রস+আলো সম্পর্কে বিখ্যাতদের অভিযোগ
রস+আলো সম্পর্কে এত দিন শুধু সাধারণ পাঠক-লেখকেরা বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ করেছেন। এবার চুপ রইলেন না বিখ্যাতরাও। প্রিয় রম্য ম্যাগাজিন নিয়ে তাঁদের বেশ কিছু অভিযোগ এবার প্রকাশ পাচ্ছে সরাসরি রস+আলোতেই।
কল্পনাতে এই অভিযোগগুলো সংগ্রহ করেছেন নাসিফ চৌধুরী
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
আমি সর্বদাই রস+আলোর সাফল্য কামনা করি। তবে এই রম্য ক্রোড়পত্রের প্রতি আমার কিঞ্চিৎ অভিযোগ রহিয়াছে। মূল বিষয় হইতেছে যে রস+আলোর বিভিন্ন সংখ্যার ‘চিরায়ত রস’ বিভাগে আমার বেশ কয়েকটি লেখা ছাপা হইয়াছে। ইহা দেখিয়া আমি যারপরনাই খুশি হইয়াছি। শুনিয়াছি, রস+আলোতে লিখিলে চা-নাশতার খরচ হিসাবে কিঞ্চিৎ সম্মানীর ব্যবস্থা করা হয়। দুঃখের বিষয়, এখন পর্যন্ত আমি রস+আলো হইতে কোনো বিল বা সম্মানী পাই নাই! বিষয়টি কর্তৃপক্ষ বরাবরই অবহেলার দৃষ্টিতে দেখিয়াছে বলিয়া আমার ধারণা। বিল না দিলেও দূরালাপনের মাধ্যমে সম্পাদক সাহেব অন্তত একখানা ধন্যবাদ জ্ঞাপন করিতে পারিতেন। সেই সৌজন্যবোধটাও তিনি পালন করেন নাই। বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক।
কাজী নজরুল ইসলাম
দেশ ও জাতি আজ সংকটময় পরিস্থিতিতে দিশাহীন। কান্ডারি আজ পথভ্রষ্ট। যে রস+আলো দিয়ে যেত আমাদের আলোর দিশা, আজ তারাও দিগ্ভ্রান্ত পথিকের ন্যায়। মনেপ্রাণে নব-উদ্দীপনা জাগরণের খেয়ালে যখন রস+আলো পড়তে বসি, তখন চোখে পড়ে শুধু পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা বিজ্ঞাপনের বিভীষিকা। এসব দুই নম্বরি কাজকারবার দেখে প্রতিনিয়ত আমার মনপ্রাণ ক্ষোভে বিদ্রোহী হয়ে ওঠে, তখন আমার ইচ্ছা হয় কাঁচা বাঁশের শীর্ষস্থান দিয়ে সম্পাদক সাহেবের মস্তকের শীর্ষস্থানে একবার সর্বশক্তিতে আঘাত করি।
নিউটন
রস+আলো আমার খুবই ভালো লাগে। বিজ্ঞান নিয়ে ভাবতে ভাবতে যখন মাথায় জট লেগে যায়, তখন আমি রস+আলো পড়তে বসি। কিন্তু ‘রস+আলো’ নামটা নিয়ে ইদানীং আমি বেশ চিন্তায় পড়ে গেছি। কারণ, রস ও আলো দুটি সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়। ভেবে কূলকিনারা করতে পারছি না যে এদের মধ্যে মিলকরণ কীভাবে সম্ভব। এখানে রস থেকে আলোর উৎপত্তি হচ্ছে, নাকি আলো থেকে রস বের হচ্ছে—ব্যাপারটা কর্তৃপক্ষের পরিষ্কার করা উচিত। এ ধরনের একটা নামকরণের মাধ্যমে পৃথিবীবাসীকে কেন অযথা দ্বিধাদ্বন্দ্বের মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়েছে, সেটা আমার বোধগম্য হচ্ছে না।
