রাজউককে সক্রিয় ও ড্যাপ বাস্তবায়নের বিকল্প নেই-অননুমোদিত আবাসন প্রকল্প
যেসব প্রকল্পে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) অনুমোদন নেই, সেসব প্রকল্পের প্লট কীভাবে রিহ্যাবের মেলায় বিক্রি হয় ও প্রচার চলে, তা সত্যিই বিস্ময়কর। মেলার সময় রাজউকের যেসব উদ্যোগ ছিল, তা অননুমোদিত প্রকল্পের স্টলগুলোকে পুরোপুরি বন্ধ করতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত এসব প্রকল্পের প্লট বিক্রি ও প্রচারণা থামাতে রাজউক থানায় জিডি করেছে বটে, তবে সেটা রিহ্যাব মেলার শেষ সময়ে; এর আগে প্লট বিক্রি, প্রচারণা সবই চলেছে।
শেষ সময়ের এই জিডিতে কোনো কাজই হয়নি। শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেছেন, পুলিশ ব্যবস্থা নেওয়ার আগেই মেলা শেষ হয়েছে। মেলার শেষ সময়ে যে উদ্যোগ নেওয়া হলো, তা কি শুরুতেই নেওয়া যেত না?
দেশের ভূমি ব্যবসার সঙ্গে এমন অনেক চক্র জড়িত রয়েছে, যারা দেশের প্রচলিত আইনকানুনের কোনো তোয়াক্কা করে না। শক্তিশালী এই গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ভূমি দখল, প্রাকৃতিক খাল-জলাশয় ভরাট ও পরিবেশ আইন না মানার অভিযোগ থাকার পরও সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তাদের বিরুদ্ধে সক্রিয় দেখা যায় না। এবারের রিহ্যাব মেলায় রাজউকের ভূমিকা দেখেও এটা স্পষ্ট, এই শক্তির সঙ্গে রাজউক পেরে উঠছে না অথবা সরষের মধ্যেই ভূত রয়েছে। রাজউকের দায়িত্ব ছিল, মেলায় যাতে কোনো অননুমোদিত প্রকল্পের প্লট বিক্রি বা এর কোনো প্রচারণা চলতে না পারে, তা নিশ্চিত করা। আমরা দেখলাম, রাজউক মেলা থেকে একপর্যায়ে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়েছে। রাজউকের বক্তব্য, রিহ্যাব কর্তৃপক্ষ তাদের তালিকা অনুযায়ী অননুমোদিত প্রকল্পগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় তারা মেলা থেকে তাদের প্রতিনিধি প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
রাজউকের চেয়ারম্যান এ ব্যাপারে আরও পদক্ষেপ ও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা তাঁর এই মনোভাবকে স্বাগত জানিয়েও যে কথাটি বলতে চাই তা হলো, এত ভদ্র বার্তা দুর্জনদের নিবৃত্ত করতে পারবে না। যেসব প্রতিষ্ঠান অননুমোদিত প্রকল্পের প্লট বিক্রি করছে ও প্রচারণা চালাচ্ছে, সেগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি এ প্রক্রিয়া বন্ধ করার উদ্যোগ নিতে হবে। এটা নিশ্চিত করতে না পারলে প্রতারণা ও ক্ষতির শিকার হবে সাধারণ জনগণ। রাজউকের উচিত, অননুমোদিত প্রকল্পগুলোর তালিকা নিজেদের উদ্যোগে প্রকাশ করা এবং এ ধরনের প্রকল্পের কোনো বিজ্ঞাপন যাতে প্রচারমাধ্যমে আসতে না পারে, তা আইনগতভাবে নিশ্চিত করা।
