প্রযুক্তি বাজার-দ্রুত বড় হও, নইলে দ্রুত মারা যাও by জাকারিয়া স্বপন
একসময়ের সবচেয়ে বড় তথ্যপ্রযুক্তির কোম্পানি হিউলেট প্যাকার্ড (এইচপি) মাত্র ৪৮ দিনের মাথায় তাদের নতুন ট্যাবলেট পণ্য ‘টাচপ্যাড’ বন্ধ করে দিল। বর্তমান সময়ে অ্যাপলের আইপ্যাডের বিশাল সাফল্যের ফলে সবাই ঝাঁপিয়ে পড়েছে এই মার্কেটে। সেই সঙ্গে এইচপিও।
কিন্তু অ্যাপলের সঙ্গে প্রতিযোগিতা তো অনেক দূরের কথা, যাত্রা শুরু হওয়ার সাত সপ্তাহের মধ্যেই তাদের এটি বন্ধ করার ঘোষণা দিতে হয়েছে। গত বছর মাইক্রোসফটও এমন একটি কাজ করতে বাধ্য হয়েছিল। তারা তাদের ‘কিন’ মোবাইল ফোনটিও ঠিক ৪৮ দিনের মাথায় বন্ধ করে দিয়েছিল।
বর্তমান সময়ের হাইটেক কোম্পানিগুলো নতুন একধরনের মার্কেটিং কৌশল নিয়েছে। তারা খুব দ্রুত পণ্যটির বিস্তার ঘটাতে চাইছে। এর ভেতর দিয়ে তারা মূলত তাদের ক্ষতিটাকে কমিয়ে নিয়ে আসে। যদি একটি পণ্যকে দীর্ঘদিন বাজারে রাখতে হয়, এবং সেটা মুনাফা করার আগ পর্যন্ত যে ক্ষতিটুকু হবে, সেটাকে নিজের পকেট থেকে দিয়ে যেতে হয়। আজকাল সেটা আর করা হচ্ছে না। তারা যদি বুঝতে পারে, এই পণ্যটির ভবিষ্য ৎ ভালো নয়, কিংবা অনেক সময় লেগে যাবে এটাকে বাজারজাত করতে, তাহলে ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে আনার জন্য জন্মের পরপরই ওটাকে মেরে ফেলা হয়। গত বছর গুগলও এমন একটি কাজ করেছিল। ২০১০ সালের মে মাসে খুব ঘটা করে তারা ঘোষণা করল নতুন একটি প্ল্যাটফর্ম, যার নাম ছিল ‘ওয়েব’। সারা দুনিয়ার হাজার হাজার ডেভেলপার অংশগ্রহণ করেছিল এই প্রযুক্তিতে। কিন্তু মাত্র ৭৭ দিনের মাথায় গুগল সেটাকে মেরে ফেলে।
আবার ২০০৭ সালের মে মাসে পাম (যাদের এইচপি কিনে নিয়েছিল) নামের কোম্পানি তাদের প্রথম ট্যাবলেট ‘ফলিও’ নামে ঘোষণা দেয়। কিন্তু সেপ্টেম্বর মাসেই সেই পণ্যের উন্নতিসাধন বন্ধ হয়ে যায়; এবং সেই পণ্যের মুখ কখনোই কেউ দেখেনি।
এই হাইটেক কোম্পানিগুলোর প্রকৃতি অনেকটা যেন হলিউডের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির মতো দাঁড়িয়ে গেছে। সিনেমার প্রতিটি রিলিজ যেমন হতে হয় নতুনত্বে ভরা, প্রযুক্তিনির্ভর পণ্যগুলোও যেন তা-ই। বিশেষ করে মোবাইল, ট্যাবলেট ইত্যাদি প্রতিযোগিতাপূর্ণ পণ্যগুলোর বিভিন্ন রিলিজও হতে হবে স্বতন্ত্র। হলিউডের মুভি যেমন প্রথম সপ্তাহেই বুঝে ফেলে কেমন ব্যবসা হবে, এই পণ্যগুলোও যেন তা-ই। দিনের শুরুটাই যেন বলে দেবে, বাকি দিনটা কেমন যাবে।
