বইয়ের মেলা প্রাণের মেলা-এখনই বই কেনার সময় by আলীম আজিজ
রোদ ছিল, বিকেলে ধুলোও উড়েছে, কিন্তু তাতে পাঠক-ক্রেতার সমাগমে কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি। অন্যবারের মতো এবারও ধারণা করা হয়েছিল, একুশের দিন পেরিয়ে যাওয়া মানেই মেলায় ভাটার টান পড়া। কিন্তু গতকালও মেলায় ভিড় ছিল যথেষ্ট। এবং এটা প্রকাশকদের সেই কাঙ্ক্ষিত পয়মন্ত ভিড়,যে ভিড়ে ক্রেতারা আসেন, যাঁরা শুধু ঘুরে বেড়ায় আর আড্ডা দেয়, তাঁরা আসেন না।
অমর একুশে ফেব্রুয়ারির দিনটির জন্য অনেক প্রকাশক চেয়ে থাকেন, বরাবর ওই দিন জনসমাগম হয় বেশি এবং সঙ্গে তুমুল বেচাবিক্রি হয়। কিন্তু কয়েকজন প্রকাশকের সঙ্গে কাছে এবার হতাশার কথা শুনেছি। একুশের দিন বিকেলের পর বই বিক্রি প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছিল। এ সময়ে যাঁরা এসেছেন তাঁরা প্রকৃত অর্থেই ছিল মেলা-দর্শনার্থী, বইয়ের ক্রেতা নন। সেই দৃশ্যের বদল ঘটেছে গতকাল। মেলায় কাল তাঁদের আগমন ঘটেছে, যাঁরা তালিকা হাতে খুঁজে খুঁজে বই কেনেন।
তালিকা হাতে যে ক্রেতা বই কিনতে আসেন, তিনিই তো মেলার প্রকৃত ক্রেতা। কাল স্টলে স্টলে এই ক্রেতারা তালিকা মিলিয়ে তাঁদের কাঙ্ক্ষিত বইগুলো কিনেছেন।
কাজেই, যদি বলা হয় মেলার শেষ দিকেই আসেন বইয়ের আসল সমঝদার ক্রেতা, তাহলে এ কথা তো বলাই যায়, বই কেনা সবে শুরু। এখনই তো বই কেনার আসল সময়। অনাহূত ভিড়ভাট্টার বালাই নেই, নির্ঝঞ্ঝাটে বই কেনো—যত খুশি।
বইমেলার একটি অতিপরিচিত দৃশ্য এবার অনুপস্থিত। আগে মেলায় হুমায়ূন আহমেদকে ঘিরে অটোগ্রাফ শিকারিদের যে ভিড় ছিল, এবার তা অপসৃত। তিনি ক্যানসার চিকিৎসার জন্য মেলা থেকে বহুদূরে, আমেরিকায়। তাঁর অভাব অনুভূত হচ্ছে মেলাজুড়ে। মুহম্মদ জাফর ইকবাল মেলায় এক-দুই দিন এলে পাঠক হামলে পড়ে তাঁর ওপর; এর বাইরে যা কিছু ভিড় আনিসুল হককে ঘিরে। তাঁর যারা ভোর এনেছিল—অসামান্য এই বই কেনার পর লেখকের অটোগ্রাফ যেন মিলছে বাড়তি পাওনা হিসেবে।
মেলার শেষ দিকে এসেও অহেতুক ভিড় করা দর্শকশ্রেণীর আগমন কমে গেছে ঠিক, কিন্তু ছোট পরিসরে মেলা আয়োজিত হওয়ায় কম দর্শকেও মনে হয় মেলা ভরে গেছে। আগে পুকুরপাড়ের পুরোটায় স্টল থাকত, এখন মাত্র পুকুরের এক দিকের কোণে। মেলার ভেতরে ঢুকতে না-ঢুকতে শেষ মাথায় এসে ঠোক্কর খেতে হয়। এই অপরিসর জায়গা থেকে মেলা দুই দিন আগে-পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠ কিংবা পাশের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে সংশ্লিষ্ট করে আয়োজন করতে হবে। এবার এমনিতেই চলমান এসএসসি পরীক্ষা, স্টেডিয়ামে-টিভিতে চলা বিপিএলের কারণে অনেকেই মেলা থেকে দূরে; যানজটের কথা চিন্তা করেও অনেকে মেলামুখো হন না, তার পরও মেলায় ঠাসাঠাসি অবস্থা। কারণ, অল্প জায়গায় অনেক বেশি স্টল। এদিকটা নিয়ে সব পক্ষের মতৈক্যে পৌঁছানো জরুরি।
এবারের মেলায় আরেকটা দৃশ্য দেখা যাচ্ছে, যা খানিকটা অস্বস্তির। মূল মেলায় ঢোকার আগে টিএসসি থেকে শুরু হওয়া রাস্তার দুই পাশে কাচের বাক্স সাজিয়ে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে অসংখ্য ছেলেমেয়ে সাহায্য তুলছে। এ রকম দৃশ্য অন্যবারের মেলায় চোখে পড়েনি এত বেশি মাত্রায়। এর কী বিহিত হবে?