আলাদিনের দৈত্য
সাধারণ মানুষ মনে করে, কুপির ভেতরের জীবন হয়তো খুব আনন্দের। আসলে কিন্তু ব্যাপারটা ভুল। কুপির ভেতরে আমাদের বিনোদনের তেমন কোনো ব্যবস্থা নেই। রস+আলো পড়েই আমাদের বেশির ভাগ সময় কাটাতে হয়। আমি যখন রস+আলো পড়া নিয়ে ব্যস্ত থাকি, তখন কোনোভাবেই কুপি থেকে বের হই না। আগে রস+আলো পড়ে শেষ করতে অনেক সময় লাগত। দু-একবার আমার মনিব বিপদে পড়ে আমাকে ডেকে বের করার জন্য কুপিতে ঘষতে ঘষতে হাতের চামড়া তুলে ফেলেছেন, কিন্তু আমি বের হইনি। অথচ এখন রস+আলো খুব দ্রুত পড়ে শেষ করা যায়। এর ফলে কুপির ভেতরে বাকিটা সময় কোনো কাজ থাকে না। বিষয়টা কর্তৃপক্ষের ভেবে দেখার জন্য অনুরোধ রইল।
শার্লক হোমস
রস+আলোর কয়েকটি সংখ্যা মনোযোগ দিয়ে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পড়ে দেখলাম। দেখে অবাক হলাম, বেশ কয়েকজন লেখক প্রায় একই ধরনের লেখা লিখেছেন! যেমন—কোন গানের জন্য কোন কোড নম্বর কোন নম্বরে এসএমএস করে পাঠাতে হবে। সবচেয়ে আশ্চর্যজনক বিষয় হচ্ছে, একই লেখা একাধিক সংখ্যায় হুবহু প্রকাশিত হয়েছে। বিষয়টি অনেকের চোখ এড়িয়ে গেলেও আমার চোখ এড়ায়নি। সবচেয়ে দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে, এই লেখাগুলো পড়ে আমি একটুও মজা পাইনি। রস+আলোর এই দিকগুলোর ব্যাপারে সম্পাদক সাহেবের দ্রুত নজর দেওয়া উচিত।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
আমি সর্বদাই রস+আলোর সাফল্য কামনা করি। তবে এই রম্য ক্রোড়পত্রের প্রতি আমার কিঞ্চিৎ অভিযোগ রহিয়াছে। মূল বিষয় হইতেছে যে রস+আলোর বিভিন্ন সংখ্যার ‘চিরায়ত রস’ বিভাগে আমার বেশ কয়েকটি লেখা ছাপা হইয়াছে। ইহা দেখিয়া আমি যারপরনাই খুশি হইয়াছি। শুনিয়াছি, রস+আলোতে লিখিলে চা-নাশতার খরচ হিসাবে কিঞ্চিৎ সম্মানীর ব্যবস্থা করা হয়। দুঃখের বিষয়, এখন পর্যন্ত আমি রস+আলো হইতে কোনো বিল বা সম্মানী পাই নাই! বিষয়টি কর্তৃপক্ষ বরাবরই অবহেলার দৃষ্টিতে দেখিয়াছে বলিয়া আমার ধারণা। বিল না দিলেও দূরালাপনের মাধ্যমে সম্পাদক সাহেব অন্তত একখানা ধন্যবাদ জ্ঞাপন করিতে পারিতেন। সেই সৌজন্যবোধটাও তিনি পালন করেন নাই। বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক।
কাজী নজরুল ইসলাম
