রমজানে নিত্যপণ্য আমদানি-এলসি খুলতে ব্যাংক জটিলতার অবসান হোক
বাজার এখনো অস্থিতিশীল। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যদ্রব্যের সরবরাহে ঘাটতি ও মূল্যস্ফীতি দীর্ঘদিনের সমস্যা। এসব সমস্যা নিরসনে সরকারের তরফে দৃশ্যত চেষ্টার ত্রুটি না থাকলেও বাজার ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে যে হ-য-ব-র-ল পরিস্থিতি পরিলক্ষিত হচ্ছে, তা সাধারণ মানুষের বিড়ম্বনার বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রমজান আসন্ন।
গত রমজানে এসব ব্যাপারে তিক্ত অভিজ্ঞতা থাকা সত্ত্বেও আসন্ন রমজানে যাতে সেই পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি না ঘটে সে লক্ষ্যে আশান্বিত হওয়ার মতো তেমন কার্যক্রম দৃশ্যমান নয়। পত্রপত্রিকায় প্রকাশ, নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্য আমদানির জন্য প্রয়োজনীয় এলসি খুলতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা। খাদ্যপণ্য আমদানির ক্ষেত্রে সরকার নির্ধারিত ব্যাংকঋণের সুদের হারও মানা হচ্ছে না বলে ব্যবসায়ী মহল থেকে অভিযোগ উঠেছে। রমজানের আগেই আরেক দফা বাজার অস্থির হয়ে ওঠার পেছনে এই এলসি-জটিলতা নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। একই সঙ্গে রয়েছে পরিবেশক প্রথা বাস্তবায়নে মন্থরগতি। আকস্মিকভাবে সরকারি চিনিকলে উৎপাদিত চিনির মূল্য বৃদ্ধির কারণে সৃষ্টি হয়েছে আরো এক ধরনের জটিলতা। ভোজ্য তেল নিয়ে তেলেসমাতি চলছেই। কারসাজি করে দাম বাড়ানোর অপপ্রবণতা ঠেকানো যাচ্ছে না কোনোভাবেই। সব মিলিয়ে বাজার সাধারণ মানুষের কাছে একটি অসহনীয় এবং চরম দুর্ভোগের ক্ষেত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে।
খলের কোনো ছলের অভাব হয় না_এটি খুব পুরনো একটি প্রবাদবাক্য। আমাদের বাজারের নিয়ন্ত্রক, সরবরাহকারী, আমদানিকারক কারো কারো ক্ষেত্রে এ বাক্যটি প্রযোজ্য। তাঁরা যখন যা খুশি তাই করতে পারেন এবং করছেনও_এমন দৃষ্টান্ত ভূরি ভূরি। কিন্তু সরকার যদি তাঁদের অজুহাত দাঁড় করানোর পথটা আরো প্রশস্ত করে দেয় তাহলে সাধারণ মানুষের আর কোনো গত্যন্তর থাকবে না। সরকারের স্পষ্ট নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও খাদ্যপণ্য আমদানির জন্য প্রয়োজনীয় এলসি খুলতে ব্যাংকগুলো অনীহা প্রকাশ করছে কেন_এই প্রশ্নের সুরাহা সরকারকেই করতে হবে। সরকারি বিধিতে ব্যাংকের সুদের হার ১৩ শতাংশ হলেও ব্যাংকগুলো ১৬ শতাংশ সুদ দাবি করে কেন_এ প্রশ্নের ব্যাখ্যা সংশ্লিষ্টদেরই দিতে হবে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছেন, কোনো ব্যাংক এলসি খুলতে অপারগতা দেখালে তাঁকে যেন জানানো হয়। প্রশ্ন হচ্ছে, সরকার যদি ব্যাংকগুলোর সঙ্গে আলোচনাক্রমে সুদের হার নির্ধারণ করে থাকে তাহলে আমদানিকারকদের হেনস্তা করার এই অপক্রিয়া চলছে কিভাবে?
