শেষ দৃশ্যে একটু সান্ত্বনা by তারেক মাহমুদ
শেষটা ভালো করার আশা ছিল। পুরো সিরিজের কথা ভাবলে ঢাকা টেস্ট হয়তো সেই ভালোটাই দিয়েছে। কিন্তু ভালোর তো শেষ নেই। এটুকু ভালো কি আরও ভালো কিছুর আশা ছড়িয়ে দিচ্ছিল না মনে! এমন পরিস্থিতিতে ছোট ছোট ভুলগুলোও বড় হয়ে ওঠে। মনে হয়, ইশ্, ওটা যদি হতো...এটা যদি না হতো! ঢাকা টেস্টের ফেলে দেওয়া ক্যাচগুলো সে রকম কাঁটা হয়ে খোঁচাচ্ছে এখন। আক্ষেপ বাড়ছে, সাকিব-মুশফিক কিংবা মুশফিক-নাসিরের জুটিগুলোর
মতো আরও একটি-দুটি জুটি কি হতে পারত না? সিরিজের আগের ম্যাচগুলোর হতাশা ভুলে তাহলে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের কালকের সন্ধ্যাটা হতে পারত অন্য রকম।
সিরিজ শেষের সংবাদ সম্মেলনে আক্ষেপটা জানিয়ে গেছেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমও, ‘আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর যতগুলো সিরিজ খেলছি, সব সময়ই মনে হয়েছে, এটা একটু এ রকম হলে, ওটা একটু ও রকম হলে ফলাফল অন্য রকম হতে পারত। কিছু বাজে পারফরম্যান্স এমন সময়ে হয়ে যায় যে সেখান থেকে ফিরে আসা কঠিন।’ ঢাকা টেস্ট শেষে যেমন ক্যাচ মিসটাই বেশি পোড়াচ্ছে অধিনায়ককে, ‘প্রথম ইনিংসে আমরা যদি সবগুলো ক্যাচ নিতে পারতাম, অন্তত গুরুত্বপূর্ণ ক্যাচগুলো...তাহলে হয়তো ওরা এত বড় লিড পেত না। তখন দ্বিতীয় ইনিংসে আড়াই শ রানের ইনিংস হলেই ম্যাচটা অন্য রকম হয়ে যেত।’ সেটা হয়নি। মুশফিকের তাই মনে করছেন, ‘আমরা নিজেদের সবচেয়ে বেশি ডুবিয়েছি একটা বিভাগে—সেটা ফিল্ডিং। বেশ কিছু ক্যাচ মিস হয়েছে। তাতে আমাদের বিপদ বেড়েছে।’
শেষ টেস্টের ভুলগুলোর মধ্যে আছে দুই ইনিংসে অধিনায়ক, সহ-অধিনায়কের আউট হওয়ার ধরনও। প্রথম ইনিংসে সহ-অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ আর দ্বিতীয় ইনিংসে মুশফিক উচ্চাভিলাষী শটে আউট হয়ে কাঠগড়ায়। নিজেদের এই জায়গায় ‘দোষী’ বলতে আপত্তি নেই অধিনায়কের, ‘রিয়াদ (মাহমুদউল্লাহ) ভাই খুব ভালোভাবে জানেন যে, ওনার আউটটা খুব বাজে সময় ছিল। ওই সময়ে কিছু শট বাদ দিতে হয়। আর আমার ক্ষেত্রে পরিকল্পনাটা ঠিক ছিল; কিন্তু সেটা কাজে লাগাতে পারিনি। সেজন্য আমি অবশ্যই অপরাধবোধে ভুগছি। আমি তখন আউট না হলে হয়তো আরও আধঘণ্টা খেলতে পারতাম। ওরা তখন অনেক কম ওভার পেত।’
