শহীদ মিনারের মর্যাদা ও পবিত্রতা-সারা বছর সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হোক
মহান একুশে ফেব্রুয়ারি- শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। এ দিনে সারা জাতি শ্রদ্ধাবনত চিত্তে স্মরণ করল ভাষা আন্দোলনের বীর শহীদদের। ২০ তারিখ দিবাগত রাত ১২টা ০১ মিনিট থেকে শুরু হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের মূল বেদিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, চলে একুশ তারিখ প্রায় সারা দিনই।
তাতেই কি শেষ হয়ে গেল সব কিছু? ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন কি কেবলই এই এক দিনের আনুষ্ঠানিকতা? তা না হলে কেন এমন হবে? গতকাল বৃহস্পতিবার কালের কণ্ঠের প্রথম পাতায় প্রকাশিত ছবিটি নিশ্চয়ই যেকোনো বিবেকসম্পন্ন মানুষকে আহত করবে। মাত্র এক দিন পর, ২২ তারিখ দুপুরে মূল বেদির ওপর জমে উঠেছে আড্ডা, জুতা পায়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে কিছু তরুণ এবং ঘটছে অনাকাঙ্ক্ষিত আরো অনেক কিছু। বিকেলে সেই আড্ডা আরো বাড়ছে। পত্রিকার পাতা বিছিয়ে বসা, অতঃপর ফেলে যাওয়া, বাদাম খেয়ে খোসা ফেলা এবং আরো নানা উপায়ে মূল বেদিকে নোংরা করা চলছে। এই কি এত আবেগ নিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের উপযুক্ত পরম্পরা?
মাঝেমধ্যেই পত্রিকায় সারা দেশের শহীদ মিনারগুলোর দুরবস্থা নিয়ে ছবি ছাপা হয়। গরু-ছাগল বেঁধে রাখা হয়। শহীদ বেদিতে এগুলো মলমূত্র ত্যাগ করে। সারা দেশের সেসব শহীদ মিনারের কথা না হয় বাদই দিলাম, যেখানে রফিক-জব্বার-বরকত-সালামরা বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছিলেন, সেই স্থানে গড়ে ওঠা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারটির মর্যাদা ধরে রাখার ক্ষমতাও কি আমাদের নেই! সভ্যতা-ভব্যতা-পারিবারিক শিক্ষাবর্জিত কিছু মানুষ সব সমাজেই কম-বেশি থাকে। ভাষার মর্যাদা, দেশের মর্যাদা, শহীদের মর্যাদা বোঝার ক্ষমতা তাদের থাকে না। এ জন্যই পৃথিবীর দেশে দেশে মর্যাদাপূর্ণ স্থানগুলোকে রক্ষার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়। আমাদের দেশে সেই ব্যবস্থাও নেই। কী জাতীয় স্মৃতিসৌধ, কী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার! তবে কি যাঁরা রাষ্ট্রক্ষমতায় আছেন, তাঁদেরও সেই মর্যাদা বোঝার ক্ষমতা নেই! কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের অভিভাবকত্ব করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এর কর্তৃত্বে যাঁরা আছেন তাঁরা শুধু শিক্ষিত নন, উচ্চশিক্ষিত- তাঁরাও কি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের মর্যাদা রক্ষার প্রয়োজন উপলব্ধি করেন না? এর সার্বক্ষণিক প্রহরায় দু-একজন লোক নিয়োগ করার ক্ষমতা কি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নেই। মূল বেদিটিতে একটি অস্থায়ী বেষ্টনী দেওয়া যেতে পারে। কিছু সতর্কীকরণ, নিষেধাজ্ঞা, অনুরোধমূলক ফলক লাগানো যেতে পারে। না, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এসবের কিছুই করেনি। তারাও দিনের পর দিন চরম উদাসীনতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছে। রাষ্ট্রীয়ভাবে গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে কিংবা অন্যান্য উপায়ে স্মৃতিসৌধ বা শহীদ মিনারের মর্যাদা রক্ষায় মানুষকে সচেতন করা যেতে পারে, রাষ্ট্রীয়ভাবে এসব স্থানের পবিত্রতা ও মর্যাদা রক্ষায় স্থায়ী উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে। অথচ রাষ্ট্রও এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ উদাসীন। কিন্তু কেন?
