শীর্ষ তিনে খুলনাও by তারেক মাহমুদ
মোহাম্মদ আশরাফুল আর শিবনারায়ণ চন্দরপলের পার্থক্যটাই কি গড়ে দিল খুলনা রয়েল বেঙ্গলসের সঙ্গে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরসের পার্থক্য? চন্দরপল ৪৯ বলে অপরাজিত ৮৭ রান করে খুলনাকে ম্যাচ জিতিয়েই ছেড়েছেন মাঠ। তার আগে আশরাফুল করেছেন ৪২ বলে ৫৩।
এর সঙ্গে যদি খেলা শেষে মাশরাফি বিন মুর্তজার বলা কথাটা জুড়ে দেওয়া যায়, ঢাকার ৭ উইকেটে হারের কারণ তো চন্দরপলের গতির চেয়ে আশরাফুলের পিছিয়ে থাকাই!
ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরসের অধিনায়ক মাশরাফি ম্যাচ শেষে ১৫-২০ রান কম হওয়ার আফসোস করলেন। মাশরাফি সরাসরি দায় না দিলেও আশরাফুলের দুর্ভাগ্য, আফসোসের দায়টা নিতে হচ্ছে তাঁকেই।
ইমরান নাজিরের সঙ্গে উদ্বোধন করতে নেমে আশরাফুল আউট হয়েছেন ইনিংস শেষ হওয়ার মাত্র ৯ বল বাকি থাকতে। তার আগে এক ছক্কা ও চার বাউন্ডারিতে ৪২ বলে ৫৩, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট আর ব্যাটসম্যান আশরাফুলের চরিত্রের সঙ্গে বেমানানই ছিল। স্ট্রাইক রেটটা আরও বাড়াতে পারতেন শেষ পর্যন্ত থাকতে পারলে। তাতে মাশরাফির ১৫-২০ রানের আফসোসটাও হয়তো থাকত না। কিন্তু ডোয়াইন স্মিথকে পর পর দুই বলে স্কুপে বাউন্ডারি মারার পর তৃতীয় বলে মারতে গেলেন রিভার্স স্কুপ। শর্ট থার্ড ম্যানে বল গিয়ে জমা পড়ল নাজমুল হোসেন মিলনের হাতে। ঢাকার জেতার মতো একটা স্কোর করার স্বপ্নও শেষ হয়ে গেল তাতেই।
ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই শফিউল ইমরান নাজিরকে ফিরিয়ে দেওয়ার পর আজহার মেহমুদের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে ৫৫ রানের জুটি হয়েছিল আশরাফুলের, আজহারেরই তাতে ৩৩। ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরসের ইনিংস ১৪০ রানেই আটকে যাওয়ার একটা কারণ হতে পারে আজহারের রানআউটও। সুইপার কাভারে বল পাঠিয়েছিলেন আজহার। স্মিথ প্রথম চেষ্টায় বল ধরতে পারেননি বলে নিতে গেলেন দ্বিতীয় রান। কিন্তু আশরাফুল সাড়া না দেওয়ায় রানআউটের ভাগ্যই বরণ করতে হয়েছে পাকিস্তানি অলরাউন্ডারকে।
এক ছক্কা ও ১১ বাউন্ডারিতে সাজানো চন্দরপলের অপরাজিত ৮৭ পানির মতো সহজ করে দিয়েছে খুলনা রয়েল বেঙ্গলসের জয়। তবে খেলা শেষে চন্দরপল কৃতিত্ব দিয়েছেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকেও। ১৫ রানের মধ্যে জয়াসুরিয়া আর স্মিথকে হারানোর পর তৃতীয় উইকেটে ৯৪ রানের জুটি হয়েছে দুজনের। ২০ বল বাকি থাকতেই খুলনার প্রত্যাশিত জয়ের দেখা পেয়ে যাওয়া সে সুবাদেই।
ছয় ম্যাচের চারটিই জিতে পয়েন্ট তালিকার তিন শীর্ষ দলের মধ্যেই আছে সাকিবের খুলনা রয়েল বেঙ্গলস। ৮ পয়েন্ট করে পাওয়া বাকি দুই দল চিটাগং কিংস ও দুরন্ত রাজশাহী। কাল জিতলে এই তালিকায় খুলনার পরিবর্তে থাকতে পারত ঢাকাই। সেটা না হওয়ায় ৬ ম্যাচে তাদের পয়েন্টও ৬। পয়েন্ট তালিকার এই চিত্র মাশরাফির কপালে এঁকে দিচ্ছে চিন্তার রেখা, ‘সেমিফাইনালে যাওয়া একটু কঠিন হয়ে গেল আমাদের জন্য। তবে আরও চারটা ম্যাচ আছে, শেষ চারে যেতে হলে পরের ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়াতে হবে। নয়তো কাজটা আরও কঠিন হয়ে যাবে।’
ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস: ২০ ওভারে ১৪০/৮ (আশরাফুল ৫৩, আজহার ৩৩, আনামুল ১৫, পোলার্ড ১০; জয়াসুরিয়া ২/২৫, রাজ্জাক ১/১৭, রাসেল ১/২১, শফিউল ১/২৩, স্মিথ ১/২৬, সাকিব ১/২৭)। খুলনা রয়েল বেঙ্গলস: ১৬.৪ ওভারে ১৪১/৩ (চন্দরপল ৮৭*, সাকিব ৩৯, জয়াসুরিয়া ১০; আজহার ১/১২, মোশাররফ ১/১৯, মাশরাফি ১/২২)।
