পাকিস্তানের ইতিহাস-সেরা বছর! by আরিফুল ইসলাম
স্বপ্নের ব্যাগি গ্রিন পাওয়ার খুব কাছাকাছি এড কাওয়ান, ডাক পেয়েছেন বক্সিং ডে টেস্টের অস্ট্রেলিয়া দলে। হাতে ব্যাট চলে, আবার মাঠের বাইরে তাঁর কলমও চলে। ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকইনফোতে নিয়মিতই লেখেন। দিন কয়েক আগে লিখেছিলেন, ব্যাটিং-বোলিং গড় বা ৫ উইকেট-সেঞ্চুরির সংখ্যা দিয়ে ক্রিকেটারদের মান বিবেচনার প্রচলিত ধারা থেকে বেরিয়ে আসা উচিত। দলের জয়ে সেঞ্চুরি বা ৫ উইকেটের কতটা অবদান, কিংবা জয়ে
ব্যাটিং-বোলিং গড় কত, মুখ্য হওয়া উচিত এটাই। ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে যেমন, তেমনি দলের ক্ষেত্রেও কাওয়ানের দাবিটা খুবই যৌক্তিক। আর এই বিবেচনাতেই পাকিস্তানের টেস্ট ইতিহাসের সেরা বছর ২০১১!
এ বছর ৬টি টেস্ট জিতল পাকিস্তান। এক বছরে এর চেয়েও বেশি টেস্ট পাকিস্তান জিতেছে। ১৯৮২ ও ২০০২ সালে জিতেছিল ৭টি করে। কিন্তু ক্রিকেট পরিসংখ্যানে জয়-পরাজয়ের হার বলেও একটা ব্যাপার আছে। কাওয়ানের দাবি মেনে নিলে, সাফল্যে বিবেচনার মাপকাঠি হওয়া উচিত সেটাই। এ বছর ১০ টেস্ট খেলে ৬টিতেই জিতেছে পাকিস্তান, হার মাত্র একটিতে। জয়-পরাজয়ের হার ৬.০০, পাকিস্তানের ৫৯ বছরের টেস্ট ইতিহাসের সেরা! যে দুই বছর ৭টি করে টেস্ট জিতেছিল, এক বছর টেস্ট খেলেছিল ১২টি, আরেকবার ১১। আগের সেরা সাফল্য ছিল ১৯৯৪ ও ২০০৩ সালে, জয়-পরাজয়ের হার ৫.০০ (৮ টেস্টে ৫ জয়, ১ হার)।
এই সাফল্যটা কী এক সময়েই না এল! মাঠের ভেতর-বাইরে মিলিয়ে দেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে সময়ে এমন সাফল্য পাকিস্তান বলেই হয়তো সম্ভব। তবে এই পাকিস্তান যে অন্য রকম, সেটি বলে দেয় মিসবাহ-উল-হকের পরিমিত উচ্ছ্বাসও। আনন্দে ভেসে যাচ্ছেন না পাকিস্তান অধিনায়ক, মাঠের ভেতরে যেমন, মাইক্রোফোনের সামনেও তেমন স্থিতধী, ‘এই দলটা যখন একত্রে খেলা শুরু করেছিল, তখন বেশ কয়েকজন আনকোরা তরুণ ছিল। ওরা এখন যথেষ্ট অভিজ্ঞ। এক-দেড় বছর ধরে প্রায় একই দল খেলেছে। ভিন্ন ভিন্ন পরিস্থিতিতে কীভাবে খেলতে হয়, সেটাও শিখেছে তারা। এটাই সাফল্যের মূলে। টেস্টে দলের পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ করলে দেখবেন, শীর্ষ ছয় ব্যাটসম্যানের সবাই মোটামুটি রান পেয়েছে, সবার গড় কাছাকাছি। বোলাররাও একত্রে শিকার করেছে, কেউ খুব একটা এগিয়ে বা পিছিয়ে নেই। দলের সাফল্যের মূলে এটাই।’
‘সুপারকুল’ মিসবাহও অবশ্য কাল খানিকটা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন। রান-বলের টানাপোড়েন থাকলে না হয় নিজেদের কিছু করার থাকে, কিন্তু পাকিস্তানের লড়াই যে ছিল প্রকৃতির সঙ্গে! চারপাশের হাজারো প্রতিবন্ধকতার মাঝেও যেমন জিতে চলেছে, তেমনি মিরপুর স্টেডিয়ামের মরে আসা আলোকেও শেষ পর্যন্ত হারিয়েছে মিসবাহর দল। সমালোচকেরা অবশ্য তারপরও থেমে নেই। পাকিস্তানের শম্বুকগতির ব্যাটিং নিয়ে কথা হচ্ছে অনেক। ওভারপ্রতি রান রেটে পাকিস্তানের (২.৮৮) নিচে এ বছর কেবল জিম্বাবুয়ে (২.৮১)!