২০০৫ সালের একটা ঘটনা বলি। মাইক্রোসফট তখন রিলিজ করল গেম খেলার যন্ত্র ‘এক্সবক্স-৩৬০’। পণ্যটি খুব একটা নির্ভরযোগ্য তো ছিলই না, তার ওপর ভীষণ প্রতিযোগিতার মধ্যে পড়তে হয়েছিল নিন্টেন্ডো নামের আরেকটি বিখ্যাত গেম প্রস্তুতকারী কোম্পানির পণ্যের সঙ্গে। কিন্তু মাইক্রোসফট হাল ছাড়ল না। তারা সেটাকে আরও উন্নত করার চেষ্টা করল। এবং বিগত দিনগুলোতে মাইক্রোসফট ওটাকে এতই ভালো করে ফেলল যে, বর্তমানে সেটা বিশ্বের সবচেয়ে বৃহ ৎ গেমিং কনসোল। মূলত এটাই ছিল হাইটেক কোম্পানিগুলোর প্রকৃতি। আপনারা যাঁরা প্রথমদিকে মাইক্রোসফট উইন্ডোজ ব্যবহার করেছেন; আর আজকের উইন্ডোজ ব্যবহার করছেন, তাঁরা পার্থক্যটি নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন। কিন্তু বছর দুয়েক ধরে সেই দর্শন থেকে সরে আসছে হাইটেক কোম্পানিগুলো।
আর এর জন্য মূলত সবাই দায়ী করে অ্যাপলকে। অ্যাপল তাদের আইফোন ও আইপ্যাড—এ দুটো পণ্যের নতুন নতুন ভার্সনে এমন সব চমক নিয়ে এসেছে যে, অন্য কোম্পানিগুলোকেও সেই রাস্তায় নামতে হচ্ছে। নিজেই নিজের পণ্য মেরে ফেলে নতুন পণ্য নিয়ে হাজির হচ্ছে।
এর একটি বড় কারণ হলো খবর ও ব্লগাররা। এখন প্রতিটি মিডিয়া ফলাও করে হাইটেক পণ্যের খবর ছাপে; আর ব্লগাররা তো রাত-দিন বসেই আছে কিছু একটা লেখার জন্য—সেটা ভালো হোক আর খারাপই হোক। ফলে পণ্যটি বাজারে আসার আগেই সেটার চৌদ্দগুষ্ঠি উদ্ধার করে ফেলছে এই মিডিয়া। মানুষ জেনে যাচ্ছে, কোন পণ্যে কী সমস্যা রয়েছে; আর কোথায় কোন ঘাটতি রয়েছে; পাশাপাশি কোন প্রডাক্টে রয়েছে ‘কুল’ ফ্যাক্টর। এর ফলে নতুন পণ্যগুলোকে পড়তে হচ্ছে অনেক বেশি চ্যালেঞ্জের মুখে। এর ফলে খুব তাড়াতাড়িই আপনি জেনে যাচ্ছেন, পণ্যটি ভালো করবে, নাকি খারাপ করবে। চলচ্চিত্রশিল্পে যেমন ছবির পর্যালোচনা বের হয়, আর সেটার ওপর ভিত্তি করে দর্শকেরা ছবি দেখতে যায়; এই গেজেট কেনার সময়ও একই সূত্র কাজে লাগতে শুরু করেছে। আর একবার যদি কোনো পণ্য তার গতি হারিয়ে ফেলে, তাহলে আর সেটা ফিরে পাওয়া খুবই কঠিন, প্রায় অসম্ভব।
এর ফলে নতুন আরেকটি সমস্যাও তৈরি হয়েছে। আজকাল ক্রেতাদের মধ্যেও একধরনের প্রতিযোগিতা তৈরি হয়েছে। নতুন পণ্যটি পাওয়ার জন্য ক্রেতারা হুমড়ি খেয়ে পড়ছে। কিন্তু কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই যদি আবার সেই পণ্যটি বন্ধ হয়ে যায়, তখন সেই কোম্পানির ওপর গ্রাহকদের বিশ্বাস ছুটে যায়। তারপর কোম্পানিটি যতবারই সেই ধরনের পণ্য বানাতে যাবে, ক্রেতারা আর হুমড়ি খেয়ে পড়বে না। ফলে অনেক বড় কোম্পানিরও এতে ধস নামতে পারে, যেমনটি হতে যাচ্ছে এইচপির জীবনে। তারা এখন পুরো পিসি শিল্প থেকেই হাত গুটিয়ে নিচ্ছে।
