সেক্টর কমান্ডারদের উদ্বেগ আমলে নিন-যুদ্ধাপরাধের বিচার
একাত্তরের যুদ্ধাপরাধ তথা মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার বর্তমান সরকারের মেয়াদে শেষ করা যাবে কি না, সে ব্যাপারে উদ্বেগ ও সংশয় প্রকাশ করেছেন সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের নেতা ও গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা। শনিবার সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম আয়োজিত মতবিনিময় সভায় যুদ্ধাপরাধের বিচারে দীর্ঘসূত্রতা, দুর্বলতার পাশাপাশি এর বিরুদ্ধে নানামুখী অপতৎপরতার বিষয়টি উঠে আসে।
যুদ্ধাপরাধের বিচার যেমন বর্তমান সরকারের নির্বাচনী অঙ্গীকার ছিল, তেমনি এটি গণমানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার পেতেই ২০০৮ সালের নির্বাচনে নতুন প্রজন্ম বিপুলভাবে আওয়ামী লীগের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানায়। ২০১০ সালের মার্চে যুদ্ধাপরাধের বিচার-প্রক্রিয়া শুরু হলে দেশবাসী আশান্বিত হয়েছিল যে দেরিতে হলেও এই বিচারের মাধ্যমে জাতি গ্লানিমুক্ত হবে।
কিন্তু যেভাবে বিচার-প্রক্রিয়া চলছে, তাতে অনেকের মনে সন্দেহ দেখা দিয়েছে, বিচার-প্রক্রিয়া আদৌ শেষ হবে কি না! তাঁদের আশঙ্কা, বর্তমান সরকারের আমলে বিচার-প্রক্রিয়া শেষ না হলে ক্ষমতার পালাবদলে পুরো প্রক্রিয়াটি ভণ্ডুল হয়ে যেতে পারে।
এরই মধ্যে সরকার মেয়াদের অর্ধেক সময় পার করেছে। কিন্তু বিচার-প্রক্রিয়া চলছে অনেকটা ঢিমেতালে। যুদ্ধাপরাধের দায়ে আটক ছয়জনের মধ্যে মাত্র একজন—দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের তদন্তকাজ শেষ হয়ে মামলার শুনানি শুরু হয়েছে। অন্য আসামিদের অভিযোগ এখনো তদন্তাধীন। পুরো বিচার-প্রক্রিয়া নিয়ে সরকারের সিদ্ধান্তহীনতা ও দুর্বলতা স্পষ্ট। প্রথমে বলা হয়েছিল, সব যুদ্ধাপরাধীর বিচার করা হবে। তারপর বলা হলো, বেছে বেছে কয়েকজনের প্রতীকী বিচার হবে। এখন সেই প্রতীকী বিচার নিয়েও সংশয় কাটছে না।
যেকোনো মামলার ন্যায়বিচারের জন্য সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া অপরিহার্য। তদন্তে কোনো ঘাপলা থাকলে আসামির ছাড়া পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং বিচারও প্রশ্নবিদ্ধ হতে বাধ্য। কিন্তু সরকার শুরু থেকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগে অস্বচ্ছতা ও অদক্ষতার পরিচয় দিয়েছে। এমন এক ব্যক্তিকে প্রধান তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছিল, যাঁর বিরুদ্ধে একাত্তরে পাকিস্তানি সরকারকে সহযোগিতার অভিযোগ রয়েছে। ব্যাপক সমালোচনার মুখে তিনি পদত্যাগে বাধ্য হন। আইনজীবী নিয়োগেও সরকার বিচক্ষণতার পরিচয় দিতে পেরেছে, তা বলা যাবে না। দেশে অনেক আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আইনজীবী থাকা সত্ত্বেও তাঁদের এ মামলায় সম্পৃক্ত করা হয়নি। সেটি তাঁদের অনাগ্রহ, না সরকারের অনিচ্ছায়—তা আমরা জানি না। তবে আমাদের স্পষ্ট বক্তব্য হলো, যুদ্ধাপরাধের বিচারের মতো একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে দলীয় দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখা ঠিক নয়।
