মূল্যসূচক নিম্নমুখী কমেছে লেনদেন

দরপতন দিয়ে দেশের শেয়ারবাজারে আরেকটি সপ্তাহের লেনদেন শুরু হয়েছে। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে গতকাল রোববার দুই বাজারেই মূল্যসূচক কমেছে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাধারণ মূল্যসূচক প্রায় ৪৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে চার হাজার ২১৪ পয়েন্টে।


অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক কমেছে প্রায় ১৩৮ পয়েন্ট।
বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মতে, গতকাল বাজারে যে দরপতন ঘটেছে, তাতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। সমসাময়িক কিছু বক্তব্য ও খবরের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এ দরপতন ঘটেছে।
যোগাযোগ করা হলে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সভাপতি মোহাম্মদ এ হাফিজ প্রথম আলোকে বলেন, দরপতন হলেও রোববারের বাজার আচরণে ইতিবাচক দিকও ছিল। শেয়ারের দাম কমার সঙ্গে সঙ্গে বিক্রির চাপও কমেছে। এতে বোঝা যাচ্ছে, বেশির ভাগ বিনিয়োগকারীই আর লোকসানে শেয়ার বিক্রি করতে চাইছেন না। শেয়ার ধরে রাখছেন। এতে করে লেনদেন কমে গেছে।
হাফিজ আরও বলেন, ‘তালিকাভুক্ত অনেক কোম্পানির, বিশেষ করে ব্যাংকিং খাতের কোম্পানিগুলো লভ্যাংশ ঘোষণা করতে শুরু করেছে। বেশ কয়েকটি কোম্পানি এরই মধ্যে ঘোষণা দিয়েছে, বাকিগুলোর ঘোষণাও ধারাবাহিকভাবে আসবে। যেসব কোম্পানি লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে, তাদের বেশির ভাগই ভালো লভ্যাংশের ঘোষণা দিয়েছে। এ ছাড়া তালিকাভুক্ত কোম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালকদের ন্যূনতম শেয়ারধারণে বেঁধে দেওয়া সময়ও ফুরিয়ে আসছে।’
তাই ভবিষ্যতে বাজারে শেয়ারের চাহিদা ধীরে ধীরে বাড়বে বলে মনে করেন বিএমবিএর সভাপতি।
গতকাল মূল্যসূচকের পাশাপাশি লেনদেনও কমেছে। দিন শেষে রোববার ঢাকার বাজারে প্রায় ২১৩ কোটি টাকার লেনদেন হয়, যা আগের দিনের চেয়ে ৬১ কোটি টাকা কম। এদিন ডিএসইতে ২৫৪টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়। এর মধ্যে প্রায় ৬৯ শতাংশ বা ১৭৬টির দাম কমেছে, বেড়েছে ৬২টির আর অপরিবর্তিত ছিল ১৬টি শেয়ারের দাম।
চট্টগ্রামের বাজারে গতকাল ১৬৮টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়। এর মধ্যে ১২৯টি বা ৭৭ শতাংশের দাম কমেছে, বেড়েছে ৩৬টির আর অপরিবর্তিত ছিল তিনটি শেয়ারের দাম। দিন শেষে সিএসইতে প্রায় ২৯ কোটি টাকার লেনদেন হয়, যা আগের দিনের চেয়ে ১১ কোটি টাকা কম।

No comments

Powered by Blogger.