কয়েক বছর আগেও হাইটেক পণ্যের জীবনচক্র ছিল অনেক লম্বা। কিন্তু প্রচণ্ড প্রতিযোগিতার কারণে সেই জীবনচক্র এসে ঠেকেছে মাত্র ছয় মাসের মাথায়। এমনকি, আপনার কোনো পণ্য যদি খুব সফলও হয়, তার অর্থ এই নয় যে আপনি একটু নিশ্চিন্তে থাকবেন; আর মনে মনে ভাবছেন, যাক, এটা তো ব্লক-ব্লাস্টার হিট করেছে। আপনার সেই শান্তি আর নেই। মাত্র ছয় মাসের মাথায় দেখবেন, নতুন কোনো পণ্য এসে আপনার সব সাফল্য ধুয়েমুছে নিয়ে গেছে।
বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানের পণ্য তৈরির কোনো লক্ষণ এখনো দেখা যাচ্ছে না। আমরা এখনো তাকিয়ে আছি সেই ডেটা এন্ট্রি, আউটসোর্সিং, কল সেন্টার কিংবা বিদেশি কোনো প্রতিষ্ঠানের জন্য সফটওয়্যার কোড লেখার জন্য। এই কাজগুলো মন্দ নয়; তবে অনেক দেশ ইতিমধ্যেই এসব কাজে জায়গা নিয়ে ফেলেছে। বাংলাদেশের এখনই নজর দেওয়া উচিত নিজস্ব পণ্য তৈরির কাজে। এখন থেকে শুরু করলে, আগামী ১০ বছরের ভেতর এটা পরিণত হবে। আর আগামী ১০ বছরে দেশ আউটসোর্সিংয়েও এগিয়ে যাবে। তখন একটা থেকে আরেকটাতে যাওয়া সহজ হবে। তরুণ প্রজন্মের উদ্যোক্তাদের এদিকে একটু নজর রাখলে সাফল্য আসবে।
জাকারিয়া স্বপন: তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ।
zs@priyo.com
বর্তমান সময়ের হাইটেক কোম্পানিগুলো নতুন একধরনের মার্কেটিং কৌশল নিয়েছে। তারা খুব দ্রুত পণ্যটির বিস্তার ঘটাতে চাইছে। এর ভেতর দিয়ে তারা মূলত তাদের ক্ষতিটাকে কমিয়ে নিয়ে আসে। যদি একটি পণ্যকে দীর্ঘদিন বাজারে রাখতে হয়, এবং সেটা মুনাফা করার আগ পর্যন্ত যে ক্ষতিটুকু হবে, সেটাকে নিজের পকেট থেকে দিয়ে যেতে হয়। আজকাল সেটা আর করা হচ্ছে না। তারা যদি বুঝতে পারে, এই পণ্যটির ভবিষ্য ৎ ভালো নয়, কিংবা অনেক সময় লেগে যাবে এটাকে বাজারজাত করতে, তাহলে ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে আনার জন্য জন্মের পরপরই ওটাকে মেরে ফেলা হয়। গত বছর গুগলও এমন একটি কাজ করেছিল। ২০১০ সালের মে মাসে খুব ঘটা করে তারা ঘোষণা করল নতুন একটি প্ল্যাটফর্ম, যার নাম ছিল ‘ওয়েব’। সারা দুনিয়ার হাজার হাজার ডেভেলপার অংশগ্রহণ করেছিল এই প্রযুক্তিতে। কিন্তু মাত্র ৭৭ দিনের মাথায় গুগল সেটাকে মেরে ফেলে।
