আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে দ্রুততম সেঞ্চুরি ও সবচেয়ে বেশি ছক্কার রেকর্ড-হ্যামিল্টনে লেভি-ঝড়
যেন বিনয়ের অবতার। ‘বিস্ফোরক ইনিংস...প্রথম ফিফটিতে অফ সাইডে মাত্র একটা সিঙ্গেল’—ম্যাচ শেষে ধারাভাষ্যকার সাইমন ডুলের এই কথা শুনে রিচার্ড লেভি যেভাবে তাকালেন, যেটার মানে একটাই, ‘বড় ভুল হয়ে গেছে!’ নিচের দিকে তাকিয়ে লাজুক হাসিতে বললেন, ‘জানতাম না একটাই সিঙ্গেল...স্যরি..!’
কে বলবে, এই লোকটাই একটু আগে ব্যাট হাতে এমন ঝড় তুলেছেন, ওলটপালট করে দিয়েছেন টি-টোয়েন্টির রেকর্ড বই!
অফ সাইডে একটি, অন সাইডে ৫টি সিঙ্গেল, সঙ্গে ৬টি ছয়, ২টি চার—প্রথম ফিফটি ২৫ বলে। পরের ফিফটিতে বল লাগল আর ৫টি কম আর মাত্র একটিই চার, কিন্তু ছক্কা আরও ৬টি। সেঞ্চুরির পর আরও দুটি চার ও একটি ছয়—সব মিলিয়ে ৫১ বলে অপরাজিত ১১৭। যৌথভাবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির সর্বোচ্চ স্কোর। টি-টোয়েন্টির প্রথম সেঞ্চুরিতে ক্রিস গেইলও করেছিলেন ১১৭। এই একটা রেকর্ডই যৌথ, শুধুই তাঁর এমন রেকর্ডের সংখ্যাও কম নয়। ৪৫ বলে ছুঁয়েছেন সেঞ্চুরি, দ্রুততম সেঞ্চুরির আগের রেকর্ডটি ছিল যৌথভাবে ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ও গেইলের (৫০ বলে)। ১৩টি ছয় মেরেছেন, আগের সর্বোচ্চ ছিল গেইলের ১০ ছয়। বাউন্ডারি থেকে রান করেছেন ৯৮, আগের সর্বোচ্চ ৯৬ (১২ চার, ৮ ছয়) ছিল ম্যাককালামের।
যাঁরা ভাবছেন, ‘এই লেভিটা আবার কে?’, তাঁদের জন্য তথ্য, ২৪ বছর বয়সী ওপেনার কাল খেলতে নেমেছিলেন মাত্রই দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক ম্যাচ। ঘরোয়া ক্রিকেটেও রেকর্ড এমন সমৃদ্ধ নয়। টি-টোয়েন্টিতে আগের সর্বোচ্চ ছিল ৬৮। দক্ষিণ আফ্রিকার টি-টোয়েন্টি দলে জায়গা মিলেছিল ১৪২ স্ট্রাইক রেটের জন্য। সিরিজের আগে একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে ৬৩ করেছিলেন ৩২ বলে। কাল তো চমকে দিলেন পুরো ক্রিকেট বিশ্বকেই। সেডন পার্ক বিশ্বের সবচেয়ে ছোটো মাঠগুলোর একটি, কিন্তু এই বিবেচনাতেও লেভির ইনিংসকে খাটো করার সুযোগ নেই। ছয়গুলোর বেশির ভাগই যে গেল গ্যালারিতে! ওয়েবসাইট।
এমন ইনিংসের ম্যাচে জয়-পরাজয়টা আড়ালে পড়ে যায় স্বাভাবিকভাবেই। ছোট মাঠ আর নিষ্প্রাণ উইকেটেও ১৭৪ খুব সহজ লক্ষ্য নয়। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকা জিতে গেল ২৪ বল আগেই, সিরিজে ফিরল সমতা (১-১)। তৃতীয় উইকেটে লেভি-ডি ভিলিয়ার্সের অবিচ্ছিন্ন ১৩৩ রানের জুটি এসেছে ৭০ বলে, মাত্র ৪৫ মিনিটে!