যে জাতি তার বীরদের শ্রদ্ধা জানাতে পারে না, সেই জাতি কখনো উন্নতি করতে পারে না- এই বিখ্যাত উক্তিটি আমাদের অনেকেরই জানা। অমর একুশে বিপুলভাবে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়ার পর পরই স্মৃতিসৌধ বা শহীদ মিনারের অমর্যাদা করে আমরা আমাদের বীরদের প্রতি যে অশ্রদ্ধা প্রদর্শন করছি- কোনোভাবেই তা কাম্য নয়। সচেতনতা সৃষ্টি করে সামাজিকভাবেও এসব প্রতিরোধ করা দরকার। বিষয়টি সংসদেও আলোচিত এবং এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় বিধিবিধান রচিত হওয়া দরকার। রাষ্ট্র বা নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি সমাজকেও শহীদ মিনারের পবিত্রতা রক্ষায় এগিয়ে আসতে হবে।
মাঝেমধ্যেই পত্রিকায় সারা দেশের শহীদ মিনারগুলোর দুরবস্থা নিয়ে ছবি ছাপা হয়। গরু-ছাগল বেঁধে রাখা হয়। শহীদ বেদিতে এগুলো মলমূত্র ত্যাগ করে। সারা দেশের সেসব শহীদ মিনারের কথা না হয় বাদই দিলাম, যেখানে রফিক-জব্বার-বরকত-সালামরা বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছিলেন, সেই স্থানে গড়ে ওঠা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারটির মর্যাদা ধরে রাখার ক্ষমতাও কি আমাদের নেই! সভ্যতা-ভব্যতা-পারিবারিক শিক্ষাবর্জিত কিছু মানুষ সব সমাজেই কম-বেশি থাকে। ভাষার মর্যাদা, দেশের মর্যাদা, শহীদের মর্যাদা বোঝার ক্ষমতা তাদের থাকে না। এ জন্যই পৃথিবীর দেশে দেশে মর্যাদাপূর্ণ স্থানগুলোকে রক্ষার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়। আমাদের দেশে সেই ব্যবস্থাও নেই। কী জাতীয় স্মৃতিসৌধ, কী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার! তবে কি যাঁরা রাষ্ট্রক্ষমতায় আছেন, তাঁদেরও সেই মর্যাদা বোঝার ক্ষমতা নেই! কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের অভিভাবকত্ব করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এর কর্তৃত্বে যাঁরা আছেন তাঁরা শুধু শিক্ষিত নন, উচ্চশিক্ষিত- তাঁরাও কি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের মর্যাদা রক্ষার প্রয়োজন উপলব্ধি করেন না? এর সার্বক্ষণিক প্রহরায় দু-একজন লোক নিয়োগ করার ক্ষমতা কি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নেই। মূল বেদিটিতে একটি অস্থায়ী বেষ্টনী দেওয়া যেতে পারে। কিছু সতর্কীকরণ, নিষেধাজ্ঞা, অনুরোধমূলক ফলক লাগানো যেতে পারে। না, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এসবের কিছুই করেনি। তারাও দিনের পর দিন চরম উদাসীনতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছে। রাষ্ট্রীয়ভাবে গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে কিংবা অন্যান্য উপায়ে স্মৃতিসৌধ বা শহীদ মিনারের মর্যাদা রক্ষায় মানুষকে সচেতন করা যেতে পারে, রাষ্ট্রীয়ভাবে এসব স্থানের পবিত্রতা ও মর্যাদা রক্ষায় স্থায়ী উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে। অথচ রাষ্ট্রও এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ উদাসীন। কিন্তু কেন?
যে জাতি তার বীরদের শ্রদ্ধা জানাতে পারে না, সেই জাতি কখনো উন্নতি করতে পারে না- এই বিখ্যাত উক্তিটি আমাদের অনেকেরই জানা। অমর একুশে বিপুলভাবে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়ার পর পরই স্মৃতিসৌধ বা শহীদ মিনারের অমর্যাদা করে আমরা আমাদের বীরদের প্রতি যে অশ্রদ্ধা প্রদর্শন করছি- কোনোভাবেই তা কাম্য নয়। সচেতনতা সৃষ্টি করে সামাজিকভাবেও এসব প্রতিরোধ করা দরকার। বিষয়টি সংসদেও আলোচিত এবং এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় বিধিবিধান রচিত হওয়া দরকার। রাষ্ট্র বা নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি সমাজকেও শহীদ মিনারের পবিত্রতা রক্ষায় এগিয়ে আসতে হবে।
No comments