শতকোটি টাকার তেল নিয়ে ডুবছে সিঙ্গাপুরি জাহাজ by সারোয়ার সুমন
শতকোটি টাকার জ্বালানি তেল নিয়ে ডুবতে বসেছে সিঙ্গাপুরের পতাকাবাহী জাহাজ 'টর্ম মেরি'। এরই মধ্যে জাহাজের ইঞ্জিনরুম পানিতে সয়লাব হয়ে গেছে । ইঞ্জিনরুমে প্রায় ৩০ ফুট উচ্চতায় পানি ঢুকে পড়ায় অকেজো হয়ে গেছে জাহাজের সব ইঞ্জিন। বন্দর চ্যানেল থেকে ৬৫ মাইল দূরে কুতুবদিয়ায় নোঙর করে থাকায় জাহাজে থাকা প্রায় এক লাখ টন জ্বালানি তেলও খালাস করা যাচ্ছে না। জ্বালানি তেল খালাস করে জাহাজটি উদ্ধারের উপায় খুঁজতে এরই
মধ্যে ভারত থেকে বাংলাদেশে এসেছেন মালিক পক্ষের দু'জন প্রতিনিধি। বাংলাদেশের বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় তারা জাহাজে পানি ঢোকার পথ আপাতত বন্ধ করেছেন। তবে জাহাজে থাকা জ্বালানি তেল শিগগির খালাস করা না গেলে ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের জন্য ফার্নেস অয়েল নিয়ে এ জাহাজটি বন্দরের বহির্নোঙরে আসে ৬ ডিসেম্বর।
এদিকে ডুবতে বসা জাহাজটির সর্বশেষ অবস্থা জানাতে জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট প্রাইড শিপিং লাইনস লিমিটেডকে নির্দেশ দিয়েছে নৌ-বাণিজ্য অধিদফতর। তাদের নির্দেশনা মতে গতকাল জাহাজটি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানায় প্রাইড শিপিং লাইনস। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষও এ ব্যাপারে সতর্ক দৃষ্টি রেখেছে।
চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করে নৌ-বাণিজ্য অধিদফতর চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রিন্সিপাল অফিসার ক্যাপ্টেন হাবিবুর রহমান বলেন, 'প্রায় এক লাখ টন জ্বালানি নিয়ে জাহাজটি ১৫ দিন আগে এলেও এখন পর্যন্ত কোনো মালই খালাস করতে পারেনি তারা। বাংলাদেশে আসার পর থেকেই জাহাজটির ইঞ্জিনরুমে সমস্যা দেখা দিচ্ছিল। এরই মধ্যে পানি ঢুকে এ জাহাজের সব ক'টি ইঞ্জিন বিকল হয়ে গেছে। জাহাজটি চ্যানেল থেকে ৬৫ মাইল দূরে হওয়ায় এবং সবক'টি ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে থাকায় পুরো বিষয়টি জটিল আকার ধারণ করছে।'
জানা গেছে, জাহাজটিকে রক্ষা করতে হলে জরুরি ভিত্তিতে খালাস করতে হবে জ্বালানি তেল। জাহাজের সবক'টি ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে পড়ায় এ তেল বাংলাদেশে খালাস করা খুবই দুরূহ হবে। আবার ৬৫ মাইল দূর থেকে টাগবোট দিয়ে জাহাজটি চ্যানেলে টেনে আনাও ঝুঁকিপূর্ণ। আবার এমন ঝুঁকিপূর্ণ জাহাজকে বন্দর চ্যানেলে ঢোকার অনুমতি দেবে না বন্দর কর্তৃপক্ষও। বিকল্প হিসেবে তেল খালাস করতে হবে অন্য কোনো জাহাজের সহায়তায়। এটিও অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ কাজ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। কারণ স্বাভাবিক পাইপ ব্যবহার করে অন্য কোনো জাহাজে জ্বালানি তেল খালাস করা বিপজ্জনক। এ দুই বিকল্পের কোনোটি সম্ভব না হলে জাহাজটিকে ফিরিয়ে নিতে হবে সিঙ্গাপুর। কারণ বাংলাদেশের জলসীমায় ঝুঁকিপূর্ণভাবে কোনো জাহাজ দীর্ঘমেয়াদে রাখতে দেবে না নৌবাহিনী কিংবা বন্দর কর্তৃপক্ষ। উদ্ভূত এসব জটিলতা হিসাবে নিয়ে ভারত ফিরে যাচ্ছেন মালিক পক্ষের দুই প্রতিনিধি।
এদিকে বাংলাদেশে নোঙর করার ১৫ দিন পরও জাহাজ থেকে কোনো তেল খালাস করতে না পারার বিষয়টি স্বীকার করে স্থানীয় শিপিং এজেন্ট প্রাইড শিপিং লাইনসের স্বত্বাধিকারী নজরুল ইসলাম বলেন, 'জাহাজটির প্রিন্সিপাল এজেন্ট থেকে তেল খালাসের ছাড়পত্র পাইনি আমরা। এ কারণে এখনও জাহাজে ভাসছে আমদানি করা শতকোটি টাকার তেল।' জাহাজটির ইঞ্জিনরুমে পানি ঢোকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'আপাতত পানি ঢোকার পথ বন্ধ করেছে মালিক পক্ষ। এখন জ্বালানি তেল খালাস করে কীভাবে জাহাজটি ফিরিয়ে নেওয়া যায় সে উপায় খুঁজছে তারা।'
বন্দর কর্তৃপক্ষের বক্তব্য
ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ভাসতে থাকা জাহাজ টর্ম মেরিকে বন্দর সীমায় আপাতত ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন বন্দরের ডেপুটি কনজারভেটর নাজমুল আলম। তিনি বলেন, 'জাহাজটির সবক'টি ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ায় টাগবোট দিয়ে এটি টেনে নেওয়া ঝুঁকিপূর্ণ হবে। মালিকপক্ষকে বিকল্প কোনো জাহাজ এনে কিংবা লাইটারেজ জাহাজ দিয়ে সতর্কভাবে খালাস করতে হবে এক লাখ টন জ্বালানি। অয়েল ট্যাঙ্কে পানি ঢোকার আগেই শেষ করতে হবে এ কাজ।' জাহাজটির ব্যাপারে বন্দর কর্তৃপক্ষের সতর্ক দৃষ্টি রয়েছে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের জন্য ফার্নেস অয়েল নিয়ে এ জাহাজটি বন্দরের বহির্নোঙরে আসে ৬ ডিসেম্বর।
এদিকে ডুবতে বসা জাহাজটির সর্বশেষ অবস্থা জানাতে জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট প্রাইড শিপিং লাইনস লিমিটেডকে নির্দেশ দিয়েছে নৌ-বাণিজ্য অধিদফতর। তাদের নির্দেশনা মতে গতকাল জাহাজটি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানায় প্রাইড শিপিং লাইনস। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষও এ ব্যাপারে সতর্ক দৃষ্টি রেখেছে।
চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করে নৌ-বাণিজ্য অধিদফতর চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রিন্সিপাল অফিসার ক্যাপ্টেন হাবিবুর রহমান বলেন, 'প্রায় এক লাখ টন জ্বালানি নিয়ে জাহাজটি ১৫ দিন আগে এলেও এখন পর্যন্ত কোনো মালই খালাস করতে পারেনি তারা। বাংলাদেশে আসার পর থেকেই জাহাজটির ইঞ্জিনরুমে সমস্যা দেখা দিচ্ছিল। এরই মধ্যে পানি ঢুকে এ জাহাজের সব ক'টি ইঞ্জিন বিকল হয়ে গেছে। জাহাজটি চ্যানেল থেকে ৬৫ মাইল দূরে হওয়ায় এবং সবক'টি ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে থাকায় পুরো বিষয়টি জটিল আকার ধারণ করছে।'
জানা গেছে, জাহাজটিকে রক্ষা করতে হলে জরুরি ভিত্তিতে খালাস করতে হবে জ্বালানি তেল। জাহাজের সবক'টি ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে পড়ায় এ তেল বাংলাদেশে খালাস করা খুবই দুরূহ হবে। আবার ৬৫ মাইল দূর থেকে টাগবোট দিয়ে জাহাজটি চ্যানেলে টেনে আনাও ঝুঁকিপূর্ণ। আবার এমন ঝুঁকিপূর্ণ জাহাজকে বন্দর চ্যানেলে ঢোকার অনুমতি দেবে না বন্দর কর্তৃপক্ষও। বিকল্প হিসেবে তেল খালাস করতে হবে অন্য কোনো জাহাজের সহায়তায়। এটিও অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ কাজ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। কারণ স্বাভাবিক পাইপ ব্যবহার করে অন্য কোনো জাহাজে জ্বালানি তেল খালাস করা বিপজ্জনক। এ দুই বিকল্পের কোনোটি সম্ভব না হলে জাহাজটিকে ফিরিয়ে নিতে হবে সিঙ্গাপুর। কারণ বাংলাদেশের জলসীমায় ঝুঁকিপূর্ণভাবে কোনো জাহাজ দীর্ঘমেয়াদে রাখতে দেবে না নৌবাহিনী কিংবা বন্দর কর্তৃপক্ষ। উদ্ভূত এসব জটিলতা হিসাবে নিয়ে ভারত ফিরে যাচ্ছেন মালিক পক্ষের দুই প্রতিনিধি।
এদিকে বাংলাদেশে নোঙর করার ১৫ দিন পরও জাহাজ থেকে কোনো তেল খালাস করতে না পারার বিষয়টি স্বীকার করে স্থানীয় শিপিং এজেন্ট প্রাইড শিপিং লাইনসের স্বত্বাধিকারী নজরুল ইসলাম বলেন, 'জাহাজটির প্রিন্সিপাল এজেন্ট থেকে তেল খালাসের ছাড়পত্র পাইনি আমরা। এ কারণে এখনও জাহাজে ভাসছে আমদানি করা শতকোটি টাকার তেল।' জাহাজটির ইঞ্জিনরুমে পানি ঢোকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'আপাতত পানি ঢোকার পথ বন্ধ করেছে মালিক পক্ষ। এখন জ্বালানি তেল খালাস করে কীভাবে জাহাজটি ফিরিয়ে নেওয়া যায় সে উপায় খুঁজছে তারা।'
বন্দর কর্তৃপক্ষের বক্তব্য
ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ভাসতে থাকা জাহাজ টর্ম মেরিকে বন্দর সীমায় আপাতত ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন বন্দরের ডেপুটি কনজারভেটর নাজমুল আলম। তিনি বলেন, 'জাহাজটির সবক'টি ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ায় টাগবোট দিয়ে এটি টেনে নেওয়া ঝুঁকিপূর্ণ হবে। মালিকপক্ষকে বিকল্প কোনো জাহাজ এনে কিংবা লাইটারেজ জাহাজ দিয়ে সতর্কভাবে খালাস করতে হবে এক লাখ টন জ্বালানি। অয়েল ট্যাঙ্কে পানি ঢোকার আগেই শেষ করতে হবে এ কাজ।' জাহাজটির ব্যাপারে বন্দর কর্তৃপক্ষের সতর্ক দৃষ্টি রয়েছে বলেও জানান তিনি।
No comments