আবার শুরু থেকে শুরু?-তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি
তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তির প্রক্রিয়া মনে হয় আবার শুরু থেকেই শুরু হচ্ছে। বাংলাদেশে তিস্তার পানিপ্রবাহের গত ১৫ বছরের তথ্য-উপাত্ত চেয়ে চিঠি দিয়েছে ভারত। সেপ্টেম্বরে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরের সময় তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে চুক্তি হওয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত ছিল।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের আপত্তির কারণে শেষ মুহূর্তে এই চুক্তি স্বাক্ষর না করার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। তবে যৌথ ঘোষণায় যত শিগগির সম্ভব এই চুক্তি স্বাক্ষরের অঙ্গীকার করেছে দুটি দেশ। কিন্তু প্রক্রিয়াটি এখন যেখান থেকে শুরু হচ্ছে, তাতে ‘যত শিগগির’ চুক্তি করা যাবে কী?
ভারতের পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাংলাদেশে তিস্তার পানিপ্রবাহের তথ্য-উপাত্ত চেয়ে চিঠি দেওয়ায় যে প্রশ্নটি খুবই প্রাসঙ্গিক তা হলো, এসব প্রাথমিক তথ্য-উপাত্ত ছাড়াই কি তবে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি চূড়ান্ত করে ফেলেছিল বাংলাদেশ ও ভারত? পশ্চিমবঙ্গ আপত্তি না করলে চুক্তিটি যে স্বাক্ষরের জন্য প্রস্তুত ছিল, এমনটিই তো দুই দেশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল। এত আলোচনার পর চুক্তির খসড়া চূড়ান্ত হলো অথচ বাংলাদেশে তিস্তার পানিপ্রবাহ কতটুকু, সেই তথ্য-উপাত্ত ভারতের জানা নেই! পুরো প্রক্রিয়ার মধ্যে যে অস্বচ্ছতা ছিল, তা আবারও স্পষ্ট হলো। এখন অনেকটা নতুন করেই যেন শুরু করতে হচ্ছে পানি বণ্টন চুক্তির প্রক্রিয়া। তবে প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টার মুখে গত বুধবার আবারও শুনতে হলো, ‘শিগগিরই তিস্তার চুক্তি হবে।’
বাংলাদেশের ডালিয়ায় অবস্থিত তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে ১৯৯৫-৯৬ সাল থেকে পরবর্তী ১০ থেকে ১৫ বছর প্রতি ১০ দিন পরপর পানিপ্রবাহের তথ্য চেয়েছে ভারত। জবাবে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব জানিয়েছেন, বাংলাদেশ শিগগিরই পানিপ্রবাহের উপাত্ত পাঠাবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন করে এই পানিপ্রবাহের তথ্য বিনিময়-প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার অর্থ হলো চুক্তির বিষয়টি পিছিয়ে যাওয়া। প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা কিসের ভিত্তিতে শিগগিরই এই চুক্তি স্বাক্ষরের আশা করছেন, সেটা আমাদের বোধগম্য হচ্ছে না। ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরমও বুধবার নয়াদিল্লিতে ঘোষণা করলেন, নির্ধারিত সময়েই তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি হবে। কিন্তু এই ‘নির্ধারিত’ সময়টি আসলে কী?