সংক্ষিপ্ত স্কোর
নিউজিল্যান্ড: ২০ ওভারে ১৭৩/৪ (নিকোল ২৩, গাপটিল ৪৭, ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ৩৫, উইলিয়ামসন ২৮*, ফ্রাঙ্কলিন ২৮, গ্র্যান্ডহোম ৩*, বোথা ১/২২, মরনে মরকেল ১/৩৮, ডি ল্যাঙ্গে ১/৪৩); দক্ষিণ আফ্রিকা: ১৬ ওভারে ১৭৪/২ (লেভি ১১৭*, আমলা ২, পারনেল ৪, ডি ভিলিয়ার্স ৩৯*, নিকোল ১/১০, নাথান ম্যাককালাম ১/১৮)।
ফল: দক্ষিণ আফ্রিকা ৮ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: রিচার্ড লেভি।
অফ সাইডে একটি, অন সাইডে ৫টি সিঙ্গেল, সঙ্গে ৬টি ছয়, ২টি চার—প্রথম ফিফটি ২৫ বলে। পরের ফিফটিতে বল লাগল আর ৫টি কম আর মাত্র একটিই চার, কিন্তু ছক্কা আরও ৬টি। সেঞ্চুরির পর আরও দুটি চার ও একটি ছয়—সব মিলিয়ে ৫১ বলে অপরাজিত ১১৭। যৌথভাবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির সর্বোচ্চ স্কোর। টি-টোয়েন্টির প্রথম সেঞ্চুরিতে ক্রিস গেইলও করেছিলেন ১১৭। এই একটা রেকর্ডই যৌথ, শুধুই তাঁর এমন রেকর্ডের সংখ্যাও কম নয়। ৪৫ বলে ছুঁয়েছেন সেঞ্চুরি, দ্রুততম সেঞ্চুরির আগের রেকর্ডটি ছিল যৌথভাবে ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ও গেইলের (৫০ বলে)। ১৩টি ছয় মেরেছেন, আগের সর্বোচ্চ ছিল গেইলের ১০ ছয়। বাউন্ডারি থেকে রান করেছেন ৯৮, আগের সর্বোচ্চ ৯৬ (১২ চার, ৮ ছয়) ছিল ম্যাককালামের।
যাঁরা ভাবছেন, ‘এই লেভিটা আবার কে?’, তাঁদের জন্য তথ্য, ২৪ বছর বয়সী ওপেনার কাল খেলতে নেমেছিলেন মাত্রই দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক ম্যাচ। ঘরোয়া ক্রিকেটেও রেকর্ড এমন সমৃদ্ধ নয়। টি-টোয়েন্টিতে আগের সর্বোচ্চ ছিল ৬৮। দক্ষিণ আফ্রিকার টি-টোয়েন্টি দলে জায়গা মিলেছিল ১৪২ স্ট্রাইক রেটের জন্য। সিরিজের আগে একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে ৬৩ করেছিলেন ৩২ বলে। কাল তো চমকে দিলেন পুরো ক্রিকেট বিশ্বকেই। সেডন পার্ক বিশ্বের সবচেয়ে ছোটো মাঠগুলোর একটি, কিন্তু এই বিবেচনাতেও লেভির ইনিংসকে খাটো করার সুযোগ নেই। ছয়গুলোর বেশির ভাগই যে গেল গ্যালারিতে! ওয়েবসাইট।
এমন ইনিংসের ম্যাচে জয়-পরাজয়টা আড়ালে পড়ে যায় স্বাভাবিকভাবেই। ছোট মাঠ আর নিষ্প্রাণ উইকেটেও ১৭৪ খুব সহজ লক্ষ্য নয়। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকা জিতে গেল ২৪ বল আগেই, সিরিজে ফিরল সমতা (১-১)। তৃতীয় উইকেটে লেভি-ডি ভিলিয়ার্সের অবিচ্ছিন্ন ১৩৩ রানের জুটি এসেছে ৭০ বলে, মাত্র ৪৫ মিনিটে!
সংক্ষিপ্ত স্কোর
নিউজিল্যান্ড: ২০ ওভারে ১৭৩/৪ (নিকোল ২৩, গাপটিল ৪৭, ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ৩৫, উইলিয়ামসন ২৮*, ফ্রাঙ্কলিন ২৮, গ্র্যান্ডহোম ৩*, বোথা ১/২২, মরনে মরকেল ১/৩৮, ডি ল্যাঙ্গে ১/৪৩); দক্ষিণ আফ্রিকা: ১৬ ওভারে ১৭৪/২ (লেভি ১১৭*, আমলা ২, পারনেল ৪, ডি ভিলিয়ার্স ৩৯*, নিকোল ১/১০, নাথান ম্যাককালাম ১/১৮)।
ফল: দক্ষিণ আফ্রিকা ৮ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: রিচার্ড লেভি।
No comments