আক্ষেপ-আফসোস বাদ দিলে কিছু অর্জনও দেখছেন অধিনায়ক। সাকিব আল হাসানের জন্য যেমন ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত গেল সিরিজটা। অভিষেক টেস্টেই আশার আলো দেখিয়েছেন নাজিমউদ্দিন। দ্বিতীয় টেস্টে শাহরিয়ার নাফীস ও নাসির হোসেনের পারফরম্যান্সও প্রাপ্তির খাতায়। আছে বোলারদের হাত হয়ে আসা প্রাপ্তিও। ‘সব মিলিয়ে পাঁচ দিনই আমরা ভালো খেলেছি। আগে দেখা যেত এক দিন ভালো খেললে আরেক দিন খারাপ খেলতাম। আমার মনে হয়, এটা এমন একটা টেস্ট, যেখানে আমরা পাাঁচটা দিনই কিছু না-কিছু ভালো খেলেছি’—ঢাকা টেস্ট শেষে দাবি জানালেন মুশফিক।
সিরিজে খেলোয়াড়দের সঙ্গে বোর্ড কর্মকর্তাদের ‘পারফরম্যান্স’ও কম নেতিবাচক আলোচনার জন্ম দেয়নি। নির্বাচকদের দলে বোর্ডের হস্তক্ষেপের আলোচনা পুরো সিরিজেই ছিল। তবে এসব ঘটনা বাংলাদেশের ক্রিকেটে এতটাই নিয়মিত যে, তা যেন ‘হোম কন্ডিশনের’ই অংশ! ক্রিকেটাররা এসব মেনে নিয়েই খেলেছেন বলে দাবি মুশফিকের, ‘আগেও বলেছি, এগুলো আমাদের এখানে হয়েই থাকে। এসব নিয়ে খেলোয়াড়েরা খুব একটা চিন্তিত হই না। আমাদের মাঠের পারফরম্যান্স নিয়েই চিন্তা করা উচিত।’
পারফরম্যান্সের আলোচনায় সাকিব-নাজিমউদ্দিনদের সঙ্গে উদাহরণ হতে পারেন নাসির হোসেনও। ওয়ানডেতে সেঞ্চুরির পর কাল দ্বিতীয় ইনিংসে ৭৯ রানের ইনিংস, চাপের মধ্যেও নির্ভার ক্রিকেট খেলার মানসিকতা তরুণ এই ক্রিকেটারের শক্তির দিকটাই তুলে ধরেছে। তবে কাল ম্যাচ শেষে তৃপ্তি খুঁজে পাওয়া গেল না নাসিরের মধ্যে, ‘সেঞ্চুরি হলে যে আনন্দ হতো তার চেয়ে বেশি ভালো লাগত টেস্টটা ড্র করতে পারলে। সেঞ্চুরির লক্ষ্য ছিল না, লক্ষ্য ছিল অন্তত চা-বিরতি পর্যন্ত খেলা।’
ছোট ছোট আফসোস থাকবেই। তার পরও সান্ত্বনা এই, শেষ ভালোর আশা কিছুটা তো মেটাল ঢাকা টেস্ট!
সিরিজ শেষের সংবাদ সম্মেলনে আক্ষেপটা জানিয়ে গেছেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমও, ‘আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর যতগুলো সিরিজ খেলছি, সব সময়ই মনে হয়েছে, এটা একটু এ রকম হলে, ওটা একটু ও রকম হলে ফলাফল অন্য রকম হতে পারত। কিছু বাজে পারফরম্যান্স এমন সময়ে হয়ে যায় যে সেখান থেকে ফিরে আসা কঠিন।’ ঢাকা টেস্ট শেষে যেমন ক্যাচ মিসটাই বেশি পোড়াচ্ছে অধিনায়ককে, ‘প্রথম ইনিংসে আমরা যদি সবগুলো ক্যাচ নিতে পারতাম, অন্তত গুরুত্বপূর্ণ ক্যাচগুলো...তাহলে হয়তো ওরা এত বড় লিড পেত না। তখন দ্বিতীয় ইনিংসে আড়াই শ রানের ইনিংস হলেই ম্যাচটা অন্য রকম হয়ে যেত।’ সেটা হয়নি। মুশফিকের তাই মনে করছেন, ‘আমরা নিজেদের সবচেয়ে বেশি ডুবিয়েছি একটা বিভাগে—সেটা ফিল্ডিং। বেশ কিছু ক্যাচ মিস হয়েছে। তাতে আমাদের বিপদ বেড়েছে।’