এ ছাড়া এই রাস্তার দুই পাশে ফুটপাতজুড়ে যেভাবে ওপারের লেখকদের টেনিদা, ফেলুদা, ঘনাদা আর শার্লক হোমসের পাইরেটেড বই বিক্রি হচ্ছে, তা খুবই দৃষ্টিকটু। মেলা কর্তৃপক্ষের এদিকেও নজর দেওয়া প্রয়োজন।
তালিকা হাতে যে ক্রেতা বই কিনতে আসেন, তিনিই তো মেলার প্রকৃত ক্রেতা। কাল স্টলে স্টলে এই ক্রেতারা তালিকা মিলিয়ে তাঁদের কাঙ্ক্ষিত বইগুলো কিনেছেন।
কাজেই, যদি বলা হয় মেলার শেষ দিকেই আসেন বইয়ের আসল সমঝদার ক্রেতা, তাহলে এ কথা তো বলাই যায়, বই কেনা সবে শুরু। এখনই তো বই কেনার আসল সময়। অনাহূত ভিড়ভাট্টার বালাই নেই, নির্ঝঞ্ঝাটে বই কেনো—যত খুশি।
বইমেলার একটি অতিপরিচিত দৃশ্য এবার অনুপস্থিত। আগে মেলায় হুমায়ূন আহমেদকে ঘিরে অটোগ্রাফ শিকারিদের যে ভিড় ছিল, এবার তা অপসৃত। তিনি ক্যানসার চিকিৎসার জন্য মেলা থেকে বহুদূরে, আমেরিকায়। তাঁর অভাব অনুভূত হচ্ছে মেলাজুড়ে। মুহম্মদ জাফর ইকবাল মেলায় এক-দুই দিন এলে পাঠক হামলে পড়ে তাঁর ওপর; এর বাইরে যা কিছু ভিড় আনিসুল হককে ঘিরে। তাঁর যারা ভোর এনেছিল—অসামান্য এই বই কেনার পর লেখকের অটোগ্রাফ যেন মিলছে বাড়তি পাওনা হিসেবে।
মেলার শেষ দিকে এসেও অহেতুক ভিড় করা দর্শকশ্রেণীর আগমন কমে গেছে ঠিক, কিন্তু ছোট পরিসরে মেলা আয়োজিত হওয়ায় কম দর্শকেও মনে হয় মেলা ভরে গেছে। আগে পুকুরপাড়ের পুরোটায় স্টল থাকত, এখন মাত্র পুকুরের এক দিকের কোণে। মেলার ভেতরে ঢুকতে না-ঢুকতে শেষ মাথায় এসে ঠোক্কর খেতে হয়। এই অপরিসর জায়গা থেকে মেলা দুই দিন আগে-পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠ কিংবা পাশের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে সংশ্লিষ্ট করে আয়োজন করতে হবে। এবার এমনিতেই চলমান এসএসসি পরীক্ষা, স্টেডিয়ামে-টিভিতে চলা বিপিএলের কারণে অনেকেই মেলা থেকে দূরে; যানজটের কথা চিন্তা করেও অনেকে মেলামুখো হন না, তার পরও মেলায় ঠাসাঠাসি অবস্থা। কারণ, অল্প জায়গায় অনেক বেশি স্টল। এদিকটা নিয়ে সব পক্ষের মতৈক্যে পৌঁছানো জরুরি।
এবারের মেলায় আরেকটা দৃশ্য দেখা যাচ্ছে, যা খানিকটা অস্বস্তির। মূল মেলায় ঢোকার আগে টিএসসি থেকে শুরু হওয়া রাস্তার দুই পাশে কাচের বাক্স সাজিয়ে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে অসংখ্য ছেলেমেয়ে সাহায্য তুলছে। এ রকম দৃশ্য অন্যবারের মেলায় চোখে পড়েনি এত বেশি মাত্রায়। এর কী বিহিত হবে?
এ ছাড়া এই রাস্তার দুই পাশে ফুটপাতজুড়ে যেভাবে ওপারের লেখকদের টেনিদা, ফেলুদা, ঘনাদা আর শার্লক হোমসের পাইরেটেড বই বিক্রি হচ্ছে, তা খুবই দৃষ্টিকটু। মেলা কর্তৃপক্ষের এদিকেও নজর দেওয়া প্রয়োজন।
No comments