প্রতারণা সৌভাগ্য নয়, দুর্ভাগ্যই ডেকে আনে-প্রবাসের হাতছানি
স্বদেশে যাঁদের ভাগ্য ফেরে না, তাঁদের অনেকেই প্রবাসযাত্রাকে ভাগ্য ফেরানোর সদর দরজা বলে ভাবতে ভালোবাসেন। সত্যিই, দরিদ্র ও নিম্নবিত্ত তরুণদের কাছে প্রবাসে কর্মসংস্থান দিনবদলের হাতছানি হয়ে আসে। অনেকের কাছে সেই হাতছানি এতই অপ্রতিরোধ্য যে তার ডাকে গর্হিত পন্থা নিতেও দ্বিধা হয় না।
ঠিক এ রকম ৭১ জনের মালয়েশিয়া যাত্রা স্থগিত করেছে বাংলাদেশের অভিবাসন পুলিশ। তাঁরা সবাই ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করেছিলেন কোনোভাবে মালয়েশিয়া গিয়ে পৌঁছানোর জন্য। তাঁদের সৌভাগ্য যে তাঁরা ধরা পড়েছেন বাংলাদেশেই—মালয়েশীয় পুলিশের হাতে পড়ার আগেই।
যেনতেন প্রকারে প্রবাসে চাকরি করার লোভে অনেকে এমন পথে পা বাড়াচ্ছেন, যাতে আখেরে তাঁদেরই ক্ষতি হয়। ওই ৭১ জনের সবাই মালয়েশিয়ায় পড়তে যাওয়ার কাগজপত্র তৈরি করেছিলেন অবৈধ পথে। মালয়েশিয়ার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আমন্ত্রণ সংগ্রহ করেছিলেন, অথচ তাঁরা কেউই শিক্ষার্থী নন। তাঁদের ছয়জন আবার জাল পাসপোর্ট ও ভিসা তৈরির দায়ে আটকও হয়েছেন। বাকিদের পুলিশের বিশেষ শাখায় হাজির হওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্য যাঁরা দুই নম্বরি পথে বিদেশ গমন করতে চান, এই ঘটনা তাঁদের জন্য হুঁশিয়ারি। প্রবাসে কর্মসংস্থানের উপায় ও পদ্ধতি বিষয়ে জনসচেতনতার অভাবও এ ঘটনায় ধরা পড়ে।
৭১ জন মালয়েশিয়াগামী বাংলাদেশির অপরাধ, তাঁরা মিথ্যা পরিচয় দিয়েছিলেন। কিন্তু এ কাজটি নিশ্চয়ই তাঁদের ব্যক্তিগত প্রক্রিয়ায় হয়নি। মালয়েশিয়ার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে আমন্ত্রণ সংগ্রহ করা, জাল ভিসা ও পাসপোর্ট বানানো, ছাত্র পরিচয়ে বিদেশ গমনের আনুষঙ্গিক বন্দোবস্ত তাঁদের একার পক্ষে করা সম্ভব নয়। নিশ্চিতভাবে এক বা একাধিক জনশক্তি রপ্তানিকারক রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমেই এটা করা সম্ভব। এমনকি সরকারের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারও যোগসাজশ থাকার কথা। রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের প্রশাসনের কারও না কারও সহায়তা ছাড়া এত বেশিসংখ্যক মানুষ প্রতারণার দরজায় গিয়ে দাঁড়াতে পারতেন না। এরই আলামত মেলে গত শনিবারের প্রথম আলোয় প্রকাশিত এ-বিষয়ক সংবাদে অভিবাসন পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার জবানিতে। তাঁরা এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের পাঁচজন কর্মকর্তাকে শনাক্ত করেছেন।
আমরা আশা করব, ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্ত হবে এবং অন্তরালের কারিগরদেরও চিহ্নিত করা যাবে। পাশাপাশি প্রবাসে কর্মসংস্থান বিষয়ে তথ্য ও পরামর্শসেবা দেওয়ার কেন্দ্রগুলোও বাড়ানো দরকার।
যেনতেন প্রকারে প্রবাসে চাকরি করার লোভে অনেকে এমন পথে পা বাড়াচ্ছেন, যাতে আখেরে তাঁদেরই ক্ষতি হয়। ওই ৭১ জনের সবাই মালয়েশিয়ায় পড়তে যাওয়ার কাগজপত্র তৈরি করেছিলেন অবৈধ পথে। মালয়েশিয়ার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আমন্ত্রণ সংগ্রহ করেছিলেন, অথচ তাঁরা কেউই শিক্ষার্থী নন। তাঁদের ছয়জন আবার জাল পাসপোর্ট ও ভিসা তৈরির দায়ে আটকও হয়েছেন। বাকিদের পুলিশের বিশেষ শাখায় হাজির হওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্য যাঁরা দুই নম্বরি পথে বিদেশ গমন করতে চান, এই ঘটনা তাঁদের জন্য হুঁশিয়ারি। প্রবাসে কর্মসংস্থানের উপায় ও পদ্ধতি বিষয়ে জনসচেতনতার অভাবও এ ঘটনায় ধরা পড়ে।
৭১ জন মালয়েশিয়াগামী বাংলাদেশির অপরাধ, তাঁরা মিথ্যা পরিচয় দিয়েছিলেন। কিন্তু এ কাজটি নিশ্চয়ই তাঁদের ব্যক্তিগত প্রক্রিয়ায় হয়নি। মালয়েশিয়ার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে আমন্ত্রণ সংগ্রহ করা, জাল ভিসা ও পাসপোর্ট বানানো, ছাত্র পরিচয়ে বিদেশ গমনের আনুষঙ্গিক বন্দোবস্ত তাঁদের একার পক্ষে করা সম্ভব নয়। নিশ্চিতভাবে এক বা একাধিক জনশক্তি রপ্তানিকারক রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমেই এটা করা সম্ভব। এমনকি সরকারের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারও যোগসাজশ থাকার কথা। রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের প্রশাসনের কারও না কারও সহায়তা ছাড়া এত বেশিসংখ্যক মানুষ প্রতারণার দরজায় গিয়ে দাঁড়াতে পারতেন না। এরই আলামত মেলে গত শনিবারের প্রথম আলোয় প্রকাশিত এ-বিষয়ক সংবাদে অভিবাসন পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার জবানিতে। তাঁরা এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের পাঁচজন কর্মকর্তাকে শনাক্ত করেছেন।
আমরা আশা করব, ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্ত হবে এবং অন্তরালের কারিগরদেরও চিহ্নিত করা যাবে। পাশাপাশি প্রবাসে কর্মসংস্থান বিষয়ে তথ্য ও পরামর্শসেবা দেওয়ার কেন্দ্রগুলোও বাড়ানো দরকার।
No comments