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যদ্রব্যের আমদানির ক্ষেত্রে এলসি খোলার ব্যাপারে যে রহস্যজনক কাণ্ডকীর্তি চলছে, তা হালকাভাবে দেখার অবকাশ নেই। রমজানে খুব সংগত কারণেই ভোজ্য তেলসহ বেশ কয়েকটি পণ্যের চাহিদা বাড়ে। বর্তমানে চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে ঘাটতি আছে, ভবিষ্যতে তা আরো প্রকট হবে যদি বিদ্যমান জটিলতার অবসান করা না যায়। ভোজ্য তেলের ক্ষেত্রে নতুন করে আবার তেলেসমাতি শুরু হয়েছে। অনস্বীকার্য যে মহাজোট সরকার অনেক ক্ষেত্রেই সাফল্য দেখিয়েছে; কিন্তু বাজার নিয়ন্ত্রণে ক্রমাগত ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে চলেছে। আসন্ন রমজানে যাতে পণ্যের কোনো সংকট না হয় সে ব্যাপারে সরকারকে আরো পরিকল্পিত উপায়ে জোরদার পদক্ষেপ নিতে হবে। ভোজ্য তেল, ডাল, ছোলা, খেজুর, চিনি, পেঁয়াজ ইত্যাদি পণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ গড়ে তুলতে হবে কালক্ষেপণ না করে। ব্যাংকগুলো যেন সরকারি বিধি মেনে চলে তা নিশ্চিত করতেই হবে। তাদের সব রকম কার্যক্রম জবাবদিহিতার আওতায় আনা চাই। আমরা আশা করি, সরকারের দায়িত্বশীলরা বাগাড়ম্বর ছেড়ে প্রকৃতই কাজের কাজ করতে সক্ষম হবেন।
খলের কোনো ছলের অভাব হয় না_এটি খুব পুরনো একটি প্রবাদবাক্য। আমাদের বাজারের নিয়ন্ত্রক, সরবরাহকারী, আমদানিকারক কারো কারো ক্ষেত্রে এ বাক্যটি প্রযোজ্য। তাঁরা যখন যা খুশি তাই করতে পারেন এবং করছেনও_এমন দৃষ্টান্ত ভূরি ভূরি। কিন্তু সরকার যদি তাঁদের অজুহাত দাঁড় করানোর পথটা আরো প্রশস্ত করে দেয় তাহলে সাধারণ মানুষের আর কোনো গত্যন্তর থাকবে না। সরকারের স্পষ্ট নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও খাদ্যপণ্য আমদানির জন্য প্রয়োজনীয় এলসি খুলতে ব্যাংকগুলো অনীহা প্রকাশ করছে কেন_এই প্রশ্নের সুরাহা সরকারকেই করতে হবে। সরকারি বিধিতে ব্যাংকের সুদের হার ১৩ শতাংশ হলেও ব্যাংকগুলো ১৬ শতাংশ সুদ দাবি করে কেন_এ প্রশ্নের ব্যাখ্যা সংশ্লিষ্টদেরই দিতে হবে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছেন, কোনো ব্যাংক এলসি খুলতে অপারগতা দেখালে তাঁকে যেন জানানো হয়। প্রশ্ন হচ্ছে, সরকার যদি ব্যাংকগুলোর সঙ্গে আলোচনাক্রমে সুদের হার নির্ধারণ করে থাকে তাহলে আমদানিকারকদের হেনস্তা করার এই অপক্রিয়া চলছে কিভাবে?
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যদ্রব্যের আমদানির ক্ষেত্রে এলসি খোলার ব্যাপারে যে রহস্যজনক কাণ্ডকীর্তি চলছে, তা হালকাভাবে দেখার অবকাশ নেই। রমজানে খুব সংগত কারণেই ভোজ্য তেলসহ বেশ কয়েকটি পণ্যের চাহিদা বাড়ে। বর্তমানে চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে ঘাটতি আছে, ভবিষ্যতে তা আরো প্রকট হবে যদি বিদ্যমান জটিলতার অবসান করা না যায়। ভোজ্য তেলের ক্ষেত্রে নতুন করে আবার তেলেসমাতি শুরু হয়েছে। অনস্বীকার্য যে মহাজোট সরকার অনেক ক্ষেত্রেই সাফল্য দেখিয়েছে; কিন্তু বাজার নিয়ন্ত্রণে ক্রমাগত ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে চলেছে। আসন্ন রমজানে যাতে পণ্যের কোনো সংকট না হয় সে ব্যাপারে সরকারকে আরো পরিকল্পিত উপায়ে জোরদার পদক্ষেপ নিতে হবে। ভোজ্য তেল, ডাল, ছোলা, খেজুর, চিনি, পেঁয়াজ ইত্যাদি পণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ গড়ে তুলতে হবে কালক্ষেপণ না করে। ব্যাংকগুলো যেন সরকারি বিধি মেনে চলে তা নিশ্চিত করতেই হবে। তাদের সব রকম কার্যক্রম জবাবদিহিতার আওতায় আনা চাই। আমরা আশা করি, সরকারের দায়িত্বশীলরা বাগাড়ম্বর ছেড়ে প্রকৃতই কাজের কাজ করতে সক্ষম হবেন।
No comments