হোয়াইটওয়াশ হতেই হলো by সঞ্জয় সাহা পিয়াল
বাজির ফুলঝুরি, আলোর রোশনাই আর হাজার ওয়াটের সাউন্ড সিস্টেমে বেজে চলা বিদেশি গান। গতকাল মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটের মচ্ছবের সন্ধ্যায় ধাঁধায় ফেলে দেওয়া ক্যাটওয়াকও ছিল। পাকিস্তানের কাছে ৭ উইকেটে হারা টেস্টের পর মিরপুরের এ বর্ণনায় অনেককেই হোঁচট খেতে পারেন। তবে বলে রাখা ভালো, এটা মুশফিকদের হোয়াইটওয়াশ হওয়ার মঞ্চ ছিল না, বিপিএল টি২০ ক্রিকেটের বোধন আসরের এক টুকরো বিনোদনের
অংশ ছিল মাত্র। টেস্টে হারের লজ্জা যেখানে আরও বেশি করে কাঁটা দিয়ে উঠল। লংগার ভার্সন ক্রিকেট নিয়ে বড় বড় কথা বললেও আদতে ক্রিকেটের বাণিজ্যেই বেশি ঝোঁক বাংলাদেশের। সেটি আবারও প্রমাণিত হলো। ঢাকা টেস্টের সমাধিমঞ্চে তাই কয়েক মিনিটের বিরতিতেই বাজি ফুটল। অথচ ঢাকা টেস্ট বাঁচানোর জন্য প্রকৃতিও মুশফিকদের পাশে ছিল। সকালের কুয়াশার ধাঁধা থেকে দিনভর লুকিয়ে থাকা সূর্য_ টেস্টটি ড্র করার জন্য অনেক পথ্যই উপস্থিত ছিল মিরপুরে; কিন্তু মুশফিকের ডাউন দ্য উইকেটে এসে তুলে মারা, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের ক্যাচ ফেলার পর বিরক্ত প্রকৃতিও মুখ ফিরিয়ে নিল বাংলাদেশ থেকে। তাই ১০৩ রানের টার্গেট ২০.৫ ওভারের মধ্যেই ৩ উইকেট হারিয়ে আদায় করে নিল পাকিস্তান।
খোঁচা দেওয়ার মতো কথা মিসবাহরা বলে গেলেন। 'টেস্ট ক্রিকেট কী, আগে তা বুঝতে হবে, শিখতে হবে মুশফিকদের।'
ক্রিকেট ব্যাকরণের এ কথা মুশফিকদেরও বেশ জানা আছে। তবে সেটি ব্যবহারিক প্রয়োগ করাতেই তাদের যত সমস্যা। আগের দিন ৫ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর যখন ঢাকা টেস্টের প্রাণবায়ু নিয়ে টানাটানি শুরু হয়ে যায়, তখন নবাগত নাসির হোসেনকে নিয়ে অভিজ্ঞ যোদ্ধার মতোই সম্মুখ সমরে লড়ে যাচ্ছিলেন মুশফিকুর রহিম। গতকাল দেড় ঘণ্টা পর শুরু হওয়া ম্যাচের প্রথম সেশনেও উতরে গিয়েছিলেন দু'জন। উমর গুলের বাউন্সার কিংবা আজমলের দুসরা মুশফিক আর নাসির মিলে কভার আর পয়েন্ট দিয়ে বহুবার বাউন্ডারি ছাড়া করেছিলেন। দু'জনের জুটি থেকে ১১৭ রানও এসেছিল; কিন্তু নাসির তার ক্যারিয়ারসেরা ৭৯ রান তোলার পরই আবদুর রেহমানের একটি আর্মারে লাইন মিস করে বোল্ড হয়ে যান। ভরসা ছিল এরপর অধিনায়ক মুশফিককে নিয়ে। আর মাত্র একটি ঘণ্টা কাটিয়ে দিতে পারলেই দ্বিতীয় সেশন শেষ হয়ে যেত। কিন্তু মুশফিক সময় কাটানোর চেয়ে রান লিড নেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। প্রথম শ্রেণীর ম্যাচে সেঞ্চুরির অভিজ্ঞতা থাকা সানির ওপর ভরসা রাখতে পারেননি মুশফিক। তাই রেহমানকে ডাউন দ্য উইকেটে এসে চালাতে গিয়ে ৫৩ রানে থাকা মুশফিক মিডঅফে ক্যাচ দিয়ে বসেন। পাকিস্তানিরা টেস্ট জয় সেলিব্রেশনের প্রথম পর্বটা তখনই মাঠে সেরে নেন। কেননা বাংলাদেশের শেষ ৫ উইকেট পড়েছিল এরপর মাত্র ৩৪ রানে। গত সাত বছরে দুই ইনিংসে আড়াইশোর ওপর রান করেছে বাংলাদেশ মাত্র চারবার। সম্ভাবনা ছিল গতকাল সেটি আবার করতে পারবেন; কিন্তু মুশফিক চলে যেতেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে ইনিংস। ২৩৪ রানেই সব প্রতিরোধ ভেঙে যায় বাংলাদেশিদের।
