চায়ের দোকানের সামনে মাধ্যমিকের উত্তরপত্র

কুষ্টিয়া সদর উপজেলার জগতি গ্রামের একটি চায়ের দোকানের সামনে থেকে চলতি মাধ্যমিক পরীক্ষার ইংরেজি দ্বিতীয়পত্রের ২০০ উত্তরপত্র পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। গত বুধবার রাতে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাহিদুল ইসলাম পুলিশ নিয়ে উত্তরপত্রগুলো উদ্ধার করেন।


এদিকে একই রাতে বাগেরহাটের চিতলমারী দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্রের এক পরীক্ষার্থীর বাড়ি থেকে গণিত পরীক্ষার উত্তরপত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার করেছে পরীক্ষার্থী ইমরান হুসাঈন (১৭) ও তার মামা গাউস শেখকে (৩৪)।
কুষ্টিয়ার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাহিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, উদ্ধার করা খাতাগুলো কোন শিক্ষক দেখবেন, এমন কোনো চিঠি পাওয়া যায়নি। পরে যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাঁরা জানান, উত্তরপত্র মূল্যায়নের জন্য বুধবার সকালে তা বোর্ড থেকে শিক্ষকদের মধ্যে বিতরণ করা হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল চারটার দিকে শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের দুজন প্রতিনিধি এসে জেলা প্রশাসনের ট্রেজারি থেকে খাতাগুলো নিয়ে যান।
গতকাল রাতে যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আমিরুল আলম খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘খাতাগুলো এখন আমাদের নিয়ন্ত্রণে। তা মূল্যায়নের জন্য আবার বণ্টন করা হবে। এ ঘটনায় অবহেলায় জড়িত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
অপরদিকে চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং উপজেলা মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির সভাপতি মুহাম্মাদ সোহেল হাসান বলেন, বুধবার গণিত পরীক্ষা শেষে উত্তরপত্র জমা না দিয়ে তা পার্শ্ববর্তী পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার মাটিভাঙ্গা গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যায় ইমরান। উত্তরপত্রের হিসাব মেলানোর সময় দেখা যায়, ইমরানের উত্তরপত্র নেই। পরে ইমরানের বাড়ি থেকে উত্তরপত্র উদ্ধার করা হয়।
চিতলমারী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) দিদারুল আলম বলেন, উত্তরপত্র উদ্ধারের ঘটনায় ওই কেন্দ্রের সচিব ইদ্রিছুর রহমান বাদী হয়ে আটক দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। গতকাল তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে এ ঘটনায় দায়িত্ব পালনে অবহেলার অভিযোগে চিতলমারী দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্রের ৭ নম্বর কক্ষের পরিদর্শক ও শৈলদহ দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক শফিকুল ইসলামকে তিন বছরের জন্য জাতীয় পর্যায়ের সব ধরনের পরীক্ষার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ইমরান শৈলদহ দাখিল মাদ্রাসার পরীক্ষার্থী।

No comments

Powered by Blogger.