পারসিক ড্রোননামা by ফয়সল আবদুল্লাহ
‘পাখিটার দিকে আমরা কিছু এলোমেলো সংকেত পাঠাই। এতে পাখিটার মাথা যায় বিগড়ে। তখুনি ওটা ‘স্বয়ংক্রিয়ভাবে উড়তে শুরু করে। এক পর্যায়ে মাথা খাটানো বন্ধ করে দেয় পাখিটা। আর ইরানকে ভেবে বসলো তার অবতরণ ঘাঁটি।’
ডানা মেলা ঈগলের মতো পাখিটার নাম ড্রোন। আমেরিকার অনেকগুলো চোখের একটা। যে চোখের ডিকশনারিতে সার্বভৌমত্ব বলে কোনও শব্দ নেই। আছে কেবল অতি চালাকি। এবার সেই অতি চালাক চোখে দড়ি বেঁধে নিচে নামিয়ে লকারে ভরে বেশ করে চোখ টিপ দিল ইরান। যেদিন অক্ষত ড্রোনটার ছবি দেখাল দেশটার টিভি, সেদিন হোয়াইট হাউসের লোকগুলোর সামনে কোনো ক্যামেরা তাক করা না থাকলেও কিংকর্তব্যবিমূড় চেহারাগুলো কল্পনা করতে খুব একটা কষ্ট করতে হয় না। মনে মনে যারা নিজেদের বিজ্ঞানীদের মু-ুপাত করে যাচ্ছিলেন। কোটি কোটি ডলার খরচা করে এই বানালি!
ইরানের এক প্রকৌশলী আবার ঘটা করে ক্রিশ্চিয়ান সায়েন্স মনিটরকে ব্যাখা করলেন, কীভাবে তারা মার্কিন গোয়েন্দাবিমানকে মাথায় হাত বুলিয়ে নিচে নামিয়ে আনলেন। শুরুর কথাগুলো তারই বলা।
একটি দু’টি নয়, ইরানের দাবি তারা যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি ও ইসরায়েলের চারটি চালকবিহীন বিমানকে মাটিতে নামিয়ে এনেছে। কিন্তু প্রশ্ন হল- সর্বোচ্চ প্রযুক্তির ওই বিমান নিয়ন্ত্রণের ইলেক্ট্রনিক কোড হ্যাক করলো কী করে পারসিকরা?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেই ইরানি বিজ্ঞানী বললেন, ড্রোন যতই আধুনিক হোক না কেন, পথ চিনতে তাকে সেই আদ্যিকালের গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম ওরফে জিপিএস প্রযুক্তির কাছেই ধরনা দিতে হয়। আর সেই জিপিএস কাজ করে তিনটি আলাদা আলাদা স্যাটেলাইট থেকে নেয়া অবস্থান নির্দেশক তথ্য নিয়ে। ওই সংকেতগুলোকে এলোমেলো করে দিতে ড্রোনের দিকে তাক করে এলোপাতাড়ি তরঙ্গ ছুড়েছে ইরানি বিজ্ঞানীরা। যাকে বলে ‘নয়েজ’ তৈরি করা।
ওদিকে ড্রোনটার জিপিএস তরঙ্গ গ্রাহক যন্ত্রটা বুঝতে পারলো না, কোনটা তার কাজের তথ্য, আর কোনটা তরঙ্গ-দূষণ। এতে করে মার্কিনিদের নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে ড্রোনটা ‘অটোপাইলট’ অবস্থায় চলে আসে। পরের কাজটা অবশ্য খানিকটা জটিল। আর তা হলো ড্রোনটাকে ভুল বুঝিয়ে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা। সেটাও করে দেখিয়েছে ইরান। একের পর এক কৃত্রিম জিপিএস সিগনাল পাঠিয়ে ড্রোনটাকে বুঝিয়ে দিল (সোজা কথায় যাকে বলে ‘টুপি পড়ানো’)- বাছা তুমি আফগানিস্তানে মার্কিন ঘাঁটির ঠিক উপরেই আছো, ভালয় ভালয় ল্যান্ড কর। ঠিক যেন কবিতার লাইন আওড়ে বুলবুলিকে খাঁচায় ভরেছেন পারস্যের কোনো কবি।
কিন্তু দৃশ্যপটের অপর পিঠে ‘নাদান পারিন্দা’ (অবুঝ পাখি) গুলোকে ঘরে আনতে একেবারেই রাজি নয় ওবামার সরকার। ১৩ ডিসেম্বর মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লিও প্যানেটা ফক্স নিউজকে বললেন, ইরানের পরমাণু কর্মকা-ের ওপর নজরদারী চলবেই। প্যানেটা মশাই কি এটা জানেন না যে, ২০০৯ সালের জুনেই ইরান নিজস্ব ড্রোনের পরীক্ষা চালিয়েছে? যেটা কিনা রাডার ফাঁকি দিয়ে বোমাও ছুড়তে পারে! কদিন আগে ইরান আরও বানাল ‘রাদ’ আর ‘নাজির’ নামের দুই ধরনের বেশক’টা চালকবিহীন জঙ্গিবিমান। দুটোরই দেখার ক্ষমতা ঈগলের মতো বলে জানালেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী আহমদ বাহিদি। এমনকি ক’দিন পর নিজেদের ড্রোন অন্যদেশে বিক্রির কথাও বলেছেন বাহিদি!
