্যে কোটিপতিতে সয়লাব হয়ে যাবে। এমন একটি স্বপ্নিল সম্ভাবনাকে বাস্তবায়ন করার জন্য আসুন, সবাই রাজনীতিকে জীবনের ‘ধ্রুবতারা’ করে সামনের দিকে এগিয়ে যাই।
শেখ হাফিজুর রহমান: সহযোগী অধ্যাপক, আইন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
hrkarzon@yahoo.com
No comments