ফল: খুলনা রয়েল বেঙ্গলস ৭ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: শিবনারায়ণ চন্দরপল।ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরসের অধিনায়ক মাশরাফি ম্যাচ শেষে ১৫-২০ রান কম হওয়ার আফসোস করলেন। মাশরাফি সরাসরি দায় না দিলেও আশরাফুলের দুর্ভাগ্য, আফসোসের দায়টা নিতে হচ্ছে তাঁকেই।
ইমরান নাজিরের সঙ্গে উদ্বোধন করতে নেমে আশরাফুল আউট হয়েছেন ইনিংস শেষ হওয়ার মাত্র ৯ বল বাকি থাকতে। তার আগে এক ছক্কা ও চার বাউন্ডারিতে ৪২ বলে ৫৩, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট আর ব্যাটসম্যান আশরাফুলের চরিত্রের সঙ্গে বেমানানই ছিল। স্ট্রাইক রেটটা আরও বাড়াতে পারতেন শেষ পর্যন্ত থাকতে পারলে। তাতে মাশরাফির ১৫-২০ রানের আফসোসটাও হয়তো থাকত না। কিন্তু ডোয়াইন স্মিথকে পর পর দুই বলে স্কুপে বাউন্ডারি মারার পর তৃতীয় বলে মারতে গেলেন রিভার্স স্কুপ। শর্ট থার্ড ম্যানে বল গিয়ে জমা পড়ল নাজমুল হোসেন মিলনের হাতে। ঢাকার জেতার মতো একটা স্কোর করার স্বপ্নও শেষ হয়ে গেল তাতেই।
ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই শফিউল ইমরান নাজিরকে ফিরিয়ে দেওয়ার পর আজহার মেহমুদের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে ৫৫ রানের জুটি হয়েছিল আশরাফুলের, আজহারেরই তাতে ৩৩। ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরসের ইনিংস ১৪০ রানেই আটকে যাওয়ার একটা কারণ হতে পারে আজহারের রানআউটও। সুইপার কাভারে বল পাঠিয়েছিলেন আজহার। স্মিথ প্রথম চেষ্টায় বল ধরতে পারেননি বলে নিতে গেলেন দ্বিতীয় রান। কিন্তু আশরাফুল সাড়া না দেওয়ায় রানআউটের ভাগ্যই বরণ করতে হয়েছে পাকিস্তানি অলরাউন্ডারকে।
এক ছক্কা ও ১১ বাউন্ডারিতে সাজানো চন্দরপলের অপরাজিত ৮৭ পানির মতো সহজ করে দিয়েছে খুলনা রয়েল বেঙ্গলসের জয়। তবে খেলা শেষে চন্দরপল কৃতিত্ব দিয়েছেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকেও। ১৫ রানের মধ্যে জয়াসুরিয়া আর স্মিথকে হারানোর পর তৃতীয় উইকেটে ৯৪ রানের জুটি হয়েছে দুজনের। ২০ বল বাকি থাকতেই খুলনার প্রত্যাশিত জয়ের দেখা পেয়ে যাওয়া সে সুবাদেই।
ছয় ম্যাচের চারটিই জিতে পয়েন্ট তালিকার তিন শীর্ষ দলের মধ্যেই আছে সাকিবের খুলনা রয়েল বেঙ্গলস। ৮ পয়েন্ট করে পাওয়া বাকি দুই দল চিটাগং কিংস ও দুরন্ত রাজশাহী। কাল জিতলে এই তালিকায় খুলনার পরিবর্তে থাকতে পারত ঢাকাই। সেটা না হওয়ায় ৬ ম্যাচে তাদের পয়েন্টও ৬। পয়েন্ট তালিকার এই চিত্র মাশরাফির কপালে এঁকে দিচ্ছে চিন্তার রেখা, ‘সেমিফাইনালে যাওয়া একটু কঠিন হয়ে গেল আমাদের জন্য। তবে আরও চারটা ম্যাচ আছে, শেষ চারে যেতে হলে পরের ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়াতে হবে। নয়তো কাজটা আরও কঠিন হয়ে যাবে।’
ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস: ২০ ওভারে ১৪০/৮ (আশরাফুল ৫৩, আজহার ৩৩, আনামুল ১৫, পোলার্ড ১০; জয়াসুরিয়া ২/২৫, রাজ্জাক ১/১৭, রাসেল ১/২১, শফিউল ১/২৩, স্মিথ ১/২৬, সাকিব ১/২৭)। খুলনা রয়েল বেঙ্গলস: ১৬.৪ ওভারে ১৪১/৩ (চন্দরপল ৮৭*, সাকিব ৩৯, জয়াসুরিয়া ১০; আজহার ১/১২, মোশাররফ ১/১৯, মাশরাফি ১/২২)।
ফল: খুলনা রয়েল বেঙ্গলস ৭ উইকেটে জয়ী।
No comments