গণিতকে ‘হ্যাঁ’ বলার ডাক
সবাই দুই হাত তুলে বিজয়সূচক ‘ভি’ চিহ্ন দেখাচ্ছে। হলুদ টি-শার্ট পরা খুদে এই ‘গণিতবিদ’দের মেলায় কোথায় যেন একটা অসংগতি। অনেকেরই চোখ আটকে যায় আরাফাতের (১২) দিকে। তার ডান হাতটি নেই। সেই বাধা জয় করে জুনিয়র ক্যাটাগরিতে প্রথম রানারআপ হওয়ার কৃতিত্ব দেখিয়েছে সে। রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার ধামচন্দ্রপুর উচ্চবিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থী মো. আরাফাত হোসেন। সে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দূর থেকে এসে গোপালগঞ্জের
এসএম মডেল সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত ডাচ্-বাংলা ব্যাংক-প্রথম আলো দশম গণিত উৎসব ২০১২-এর আঞ্চলিক পর্বে অংশ নেয়। গতকাল রাজশাহী মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজেও গণিত উৎসবের আঞ্চলিক পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর ও নওগাঁর ১২২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থী এতে অংশ নেয়।
গোপালগঞ্জের এসএম মডেল সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে গণিত উৎসবে যোগ দেয় বৃহত্তর ফরিদপুরের পাঁচ জেলার শিক্ষার্থীরা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য খায়রুল আলম খান সকাল ১০টার দিকে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে উৎসবের সূচনা করেন। বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান এবং সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের অধ্যক্ষ এম এ হাই আন্তর্জাতিক ও জাতীয় গণিত উৎসবের পতাকা উত্তোলন করেন।
এরপর গণিত পরীক্ষায় অংশ নেয় গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, মাদারীপুর ও শরীয়তপুরের ১২০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৯৮০ জন শিক্ষার্থী। প্রতিযোগিতায় চারটি গ্রুপে মোট ৬০ জনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
পরীক্ষার পর শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বন্ধুসভার বন্ধুরা স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কয়েকটি সমবেত সংগীত পরিবেশন করেন। এরপর শুরু হয় প্রশ্নোত্তর পর্ব। ‘০’ কি স্বাভাবিক সংখ্যা? মানুষ কি বিবর্তিত হয়ে আবার অন্য কোনো প্রাণী হয়ে যাবে? এমন অনেক প্রশ্ন করে শিক্ষার্থীরা।
বুদ্ধিদীপ্ত এসব প্রশ্নের উত্তর দেন মুনির হাসান, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের শিক্ষক রাশেদ তালুকদার, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের শিক্ষক হিমাদ্রী শেখর চক্রবর্তী, দীপঙ্কর কুমার সরকার, গণিতবিদ সৌমিত্র চক্রবর্তী প্রমুখ।
আলোচনাপর্বে উপাচার্য খায়রুল আলম খান বলেন, ‘একটি পত্রিকা শুধু খবর প্রকাশ নয়, একটি জাতিকে দিকনির্দেশনা দিতে পারে। প্রথম আলো তা প্রমাণ করেছে।’ মুনির হাসান শিক্ষার্থীদের মাদক, মিথ্যা ও মুখস্থকে ‘না’ বলার শপথ করান।
রাজশাহী মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাঠে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে সঙ্গে পতাকা উত্তোলন করে গণিত উৎসবের উদ্বোধন করেন রাজশাহীর জেলা প্রশাসক আবদুল হান্নান। খুদে গণিতবিদদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘গণিতকে জয় করলে তোমরা বিশ্ব জয় করবে।’ এ সময় আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডের পতাকা উত্তোলন করেন ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের রাজশাহী শাখার ব্যবস্থাপক এ বি এম মামুনুল কবির। আঞ্চলিক গণিত উৎসবের পতাকা উত্তোলন করেন রাজশাহী মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ এস এম জার্জিস কাদির।
এরপর রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর ও নওগাঁর ১২২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। পরীক্ষা শেষে শুরু হয় সাংস্কৃতিক পর্ব। এ পর্বে কণ্ঠশিল্পী এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর হামিম রিজভী ও তাঁর দল গণিতের গান পরিবেশন করে।
এরপর শুরু হওয়া প্রশ্নোত্তরপর্ব পরিচালনা করেন বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডের একাডেমিক কাউন্সিলর মাহমুদুল হাসান। শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের শিক্ষক কাজী সেলিনা সুলতানা, নাসিমা আক্তার ও আসহাবুল হক, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকবাল মতিন ও শামসুল আলম।
শিক্ষার্থীদের প্রশ্নগুলো ছিল, চোরাবালি আমরা বুঝতে পারি না কেন, আলো কণা নাকি তরঙ্গ ইত্যাদি।
