এমন জনপ্রতিনিধি লইয়া জনগণ কী করিবে!’-জনগণের, না নিজের সেবা?
জনপ্রতিনিধিরা নির্বাচিত হন কেন—জনগণের, না নিজের সেবার জন্য? খুলনার ডুমুরিয়া এলাকার লোকজনের কাছে অন্তত এর উত্তর হচ্ছে, নিজের সেবার জন্য। সেখানকার স্থানীয় সাংসদ তদবির করে সরকারি অর্থ বরাদ্দ করিয়েছেন একটি রাস্তা নির্মাণের জন্য, সেই রাস্তার নির্মাণকাজও শুরু হয়েছে, এতে সেখানকার লোকজনের খুশি হওয়ারই কথা।
কিন্তু রাস্তাটি যদি নিজের ইটভাটায় যাওয়ার জন্য তৈরি হয়? লোকজনের স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া হচ্ছে, ‘জনপ্রতিনিধিরা মানুষের উপকার করবেন। কিন্তু তাঁরা দেখেন নিজের স্বার্থ। দরকারি রাস্তা পাকা হয় না, পাকা হয় সাংসদের ইটভাটার রাস্তা।’
জনবসতির মধ্যে ইটভাটা করার নিয়ম নেই, কিন্তু সাংসদ বলে কথা! ডুমুরিয়া-ফুলতলা আসনের জনপ্রতিনিধি নারায়ণচন্দ্র চন্দ জনগণের মতামত উপেক্ষা করেই ডুমুরিয়া উপজেলার ভদ্রদিয়া মল্লিকপাড়ায় গড়ে তুললেন এক ইটভাটা। সাংসদের দেখানো এই পথের ১০০ গজের মধ্যে গড়ে উঠল আরও দুটি ইটভাটা। কিন্তু রাস্তা ছাড়া এই ইটভাটার ব্যবসা চলবে কীভাবে? ‘অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে গুরুত্বপূর্ণ পল্লি অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প’ নামে একটি প্রকল্প রয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের। চেষ্টা-তদবির করে এই প্রকল্পের আওতায় নিজের ইটভাটায় যাওয়ার রাস্তাটি তৈরির সব ব্যবস্থা করলেন তিনি। বরাদ্দ হলো ৩৪ লাখ টাকা, যে রাস্তাটি নির্মাণ করা হচ্ছে এই অর্থ দিয়ে, সেটির শেষ গন্তব্য হচ্ছে সাংসদের ইটভাটা।
এমন অভিযোগ সাংসদ অস্বীকার করবেন, এটাই স্বাভাবিক। তিনি করেছেনও। বলেছেন, ‘এই সড়কটি দিয়ে জনসাধারণও চলাচল করে।’ খুবই সত্যি কথা। কিন্তু কতজন চলাচল করে এই পথ দিয়ে? কাছাকাছি এর চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ সড়ক রয়ে গেছে, যা পাকা হয়নি। ৪০ হাজার মানুষ উপকৃত হবে এমন রাস্তা বাদ দিয়ে ‘অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে গুরুত্বপূর্ণ পল্লি অবকাঠামো’ হিসেবে তৈরি হওয়া এই রাস্তায় বড়জোর উপকার পাবে শ পাঁচেক মানুষ। তবে সাংসদের ইটভাটার কাজে আসবে যে রাস্তা, তার চেয়ে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ পল্লি অবকাঠামো আর কী হতে পারে! ‘এমন জনপ্রতিনিধি লইয়া জনগণ কী করিবে!’
জনবসতির মধ্যে ইটভাটা করার নিয়ম নেই, কিন্তু সাংসদ বলে কথা! ডুমুরিয়া-ফুলতলা আসনের জনপ্রতিনিধি নারায়ণচন্দ্র চন্দ জনগণের মতামত উপেক্ষা করেই ডুমুরিয়া উপজেলার ভদ্রদিয়া মল্লিকপাড়ায় গড়ে তুললেন এক ইটভাটা। সাংসদের দেখানো এই পথের ১০০ গজের মধ্যে গড়ে উঠল আরও দুটি ইটভাটা। কিন্তু রাস্তা ছাড়া এই ইটভাটার ব্যবসা চলবে কীভাবে? ‘অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে গুরুত্বপূর্ণ পল্লি অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প’ নামে একটি প্রকল্প রয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের। চেষ্টা-তদবির করে এই প্রকল্পের আওতায় নিজের ইটভাটায় যাওয়ার রাস্তাটি তৈরির সব ব্যবস্থা করলেন তিনি। বরাদ্দ হলো ৩৪ লাখ টাকা, যে রাস্তাটি নির্মাণ করা হচ্ছে এই অর্থ দিয়ে, সেটির শেষ গন্তব্য হচ্ছে সাংসদের ইটভাটা।
এমন অভিযোগ সাংসদ অস্বীকার করবেন, এটাই স্বাভাবিক। তিনি করেছেনও। বলেছেন, ‘এই সড়কটি দিয়ে জনসাধারণও চলাচল করে।’ খুবই সত্যি কথা। কিন্তু কতজন চলাচল করে এই পথ দিয়ে? কাছাকাছি এর চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ সড়ক রয়ে গেছে, যা পাকা হয়নি। ৪০ হাজার মানুষ উপকৃত হবে এমন রাস্তা বাদ দিয়ে ‘অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে গুরুত্বপূর্ণ পল্লি অবকাঠামো’ হিসেবে তৈরি হওয়া এই রাস্তায় বড়জোর উপকার পাবে শ পাঁচেক মানুষ। তবে সাংসদের ইটভাটার কাজে আসবে যে রাস্তা, তার চেয়ে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ পল্লি অবকাঠামো আর কী হতে পারে! ‘এমন জনপ্রতিনিধি লইয়া জনগণ কী করিবে!’
No comments