আর নয় হরতাল-রাজনৈতিক সমঝোতাই একমাত্র বিকল্প
আবার একটি হরতালের ডাক দিয়েছে বিএনপি, জামায়াতসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। প্রধানমন্ত্রী তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের পক্ষে সরকারের অবস্থান ব্যাখ্যা করার পরদিনই হরতাল, বিক্ষোভসহ নতুন আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিরোধী দল।
বিরোধী দলের এ কঠোর অবস্থানকে ঘিরে নানা মহলে প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যু নিয়ে বেশ কিছুদিন থেকেই আলোচনা চলছে। আদালত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল করে দিলে বিএনপি সে রায় প্রত্যাখ্যান করে। অন্যদিকে সংবিধান সংশোধন বিষয়ে গঠিত বিশেষ সংসদীয় কমিটিতে বিএনপি অংশগ্রহণ করেনি। বিষয়টির নিষ্পত্তি হবে সংসদে। তবে এটা এখন নিশ্চিত যে এই বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য বিএনপি সংসদে যোগ দিচ্ছে না। অনেক আগেই বিএনপির এই অবস্থান স্পষ্ট হয়ে গেছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা রাখা-না রাখা নিয়ে এখনো স্পষ্ট করে কিছু বলার সময় এসেছে বলে মনে হয় না। আদালতের পূর্ণাঙ্গ রায় এখনো হাতে পাওয়া যায়নি। আদালতের পূর্ণাঙ্গ রায় হাতে পাওয়ার আগেই হরতালের মতো একটি কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করে দিয়েছে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো।
হরতাল অনেক আগেই জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে। রাজনীতিতে এখন বিকল্প খুঁজতে হবে। হরতাল কোনো রাজনৈতিক সমাধান হতে পারে না। চাপ সৃষ্টির জন্য হরতাল এখন আর কার্যকর নয়। হরতালের কার্যকারিতা অনেক আগেই নষ্ট হয়ে গেছে। রাজনৈতিক দল, সমাজের বিশিষ্টজন, চাকরিজীবী, ছাত্র-গৃহবধূ থেকে শুরু করে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ এখন আর হরতাল পছন্দ করে না। এই ভোঁতা রাজনৈতিক অস্ত্রটি এখন সাধারণ মানুষের কাছেও বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। একসময় হরতালে দেশের সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিতেন। এখন হরতাল চাপিয়ে দেওয়া হয়। হরতাল ডেকে সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় বাধার সৃষ্টি করা হয়। মানুষকে বাধ্য করা হয় হরতাল পালনে। সাধারণ মানুষ নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে ঘরে অন্তরীণ থাকতে বাধ্য হয়। সাধারণ মানুষের এই ঘরে বসে থাকা বা রাস্তায় ভাঙচুরের ভয়ে গাড়ি-ঘোড়া না নামানোকেই হরতাল আহ্বানকরীরা সফল হরতাল বলে দাবি করে থাকেন। মূলত ব্যক্তিগত এবং সম্পদের ক্ষতি এড়াতেই হরতাল নামের রাজনৈতিক কর্মসূচির সময় মানুষকে সাবধানে থাকতে হয়। জানমাল রক্ষা করাটাই হরতালের সময় সাধারণ মানুষের বড় কাজ হয়ে দাঁড়ায়। এর আগেও হরতালের সময় দেখা গেছে, এই রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে সারা দেশে নৈরাজ্য ছড়ানো হয়েছে। এই সুযোগে একটি মহল সুবিধাও নিয়ে থাকে। তা ছাড়া দেশে যখন রাজনৈতিক স্থিরতা বিরাজ করছে, তখন নতুন করে হরতালের নামে অশান্তি সৃষ্টির কোনো সুযোগ নেই।