যুদ্ধাপরাধের বিচারকাজ দ্রুত শেষ করতে সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের সভায় যেসব সুপারিশ করা হয়েছে, সরকারের কর্তব্য হবে সেগুলো আমলে নেওয়া। মনে রাখতে হবে, বিচার-প্রক্রিয়া যত প্রলম্বিত হবে, বিচারবিরোধী শক্তি তত মরিয়া হয়ে উঠবে। গত সপ্তাহে জামায়াতে ইসলামীর বিক্ষোভ মিছিল থেকে পুলিশের ওপর চড়াও হওয়া কিংবা গাড়িতে অগ্নিসংযোগ এরই প্রাথমিক আলামত।
অতএব, যুদ্ধাপরাধের বিচার-প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করার প্রতি সরকারকে মনোযোগী হতে হবে। সে সঙ্গে বিচার নিয়ে যাতেকেউ প্রশ্ন করতে না পারে, সে জন্য আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখাও জরুরি।
কিন্তু যেভাবে বিচার-প্রক্রিয়া চলছে, তাতে অনেকের মনে সন্দেহ দেখা দিয়েছে, বিচার-প্রক্রিয়া আদৌ শেষ হবে কি না! তাঁদের আশঙ্কা, বর্তমান সরকারের আমলে বিচার-প্রক্রিয়া শেষ না হলে ক্ষমতার পালাবদলে পুরো প্রক্রিয়াটি ভণ্ডুল হয়ে যেতে পারে।
এরই মধ্যে সরকার মেয়াদের অর্ধেক সময় পার করেছে। কিন্তু বিচার-প্রক্রিয়া চলছে অনেকটা ঢিমেতালে। যুদ্ধাপরাধের দায়ে আটক ছয়জনের মধ্যে মাত্র একজন—দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের তদন্তকাজ শেষ হয়ে মামলার শুনানি শুরু হয়েছে। অন্য আসামিদের অভিযোগ এখনো তদন্তাধীন। পুরো বিচার-প্রক্রিয়া নিয়ে সরকারের সিদ্ধান্তহীনতা ও দুর্বলতা স্পষ্ট। প্রথমে বলা হয়েছিল, সব যুদ্ধাপরাধীর বিচার করা হবে। তারপর বলা হলো, বেছে বেছে কয়েকজনের প্রতীকী বিচার হবে। এখন সেই প্রতীকী বিচার নিয়েও সংশয় কাটছে না।
যেকোনো মামলার ন্যায়বিচারের জন্য সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া অপরিহার্য। তদন্তে কোনো ঘাপলা থাকলে আসামির ছাড়া পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং বিচারও প্রশ্নবিদ্ধ হতে বাধ্য। কিন্তু সরকার শুরু থেকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগে অস্বচ্ছতা ও অদক্ষতার পরিচয় দিয়েছে। এমন এক ব্যক্তিকে প্রধান তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছিল, যাঁর বিরুদ্ধে একাত্তরে পাকিস্তানি সরকারকে সহযোগিতার অভিযোগ রয়েছে। ব্যাপক সমালোচনার মুখে তিনি পদত্যাগে বাধ্য হন। আইনজীবী নিয়োগেও সরকার বিচক্ষণতার পরিচয় দিতে পেরেছে, তা বলা যাবে না। দেশে অনেক আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আইনজীবী থাকা সত্ত্বেও তাঁদের এ মামলায় সম্পৃক্ত করা হয়নি। সেটি তাঁদের অনাগ্রহ, না সরকারের অনিচ্ছায়—তা আমরা জানি না। তবে আমাদের স্পষ্ট বক্তব্য হলো, যুদ্ধাপরাধের বিচারের মতো একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে দলীয় দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখা ঠিক নয়।
যুদ্ধাপরাধের বিচারকাজ দ্রুত শেষ করতে সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের সভায় যেসব সুপারিশ করা হয়েছে, সরকারের কর্তব্য হবে সেগুলো আমলে নেওয়া। মনে রাখতে হবে, বিচার-প্রক্রিয়া যত প্রলম্বিত হবে, বিচারবিরোধী শক্তি তত মরিয়া হয়ে উঠবে। গত সপ্তাহে জামায়াতে ইসলামীর বিক্ষোভ মিছিল থেকে পুলিশের ওপর চড়াও হওয়া কিংবা গাড়িতে অগ্নিসংযোগ এরই প্রাথমিক আলামত।
অতএব, যুদ্ধাপরাধের বিচার-প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করার প্রতি সরকারকে মনোযোগী হতে হবে। সে সঙ্গে বিচার নিয়ে যাতেকেউ প্রশ্ন করতে না পারে, সে জন্য আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখাও জরুরি।
No comments