সাংবাদিকতার রক্তাক্ত বছর ২০১১
২০১১ সাল। এ বছরটিই গেলো যুদ্ধ বিগ্রহ আর আন্দোলন সহিংসতার মধ্য দিয়ে। এই বছর যেমন সহিংসতায় প্রাণ হারিয়েছেন শত শত বেসামরিক মানুষ তেমনি এই সহিংসতার হাত থেকে রক্ষা পাননি সাংবাদিকরা। এখন পর্যন্ত যে পরিসংখ্যান পাওয়া গেছে, তাতে ২০১১ সালকে নিঃসন্দেহে গণমাধ্যম জগতের এক রক্তাক্ত বছর বলা যেতে পারে।
রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস (আরএসএফ) এর হিসাব অনুযায়ী, চলতি বছর সারা বিশ্বে সাংবাদিক নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ৬৬ জন। এই প্রাণহানির বেশিরভাগই ঘটেছে আরব বিপ্লব, মেক্সিকোর মাদক গ্যাং এবং পাকিস্তানের রাজনৈতিক অস্থিরতার খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে।
এছাড়া, সিরিয়া, মিশর এবং লিবিয়ার শহরগুলোকে বিশ্ব গণমাধ্যমের জন্য সবচে বিপজ্জনক স্থান হিসেবে চিহ্ণিত করেছে আরএসএফ।
আরএসএফ’র তথ্য মতে, চলতি বছর পাকিস্তানে প্রাণ হারিয়েছেন ১০ জন সাংবাদিক যার বেশিরভাগই হত্যাকাণ্ডের শিকার। এই অবস্থার কারণে সংবাদ সংগ্রহের জন্য পাকিস্তান সবচে বিপজ্জনক দেশ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে এবং আগামী বছরের জন্যও এই সতর্কতা থাকছে।
এদিকে আরব বিশ্বে গণতন্ত্রের দাবিতে শুরু হওয়া বিক্ষোভ সহিংসতার মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যে সাংবাদিক নিহত হয়েছেন ২০ জন।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত একটি বিবৃতিতে প্যারিসভিত্তিক সংগঠন আরএসএফ জানায়, বছরজুড়ে ল্যাটিন আমেরিকায় সন্ত্রাসী এবং মাদক চোরা কারবারি গ্যাংগুলোর তৎপরতায় সাংবাদিক নিহত হয়েছেন ২০ জন।
আরব বিশ্বে বিক্ষোভ চলার সময় এবং রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সঙ্কটের কারণে গ্রিস, বেলারুশ, উগান্ডা, চিলি এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিক্ষোভ প্রতিবাদের সময় আটক হয়েছেন এক হাজার ৪৪ জন সাংবাদিক। এই সংখ্যা গত বছরের দ্বিগুণ।
এ ব্যাপারে আরএসএফ বলেছে, ‘কায়রোর তাহরির স্কয়ার থেকে উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানের খুজদার পর্যন্ত এবং মোগাদিসু থেকে ফিলিপাইন পর্যন্ত এলাকায় রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে একজন সাংবাদিকের কাজ করাটা এবার যতোটা ঝুঁকিপূর্ণ ছিল তা আগে কখনও হয়নি।’
চীন, ইরান এবং ইরিত্রিয়াকে বিশ্বে সাংবাদিকদের সবচে বড় কারাগার বলে উল্লেখ করেছে আরএসএফ। তবে এসব দেশে ঠিক কতোজন সাংবাদিক আটক রয়েছেন তা উল্লেখ করা হয়নি।
বিশ্বজুড়ে দশটি স্থানকে সাংবাদিকদের জন্য সবচে বিপজ্জনক স্থান হিসেবে চিহ্নিত করেছে আরএসএফ। এর মধ্যে রয়েছে- আইভরিকোস্টের বাণিজ্যিক রাজধানী আবিদজান; এখানে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় কমপক্ষে ২ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন এবং কায়রোর তাহরিরর স্কয়ার, যেখানে প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারকের সমর্থকরা অনেকবার সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হয়েছিল।
এই তালিকায় আরও আছে, চলমান আরব বসন্তের কেন্দ্রস্থল সিরিয়ার দারা, হোমস এবং দামেস্ক শহর, ইয়েমেনের রাজধানী সানার চেঞ্জ স্কয়ার, লিবিয়ার বিদ্রোহীদের শক্ত ঘাঁটি মিসরাতা।