তিস্তা ব্যারাজ প্রকল্প কার্যকর করতে এবং বাংলাদেশের কৃষি উৎপাদন বাড়াতে তিস্তার পানিপ্রবাহ বাড়ানোর বিকল্প নেই। ভারতের সঙ্গে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশের পাওনা পানি নিশ্চিত করার মাধ্যমেই এটা সম্ভব। তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে ভারতের সঙ্গে এই আলোচনা শুরু হয়েছে সেই ১৯৫২ সালে। দীর্ঘ সময়েও এ ব্যাপারে সমঝোতায় আসতে না পারাটা দুঃখজনক। মনমোহন সিংয়ের সফরের সময় তিস্তার পানি বন্টন চুক্তি হতে পারেনি পশ্চিবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর বিরেধিতার কারণে। এখন তাঁকে রাজি করানোর দায়িত্ব ভারত সরকারের।
আমরা আশা করব, যৌথ ইশতেহারের ঘোষণার আলোকে ভারত এই চুক্তি স্বাক্ষরে যা যা করণীয়, তা দ্রুত শেষ করবে। অন্যথায় সহযোগিতার রূপরেখা কাগুজে দলিল হয়েই থাকবে।
ভারতের পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাংলাদেশে তিস্তার পানিপ্রবাহের তথ্য-উপাত্ত চেয়ে চিঠি দেওয়ায় যে প্রশ্নটি খুবই প্রাসঙ্গিক তা হলো, এসব প্রাথমিক তথ্য-উপাত্ত ছাড়াই কি তবে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি চূড়ান্ত করে ফেলেছিল বাংলাদেশ ও ভারত? পশ্চিমবঙ্গ আপত্তি না করলে চুক্তিটি যে স্বাক্ষরের জন্য প্রস্তুত ছিল, এমনটিই তো দুই দেশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল। এত আলোচনার পর চুক্তির খসড়া চূড়ান্ত হলো অথচ বাংলাদেশে তিস্তার পানিপ্রবাহ কতটুকু, সেই তথ্য-উপাত্ত ভারতের জানা নেই! পুরো প্রক্রিয়ার মধ্যে যে অস্বচ্ছতা ছিল, তা আবারও স্পষ্ট হলো। এখন অনেকটা নতুন করেই যেন শুরু করতে হচ্ছে পানি বণ্টন চুক্তির প্রক্রিয়া। তবে প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টার মুখে গত বুধবার আবারও শুনতে হলো, ‘শিগগিরই তিস্তার চুক্তি হবে।’
বাংলাদেশের ডালিয়ায় অবস্থিত তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে ১৯৯৫-৯৬ সাল থেকে পরবর্তী ১০ থেকে ১৫ বছর প্রতি ১০ দিন পরপর পানিপ্রবাহের তথ্য চেয়েছে ভারত। জবাবে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব জানিয়েছেন, বাংলাদেশ শিগগিরই পানিপ্রবাহের উপাত্ত পাঠাবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন করে এই পানিপ্রবাহের তথ্য বিনিময়-প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার অর্থ হলো চুক্তির বিষয়টি পিছিয়ে যাওয়া। প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা কিসের ভিত্তিতে শিগগিরই এই চুক্তি স্বাক্ষরের আশা করছেন, সেটা আমাদের বোধগম্য হচ্ছে না। ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরমও বুধবার নয়াদিল্লিতে ঘোষণা করলেন, নির্ধারিত সময়েই তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি হবে। কিন্তু এই ‘নির্ধারিত’ সময়টি আসলে কী?
তিস্তা ব্যারাজ প্রকল্প কার্যকর করতে এবং বাংলাদেশের কৃষি উৎপাদন বাড়াতে তিস্তার পানিপ্রবাহ বাড়ানোর বিকল্প নেই। ভারতের সঙ্গে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশের পাওনা পানি নিশ্চিত করার মাধ্যমেই এটা সম্ভব। তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে ভারতের সঙ্গে এই আলোচনা শুরু হয়েছে সেই ১৯৫২ সালে। দীর্ঘ সময়েও এ ব্যাপারে সমঝোতায় আসতে না পারাটা দুঃখজনক। মনমোহন সিংয়ের সফরের সময় তিস্তার পানি বন্টন চুক্তি হতে পারেনি পশ্চিবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর বিরেধিতার কারণে। এখন তাঁকে রাজি করানোর দায়িত্ব ভারত সরকারের।
আমরা আশা করব, যৌথ ইশতেহারের ঘোষণার আলোকে ভারত এই চুক্তি স্বাক্ষরে যা যা করণীয়, তা দ্রুত শেষ করবে। অন্যথায় সহযোগিতার রূপরেখা কাগুজে দলিল হয়েই থাকবে।
No comments