শেষ টেস্টের ভুলগুলোর মধ্যে আছে দুই ইনিংসে অধিনায়ক, সহ-অধিনায়কের আউট হওয়ার ধরনও। প্রথম ইনিংসে সহ-অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ আর দ্বিতীয় ইনিংসে মুশফিক উচ্চাভিলাষী শটে আউট হয়ে কাঠগড়ায়। নিজেদের এই জায়গায় ‘দোষী’ বলতে আপত্তি নেই অধিনায়কের, ‘রিয়াদ (মাহমুদউল্লাহ) ভাই খুব ভালোভাবে জানেন যে, ওনার আউটটা খুব বাজে সময় ছিল। ওই সময়ে কিছু শট বাদ দিতে হয়। আর আমার ক্ষেত্রে পরিকল্পনাটা ঠিক ছিল; কিন্তু সেটা কাজে লাগাতে পারিনি। সেজন্য আমি অবশ্যই অপরাধবোধে ভুগছি। আমি তখন আউট না হলে হয়তো আরও আধঘণ্টা খেলতে পারতাম। ওরা তখন অনেক কম ওভার পেত।’
আক্ষেপ-আফসোস বাদ দিলে কিছু অর্জনও দেখছেন অধিনায়ক। সাকিব আল হাসানের জন্য যেমন ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত গেল সিরিজটা। অভিষেক টেস্টেই আশার আলো দেখিয়েছেন নাজিমউদ্দিন। দ্বিতীয় টেস্টে শাহরিয়ার নাফীস ও নাসির হোসেনের পারফরম্যান্সও প্রাপ্তির খাতায়। আছে বোলারদের হাত হয়ে আসা প্রাপ্তিও। ‘সব মিলিয়ে পাঁচ দিনই আমরা ভালো খেলেছি। আগে দেখা যেত এক দিন ভালো খেললে আরেক দিন খারাপ খেলতাম। আমার মনে হয়, এটা এমন একটা টেস্ট, যেখানে আমরা পাাঁচটা দিনই কিছু না-কিছু ভালো খেলেছি’—ঢাকা টেস্ট শেষে দাবি জানালেন মুশফিক।
সিরিজে খেলোয়াড়দের সঙ্গে বোর্ড কর্মকর্তাদের ‘পারফরম্যান্স’ও কম নেতিবাচক আলোচনার জন্ম দেয়নি। নির্বাচকদের দলে বোর্ডের হস্তক্ষেপের আলোচনা পুরো সিরিজেই ছিল। তবে এসব ঘটনা বাংলাদেশের ক্রিকেটে এতটাই নিয়মিত যে, তা যেন ‘হোম কন্ডিশনের’ই অংশ! ক্রিকেটাররা এসব মেনে নিয়েই খেলেছেন বলে দাবি মুশফিকের, ‘আগেও বলেছি, এগুলো আমাদের এখানে হয়েই থাকে। এসব নিয়ে খেলোয়াড়েরা খুব একটা চিন্তিত হই না। আমাদের মাঠের পারফরম্যান্স নিয়েই চিন্তা করা উচিত।’
পারফরম্যান্সের আলোচনায় সাকিব-নাজিমউদ্দিনদের সঙ্গে উদাহরণ হতে পারেন নাসির হোসেনও। ওয়ানডেতে সেঞ্চুরির পর কাল দ্বিতীয় ইনিংসে ৭৯ রানের ইনিংস, চাপের মধ্যেও নির্ভার ক্রিকেট খেলার মানসিকতা তরুণ এই ক্রিকেটারের শক্তির দিকটাই তুলে ধরেছে। তবে কাল ম্যাচ শেষে তৃপ্তি খুঁজে পাওয়া গেল না নাসিরের মধ্যে, ‘সেঞ্চুরি হলে যে আনন্দ হতো তার চেয়ে বেশি ভালো লাগত টেস্টটা ড্র করতে পারলে। সেঞ্চুরির লক্ষ্য ছিল না, লক্ষ্য ছিল অন্তত চা-বিরতি পর্যন্ত খেলা।’
ছোট ছোট আফসোস থাকবেই। তার পরও সান্ত্বনা এই, শেষ ভালোর আশা কিছুটা তো মেটাল ঢাকা টেস্ট!
No comments