ইরান যে আফগানিস্তান কিংবা ইরাক নয় তা জানা গেল দেশটির ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) এর ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার বিভাগের কর্মকর্তা জেনারেল মোহারাম গোলিজাদের কথাতেও।
গোলিজাদ বললেন, শুধু ড্রোন হ্যাকিং নিয়েই পড়ে নেই ইরান। জিপিএস চালিত মিসাইল ছিনিয়ে নেয়ার কাজেও তারা অনেক দূর এগিয়েছে। আর কিছুদিন পর ছুটে আসা মিসাইলকে বোকা বানিয়ে লক্ষ্যচ্যুত করে পছন্দমতো জায়গায় পাঠিয়ে বিস্ফোরণ ঘটাতে পারবে ইরানিরা! হোয়াইট হাউস নিশ্চয়ই এসব খবর রাখে। হয়তো একারণেই ড্রোন আটকের পর ইরান নিয়ে তাদের ও ইসরায়েলের হম্বিতম্বি খানিকটা কমেছে।
মার্কিন সরকারের ভয়টা আরো বাড়িয়ে দিল সেই নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইরানি বিজ্ঞানী। বলেছেন, আটক করা ড্রোনটার ‘ওপেন হার্ট সার্জারি’ বা করে আগ-পাশ-তলা খুলে সব জানার চেষ্টা করছেন তারা। পর্যবেক্ষকদের মতে, সামরিক প্রযুক্তিতে ইরান যেভাবে মিসাইল গতিতে এগিয়েছে তাতে বোধকরি আরকিউ-১৭০ মডেলের মতো ড্রোন বানাতে তাদের আর বেশিদিন লাগবে না।
এ তো গেল প্রাযুক্তিক যুদ্ধের কথা। ইরান কিন্তু রাজনৈতিক আক্রমণের ব্যাপারেও সজাগ। প্রযুক্তিতে সহসা মার্কিনিদের টপকে না গেলেও, কিছু দিক দিয়ে যদি ইরান-যুক্তরাষ্ট্র সমান সমান হয়ে যায় তবে মার্কিন-বিরোধীরা ইরানের বাড়ানো হাত ধরতে খুব একটা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগবে বলে মনে হয় না। এরই মধ্যে শোনা গেল ইরানের কয়েকজন রাজনীতিক পাকিস্তানকে অনুরোধ করেছেন তারা যেন তাড়াতাড়ি আমেরিকার আঁচলের তলা থেকে বেরিয়ে ইরানের হাত ধরে। পাকিস্তানের জন্য যা কিনা দ্বিধায় পড়ে যাওয়ার মতো প্রস্তাব।
কেননা, একসময়ের আত্মীয় আমেরিকা তো পাকিস্তানের জন্য দিন দিন কংস মামা হয়ে যাচ্ছে। এই সেদিন ন্যাটোর অতর্কিত হামলায় মারা গেল ২৮ পাকিস্থানি সেনা। অন্যদিকে চলতি সপ্তাতেই পাকিস্তানে জঙ্গিবাদ বিরোধী যুদ্ধে পূর্বপ্রস্তাবিত ৮৫ কোটি ডলার সাহায্যের ৬০ শতাংশই আটকে দিল মার্কিন কংগ্রেস। এ ধরনের পরিস্থিতিতে পাকি রাজনীতিকরা এও বললেন, চীন তাদের সঙ্গেই আছে।
এ ধরনের পরিস্থিতিতে বিষফোঁড়া হয়ে যদি মার্কিন বিরোধীতা কথা আর কাজে আবার উত্তর কোরিয়াও যোগ দেয়, তবেই ষোলকলা পূর্ণ।
এদিকে, ইরানে জাতীয় নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক বিভাগের উচ্চপর্যায়ের সদস্যদের হাতে গোয়েন্দা প্রতিবেদন এসেছে, আগামী নির্বাচনে ঝামেলা পাকানোর পাঁয়তারা করছে কয়েকটা পশ্চিমা দেশ। সম্প্রতি গ্রেফতার হওয়া সিআইএ এজেন্ট আমির মির্জা হেকমতিকে জিজ্ঞাসাবাদে হয়তো এ নিয়ে আরো চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসবে। তবে এতকিছুর পরও হোসনি মোবারক বা গাদ্দাফির সঙ্গে যেহেতু আহমেদিনেজাদকে মেলানো সম্ভব নয়, তাই ধরে নেয়া যায় দেশটির রাজনীতির আকাশে বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের আশংকাও নেই।