দেশ ও জাতি আজ সংকটময় পরিস্থিতিতে দিশাহীন। কান্ডারি আজ পথভ্রষ্ট। যে রস+আলো দিয়ে যেত আমাদের আলোর দিশা, আজ তারাও দিগ্ভ্রান্ত পথিকের ন্যায়। মনেপ্রাণে নব-উদ্দীপনা জাগরণের খেয়ালে যখন রস+আলো পড়তে বসি, তখন চোখে পড়ে শুধু পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা বিজ্ঞাপনের বিভীষিকা। এসব দুই নম্বরি কাজকারবার দেখে প্রতিনিয়ত আমার মনপ্রাণ ক্ষোভে বিদ্রোহী হয়ে ওঠে, তখন আমার ইচ্ছা হয় কাঁচা বাঁশের শীর্ষস্থান দিয়ে সম্পাদক সাহেবের মস্তকের শীর্ষস্থানে একবার সর্বশক্তিতে আঘাত করি।
নিউটন
রস+আলো আমার খুবই ভালো লাগে। বিজ্ঞান নিয়ে ভাবতে ভাবতে যখন মাথায় জট লেগে যায়, তখন আমি রস+আলো পড়তে বসি। কিন্তু ‘রস+আলো’ নামটা নিয়ে ইদানীং আমি বেশ চিন্তায় পড়ে গেছি। কারণ, রস ও আলো দুটি সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়। ভেবে কূলকিনারা করতে পারছি না যে এদের মধ্যে মিলকরণ কীভাবে সম্ভব। এখানে রস থেকে আলোর উৎপত্তি হচ্ছে, নাকি আলো থেকে রস বের হচ্ছে—ব্যাপারটা কর্তৃপক্ষের পরিষ্কার করা উচিত। এ ধরনের একটা নামকরণের মাধ্যমে পৃথিবীবাসীকে কেন অযথা দ্বিধাদ্বন্দ্বের মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়েছে, সেটা আমার বোধগম্য হচ্ছে না।
আলাদিনের দৈত্য
সাধারণ মানুষ মনে করে, কুপির ভেতরের জীবন হয়তো খুব আনন্দের। আসলে কিন্তু ব্যাপারটা ভুল। কুপির ভেতরে আমাদের বিনোদনের তেমন কোনো ব্যবস্থা নেই। রস+আলো পড়েই আমাদের বেশির ভাগ সময় কাটাতে হয়। আমি যখন রস+আলো পড়া নিয়ে ব্যস্ত থাকি, তখন কোনোভাবেই কুপি থেকে বের হই না। আগে রস+আলো পড়ে শেষ করতে অনেক সময় লাগত। দু-একবার আমার মনিব বিপদে পড়ে আমাকে ডেকে বের করার জন্য কুপিতে ঘষতে ঘষতে হাতের চামড়া তুলে ফেলেছেন, কিন্তু আমি বের হইনি। অথচ এখন রস+আলো খুব দ্রুত পড়ে শেষ করা যায়। এর ফলে কুপির ভেতরে বাকিটা সময় কোনো কাজ থাকে না। বিষয়টা কর্তৃপক্ষের ভেবে দেখার জন্য অনুরোধ রইল।
শার্লক হোমস
রস+আলোর কয়েকটি সংখ্যা মনোযোগ দিয়ে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পড়ে দেখলাম। দেখে অবাক হলাম, বেশ কয়েকজন লেখক প্রায় একই ধরনের লেখা লিখেছেন! যেমন—কোন গানের জন্য কোন কোড নম্বর কোন নম্বরে এসএমএস করে পাঠাতে হবে। সবচেয়ে আশ্চর্যজনক বিষয় হচ্ছে, একই লেখা একাধিক সংখ্যায় হুবহু প্রকাশিত হয়েছে। বিষয়টি অনেকের চোখ এড়িয়ে গেলেও আমার চোখ এড়ায়নি। সবচেয়ে দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে, এই লেখাগুলো পড়ে আমি একটুও মজা পাইনি। রস+আলোর এই দিকগুলোর ব্যাপারে সম্পাদক সাহেবের দ্রুত নজর দেওয়া উচিত।
No comments