বিরোধী দল যে অজুহাতে হরতাল ডেকেছে, সেটা আলোচনার টেবিলেই মিটিয়ে ফেলা সম্ভব। সংবিধান বিশেষজ্ঞ থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী, কেউই এই হরতালের পক্ষে যাননি। সবাই হরতাল এড়িয়ে সমঝোতার পথ অনুসরণ করার কথা বলেছেন। অথচ বিরোধী দলের কথিত অভিযোগ নিয়ে আলোচনার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা চূড়ান্তভাবে বাতিল করার আগেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার রাখার জন্য হরতাল ডেকেছে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো। এতে তাদের রাজনৈতিক বিবেচনাবোধের পরিচয় পাওয়া যায় না। রাজনৈতিক বিবেচনায় এখনো আলোচনার যথেষ্ট সুযোগ আছে। হরতালের মতো একটি বাতিল রাজনৈতিক অস্ত্র ব্যবহার না করাটাই সমাজের জন্য মঙ্গলজনক। রাজনৈতিক বিষয়ে যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতে হবে সমঝোতার ভিত্তিতে। সমঝোতার পথে যেতে হলে আলোচনার বিকল্প নেই। বিএনপি ও সমমনা দলগুলো সমঝোতার পথে না গিয়ে শুরুতেই বেছে নিয়েছে সংঘাতের পথ, হরতালের মতো বিতর্কিত ও অকার্যকর কর্মসূচি। তাদেরও মনে রাখা উচিত, হরতাল একটি রাজনৈতিক অস্ত্র। তবে এটাই হচ্ছে শেষ অস্ত্র। এর পর আর কোনো বিকল্প থাকে না।
হরতাল অনেক আগেই জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে। রাজনীতিতে এখন বিকল্প খুঁজতে হবে। হরতাল কোনো রাজনৈতিক সমাধান হতে পারে না। চাপ সৃষ্টির জন্য হরতাল এখন আর কার্যকর নয়। হরতালের কার্যকারিতা অনেক আগেই নষ্ট হয়ে গেছে। রাজনৈতিক দল, সমাজের বিশিষ্টজন, চাকরিজীবী, ছাত্র-গৃহবধূ থেকে শুরু করে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ এখন আর হরতাল পছন্দ করে না। এই ভোঁতা রাজনৈতিক অস্ত্রটি এখন সাধারণ মানুষের কাছেও বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। একসময় হরতালে দেশের সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিতেন। এখন হরতাল চাপিয়ে দেওয়া হয়। হরতাল ডেকে সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় বাধার সৃষ্টি করা হয়। মানুষকে বাধ্য করা হয় হরতাল পালনে। সাধারণ মানুষ নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে ঘরে অন্তরীণ থাকতে বাধ্য হয়। সাধারণ মানুষের এই ঘরে বসে থাকা বা রাস্তায় ভাঙচুরের ভয়ে গাড়ি-ঘোড়া না নামানোকেই হরতাল আহ্বানকরীরা সফল হরতাল বলে দাবি করে থাকেন। মূলত ব্যক্তিগত এবং সম্পদের ক্ষতি এড়াতেই হরতাল নামের রাজনৈতিক কর্মসূচির সময় মানুষকে সাবধানে থাকতে হয়। জানমাল রক্ষা করাটাই হরতালের সময় সাধারণ মানুষের বড় কাজ হয়ে দাঁড়ায়। এর আগেও হরতালের সময় দেখা গেছে, এই রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে সারা দেশে নৈরাজ্য ছড়ানো হয়েছে। এই সুযোগে একটি মহল সুবিধাও নিয়ে থাকে। তা ছাড়া দেশে যখন রাজনৈতিক স্থিরতা বিরাজ করছে, তখন নতুন করে হরতালের নামে অশান্তি সৃষ্টির কোনো সুযোগ নেই।
বিরোধী দল যে অজুহাতে হরতাল ডেকেছে, সেটা আলোচনার টেবিলেই মিটিয়ে ফেলা সম্ভব। সংবিধান বিশেষজ্ঞ থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী, কেউই এই হরতালের পক্ষে যাননি। সবাই হরতাল এড়িয়ে সমঝোতার পথ অনুসরণ করার কথা বলেছেন। অথচ বিরোধী দলের কথিত অভিযোগ নিয়ে আলোচনার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা চূড়ান্তভাবে বাতিল করার আগেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার রাখার জন্য হরতাল ডেকেছে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো। এতে তাদের রাজনৈতিক বিবেচনাবোধের পরিচয় পাওয়া যায় না। রাজনৈতিক বিবেচনায় এখনো আলোচনার যথেষ্ট সুযোগ আছে। হরতালের মতো একটি বাতিল রাজনৈতিক অস্ত্র ব্যবহার না করাটাই সমাজের জন্য মঙ্গলজনক। রাজনৈতিক বিষয়ে যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতে হবে সমঝোতার ভিত্তিতে। সমঝোতার পথে যেতে হলে আলোচনার বিকল্প নেই। বিএনপি ও সমমনা দলগুলো সমঝোতার পথে না গিয়ে শুরুতেই বেছে নিয়েছে সংঘাতের পথ, হরতালের মতো বিতর্কিত ও অকার্যকর কর্মসূচি। তাদেরও মনে রাখা উচিত, হরতাল একটি রাজনৈতিক অস্ত্র। তবে এটাই হচ্ছে শেষ অস্ত্র। এর পর আর কোনো বিকল্প থাকে না।
No comments