dhrubonil@yahoo.com
ইরানের এক প্রকৌশলী আবার ঘটা করে ক্রিশ্চিয়ান সায়েন্স মনিটরকে ব্যাখা করলেন, কীভাবে তারা মার্কিন গোয়েন্দাবিমানকে মাথায় হাত বুলিয়ে নিচে নামিয়ে আনলেন। শুরুর কথাগুলো তারই বলা।
একটি দু’টি নয়, ইরানের দাবি তারা যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি ও ইসরায়েলের চারটি চালকবিহীন বিমানকে মাটিতে নামিয়ে এনেছে। কিন্তু প্রশ্ন হল- সর্বোচ্চ প্রযুক্তির ওই বিমান নিয়ন্ত্রণের ইলেক্ট্রনিক কোড হ্যাক করলো কী করে পারসিকরা?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেই ইরানি বিজ্ঞানী বললেন, ড্রোন যতই আধুনিক হোক না কেন, পথ চিনতে তাকে সেই আদ্যিকালের গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম ওরফে জিপিএস প্রযুক্তির কাছেই ধরনা দিতে হয়। আর সেই জিপিএস কাজ করে তিনটি আলাদা আলাদা স্যাটেলাইট থেকে নেয়া অবস্থান নির্দেশক তথ্য নিয়ে। ওই সংকেতগুলোকে এলোমেলো করে দিতে ড্রোনের দিকে তাক করে এলোপাতাড়ি তরঙ্গ ছুড়েছে ইরানি বিজ্ঞানীরা। যাকে বলে ‘নয়েজ’ তৈরি করা।
ওদিকে ড্রোনটার জিপিএস তরঙ্গ গ্রাহক যন্ত্রটা বুঝতে পারলো না, কোনটা তার কাজের তথ্য, আর কোনটা তরঙ্গ-দূষণ। এতে করে মার্কিনিদের নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে ড্রোনটা ‘অটোপাইলট’ অবস্থায় চলে আসে। পরের কাজটা অবশ্য খানিকটা জটিল। আর তা হলো ড্রোনটাকে ভুল বুঝিয়ে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা। সেটাও করে দেখিয়েছে ইরান। একের পর এক কৃত্রিম জিপিএস সিগনাল পাঠিয়ে ড্রোনটাকে বুঝিয়ে দিল (সোজা কথায় যাকে বলে ‘টুপি পড়ানো’)- বাছা তুমি আফগানিস্তানে মার্কিন ঘাঁটির ঠিক উপরেই আছো, ভালয় ভালয় ল্যান্ড কর। ঠিক যেন কবিতার লাইন আওড়ে বুলবুলিকে খাঁচায় ভরেছেন পারস্যের কোনো কবি।
কিন্তু দৃশ্যপটের অপর পিঠে ‘নাদান পারিন্দা’ (অবুঝ পাখি) গুলোকে ঘরে আনতে একেবারেই রাজি নয় ওবামার সরকার। ১৩ ডিসেম্বর মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লিও প্যানেটা ফক্স নিউজকে বললেন, ইরানের পরমাণু কর্মকা-ের ওপর নজরদারী চলবেই। প্যানেটা মশাই কি এটা জানেন না যে, ২০০৯ সালের জুনেই ইরান নিজস্ব ড্রোনের পরীক্ষা চালিয়েছে? যেটা কিনা রাডার ফাঁকি দিয়ে বোমাও ছুড়তে পারে! কদিন আগে ইরান আরও বানাল ‘রাদ’ আর ‘নাজির’ নামের দুই ধরনের বেশক’টা চালকবিহীন জঙ্গিবিমান। দুটোরই দেখার ক্ষমতা ঈগলের মতো বলে জানালেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী আহমদ বাহিদি। এমনকি ক’দিন পর নিজেদের ড্রোন অন্যদেশে বিক্রির কথাও বলেছেন বাহিদি!