স্লগ সুইপে ছয় মারার মতোই যেন প্রসঙ্গটিকে গ্যালারিতে ফেললেন মিসবাহ, ‘ফলাফলই তো আমাদের পক্ষে কথা বলছে। আমি জানি না, এমন সাফল্যের পরও এসব প্রশ্ন তোলা কতটা যৌক্তিক। আমার কাছে সেরা কৌশল হলো যে কৌশলে দল জেতে। আমরা এখন জিতেছি বলেই কৌশল নিয়ে আমার কোনো সংশয় নেই।’
সত্যিই তো, দিন শেষে দলের জয়টাই আসল! ইতিহাসের সফলতম বছরে এসব প্রসঙ্গ অবান্তরই!
এ বছর ৬টি টেস্ট জিতল পাকিস্তান। এক বছরে এর চেয়েও বেশি টেস্ট পাকিস্তান জিতেছে। ১৯৮২ ও ২০০২ সালে জিতেছিল ৭টি করে। কিন্তু ক্রিকেট পরিসংখ্যানে জয়-পরাজয়ের হার বলেও একটা ব্যাপার আছে। কাওয়ানের দাবি মেনে নিলে, সাফল্যে বিবেচনার মাপকাঠি হওয়া উচিত সেটাই। এ বছর ১০ টেস্ট খেলে ৬টিতেই জিতেছে পাকিস্তান, হার মাত্র একটিতে। জয়-পরাজয়ের হার ৬.০০, পাকিস্তানের ৫৯ বছরের টেস্ট ইতিহাসের সেরা! যে দুই বছর ৭টি করে টেস্ট জিতেছিল, এক বছর টেস্ট খেলেছিল ১২টি, আরেকবার ১১। আগের সেরা সাফল্য ছিল ১৯৯৪ ও ২০০৩ সালে, জয়-পরাজয়ের হার ৫.০০ (৮ টেস্টে ৫ জয়, ১ হার)।
এই সাফল্যটা কী এক সময়েই না এল! মাঠের ভেতর-বাইরে মিলিয়ে দেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে সময়ে এমন সাফল্য পাকিস্তান বলেই হয়তো সম্ভব। তবে এই পাকিস্তান যে অন্য রকম, সেটি বলে দেয় মিসবাহ-উল-হকের পরিমিত উচ্ছ্বাসও। আনন্দে ভেসে যাচ্ছেন না পাকিস্তান অধিনায়ক, মাঠের ভেতরে যেমন, মাইক্রোফোনের সামনেও তেমন স্থিতধী, ‘এই দলটা যখন একত্রে খেলা শুরু করেছিল, তখন বেশ কয়েকজন আনকোরা তরুণ ছিল। ওরা এখন যথেষ্ট অভিজ্ঞ। এক-দেড় বছর ধরে প্রায় একই দল খেলেছে। ভিন্ন ভিন্ন পরিস্থিতিতে কীভাবে খেলতে হয়, সেটাও শিখেছে তারা। এটাই সাফল্যের মূলে। টেস্টে দলের পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ করলে দেখবেন, শীর্ষ ছয় ব্যাটসম্যানের সবাই মোটামুটি রান পেয়েছে, সবার গড় কাছাকাছি। বোলাররাও একত্রে শিকার করেছে, কেউ খুব একটা এগিয়ে বা পিছিয়ে নেই। দলের সাফল্যের মূলে এটাই।’
‘সুপারকুল’ মিসবাহও অবশ্য কাল খানিকটা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন। রান-বলের টানাপোড়েন থাকলে না হয় নিজেদের কিছু করার থাকে, কিন্তু পাকিস্তানের লড়াই যে ছিল প্রকৃতির সঙ্গে! চারপাশের হাজারো প্রতিবন্ধকতার মাঝেও যেমন জিতে চলেছে, তেমনি মিরপুর স্টেডিয়ামের মরে আসা আলোকেও শেষ পর্যন্ত হারিয়েছে মিসবাহর দল। সমালোচকেরা অবশ্য তারপরও থেমে নেই। পাকিস্তানের শম্বুকগতির ব্যাটিং নিয়ে কথা হচ্ছে অনেক। ওভারপ্রতি রান রেটে পাকিস্তানের (২.৮৮) নিচে এ বছর কেবল জিম্বাবুয়ে (২.৮১)!
স্লগ সুইপে ছয় মারার মতোই যেন প্রসঙ্গটিকে গ্যালারিতে ফেললেন মিসবাহ, ‘ফলাফলই তো আমাদের পক্ষে কথা বলছে। আমি জানি না, এমন সাফল্যের পরও এসব প্রশ্ন তোলা কতটা যৌক্তিক। আমার কাছে সেরা কৌশল হলো যে কৌশলে দল জেতে। আমরা এখন জিতেছি বলেই কৌশল নিয়ে আমার কোনো সংশয় নেই।’
সত্যিই তো, দিন শেষে দলের জয়টাই আসল! ইতিহাসের সফলতম বছরে এসব প্রসঙ্গ অবান্তরই!
No comments