ইমাম ইসহাক হত্যা মামলা-রায়ে চারজনের মৃত্যুদণ্ড, একজনের যাবজ্জীবন
রাজধানীর রমনা থানা জামে মসজিদের পেশ ইমাম মো. ইসহাককে হত্যার দায়ে চারজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪-এর বিচারক মোতাহার হোসেন গতকাল বুধবার এই হত্যা মামলার রায়ে এই দণ্ডাদেশ দেন। রায়ে যাঁদের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে তাঁরা হলেন—আবদুর রহিম সরদার, মো. নাজিম উদ্দিন, ইকরাম ওরফে মাসুদ ও মুরাদ হোসেন। যাবজ্জীবন
কারাদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামি হলেন কাজী বায়েজীদ। এঁদের মধ্যে ইকরাম ও মুরাদ পলাতক। কারাগারে থাকা বাকি তিনজনকে গতকাল আদালতে হাজির করা হয়। রায়ে বলা হয়, আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০২ ও ১০৯ ধারার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চারজনকে মৃত্যুদণ্ড ও একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হলো। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা রায় ঘোষণার তারিখ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে উচ্চ আদালতে আপিল করতে পারবেন।
নিহত ইসহাকের ভাই ও মামলার বাদী মো. শুয়াইব রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ন্যায়বিচার হয়েছে। তিনি পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তার করে দ্রুত রায় কার্যকর করার অনুরোধ জানান।
আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রায়ের পর বলেন, এই মামলার ২২ সাক্ষীর মধ্যে কেউ প্রত্যক্ষ সাক্ষী নন। কেবল আসামি বায়েজীদের দেওয়া জবানবন্দির ওপর ভিত্তি করে রায় দেওয়া হয়েছে। এই রায়ের বিরুদ্ধে তাঁরা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, লবণ ব্যবসা ও কেনাবেচাকে কেন্দ্র করে আসামি আবদুর রহিমের সঙ্গে ইসহাকের বিরোধ হয়। একপর্যায়ে আসামিরা গত বছরের ২০ ডিসেম্বর ইসহাককে অপহরণ করে শেওড়াপাড়ার শামীম সরণির একটি ভাড়া বাসায় নিয়ে যান। সেখানে ইকরাম, মুরাদসহ অন্য আসামিরা তাঁকে হত্যা করেন। এ ঘটনায় শুয়াইব প্রথমে রমনা থানায় অপহরণ মামলা করেন। পরে পত্রিকায় শেকল দিয়ে হাত-পা বাঁধা অজ্ঞাতনামা লাশ উদ্ধারের খবর দেখে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে গিয়ে ইসহাকের লাশ শনাক্ত করেন। অপহরণ মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তর হয়। শেওড়াপাড়ায় বাসাটি ভাড়া নেন ইকরাম। তাঁর মুঠোফোনের সূত্র ধরে বায়েজীদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বায়েজীদ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ চলতি বছরের ৯ এপ্রিল পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। পরে মামলাটি জনগুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে নিষ্পত্তির জন্য পাঠানো হয়।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি এস এম রফিকুল ইসলাম। তাঁকে সহায়তা করেন শাহীনুর ইসলাম ও তারিকুল ইসলাম। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আবদুর রশিদ, মোসলেহ উদ্দিন, এ টি এম ফিরোজ ও মাজেদুর রহমান।
নিহত ইসহাকের ভাই ও মামলার বাদী মো. শুয়াইব রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ন্যায়বিচার হয়েছে। তিনি পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তার করে দ্রুত রায় কার্যকর করার অনুরোধ জানান।
আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রায়ের পর বলেন, এই মামলার ২২ সাক্ষীর মধ্যে কেউ প্রত্যক্ষ সাক্ষী নন। কেবল আসামি বায়েজীদের দেওয়া জবানবন্দির ওপর ভিত্তি করে রায় দেওয়া হয়েছে। এই রায়ের বিরুদ্ধে তাঁরা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, লবণ ব্যবসা ও কেনাবেচাকে কেন্দ্র করে আসামি আবদুর রহিমের সঙ্গে ইসহাকের বিরোধ হয়। একপর্যায়ে আসামিরা গত বছরের ২০ ডিসেম্বর ইসহাককে অপহরণ করে শেওড়াপাড়ার শামীম সরণির একটি ভাড়া বাসায় নিয়ে যান। সেখানে ইকরাম, মুরাদসহ অন্য আসামিরা তাঁকে হত্যা করেন। এ ঘটনায় শুয়াইব প্রথমে রমনা থানায় অপহরণ মামলা করেন। পরে পত্রিকায় শেকল দিয়ে হাত-পা বাঁধা অজ্ঞাতনামা লাশ উদ্ধারের খবর দেখে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে গিয়ে ইসহাকের লাশ শনাক্ত করেন। অপহরণ মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তর হয়। শেওড়াপাড়ায় বাসাটি ভাড়া নেন ইকরাম। তাঁর মুঠোফোনের সূত্র ধরে বায়েজীদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বায়েজীদ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ চলতি বছরের ৯ এপ্রিল পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। পরে মামলাটি জনগুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে নিষ্পত্তির জন্য পাঠানো হয়।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি এস এম রফিকুল ইসলাম। তাঁকে সহায়তা করেন শাহীনুর ইসলাম ও তারিকুল ইসলাম। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আবদুর রশিদ, মোসলেহ উদ্দিন, এ টি এম ফিরোজ ও মাজেদুর রহমান।
No comments