পলিথিনের ছড়াছড়ি-অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে অবৈধ উৎপাদন
নিয়ন্ত্রণ না থাকায় পুনরায় বাজার ছেয়ে গেছে নিষিদ্ধ পলিথিনে। কিছু কিনলেই দোকানি একটা পলিথিন ব্যাগে তা ধরিয়ে দেয়। গলির মুদি দোকান থেকে শুরু করে বাজারের দোকানগুলো পর্যন্ত সর্বত্রই একই অবস্থা। ক্রেতাও খুশি মনে পলিথিন ব্যাগটি হাতে নিয়ে চলে যান। কেউ একবার ভেবেও দেখেন না, এই পলিথিন আমাদের পরিবেশের কতটা ক্ষতি করছে।
পলিথিন কিভাবে আমাদের নদীগুলো মেরে ফেলছে, কিভাবে ফসলি জমির উর্বরতা হ্রাস করছে এবং কিভাবে ক্রমেই জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে_এ বিষয়গুলো ভাবলে হয়তো আমরা নিজেরাই উদ্যোগী হতাম পলিথিনের ব্যবহার কমাতে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, আমাদের মধ্যে সেই সচেতনতা নেই বললেই চলে। পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষও এ ব্যাপারে চরম উদাসীনতার পরিচয় দিয়ে চলেছে। আগে পলিথিনের অবৈধ ব্যবহার রোধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান থাকলেও এখন তা-ও প্রায় অনুপস্থিত। আর এই নিয়ন্ত্রণহীনতার সুযোগ নিয়ে কিছু দুর্বৃত্ত চরিত্রের লোক ব্যাপকভাবে নিষিদ্ধ পলিথিন উৎপাদন করে চলেছে।
বাংলাদেশ পলিপ্রোফাইল প্লাস্টিক রোল অ্যান্ড প্যাকেজিং অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য উদ্ধৃত করে একটি সহযোগী পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, কেবল ঢাকায়ই এ রকম ৭০০ কারখানা রয়েছে। সারা দেশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে এ রকম অসংখ্য কারখানা। এমনকি অতীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের সময় যেসব কারখানা সিলগালা করে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, সেগুলোতেও গোপনে পলিথিন ব্যাগ উৎপাদন করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। চকবাজারের পাইকারি বিক্রয়সহ প্রায় সব হাটবাজারেই অবাধে পলিথিন ব্যাগ বিক্রি হচ্ছে। পলিথিন ব্যাগ সহজলভ্য হওয়ায়, দাম কম হওয়ায়, জিনিসপত্র বহনের বিশেষ উপযোগী হওয়ায় এবং কোনো বাধা না থাকায় দোকানিরাও যথেচ্ছভাবে সেগুলো ব্যবহার করে চলেছে। আর একবার ব্যবহারের পরই সেগুলো যত্রতত্র ফেলে দেওয়া হচ্ছে। সেগুলো পানিবাহিত হয়ে ড্রেনে গিয়ে পড়ছে। ক্রমাগতভাবে পলিথিন ব্যাগ জমা হতে হতে একসময় ড্রেন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ফলে জলাবদ্ধতা তৈরি হচ্ছে। ঢাকা মহানগরীতে জলাবদ্ধতার অন্যতম কারণ এটি। অথচ এর বিকল্প যে চটের ব্যাগ, যা কিনা পরিবেশবান্ধব, তা চালু করার কোনো উদ্যোগ না ক্রেতা, না বিক্রেতা, না সরকার_কারোরই নেই। চটের ব্যাগ কোনো সমস্যাও সৃষ্টি করে না। বছরখানেক আগে বুড়িগঙ্গায় খননকাজ চালাতে গিয়ে দেখা গেল, নদীর তলদেশে পলিথিন ব্যাগের প্রায় ১০ ফুট উঁচু আস্তরণ তৈরি হয়েছে। ঢাকার চারপাশের প্রতিটি নদীর একই রকম অবস্থা। ঢাকার ভেতরে যেসব ছোটখাটো জলাশয় অবশিষ্ট আছে, সেগুলোরও তলদেশ ঢাকা পড়ে গেছে পলিথিন জমতে জমতে। ফলে বৃষ্টির পানি ভূগর্ভে প্রবেশ করতে পারে না। আর তাই ঢাকায় প্রতিবছর ভূগর্ভের পানির স্তর ১০ ফুটেরও বেশি নিচে নেমে যাচ্ছে। আবার পলিথিনে পানি জমে মশার ব্যাপক বংশবিস্তার হওয়ায় ডেঙ্গুর প্রকোপও বেড়ে গেছে।