আবার ২০০৭ সালের মে মাসে পাম (যাদের এইচপি কিনে নিয়েছিল) নামের কোম্পানি তাদের প্রথম ট্যাবলেট ‘ফলিও’ নামে ঘোষণা দেয়। কিন্তু সেপ্টেম্বর মাসেই সেই পণ্যের উন্নতিসাধন বন্ধ হয়ে যায়; এবং সেই পণ্যের মুখ কখনোই কেউ দেখেনি।
এই হাইটেক কোম্পানিগুলোর প্রকৃতি অনেকটা যেন হলিউডের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির মতো দাঁড়িয়ে গেছে। সিনেমার প্রতিটি রিলিজ যেমন হতে হয় নতুনত্বে ভরা, প্রযুক্তিনির্ভর পণ্যগুলোও যেন তা-ই। বিশেষ করে মোবাইল, ট্যাবলেট ইত্যাদি প্রতিযোগিতাপূর্ণ পণ্যগুলোর বিভিন্ন রিলিজও হতে হবে স্বতন্ত্র। হলিউডের মুভি যেমন প্রথম সপ্তাহেই বুঝে ফেলে কেমন ব্যবসা হবে, এই পণ্যগুলোও যেন তা-ই। দিনের শুরুটাই যেন বলে দেবে, বাকি দিনটা কেমন যাবে।
২০০৫ সালের একটা ঘটনা বলি। মাইক্রোসফট তখন রিলিজ করল গেম খেলার যন্ত্র ‘এক্সবক্স-৩৬০’। পণ্যটি খুব একটা নির্ভরযোগ্য তো ছিলই না, তার ওপর ভীষণ প্রতিযোগিতার মধ্যে পড়তে হয়েছিল নিন্টেন্ডো নামের আরেকটি বিখ্যাত গেম প্রস্তুতকারী কোম্পানির পণ্যের সঙ্গে। কিন্তু মাইক্রোসফট হাল ছাড়ল না। তারা সেটাকে আরও উন্নত করার চেষ্টা করল। এবং বিগত দিনগুলোতে মাইক্রোসফট ওটাকে এতই ভালো করে ফেলল যে, বর্তমানে সেটা বিশ্বের সবচেয়ে বৃহ ৎ গেমিং কনসোল। মূলত এটাই ছিল হাইটেক কোম্পানিগুলোর প্রকৃতি। আপনারা যাঁরা প্রথমদিকে মাইক্রোসফট উইন্ডোজ ব্যবহার করেছেন; আর আজকের উইন্ডোজ ব্যবহার করছেন, তাঁরা পার্থক্যটি নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন। কিন্তু বছর দুয়েক ধরে সেই দর্শন থেকে সরে আসছে হাইটেক কোম্পানিগুলো।
আর এর জন্য মূলত সবাই দায়ী করে অ্যাপলকে। অ্যাপল তাদের আইফোন ও আইপ্যাড—এ দুটো পণ্যের নতুন নতুন ভার্সনে এমন সব চমক নিয়ে এসেছে যে, অন্য কোম্পানিগুলোকেও সেই রাস্তায় নামতে হচ্ছে। নিজেই নিজের পণ্য মেরে ফেলে নতুন পণ্য নিয়ে হাজির হচ্ছে।
এর একটি বড় কারণ হলো খবর ও ব্লগাররা। এখন প্রতিটি মিডিয়া ফলাও করে হাইটেক পণ্যের খবর ছাপে; আর ব্লগাররা তো রাত-দিন বসেই আছে কিছু একটা লেখার জন্য—সেটা ভালো হোক আর খারাপই হোক। ফলে পণ্যটি বাজারে আসার আগেই সেটার চৌদ্দগুষ্ঠি উদ্ধার করে ফেলছে এই মিডিয়া। মানুষ জেনে যাচ্ছে, কোন পণ্যে কী সমস্যা রয়েছে; আর কোথায় কোন ঘাটতি রয়েছে; পাশাপাশি কোন