ঢাকা সিটি করপোরেশন-মে মাসের মধ্যে নির্বাচন রোববার সংসদে বিল

সিটি করপোরেশন নির্বাচনী আইন সংশোধন বিল আগামী রোববার সংসদে উত্থাপিত হচ্ছে। সংশোধনী প্রস্তাবে বলা হয়েছে, কোনো সিটি করপোরেশনকে ভাগ করে একাধিক করপোরেশন গঠন করা হলে, গঠনের ১৮০ দিনের মধ্যে সেই করপোরেশনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।


সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, ২৭ অথবা ২৮ ফেব্রুয়ারি বিলটি পাস হতে পারে। সে ক্ষেত্রে ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনে নির্বাচন অনুষ্ঠান-সংক্রান্ত আইনি জটিলতা দূর হবে। নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) আগামী মে মাসের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে।
সূত্র জানায়, স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) নির্বাচন আইন সংশোধনের এই বিল ১৬ ফেব্রুয়ারি সংসদে উত্থাপন করার কথা ছিল। কিন্তু সেদিন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রীর কেউ উপস্থিত না থাকায় বিলটি উত্থাপিত হয়নি। তবে মন্ত্রণালয় থেকে সংসদ সচিবালয়কে জানানো হয়েছে, রোববার স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সংসদে উপস্থিত থাকবেন। সে অনুযায়ী সংসদ সচিবালয় বিলটি রোববারের নির্ধারিত কার্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সরকার গত ২৯ নভেম্বর ঢাকা সিটি করপোরেশনকে দুই ভাগ করে আইন পাস করে। সংশোধনীতে বলা হয়, কোনো সিটি করপোরেশনকে ভাগ করে একাধিক করপোরেশন গঠন করা হলে, করপোরেশন গঠনের ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ আইন গেজেট আকারে প্রকাশিত হয় ১ ডিসেম্বর। এই হিসাবে ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে নির্বাচন করার কথা। সে অনুযায়ী ৪ ডিসেম্বর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের অনুরোধ জানিয়ে ইসিকে চিঠি দেয়। কিন্তু নিজেদের মেয়াদে নির্বাচন অনুষ্ঠানের সুযোগ না থাকায় আগের কমিশন ডিসিসিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানে অসম্মতি জানায়।
এ কারণে সরকার ৯০ দিনের পরিবর্তে ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিধান করে আইন সংশোধনের সিদ্ধান্ত নেয়।
নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে নির্বাচন কমিশনার আবু হাফিজ প্রথম আলোকে বলেন, ইসি এখনো ঢাকার দুই সিটির নির্বাচন নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। আইন পাস হলে যথাসময়ে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে ইসি সচিবালয় সূত্র জানায়, আগামী মে মাসের মধ্যে নির্বাচন করার মতো সব প্রস্তুতি তাদের রয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.