পুলিশ দায়িত্বহীন, মানুষ উদাসীন, অপরাধীরা বেপরোয়া-ডিবি কর্মকর্তা পরিচয়ে...
গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সদস্য পরিচয় দিয়ে বাসভর্তি যাত্রীদের মধ্য থেকে একজন স্কুল শিক্ষিকাকে একপ্রকার ধরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ কিসের আলামত? যে বাসটিতে শিক্ষিকা উঠেছিলেন, সেই বাসের কর্মচারী, সহযাত্রী, কিংবা সাভার বাসস্ট্যান্ডের শত শত মানুষ—কেউই ওই নারীকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেননি।
পুলিশ প্রথমে মামলা নেয়নি; নিয়েছে প্রথম আলোতে এ সংবাদ প্রকাশের পর। ঘরে বা বাইরে, নির্জনে বা লোকালয়ে, কোথাও কি তাহলে নারী নিরাপদ নয়? অপরাধী বা অপরাধ দমনকারী উভয়ই কি আজ নারীর জন্য হুমকি?
বৈশ্বিক নারী অধিকার সম্মেলনের স্লোগান ছিল ‘নারীর চোখে বিশ্ব দেখুন’। বাস থেকে নিয়ে যাওয়ার সময় বিপন্ন ওই নারীর চোখে আমরা কী দেখতে পাই? এই ঘটনা থেকে তিনটি কঠিন সত্য বেরিয়ে আসে: এক. কোনো স্থানই আর নারীর জন্য নিরাপদ নয়, দুই. নানান কারণে ডিবি পুলিশের ভাবমূর্তি এতই ভীতিকর হয়ে দাঁড়িয়েছে যে তাদের নাম ব্যবহার করে অপকর্ম সম্ভব এবং কেউ তার প্রতিবাদ করার সাহস পায় না। তিন. সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ‘অসাধারণ’ পুলিশ বিপন্নের পাশে দাঁড়াতে ব্যর্থ। এ রকম অবস্থায় ধর্ষক-অপরাধীরা বেপরোয়া হয়ে ওঠে।
প্রথম আলোর অনুসন্ধানে দেখা গেছে, সাভার বাসস্ট্যান্ড-সংলগ্ন ওই হোটেলটি এ ধরনের অপকর্ম ঘটানোর ‘উপযুক্ত’ স্থান। এ ধরনের আরও হোটেল সেখানে রয়েছে। স্থানীয় প্রভাবশালী মহল এবং পুলিশের যোগসাজশ ছাড়া এসব সম্ভব হতো না। বহুদিন থেকে সাভার এলাকার অপরাধ বেড়ে যাওয়ার দিকটিও উপেক্ষণীয় নয়। এই বাস্তবতায় নাগরিক হিসেবে সবারই আতঙ্কিত হওয়ার আছে।
সরকারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনীগুলোর কিছু সদস্যের হাতে নানা সময় খুন-ধর্ষণ-ডাকাতির ঘটনা ঘটার পটভূমিতে তাঁদের পরিচয় ব্যবহার হয়ে উঠেছে অপরাধের ঢাল। তাই গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কর্তৃপক্ষ এবং সংশ্লিষ্ট থানাকে অবিলম্বে নিজেদের ভূমিকা পরিষ্কার করতে হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কেও দেখতে হবে যাতে এ ধরনের অপরাধের নেটওয়ার্ক আর কাজ করতে না পারে। তার আগে ধর্ষকদের পরিচয় উদ্ঘাটন করে তাদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। নাগরিক সমাজকেও উপলব্ধি করতে হবে, চোখের সামনে চরম অপরাধ ঘটতে দেখেও নিশ্চুপ থাকার ফল কত বিপজ্জনক। আইন, পুলিশ, প্রশাসন এমনকি সাধারণ মানুষেরও অপরাধের প্রতি উদাসীনতার ফল আত্মঘাতী হতে বাধ্য। এ রকম অবস্থায় যখন-তখন যে কেউ আক্রান্ত হতে পারে এবং অন্যরা হবে তার নিষ্ক্রিয় দর্শক!
বৈশ্বিক নারী অধিকার সম্মেলনের স্লোগান ছিল ‘নারীর চোখে বিশ্ব দেখুন’। বাস থেকে নিয়ে যাওয়ার সময় বিপন্ন ওই নারীর চোখে আমরা কী দেখতে পাই? এই ঘটনা থেকে তিনটি কঠিন সত্য বেরিয়ে আসে: এক. কোনো স্থানই আর নারীর জন্য নিরাপদ নয়, দুই. নানান কারণে ডিবি পুলিশের ভাবমূর্তি এতই ভীতিকর হয়ে দাঁড়িয়েছে যে তাদের নাম ব্যবহার করে অপকর্ম সম্ভব এবং কেউ তার প্রতিবাদ করার সাহস পায় না। তিন. সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ‘অসাধারণ’ পুলিশ বিপন্নের পাশে দাঁড়াতে ব্যর্থ। এ রকম অবস্থায় ধর্ষক-অপরাধীরা বেপরোয়া হয়ে ওঠে।
প্রথম আলোর অনুসন্ধানে দেখা গেছে, সাভার বাসস্ট্যান্ড-সংলগ্ন ওই হোটেলটি এ ধরনের অপকর্ম ঘটানোর ‘উপযুক্ত’ স্থান। এ ধরনের আরও হোটেল সেখানে রয়েছে। স্থানীয় প্রভাবশালী মহল এবং পুলিশের যোগসাজশ ছাড়া এসব সম্ভব হতো না। বহুদিন থেকে সাভার এলাকার অপরাধ বেড়ে যাওয়ার দিকটিও উপেক্ষণীয় নয়। এই বাস্তবতায় নাগরিক হিসেবে সবারই আতঙ্কিত হওয়ার আছে।
সরকারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনীগুলোর কিছু সদস্যের হাতে নানা সময় খুন-ধর্ষণ-ডাকাতির ঘটনা ঘটার পটভূমিতে তাঁদের পরিচয় ব্যবহার হয়ে উঠেছে অপরাধের ঢাল। তাই গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কর্তৃপক্ষ এবং সংশ্লিষ্ট থানাকে অবিলম্বে নিজেদের ভূমিকা পরিষ্কার করতে হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কেও দেখতে হবে যাতে এ ধরনের অপরাধের নেটওয়ার্ক আর কাজ করতে না পারে। তার আগে ধর্ষকদের পরিচয় উদ্ঘাটন করে তাদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। নাগরিক সমাজকেও উপলব্ধি করতে হবে, চোখের সামনে চরম অপরাধ ঘটতে দেখেও নিশ্চুপ থাকার ফল কত বিপজ্জনক। আইন, পুলিশ, প্রশাসন এমনকি সাধারণ মানুষেরও অপরাধের প্রতি উদাসীনতার ফল আত্মঘাতী হতে বাধ্য। এ রকম অবস্থায় যখন-তখন যে কেউ আক্রান্ত হতে পারে এবং অন্যরা হবে তার নিষ্ক্রিয় দর্শক!
No comments