উল্লেখ্য, গত বছর সারা বিশ্বে ৫৭ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। তবে সাংবাদিকদের জন্য সবচে খারাপ বছর গেছে ২০০৭ সাল। এই সময় ইরাক যুদ্ধ চলছিল। যুদ্ধের খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে বহু সাংবাদিক প্রাণ দিয়েছেন। সে বছর বিশ্বে সাংবাদিক নিহতের ঘটনা ঘটেছে মোট ৮৭টি।
আরএসএফ’র তথ্য মতে, চলতি বছর পাকিস্তানে প্রাণ হারিয়েছেন ১০ জন সাংবাদিক যার বেশিরভাগই হত্যাকাণ্ডের শিকার। এই অবস্থার কারণে সংবাদ সংগ্রহের জন্য পাকিস্তান সবচে বিপজ্জনক দেশ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে এবং আগামী বছরের জন্যও এই সতর্কতা থাকছে।
এদিকে আরব বিশ্বে গণতন্ত্রের দাবিতে শুরু হওয়া বিক্ষোভ সহিংসতার মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যে সাংবাদিক নিহত হয়েছেন ২০ জন।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত একটি বিবৃতিতে প্যারিসভিত্তিক সংগঠন আরএসএফ জানায়, বছরজুড়ে ল্যাটিন আমেরিকায় সন্ত্রাসী এবং মাদক চোরা কারবারি গ্যাংগুলোর তৎপরতায় সাংবাদিক নিহত হয়েছেন ২০ জন।
আরব বিশ্বে বিক্ষোভ চলার সময় এবং রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সঙ্কটের কারণে গ্রিস, বেলারুশ, উগান্ডা, চিলি এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিক্ষোভ প্রতিবাদের সময় আটক হয়েছেন এক হাজার ৪৪ জন সাংবাদিক। এই সংখ্যা গত বছরের দ্বিগুণ।
এ ব্যাপারে আরএসএফ বলেছে, ‘কায়রোর তাহরির স্কয়ার থেকে উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানের খুজদার পর্যন্ত এবং মোগাদিসু থেকে ফিলিপাইন পর্যন্ত এলাকায় রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে একজন সাংবাদিকের কাজ করাটা এবার যতোটা ঝুঁকিপূর্ণ ছিল তা আগে কখনও হয়নি।’
চীন, ইরান এবং ইরিত্রিয়াকে বিশ্বে সাংবাদিকদের সবচে বড় কারাগার বলে উল্লেখ করেছে আরএসএফ। তবে এসব দেশে ঠিক কতোজন সাংবাদিক আটক রয়েছেন তা উল্লেখ করা হয়নি।
বিশ্বজুড়ে দশটি স্থানকে সাংবাদিকদের জন্য সবচে বিপজ্জনক স্থান হিসেবে চিহ্নিত করেছে আরএসএফ। এর মধ্যে রয়েছে- আইভরিকোস্টের বাণিজ্যিক রাজধানী আবিদজান; এখানে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় কমপক্ষে ২ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন এবং কায়রোর তাহরিরর স্কয়ার, যেখানে প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারকের সমর্থকরা অনেকবার সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হয়েছিল।
এই তালিকায় আরও আছে, চলমান আরব বসন্তের কেন্দ্রস্থল সিরিয়ার দারা, হোমস এবং দামেস্ক শহর, ইয়েমেনের রাজধানী সানার চেঞ্জ স্কয়ার, লিবিয়ার বিদ্রোহীদের শক্ত ঘাঁটি মিসরাতা।
উল্লেখ্য, গত বছর সারা বিশ্বে ৫৭ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। তবে সাংবাদিকদের জন্য সবচে খারাপ বছর গেছে ২০০৭ সাল। এই সময় ইরাক যুদ্ধ চলছিল। যুদ্ধের খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে বহু সাংবাদিক প্রাণ দিয়েছেন। সে বছর বিশ্বে সাংবাদিক নিহতের ঘটনা ঘটেছে মোট ৮৭টি।
No comments