একই সঙ্গে ঢাকায় ভূমি ব্যবহার নিয়ে যে বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্য চলছে, তা বন্ধ করতে এবং ঢাকাকে একটি বাসযোগ্য নগর হিসেবে টিকিয়ে রাখতে ঢাকার বিশদ নগর পরিকল্পনা বা ড্যাপ বাস্তবায়নের উদ্যোগও জরুরি ভিত্তিতে নেওয়া প্রয়োজন। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রেও বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে কিছুসংখ্যক ভূমিদস্যু। এ পরিকল্পনা সরকারের অনুমোদন পেয়েছে, এখন তা বাস্তবায়নে সরকারকেই উদ্যোগী হতে হবে। আমরা মনে করি, পর্যায়ক্রমে ড্যাপ বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হলে অবৈধ কোনো আবাসন প্রকল্প গড়ে তোলা, ভূমি দখল, জলাশয় ভরাট ও পরিবেশের সর্বনাশ করার বিষয়গুলোও কমে আসতে থাকবে।
দেশের ভূমি ব্যবসার সঙ্গে এমন অনেক চক্র জড়িত রয়েছে, যারা দেশের প্রচলিত আইনকানুনের কোনো তোয়াক্কা করে না। শক্তিশালী এই গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ভূমি দখল, প্রাকৃতিক খাল-জলাশয় ভরাট ও পরিবেশ আইন না মানার অভিযোগ থাকার পরও সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তাদের বিরুদ্ধে সক্রিয় দেখা যায় না। এবারের রিহ্যাব মেলায় রাজউকের ভূমিকা দেখেও এটা স্পষ্ট, এই শক্তির সঙ্গে রাজউক পেরে উঠছে না অথবা সরষের মধ্যেই ভূত রয়েছে। রাজউকের দায়িত্ব ছিল, মেলায় যাতে কোনো অননুমোদিত প্রকল্পের প্লট বিক্রি বা এর কোনো প্রচারণা চলতে না পারে, তা নিশ্চিত করা। আমরা দেখলাম, রাজউক মেলা থেকে একপর্যায়ে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়েছে। রাজউকের বক্তব্য, রিহ্যাব কর্তৃপক্ষ তাদের তালিকা অনুযায়ী অননুমোদিত প্রকল্পগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় তারা মেলা থেকে তাদের প্রতিনিধি প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
রাজউকের চেয়ারম্যান এ ব্যাপারে আরও পদক্ষেপ ও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা তাঁর এই মনোভাবকে স্বাগত জানিয়েও যে কথাটি বলতে চাই তা হলো, এত ভদ্র বার্তা দুর্জনদের নিবৃত্ত করতে পারবে না। যেসব প্রতিষ্ঠান অননুমোদিত প্রকল্পের প্লট বিক্রি করছে ও প্রচারণা চালাচ্ছে, সেগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি এ প্রক্রিয়া বন্ধ করার উদ্যোগ নিতে হবে। এটা নিশ্চিত করতে না পারলে প্রতারণা ও ক্ষতির শিকার হবে সাধারণ জনগণ। রাজউকের উচিত, অননুমোদিত প্রকল্পগুলোর তালিকা নিজেদের উদ্যোগে প্রকাশ করা এবং এ ধরনের প্রকল্পের কোনো বিজ্ঞাপন যাতে প্রচারমাধ্যমে আসতে না পারে, তা আইনগতভাবে নিশ্চিত করা।
একই সঙ্গে ঢাকায় ভূমি ব্যবহার নিয়ে যে বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্য চলছে, তা বন্ধ করতে এবং ঢাকাকে একটি বাসযোগ্য নগর হিসেবে টিকিয়ে রাখতে ঢাকার বিশদ নগর পরিকল্পনা বা ড্যাপ বাস্তবায়নের উদ্যোগও জরুরি ভিত্তিতে নেওয়া প্রয়োজন। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রেও বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে কিছুসংখ্যক ভূমিদস্যু। এ পরিকল্পনা সরকারের অনুমোদন পেয়েছে, এখন তা বাস্তবায়নে সরকারকেই উদ্যোগী হতে হবে। আমরা মনে করি, পর্যায়ক্রমে ড্যাপ বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হলে অবৈধ কোনো আবাসন প্রকল্প গড়ে তোলা, ভূমি দখল, জলাশয় ভরাট ও পরিবেশের সর্বনাশ করার বিষয়গুলোও কমে আসতে থাকবে।
No comments