তত্ত্বাবধায়ক বিতর্ক প্রসঙ্গে ইইউ-নির্বাচনের অনেক আগেই সমাধান খুঁজে নিতে হবে
সফররত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সংসদীয় প্রতিনিধিদলের নেতা জিন ল্যামবার্ট বলেছেন, নির্বাচন অনুষ্ঠানের অনেক আগেভাগেই রাজনৈতিক দলগুলোকে আলোচনার মাধ্যমে নির্বাচনপদ্ধতি নিয়ে সমাধানের পথ খুঁজে নিতে হবে।গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে জিন ল্যামবার্ট এ মন্তব্য করেন।
বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন নিয়ে সরকার ও বিরোধী দলের চলমান বিরোধ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়েছে। এসব আলোচনায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পক্ষে-বিপক্ষে নানা মত শুনেছি।’
ল্যামবার্ট বলেন, ‘যেহেতু সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারপদ্ধতি বিলোপ হয়েছে, তাই প্রধান দুই দলকে তাদের প্রস্তাবগুলো নিয়ে সংসদে আলোচনায় বসা উচিত। আর এ প্রক্রিয়ায় প্রধান বিরোধী দলকে তাদের প্রস্তাব নিয়ে খোলামেলা আলোচনার সুযোগ দেওয়া উচিত।’
যেখানে প্রধান দুই দলের মাঝে আস্থার সংকট আছে, সেখানে দলীয় সরকারের অধীনে কীভাবে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব? এ প্রশ্নের উত্তরে ল্যামবার্ট বলেন, ‘আমরা একের ওপর অন্যের আস্থার কথা বলছি না। আমরা বলছি, নির্বাচন-প্রক্রিয়ার ওপর যেন আস্থা তৈরি হয়।’
নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে প্রতিনিধিদলের আলোচনার উল্লেখ করে ল্যামবার্ট বলেন, সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য সব দলের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথ খুঁজতে চান। এ ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
ইইউ সংসদীয় প্রতিনিধিদলের নেতা এটি বলে সতর্ক করে দিয়েছেন, নির্বাচনের ফলাফল সবার কাছে গ্রহণযোগ্য না হলে সরকার স্থিতিশীল হবে না। এটি হলে বাংলাদেশের পরিস্থিতি বিনিয়োগবান্ধব থাকবে না। তিনি ২০০৮ সালের নির্বাচনের প্রশংসা করে বলেন, এটি নিশ্চিত করতে হবে যে আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও এর ফলাফল সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। যে পদ্ধতিতেই হোক না কেন, নির্বাচনের ফলাফল বাংলাদেশের প্রতিটি জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হতে হবে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচন হলে খালেদা জিয়া নির্বাচন বর্জন করবেন—এমন কোনো ইঙ্গিত পেয়েছেন কি না, জানতে চাইলে ল্যামবার্ট বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিলোপে বিরোধী দল উদ্বিগ্ন। তবে তাঁরা এ সংকটের সমাধান চান। খালেদা জিয়া বলেননি যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া তিনি নির্বাচনে যাবেন না। তবে নির্বাচনের আগে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষে তিনি মত দিয়েছেন।
ল্যামবার্ট বলেন, ‘যেহেতু সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারপদ্ধতি বিলোপ হয়েছে, তাই প্রধান দুই দলকে তাদের প্রস্তাবগুলো নিয়ে সংসদে আলোচনায় বসা উচিত। আর এ প্রক্রিয়ায় প্রধান বিরোধী দলকে তাদের প্রস্তাব নিয়ে খোলামেলা আলোচনার সুযোগ দেওয়া উচিত।’
যেখানে প্রধান দুই দলের মাঝে আস্থার সংকট আছে, সেখানে দলীয় সরকারের অধীনে কীভাবে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব? এ প্রশ্নের উত্তরে ল্যামবার্ট বলেন, ‘আমরা একের ওপর অন্যের আস্থার কথা বলছি না। আমরা বলছি, নির্বাচন-প্রক্রিয়ার ওপর যেন আস্থা তৈরি হয়।’
নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে প্রতিনিধিদলের আলোচনার উল্লেখ করে ল্যামবার্ট বলেন, সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য সব দলের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথ খুঁজতে চান। এ ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
ইইউ সংসদীয় প্রতিনিধিদলের নেতা এটি বলে সতর্ক করে দিয়েছেন, নির্বাচনের ফলাফল সবার কাছে গ্রহণযোগ্য না হলে সরকার স্থিতিশীল হবে না। এটি হলে বাংলাদেশের পরিস্থিতি বিনিয়োগবান্ধব থাকবে না। তিনি ২০০৮ সালের নির্বাচনের প্রশংসা করে বলেন, এটি নিশ্চিত করতে হবে যে আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও এর ফলাফল সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। যে পদ্ধতিতেই হোক না কেন, নির্বাচনের ফলাফল বাংলাদেশের প্রতিটি জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হতে হবে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচন হলে খালেদা জিয়া নির্বাচন বর্জন করবেন—এমন কোনো ইঙ্গিত পেয়েছেন কি না, জানতে চাইলে ল্যামবার্ট বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিলোপে বিরোধী দল উদ্বিগ্ন। তবে তাঁরা এ সংকটের সমাধান চান। খালেদা জিয়া বলেননি যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া তিনি নির্বাচনে যাবেন না। তবে নির্বাচনের আগে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষে তিনি মত দিয়েছেন।
No comments