সমাপনী পর্বের শুরুতে ‘উই শ্যাল ওভারকাম’ গানটি পরিবেশন করা হয়। এরপর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে শিক্ষক নাসিমা আক্তার বলেন, ‘দেশকে ভালোবেসে তোমরা আমাদের জাতীয় পতাকা ও জাতির মর্যাদা উচ্চ শিখরে নিয়ে যাবে।’ সেলিনা সুলতানা মিথ্যা, মাদক ও মুুখস্থকে ‘না’ এবং গণিতকে ‘হ্যাঁ’ বলতে শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের ব্যবস্থাপক এ বি এম মামুনুল কবির, রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলের শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম শাহ ও প্রথম আলোর রাজশাহীর নিজস্ব প্রতিবেদক আবুল কালাম মুহম্মদ আজাদ বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে ফল ঘোষণা করা হয়। এতে চার গ্রুপে ৫৭ জন নির্বাচিত হয়।
গোপালগঞ্জের এসএম মডেল সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে গণিত উৎসবে যোগ দেয় বৃহত্তর ফরিদপুরের পাঁচ জেলার শিক্ষার্থীরা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য খায়রুল আলম খান সকাল ১০টার দিকে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে উৎসবের সূচনা করেন। বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান এবং সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের অধ্যক্ষ এম এ হাই আন্তর্জাতিক ও জাতীয় গণিত উৎসবের পতাকা উত্তোলন করেন।
এরপর গণিত পরীক্ষায় অংশ নেয় গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, মাদারীপুর ও শরীয়তপুরের ১২০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৯৮০ জন শিক্ষার্থী। প্রতিযোগিতায় চারটি গ্রুপে মোট ৬০ জনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
পরীক্ষার পর শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বন্ধুসভার বন্ধুরা স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কয়েকটি সমবেত সংগীত পরিবেশন করেন। এরপর শুরু হয় প্রশ্নোত্তর পর্ব। ‘০’ কি স্বাভাবিক সংখ্যা? মানুষ কি বিবর্তিত হয়ে আবার অন্য কোনো প্রাণী হয়ে যাবে? এমন অনেক প্রশ্ন করে শিক্ষার্থীরা।
বুদ্ধিদীপ্ত এসব প্রশ্নের উত্তর দেন মুনির হাসান, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের শিক্ষক রাশেদ তালুকদার, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের শিক্ষক হিমাদ্রী শেখর চক্রবর্তী, দীপঙ্কর কুমার সরকার, গণিতবিদ সৌমিত্র চক্রবর্তী প্রমুখ।
আলোচনাপর্বে উপাচার্য খায়রুল আলম খান বলেন, ‘একটি পত্রিকা শুধু খবর প্রকাশ নয়, একটি জাতিকে দিকনির্দেশনা দিতে পারে। প্রথম আলো তা প্রমাণ করেছে।’ মুনির হাসান শিক্ষার্থীদের মাদক, মিথ্যা ও মুখস্থকে ‘না’ বলার শপথ করান।
রাজশাহী মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাঠে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে সঙ্গে পতাকা উত্তোলন করে গণিত উৎসবের উদ্বোধন করেন রাজশাহীর জেলা প্রশাসক আবদুল হান্নান। খুদে গণিতবিদদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘গণিতকে জয় করলে তোমরা বিশ্ব জয় করবে।’ এ সময় আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডের পতাকা উত্তোলন করেন ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের রাজশাহী শাখার ব্যবস্থাপক এ বি এম মামুনুল কবির। আঞ্চলিক গণিত উৎসবের পতাকা উত্তোলন করেন রাজশাহী মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ এস এম জার্জিস কাদির।
এরপর রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর ও নওগাঁর ১২২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। পরীক্ষা শেষে শুরু হয় সাংস্কৃতিক পর্ব। এ পর্বে কণ্ঠশিল্পী এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর হামিম রিজভী ও তাঁর দল গণিতের গান পরিবেশন করে।
এরপর শুরু হওয়া প্রশ্নোত্তরপর্ব পরিচালনা করেন বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডের একাডেমিক কাউন্সিলর মাহমুদুল হাসান। শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের শিক্ষক কাজী সেলিনা সুলতানা, নাসিমা আক্তার ও আসহাবুল হক, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকবাল মতিন ও শামসুল আলম।
শিক্ষার্থীদের প্রশ্নগুলো ছিল, চোরাবালি আমরা বুঝতে পারি না কেন, আলো কণা নাকি তরঙ্গ ইত্যাদি।
সমাপনী পর্বের শুরুতে ‘উই শ্যাল ওভারকাম’ গানটি পরিবেশন করা হয়। এরপর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে শিক্ষক নাসিমা আক্তার বলেন, ‘দেশকে ভালোবেসে তোমরা আমাদের জাতীয় পতাকা ও জাতির মর্যাদা উচ্চ শিখরে নিয়ে যাবে।’ সেলিনা সুলতানা মিথ্যা, মাদক ও মুুখস্থকে ‘না’ এবং গণিতকে ‘হ্যাঁ’ বলতে শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের ব্যবস্থাপক এ বি এম মামুনুল কবির, রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলের শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম শাহ ও প্রথম আলোর রাজশাহীর নিজস্ব প্রতিবেদক আবুল কালাম মুহম্মদ আজাদ বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে ফল ঘোষণা করা হয়। এতে চার গ্রুপে ৫৭ জন নির্বাচিত হয়।
No comments