কুরুচিপূর্ণ ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশ করলে ওয়েবসাইট বন্ধ করে দেওয়া উচিতঃ এইচ টি ইমাম
প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রশাসন-বিষয়ক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম বলেছেন, কোনো ওয়েবসাইটে রাজনৈতিক নেতাদের নিয়ে অশ্লীল বা কুরুচিপূর্ণ কোনো ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশ করা হলে সেই সাইটটি বন্ধ করে দেওয়া উচিত। ‘তথ্য স্বাধীনতা: ইন্টারনেটের যুগে চ্যালেঞ্জ কোথায়?’ শীর্ষক এক সংলাপে এইচ টি ইমাম এই কথা বলেছেন। বিবিসি বাংলা আজ বুধবার রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে এই সংলাপের আয়োজন করে।
সংলাপটি উপস্থাপনা করেন বিবিসি বাংলার সম্পাদক সাবির মুস্তাফা। এইচ টি ইমাম ছাড়াও অনুষ্ঠানে নির্ধারিত আলোচক ছিলেন ইংরেজি দৈনিক নিউজ টুডের সম্পাদক রিয়াজউদ্দিন, মোবাইল ফোন অপারেটরদের সংগঠন অ্যামটবের মহাসচিব আবু সাঈদ খান এবং শিল্পী নাজিয়া আন্দালিব।
সংলাপে শুরুতেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে তথ্য স্বাধীনতা নিশ্চিত করলে জাতীয় নিরাপত্তার হুমকি কেন হবে, এমন একটি প্রশ্ন করেন একজন দর্শক। জবাবে আবু সাঈদ খান বলেন, তথ্য স্বাধীনতা কখনোই জাতীয় নিরাপত্তা হুমকিতে ফেলে না। বরং স্বাধীনতাকে সুসংহত করে।
রিয়াজউদ্দিন বলেন, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের সঙ্গে সম্পর্কিত এমন যে কোনো বিষয় বাদ দিয়ে তথ্য প্রকাশ করা উচিত।
নাজিয়া আন্দালিব বলেন, ‘আমরা যদি নিজেরা নিজেদের সুরক্ষা করতে পারি তাহলে হুমকির কিছু নেই’।
এইচ টি ইমাম বলেন, ‘কোন তথ্য প্রকাশ করা যাবে আর কোনটি যাবে না, সেটি তথ্য অধিকার আইনে বলা আছে। দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন কোনো তথ্য প্রকাশ করা ঠিক নয়।’
সংলাপের অপর এক দর্শক জানতে চান বাংলাদেশের সংবিধানে মত প্রকাশের স্বাধীনতা দিলেও রাজনৈতিক নেতাদের ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন করলে কেন ইন্টারনেটের সেই সাইটটি বন্ধ করে দেওয়া হয়? জবাবে রিয়াজউদ্দিন বলেন, কোনো সাইট বন্ধ করে দেওয়া দুঃখজনক।
এইচ টি ইমাম বলেন, রনবী ও শিশিরের ব্যঙ্গচিত্র নিয়ে তো কেউ আপত্তি করে না। কাজেই কোনো ব্যঙ্গচিত্র অশ্লীল বা কুরুচিপূর্ণ কিছু হলে সেই সাইট বন্ধ করে দেওয়া উচিত। আবু সাঈদ খান এর বিরোধিতা করে বলেন, কেউ যখন রাজনীতি করেন তখন তাকে এই বিষয়টি মেনে নিতেই হবে।
দেশের টেলিভিশন চ্যানেলগুলো নিয়ন্ত্রণের জন্য খসড়া সম্প্রচার নীতিমালা করা হলেও বিদেশি টেলিভিশন চ্যানেলগুলো কেন নিয়ন্ত্রণ করা হয় না, এমন প্রশ্নের জবাবে এইচ টি ইমাম বলেন, ‘এখনো এমন কোনো নীতিমালা প্রকাশ করা হয়নি। আর আমার মনে হয় শেষ পর্যন্ত যে নীতিমালা হবে তাতে কোনো বিধি-নিষেধ থাকবে না।’
নাজিয়া আন্দালিব বলেন, হিন্দি সিরিয়ালগুলোতে যেসব রূপকথা দেখানো হয়, সেগুলো নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি।
মূলধারার মিডিয়ার ব্যর্থতায় বিকল্প ধারার মিডিয়া জনপ্রিয় হয়ে উঠছে কী না, এমন প্রশ্নের জবাবে এইচ টি ইমাম বলেন, মূলধারা ব্যর্থ নয়। বরং মূলধারার দৈনিকগুলোর জনপ্রিয়তা বাড়ছে।
আবু সাঈদ খান বলেন, ইন্টারনেট এখন মূলধারা। কাজেই একটি প্রতিষ্ঠান কীভাবে এই মাধ্যমকে কাজে লাগাচ্ছে এর ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে।
No comments