জবরদস্তি রাজনৈতিক সংঘাত বাড়াবে-হরতালে পুলিশ ও সরকারি দল
যাঁরা হরতাল ডাকেন, তাঁরা সাধারণত হরতালের ডাক দিয়ে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত সাড়ার অপেক্ষায় বসে থাকেন না। হরতাল সফল করার উদ্দেশ্যে তাঁরা ‘পিকেটিং’ করেন: জঙ্গি মিছিল, যানবাহন ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, পথচারীদের চলাচলে বাধাবিঘ্ন সৃষ্টি করা। একধরনের ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করে তাঁরা দেখাতে চান যে হরতাল সফল হয়েছে।
কিন্তু বৃহস্পতিবার বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর ডাকা বৃহস্পতিবারের হরতালে এসব প্রবণতা খুব বেশি লক্ষ করা যায়নি। হরতাল সফল করার কাজে বিএনপি-জামায়াত সেদিন ছিল মোটের ওপর নিষ্ক্রিয়। ঢাকার রাজপথে দল দুটির নেতা-কর্মীদের উপস্থিতি ছিল নগণ্য। তবে ঢাকার বাইরে কয়েকটি স্থানে হরতাল-সমর্থকেরা কিছু যানবাহন ভাঙচুর করেছেন। অন্যদিকে হরতালের বিরুদ্ধে বেশ সক্রিয়তা লক্ষ করা গেছে সরকারি দল আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠনগুলোর কর্মী-সমর্থকদের। যশোরে বোমা ফাটিয়ে, ফাঁকা গুলি ছুড়ে ত্রাস সৃষ্টি করেছেন ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা; তাঁরা যশোরের মেয়র ও স্থানীয় বিএনপির সভাপতিকে প্রহারও করেছেন। এর প্রতিবাদে বিএনপি আজ শনিবার যশোরে আধা বেলা হরতাল ডেকেছে।
সক্রিয়তা দেখিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও: বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে ঢাকায় ২০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর পুলিশ। ভ্রাম্যমাণ আদালত তাঁদের একজনকে এক বছর ও দুজনকে দুই মাস করে কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন। ঢাকার বাইরে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বিএনপি-জামায়াতের ৫৮ জন নেতা-কর্মীকে। তাঁদের মধ্যেও সাতজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সরকারি দলের নেতা-কর্মী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হরতাল দমনের উদ্দেশ্যে যে জবরদস্তি করেছে, তা সমর্থনযোগ্য নয়। বলপ্রয়োগের অভিযোগে যদি হরতালের বিরোধিতা করা ও নিন্দা করা হয়, তাহলে বৃহস্পতিবারের হরতালে পুলিশ ও সরকারি দলের নেতা-কর্মীরা যা করেছেন, তা নিন্দনীয় হবে না কেন? কয়েকটি সংবাদপত্রে হরতাল-সমর্থক এক যুবকের বুকের ওপর পুলিশের এক সদস্যের বুট তুলে দেওয়ার যে ছবি ছাপা হয়েছে, তেমন দৃশ্য কেবল স্বৈরতান্ত্রিক দেশেই দেখা যায়। তা ছাড়া, ভ্রাম্যমাণ আদালত নামিয়ে গ্রেপ্তার করা, হরতাল-সমর্থকদের তা ৎক্ষণিকভাবে বিচার করে দণ্ড দেওয়াও আইনের শাসনের পরিপন্থী। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ওপর দমন-পীড়ন রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে যেমন উত্তপ্ত করবে, তেমনি দেশকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দেবে।
যশোরের মানুষ যে আবারও আধা বেলার হরতালের শিকার হলো, এর দায় সেখানকার ছাত্রলীগ-যুবলীগের সেই নেতা-কর্মীদের, যাঁরা বৃহস্পতিবারের হরতালে সহিংস আচরণ করেছেন। তাঁদের কারও কারও ছবি ছাপা হয়েছে অস্ত্র হাতে। সরকারের উচিত তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া। আর একজন হরতাল-সমর্থকের বুকের ওপর যে পুলিশ সদস্য পা তুলে দিয়েছেন, যে ছবি ছাপা হয়েছে বেশ কয়েকটি সংবাদপত্রের প্রথম পাতায়, তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। এ ধরনের দু-একজন পুলিশ সদস্যই সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য যথেষ্ট।
বিরোধী দলের গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রাম সরকারকে মোকাবিলা করতে হবে রাজনৈতিকভাবে, গণতান্ত্রিক পন্থায়—দলীয় ঠ্যাঙারে বাহিনী দিয়ে বা আইনের অপব্যবহার করে নয়।
সক্রিয়তা দেখিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও: বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে ঢাকায় ২০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর পুলিশ। ভ্রাম্যমাণ আদালত তাঁদের একজনকে এক বছর ও দুজনকে দুই মাস করে কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন। ঢাকার বাইরে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বিএনপি-জামায়াতের ৫৮ জন নেতা-কর্মীকে। তাঁদের মধ্যেও সাতজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সরকারি দলের নেতা-কর্মী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হরতাল দমনের উদ্দেশ্যে যে জবরদস্তি করেছে, তা সমর্থনযোগ্য নয়। বলপ্রয়োগের অভিযোগে যদি হরতালের বিরোধিতা করা ও নিন্দা করা হয়, তাহলে বৃহস্পতিবারের হরতালে পুলিশ ও সরকারি দলের নেতা-কর্মীরা যা করেছেন, তা নিন্দনীয় হবে না কেন? কয়েকটি সংবাদপত্রে হরতাল-সমর্থক এক যুবকের বুকের ওপর পুলিশের এক সদস্যের বুট তুলে দেওয়ার যে ছবি ছাপা হয়েছে, তেমন দৃশ্য কেবল স্বৈরতান্ত্রিক দেশেই দেখা যায়। তা ছাড়া, ভ্রাম্যমাণ আদালত নামিয়ে গ্রেপ্তার করা, হরতাল-সমর্থকদের তা ৎক্ষণিকভাবে বিচার করে দণ্ড দেওয়াও আইনের শাসনের পরিপন্থী। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ওপর দমন-পীড়ন রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে যেমন উত্তপ্ত করবে, তেমনি দেশকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দেবে।
যশোরের মানুষ যে আবারও আধা বেলার হরতালের শিকার হলো, এর দায় সেখানকার ছাত্রলীগ-যুবলীগের সেই নেতা-কর্মীদের, যাঁরা বৃহস্পতিবারের হরতালে সহিংস আচরণ করেছেন। তাঁদের কারও কারও ছবি ছাপা হয়েছে অস্ত্র হাতে। সরকারের উচিত তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া। আর একজন হরতাল-সমর্থকের বুকের ওপর যে পুলিশ সদস্য পা তুলে দিয়েছেন, যে ছবি ছাপা হয়েছে বেশ কয়েকটি সংবাদপত্রের প্রথম পাতায়, তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। এ ধরনের দু-একজন পুলিশ সদস্যই সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য যথেষ্ট।
বিরোধী দলের গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রাম সরকারকে মোকাবিলা করতে হবে রাজনৈতিকভাবে, গণতান্ত্রিক পন্থায়—দলীয় ঠ্যাঙারে বাহিনী দিয়ে বা আইনের অপব্যবহার করে নয়।
No comments