এক শিক্ষার্থী এক ল্যাপটপ by জাবেদ ইকবাল
বর্তমান সরকারের 'ডিজিটাল বাংলাদেশ' কর্মসূচি ঘোষণার মধ্য দিয়ে প্রযুক্তির হাওয়ায় পাল তুলেছে বাংলাদেশ আর সেসঙ্গে পাল তুলেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় বিদ্যাপীঠ এবং তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি তার প্রতিটি শিক্ষার্থীকে তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলার প্রাণান্তকর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, তথ্যপ্রযুক্তিকে শিক্ষার্থীর এবং শিক্ষার গুণগত
মানোন্নয়নের কাজে লাগানোর লক্ষ্যে সম্প্রতি ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি তাদের প্রতিটি শিক্ষার্থীকে একটি করে ফ্রি ল্যাপটপ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দূরশিক্ষণের সব আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতিসহ এ ল্যাপটপ হবে ইন্টারনেট সহায়ক, সর্বাধুনিক এবং অবশ্যই বিনামূল্যে। ল্যাপটপ ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ এবং সার্ভিসিংয়ের জন্য প্রতিটি ক্যাম্পাসে স্বয়ংসম্পূর্ণ সার্ভিসিং সেন্টার খোলারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বর্তমান সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ কনসেপ্টের সঙ্গে তাল মিলিয়ে একটি বিশ্ববিদ্যালয়কে ডিজিটালাইজেশন করার জন্য ল্যাপটপ প্রদানের পদক্ষেপটি শুধু বাংলাদেশেই নয়, গোটা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতেই এটি একটি বিরল দৃষ্টান্ত। শিক্ষার আধুনিকায়ন এবং শিক্ষার্থীর দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ল্যাপটপ ও ইন্টারনেটের ব্যবহার বহুবিদ এবং বহুজন বিদিত। হাতে ল্যাপটপ থাকার ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার ল্যাব কিংবা সাইবার ক্যাফেতে সময় অপচয় না করে শিক্ষার্থী তার অ্যাসাইনমেন্ট প্রস্তুত করতে পারবে ঘরে বসেই। শিক্ষার্থী তার ক্লাসের লেকচার ল্যাপটপের হার্ডডিস্কে রেখে তা ব্যবহার ও প্রয়োজনীয় সংযোজন-বিয়োজন বা সংশোধন করতে পারবে। বিশ্ববিদ্যালয় লাইব্রেরির সব সুবিধাদি একজন শিক্ষার্থী ভোগ করতে পারবে ক্যাফেটারিয়া অথবা বাসার রিডিং/ড্রয়িংরুমে বসেই। এ ছাড়া পরীক্ষার ফলাফল জানা, বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রদানকৃত সব একাডেমিক ফির বিস্তারিত বিবরণ জানা যাবে ল্যাপটপ খুলেই যে কোনো স্থান থেকে, যে কোনো সময়। সময়ের উপযোগী চাকরির জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে প্রয়োজনীয় তথ্য পেতে ইন্টারনেটের বিকল্প নেই। এ ছাড়া সঠিক চাকরিটির খোঁজ খুব সহজেই শিক্ষার্থীকে দিতে পারে ইন্টারনেট। তদুপরি আউট সোর্সিংয়ের মাধ্যমে বাড়িতে বসেই পৃথিবীর বিখ্যাত কোম্পানিগুলোর কাজ করার যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে ইতিমধ্যে, একজন শিক্ষার্থীকে সেই আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত করতে ল্যাপটপ আর ইন্টারনেটের বিকল্প কোথায়?
এ বিষয়ে জানতে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের আমিনুল জানান, যে কোনো শিক্ষার্থীর জন্য ল্যাপটপ এখন সময়ের দাবি। ফলে আমাদের পুরো সময়টাকে এখন কাজে লাগাতে পারছি। সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগের শিক্ষার্থী মিমু জানান, ল্যাপটপ ব্যবহারের ফলে তার শিক্ষাক্রম অনেকটা সহজ হয়েছে এবং বহির্বিশ্বের বিশাল তথ্য ভাণ্ডার সম্পর্কে দ্রুত জানা যায়, যা সাংবাদিকতা বিভাগের একজন শিক্ষার্থীর জন্য অপরিহার্য। টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থী সুমনা জানান, সত্যিকার অর্থে ল্যাপটপ এখন শিক্ষার সবচেয়ে বড় উপকরণ, ফ্যাশন সামগ্রী নয়।
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য ল্যাপটপ প্রদানের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে সামার-২০১০ থেকে। বর্তমানে তা অব্যাহত আছে।
এ বিষয়ে জানতে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের আমিনুল জানান, যে কোনো শিক্ষার্থীর জন্য ল্যাপটপ এখন সময়ের দাবি। ফলে আমাদের পুরো সময়টাকে এখন কাজে লাগাতে পারছি। সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগের শিক্ষার্থী মিমু জানান, ল্যাপটপ ব্যবহারের ফলে তার শিক্ষাক্রম অনেকটা সহজ হয়েছে এবং বহির্বিশ্বের বিশাল তথ্য ভাণ্ডার সম্পর্কে দ্রুত জানা যায়, যা সাংবাদিকতা বিভাগের একজন শিক্ষার্থীর জন্য অপরিহার্য। টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থী সুমনা জানান, সত্যিকার অর্থে ল্যাপটপ এখন শিক্ষার সবচেয়ে বড় উপকরণ, ফ্যাশন সামগ্রী নয়।
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য ল্যাপটপ প্রদানের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে সামার-২০১০ থেকে। বর্তমানে তা অব্যাহত আছে।
No comments