দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তি নিশ্চিত করুন-পুলিশের গাফিলতি
ঢাকার অদূরে আমিনবাজারে শবে বরাতের রাতে ছয় ছাত্র হত্যার ঘটনায় গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি পুলিশের গাফিলতিকে দায়ী করেছে। নিহত ছাত্ররা কেউ ডাকাত ছিল বা তারা কোনো অপরাধমূলক কাজে জড়িত ছিল, তারও প্রমাণ নেই। গণপিটুনিতে আহত তরুণের জবানবন্দি অনুযায়ী তারা পুলিশের সহায়তা চেয়েও পায়নি। পুলিশ সদস্যদের কাজ যেখানে উচ্ছৃঙ্খল মানুষকে নিবৃত্ত করা, সেখানে তাঁরা গণপিটুনিতে সহায়তা করেছেন।
এটি কেবল অনৈতিক নয়, অমানবিকও। দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালন যেখানে পুলিশের কর্তব্য হওয়া উচিত, সেখানে তাদের বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়তে দেখা যাচ্ছে। কিছুদিন আগে পুলিশ নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে কিশোর মিলনকে জনতার মাঝে ছুড়ে দিয়েছিল পিটিয়ে মেরে ফেলার জন্য। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত একটি প্রশিক্ষিত বাহিনীর সদস্যরা কেন এভাবে বেআইনি কাজে লিপ্ত হবেন?
এই ঘটনা কী প্রমাণ করে? সরকারে নীতিনির্ধারকদের মুখে এত দিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যে ভূয়সী প্রশংসা শোনা গিয়েছিল, তার কোনো প্রতিফলন তাদের কাজে আছে বলে মনে হয় না। যারা সব দোষ পূর্ববর্তী সরকারের ওপর চাপিয়ে দায় এড়াতে চান, তাঁরা কী বলবেন এখন? আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পেশাগত দক্ষতা বাড়াতে হলে নৈতিক মান ও মূল্যবোধের উন্নয়ন যেমন প্রয়োজন, তেমনি তাদের কাজে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপও বন্ধ করা জরুরি। দলীয় সন্ত্রাসকে প্রশ্রয় দিলে আইনশৃঙ্খলার উন্নয়ন কখনোই সম্ভব নয়।
অপরাধ করার পরও প্রকৃত অপরাধীকে সদর্পে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। পুলিশ এদের পাকড়াও করতে না পারলেও গণপিটুনিতে ছাত্র কিংবা কিশোর হত্যায় উ ৎ সাহ দিয়েছে। অনুমানের ওপর ভিত্তি করে কারও মৃত্যুদণ্ড নিশ্চয়ই বিচারবুদ্ধিসম্পন্ন কেউ চাইবেন না।
গণপিটুনিতে হত্যা আইনের শাসনের প্রতি জনগণের আস্থাহীনতারই লক্ষণ। মনে রাখা দরকার, হত্যা ও গণপিটুনি একই মানসগঠন থেকে আসে। গণপিটুনিতে হত্যার মধ্য দিয়েই হয়তো কোনো অপরাধী তার অপরাধের প্রথম সবক নেয়।
বিচারবহির্ভূত হত্যা যখন রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতা পায়, তখন সমাজের মানুষও উ ৎ সাহ পায় আইন নিজের হাতে তুলে নিতে। কোনো সুস্থ-স্বাভাবিক গণতান্ত্রিক সমাজে এ ধরনের বিপজ্জনক প্রবণতা গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের নানা অপকর্মের খবর আসে, অথচ তাঁদের বিচার হয় কমই।
বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি আমিনবাজারে ছয় ছাত্র হত্যার ঘটনায় যেসব পুলিশ সদস্যকে দায়িত্বে অবহেলার জন্য চিহ্নিত করেছে, তাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি আইনি ব্যবস্থাও নিতে হবে। অপরাধের সহযোগীদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীতে থাকার অধিকার নেই। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের পর এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি—তিনি হোন পুলিশ বাহিনীর সদস্য বা গ্রামবাসী, তাঁদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রতি জনসাধারণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে এর বিকল্প নেই।
এই ঘটনা কী প্রমাণ করে? সরকারে নীতিনির্ধারকদের মুখে এত দিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যে ভূয়সী প্রশংসা শোনা গিয়েছিল, তার কোনো প্রতিফলন তাদের কাজে আছে বলে মনে হয় না। যারা সব দোষ পূর্ববর্তী সরকারের ওপর চাপিয়ে দায় এড়াতে চান, তাঁরা কী বলবেন এখন? আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পেশাগত দক্ষতা বাড়াতে হলে নৈতিক মান ও মূল্যবোধের উন্নয়ন যেমন প্রয়োজন, তেমনি তাদের কাজে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপও বন্ধ করা জরুরি। দলীয় সন্ত্রাসকে প্রশ্রয় দিলে আইনশৃঙ্খলার উন্নয়ন কখনোই সম্ভব নয়।
অপরাধ করার পরও প্রকৃত অপরাধীকে সদর্পে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। পুলিশ এদের পাকড়াও করতে না পারলেও গণপিটুনিতে ছাত্র কিংবা কিশোর হত্যায় উ ৎ সাহ দিয়েছে। অনুমানের ওপর ভিত্তি করে কারও মৃত্যুদণ্ড নিশ্চয়ই বিচারবুদ্ধিসম্পন্ন কেউ চাইবেন না।
গণপিটুনিতে হত্যা আইনের শাসনের প্রতি জনগণের আস্থাহীনতারই লক্ষণ। মনে রাখা দরকার, হত্যা ও গণপিটুনি একই মানসগঠন থেকে আসে। গণপিটুনিতে হত্যার মধ্য দিয়েই হয়তো কোনো অপরাধী তার অপরাধের প্রথম সবক নেয়।
বিচারবহির্ভূত হত্যা যখন রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতা পায়, তখন সমাজের মানুষও উ ৎ সাহ পায় আইন নিজের হাতে তুলে নিতে। কোনো সুস্থ-স্বাভাবিক গণতান্ত্রিক সমাজে এ ধরনের বিপজ্জনক প্রবণতা গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের নানা অপকর্মের খবর আসে, অথচ তাঁদের বিচার হয় কমই।
বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি আমিনবাজারে ছয় ছাত্র হত্যার ঘটনায় যেসব পুলিশ সদস্যকে দায়িত্বে অবহেলার জন্য চিহ্নিত করেছে, তাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি আইনি ব্যবস্থাও নিতে হবে। অপরাধের সহযোগীদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীতে থাকার অধিকার নেই। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের পর এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি—তিনি হোন পুলিশ বাহিনীর সদস্য বা গ্রামবাসী, তাঁদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রতি জনসাধারণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে এর বিকল্প নেই।
No comments