ফরিদপুরে নিয়োগ-রহস্যের আভাস মিলছে!
ফরিদপুরে সিভিল সার্জন অফিসে নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করেছেন ঢাকা স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক। ২৩ সেপ্টেম্বর নির্ধারিত এ নিয়োগ পরীক্ষার জন্য আবেদন করেছিলেন ২৩৫ জন। কিন্তু পরীক্ষা গ্রহণ করার জন্য ঢাকা স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক উপস্থিত হয়ে জানতে পারেন, সিভিল সার্জন অফিসের প্রধান সহকারী চাকরি দেওয়ার কথা বলে কয়েক জনের কাছ থেকে জনপ্রতি ২ থেকে ৩ লাখ টাকা করে নিয়েছেন। এটি ছিল অভিযোগ।
কিন্তু নিশ্চয়ই তার কাছে প্রতীয়মান হয়েছে, তা বিশ্বাসযোগ্য। তিনি তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিয়ে পরীক্ষা স্থগিত করেন। ফলে পরীক্ষার জন্য হাজির হওয়া প্রার্থীদের ভোগান্তি হয়েছে। যারা ঘুষ দিয়েছে তারা দারুণ হতাশ হয়েছে_ তাতে সন্দেহ নেই। ঘুষের টাকা ফেরত পাওয়া নিয়েও অনিশ্চয়তা হতে পারে। তারপরও বলব, পরিচালকের এ সিদ্ধান্ত প্রশংসনীয়। প্রশ্ন হচ্ছে, ঢাকা থেকে এক কর্মকর্তা ফরিদপুর হাজির হয়ে ঘুষ গ্রহণ সম্পর্কে জানতে পারলেন, অথচ যারা পরীক্ষার আয়োজনে ছিলেন সেই ফরিদপুর সিভিল সার্জন অফিসের পদস্থ ব্যক্তিদের কেউ তা আগেভাগে টের পেলেন না কেন? নাকি ভেতরে রহস্যের গন্ধ রয়েছে? ঢাকা স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক তার দায়িত্ব পালন করেছেন। কিন্তু এখনও ফরিদপুর সিভিল সার্জন অফিসের কাজ বাকি। জেলায় নিশ্চয়ই দুর্নীতি দমন কমিশনের কার্যক্রম রয়েছে। এই দু'পক্ষ মিলে বিষয়টি অনুসন্ধান করতে পারে। সিভিল সার্জন অফিসের এক কর্মী ঘুষ নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তার যে পদমর্যাদা তাতে চাকরি প্রদানের ক্ষমতা থাকার কথা নয়। তার পেছনে কারা রয়েছে, তাদের কি খুঁজে বের করা সম্ভব হবে? সিভিল সার্জন অফিসে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী নিয়োগের জন্য আবেদনপত্র জমা নেওয়া হয়। এ ধরনের চাকরিতে বেতন-ভাতা তেমন বেশি নয়। তারপরও ২ থেকে ৩ লাখ টাকা ঘুষ প্রদান করা হয়েছে কেন? বেতন-ভাতা থেকে এ অর্থ উসুল করতে তো ২-৩ বছর লেগে যাওয়ার কথা। এ পরিমাণ অর্থ ব্যবসায়ে খাটালেও মোটামুটি আয় হতে পারে। তাহলে কি সিভিল সার্জন অফিসের চাকরিতে বিশেষ কোনো আকর্ষণ রয়েছে?
No comments