ইরান যে আফগানিস্তান কিংবা ইরাক নয় তা জানা গেল দেশটির ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) এর ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার বিভাগের কর্মকর্তা জেনারেল মোহারাম গোলিজাদের কথাতেও।
গোলিজাদ বললেন, শুধু ড্রোন হ্যাকিং নিয়েই পড়ে নেই ইরান। জিপিএস চালিত মিসাইল ছিনিয়ে নেয়ার কাজেও তারা অনেক দূর এগিয়েছে। আর কিছুদিন পর ছুটে আসা মিসাইলকে বোকা বানিয়ে লক্ষ্যচ্যুত করে পছন্দমতো জায়গায় পাঠিয়ে বিস্ফোরণ ঘটাতে পারবে ইরানিরা! হোয়াইট হাউস নিশ্চয়ই এসব খবর রাখে। হয়তো একারণেই ড্রোন আটকের পর ইরান নিয়ে তাদের ও ইসরায়েলের হম্বিতম্বি খানিকটা কমেছে।
মার্কিন সরকারের ভয়টা আরো বাড়িয়ে দিল সেই নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইরানি বিজ্ঞানী। বলেছেন, আটক করা ড্রোনটার ‘ওপেন হার্ট সার্জারি’ বা করে আগ-পাশ-তলা খুলে সব জানার চেষ্টা করছেন তারা। পর্যবেক্ষকদের মতে, সামরিক প্রযুক্তিতে ইরান যেভাবে মিসাইল গতিতে এগিয়েছে তাতে বোধকরি আরকিউ-১৭০ মডেলের মতো ড্রোন বানাতে তাদের আর বেশিদিন লাগবে না।
এ তো গেল প্রাযুক্তিক যুদ্ধের কথা। ইরান কিন্তু রাজনৈতিক আক্রমণের ব্যাপারেও সজাগ। প্রযুক্তিতে সহসা মার্কিনিদের টপকে না গেলেও, কিছু দিক দিয়ে যদি ইরান-যুক্তরাষ্ট্র সমান সমান হয়ে যায় তবে মার্কিন-বিরোধীরা ইরানের বাড়ানো হাত ধরতে খুব একটা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগবে বলে মনে হয় না। এরই মধ্যে শোনা গেল ইরানের কয়েকজন রাজনীতিক পাকিস্তানকে অনুরোধ করেছেন তারা যেন তাড়াতাড়ি আমেরিকার আঁচলের তলা থেকে বেরিয়ে ইরানের হাত ধরে। পাকিস্তানের জন্য যা কিনা দ্বিধায় পড়ে যাওয়ার মতো প্রস্তাব।
কেননা, একসময়ের আত্মীয় আমেরিকা তো পাকিস্তানের জন্য দিন দিন কংস মামা হয়ে যাচ্ছে। এই সেদিন ন্যাটোর অতর্কিত হামলায় মারা গেল ২৮ পাকিস্থানি সেনা। অন্যদিকে চলতি সপ্তাতেই পাকিস্তানে জঙ্গিবাদ বিরোধী যুদ্ধে পূর্বপ্রস্তাবিত ৮৫ কোটি ডলার সাহায্যের ৬০ শতাংশই আটকে দিল মার্কিন কংগ্রেস। এ ধরনের পরিস্থিতিতে পাকি রাজনীতিকরা এও বললেন, চীন তাদের সঙ্গেই আছে।
এ ধরনের পরিস্থিতিতে বিষফোঁড়া হয়ে যদি মার্কিন বিরোধীতা কথা আর কাজে আবার উত্তর কোরিয়াও যোগ দেয়, তবেই ষোলকলা পূর্ণ।
এদিকে, ইরানে জাতীয় নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক বিভাগের উচ্চপর্যায়ের সদস্যদের হাতে গোয়েন্দা প্রতিবেদন এসেছে, আগামী নির্বাচনে ঝামেলা পাকানোর পাঁয়তারা করছে কয়েকটা পশ্চিমা দেশ। সম্প্রতি গ্রেফতার হওয়া সিআইএ এজেন্ট আমির মির্জা হেকমতিকে জিজ্ঞাসাবাদে হয়তো এ নিয়ে আরো চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসবে। তবে এতকিছুর পরও হোসনি মোবারক বা গাদ্দাফির সঙ্গে যেহেতু আহমেদিনেজাদকে মেলানো সম্ভব নয়, তাই ধরে নেয়া যায় দেশটির রাজনীতির আকাশে বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের আশংকাও নেই।
dhrubonil@yahoo.com
No comments