ঈশ্বরগঞ্জের মৃৎশিল্প বিপর্যয়ের মুখে by সোহরাব পাশা
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্প অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। অর্থনৈতিক দুরবস্থা তথা পুঁজির অভাব এবং মাটির তৈরি তৈজসপত্রের চাহিদা ও কদর কমে যাওয়াসহ নানা কারণে প্রাচীন এই শিল্প সংকটে পড়েছে বলে জানান মৃৎশিল্পীরা।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরের আঠারবাড়ির দিঘলিয়া গ্রামে অনেক দিন আগে গড়ে ওঠা পালপাড়ায় এখন আর রমরমা অবস্থা ও কর্মচাঞ্চল্য নেই। অথচ একসময় এখানেই পালদের শৈল্পিক হাতের ছোঁয়ায় তৈরি হতো বিভিন্ন ধরনের দৃষ্টিনন্দন তৈজসপত্র।
পালপাড়ার মৃৎশিল্পী সুনিল পাল জানান, বহু বছর ধরে তাঁরা এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত। আগের মতো তাঁদের তৈরি তৈজসপত্রের কদর এখন আর নেই। অর্থনৈতিক সমস্যার কারণে এখন এই পেশায় সম্পৃক্ত থেকে সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। যে কারণে অনেকেই ইতিমধ্যে মূলধন হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছেন।
ওই এলাকার বাসন্তী রানী পাল জানান, অর্থনৈতিক নানা সমস্যার কারণে অনেকেই এ পেশা ছেড়ে দিয়ে অন্য পেশায় চলে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। তিনি বলেন, মূলধনের অভাব মেটাতে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) থেকে ঋণ পাওয়া গেলেও তারা চড়া সুদ নেয়। পণ্য বিক্রি কম হওয়ায় ঋণ নিয়ে পোষানো যায় না। এ অবস্থায় মৃৎশিল্পীরা অভাব-অনটনে পড়ে পৈতৃক পেশাটি ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন।
মৃৎশিল্পীরা অবশ্য স্বীকার করেন যে কাচ, প্লাস্টিক, মেলামিন, দস্তা, স্টেইনলেস স্টিল ও অ্যালুমিনিয়ামের তৈজসপত্র তুলনামূলক সহজলভ্য ও টেকসই হওয়ার কারণে মাটির তৈরি পণ্যসামগ্রীর চাহিদা দিন দিন কমছে।
তবে মৃৎশিল্পীরা দাবি করেন, সরকারিভাবে যদি সহজ শর্তে ঋণ পাওয়া যেত, তবে দেশের প্রাচীন এ শিল্পকে টিকিয়ে রাখা সম্ভব হতো। পাশাপাশি এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত পালরাও স্বাভাবিকভাবে জীবন চালাতে পারতেন।
পালপাড়ার মৃৎশিল্পী সুনিল পাল জানান, বহু বছর ধরে তাঁরা এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত। আগের মতো তাঁদের তৈরি তৈজসপত্রের কদর এখন আর নেই। অর্থনৈতিক সমস্যার কারণে এখন এই পেশায় সম্পৃক্ত থেকে সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। যে কারণে অনেকেই ইতিমধ্যে মূলধন হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছেন।
ওই এলাকার বাসন্তী রানী পাল জানান, অর্থনৈতিক নানা সমস্যার কারণে অনেকেই এ পেশা ছেড়ে দিয়ে অন্য পেশায় চলে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। তিনি বলেন, মূলধনের অভাব মেটাতে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) থেকে ঋণ পাওয়া গেলেও তারা চড়া সুদ নেয়। পণ্য বিক্রি কম হওয়ায় ঋণ নিয়ে পোষানো যায় না। এ অবস্থায় মৃৎশিল্পীরা অভাব-অনটনে পড়ে পৈতৃক পেশাটি ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন।
মৃৎশিল্পীরা অবশ্য স্বীকার করেন যে কাচ, প্লাস্টিক, মেলামিন, দস্তা, স্টেইনলেস স্টিল ও অ্যালুমিনিয়ামের তৈজসপত্র তুলনামূলক সহজলভ্য ও টেকসই হওয়ার কারণে মাটির তৈরি পণ্যসামগ্রীর চাহিদা দিন দিন কমছে।
তবে মৃৎশিল্পীরা দাবি করেন, সরকারিভাবে যদি সহজ শর্তে ঋণ পাওয়া যেত, তবে দেশের প্রাচীন এ শিল্পকে টিকিয়ে রাখা সম্ভব হতো। পাশাপাশি এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত পালরাও স্বাভাবিকভাবে জীবন চালাতে পারতেন।
No comments