প্রডাক্টে রয়েছে ‘কুল’ ফ্যাক্টর। এর ফলে নতুন পণ্যগুলোকে পড়তে হচ্ছে অনেক বেশি চ্যালেঞ্জের মুখে। এর ফলে খুব তাড়াতাড়িই আপনি জেনে যাচ্ছেন, পণ্যটি ভালো করবে, নাকি খারাপ করবে। চলচ্চিত্রশিল্পে যেমন ছবির পর্যালোচনা বের হয়, আর সেটার ওপর ভিত্তি করে দর্শকেরা ছবি দেখতে যায়; এই গেজেট কেনার সময়ও একই সূত্র কাজে লাগতে শুরু করেছে। আর একবার যদি কোনো পণ্য তার গতি হারিয়ে ফেলে, তাহলে আর সেটা ফিরে পাওয়া খুবই কঠিন, প্রায় অসম্ভব।
এর ফলে নতুন আরেকটি সমস্যাও তৈরি হয়েছে। আজকাল ক্রেতাদের মধ্যেও একধরনের প্রতিযোগিতা তৈরি হয়েছে। নতুন পণ্যটি পাওয়ার জন্য ক্রেতারা হুমড়ি খেয়ে পড়ছে। কিন্তু কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই যদি আবার সেই পণ্যটি বন্ধ হয়ে যায়, তখন সেই কোম্পানির ওপর গ্রাহকদের বিশ্বাস ছুটে যায়। তারপর কোম্পানিটি যতবারই সেই ধরনের পণ্য বানাতে যাবে, ক্রেতারা আর হুমড়ি খেয়ে পড়বে না। ফলে অনেক বড় কোম্পানিরও এতে ধস নামতে পারে, যেমনটি হতে যাচ্ছে এইচপির জীবনে। তারা এখন পুরো পিসি শিল্প থেকেই হাত গুটিয়ে নিচ্ছে।
কয়েক বছর আগেও হাইটেক পণ্যের জীবনচক্র ছিল অনেক লম্বা। কিন্তু প্রচণ্ড প্রতিযোগিতার কারণে সেই জীবনচক্র এসে ঠেকেছে মাত্র ছয় মাসের মাথায়। এমনকি, আপনার কোনো পণ্য যদি খুব সফলও হয়, তার অর্থ এই নয় যে আপনি একটু নিশ্চিন্তে থাকবেন; আর মনে মনে ভাবছেন, যাক, এটা তো ব্লক-ব্লাস্টার হিট করেছে। আপনার সেই শান্তি আর নেই। মাত্র ছয় মাসের মাথায় দেখবেন, নতুন কোনো পণ্য এসে আপনার সব সাফল্য ধুয়েমুছে নিয়ে গেছে।
বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানের পণ্য তৈরির কোনো লক্ষণ এখনো দেখা যাচ্ছে না। আমরা এখনো তাকিয়ে আছি সেই ডেটা এন্ট্রি, আউটসোর্সিং, কল সেন্টার কিংবা বিদেশি কোনো প্রতিষ্ঠানের জন্য সফটওয়্যার কোড লেখার জন্য। এই কাজগুলো মন্দ নয়; তবে অনেক দেশ ইতিমধ্যেই এসব কাজে জায়গা নিয়ে ফেলেছে। বাংলাদেশের এখনই নজর দেওয়া উচিত নিজস্ব পণ্য তৈরির কাজে। এখন থেকে শুরু করলে, আগামী ১০ বছরের ভেতর এটা পরিণত হবে। আর আগামী ১০ বছরে দেশ আউটসোর্সিংয়েও এগিয়ে যাবে। তখন একটা থেকে আরেকটাতে যাওয়া সহজ হবে। তরুণ প্রজন্মের উদ্যোক্তাদের এদিকে একটু নজর রাখলে সাফল্য আসবে।
জাকারিয়া স্বপন: তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ।
zs@priyo.com
No comments