পলিথিনের ছড়াছড়ির পাশাপাশি যথাযথ বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অভাবও সংকট বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। অন্যান্য বর্জ্যের সঙ্গে পলিথিন বর্জ্য একত্রে স্তূপীকৃত করে রাখা হয়। এটি মাটিদূষণের অন্যতম কারণ। পলিথিন বর্জ্যকে অবশ্য আলাদা করে বিশেষ কৌশলে রিসাইক্লিং বা সম্পূর্ণ বিনষ্ট করতে হবে। এ ব্যাপারে এখনই যথাযথ উদ্যোগ নিতে হবে।
বাংলাদেশ পলিপ্রোফাইল প্লাস্টিক রোল অ্যান্ড প্যাকেজিং অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য উদ্ধৃত করে একটি সহযোগী পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, কেবল ঢাকায়ই এ রকম ৭০০ কারখানা রয়েছে। সারা দেশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে এ রকম অসংখ্য কারখানা। এমনকি অতীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের সময় যেসব কারখানা সিলগালা করে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, সেগুলোতেও গোপনে পলিথিন ব্যাগ উৎপাদন করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। চকবাজারের পাইকারি বিক্রয়সহ প্রায় সব হাটবাজারেই অবাধে পলিথিন ব্যাগ বিক্রি হচ্ছে। পলিথিন ব্যাগ সহজলভ্য হওয়ায়, দাম কম হওয়ায়, জিনিসপত্র বহনের বিশেষ উপযোগী হওয়ায় এবং কোনো বাধা না থাকায় দোকানিরাও যথেচ্ছভাবে সেগুলো ব্যবহার করে চলেছে। আর একবার ব্যবহারের পরই সেগুলো যত্রতত্র ফেলে দেওয়া হচ্ছে। সেগুলো পানিবাহিত হয়ে ড্রেনে গিয়ে পড়ছে। ক্রমাগতভাবে পলিথিন ব্যাগ জমা হতে হতে একসময় ড্রেন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ফলে জলাবদ্ধতা তৈরি হচ্ছে। ঢাকা মহানগরীতে জলাবদ্ধতার অন্যতম কারণ এটি। অথচ এর বিকল্প যে চটের ব্যাগ, যা কিনা পরিবেশবান্ধব, তা চালু করার কোনো উদ্যোগ না ক্রেতা, না বিক্রেতা, না সরকার_কারোরই নেই। চটের ব্যাগ কোনো সমস্যাও সৃষ্টি করে না। বছরখানেক আগে বুড়িগঙ্গায় খননকাজ চালাতে গিয়ে দেখা গেল, নদীর তলদেশে পলিথিন ব্যাগের প্রায় ১০ ফুট উঁচু আস্তরণ তৈরি হয়েছে। ঢাকার চারপাশের প্রতিটি নদীর একই রকম অবস্থা। ঢাকার ভেতরে যেসব ছোটখাটো জলাশয় অবশিষ্ট আছে, সেগুলোরও তলদেশ ঢাকা পড়ে গেছে পলিথিন জমতে জমতে। ফলে বৃষ্টির পানি ভূগর্ভে প্রবেশ করতে পারে না। আর তাই ঢাকায় প্রতিবছর ভূগর্ভের পানির স্তর ১০ ফুটেরও বেশি নিচে নেমে যাচ্ছে। আবার পলিথিনে পানি জমে মশার ব্যাপক বংশবিস্তার হওয়ায় ডেঙ্গুর প্রকোপও বেড়ে গেছে।
পলিথিনের ছড়াছড়ির পাশাপাশি যথাযথ বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অভাবও সংকট বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। অন্যান্য বর্জ্যের সঙ্গে পলিথিন বর্জ্য একত্রে স্তূপীকৃত করে রাখা হয়। এটি মাটিদূষণের অন্যতম কারণ। পলিথিন বর্জ্যকে অবশ্য আলাদা করে বিশেষ কৌশলে রিসাইক্লিং বা সম্পূর্ণ বিনষ্ট করতে হবে। এ ব্যাপারে এখনই যথাযথ উদ্যোগ নিতে হবে।
No comments