হাতে ৪০ ওভার নিয়ে ১০৩ রানের টার্গেট পাকিস্তানিদের জন্য বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ ছিল না। এমনকি শাহাদাত হোসেন রাজীবের পাড়ার মাঠের বোলিং কিংবা রবিউলের গুড লেংথ আর শর্টপিচ বোলিং নিয়েও কপাল ঘামানোর কিছু ছিল না মিসবাহদের। যেটা তাদের চিন্তার কারণ ছিল তা শুধুই ডিমলাইট। বারবার দুই আম্পায়ারের কাছে গিয়ে জানতে চেয়েছিলেন হাফিজ_ 'আর কত ওভার খেলা হবে?' ব্যাটিংয়ের শুরুতেই অবশ্য ৪ রানে থাকা হাফিজকে স্লিপ থেকে গলিয়ে বের করে দিয়েছিলেন রিয়াদ। এরপর তৌফিক ওমরকে ৩ রানে ফেরানোর পর একবার গা-ঝাড়া দিয়ে উঠেছিলেন নাজমুল। তবে চা বিরতির পর ৬৬ রানের পিছু নিয়ে ফ্লাডলাইটের নিচে ওয়ানডে ক্রিকেটই খেললেন আজহার আলিরা। জয়ের জন্য ১ রান দূরে থাকা পাকিস্তান অবশ্য আজহারকে হারিয়েছিল সানির বোলিংয়ে। তবে মিসবাহ এসে ছক্কা হাঁকিয়ে পুরো সিরিজের শেষ পেরেকটি ঠুকে যান। সেই সঙ্গে শুরু করিয়ে দিয়ে যান বাংলাদেশিদের মুখ থেকে সেই পুরনো কথার স্লোগান_ 'আমাদের বেশি বেশি করে চার দিনের ম্যাচ খেলতে হবে।'
খোঁচা দেওয়ার মতো কথা মিসবাহরা বলে গেলেন। 'টেস্ট ক্রিকেট কী, আগে তা বুঝতে হবে, শিখতে হবে মুশফিকদের।'
ক্রিকেট ব্যাকরণের এ কথা মুশফিকদেরও বেশ জানা আছে। তবে সেটি ব্যবহারিক প্রয়োগ করাতেই তাদের যত সমস্যা। আগের দিন ৫ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর যখন ঢাকা টেস্টের প্রাণবায়ু নিয়ে টানাটানি শুরু হয়ে যায়, তখন নবাগত নাসির হোসেনকে নিয়ে অভিজ্ঞ যোদ্ধার মতোই সম্মুখ সমরে লড়ে যাচ্ছিলেন মুশফিকুর রহিম। গতকাল দেড় ঘণ্টা পর শুরু হওয়া ম্যাচের প্রথম সেশনেও উতরে গিয়েছিলেন দু'জন। উমর গুলের বাউন্সার কিংবা আজমলের দুসরা মুশফিক আর নাসির মিলে কভার আর পয়েন্ট দিয়ে বহুবার বাউন্ডারি ছাড়া করেছিলেন। দু'জনের জুটি থেকে ১১৭ রানও এসেছিল; কিন্তু নাসির তার ক্যারিয়ারসেরা ৭৯ রান তোলার পরই আবদুর রেহমানের একটি আর্মারে লাইন মিস করে বোল্ড হয়ে যান। ভরসা ছিল এরপর অধিনায়ক মুশফিককে নিয়ে। আর মাত্র একটি ঘণ্টা কাটিয়ে দিতে পারলেই দ্বিতীয় সেশন শেষ হয়ে যেত। কিন্তু মুশফিক সময় কাটানোর চেয়ে রান লিড নেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। প্রথম শ্রেণীর ম্যাচে সেঞ্চুরির অভিজ্ঞতা থাকা সানির ওপর ভরসা রাখতে পারেননি মুশফিক। তাই রেহমানকে ডাউন দ্য উইকেটে এসে চালাতে গিয়ে ৫৩ রানে থাকা মুশফিক মিডঅফে ক্যাচ দিয়ে বসেন। পাকিস্তানিরা টেস্ট জয় সেলিব্রেশনের প্রথম পর্বটা তখনই মাঠে সেরে নেন। কেননা বাংলাদেশের শেষ ৫ উইকেট পড়েছিল এরপর মাত্র ৩৪ রানে। গত সাত বছরে দুই ইনিংসে আড়াইশোর ওপর রান করেছে বাংলাদেশ মাত্র চারবার। সম্ভাবনা ছিল গতকাল সেটি আবার করতে পারবেন; কিন্তু মুশফিক চলে যেতেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে ইনিংস। ২৩৪ রানেই সব প্রতিরোধ ভেঙে যায় বাংলাদেশিদের।
হাতে ৪০ ওভার নিয়ে ১০৩ রানের টার্গেট পাকিস্তানিদের জন্য বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ ছিল না। এমনকি শাহাদাত হোসেন রাজীবের পাড়ার মাঠের বোলিং কিংবা রবিউলের গুড লেংথ আর শর্টপিচ বোলিং নিয়েও কপাল ঘামানোর কিছু ছিল না মিসবাহদের। যেটা তাদের চিন্তার কারণ ছিল তা শুধুই ডিমলাইট। বারবার দুই আম্পায়ারের কাছে গিয়ে জানতে চেয়েছিলেন হাফিজ_ 'আর কত ওভার খেলা হবে?' ব্যাটিংয়ের শুরুতেই অবশ্য ৪ রানে থাকা হাফিজকে স্লিপ থেকে গলিয়ে বের করে দিয়েছিলেন রিয়াদ। এরপর তৌফিক ওমরকে ৩ রানে ফেরানোর পর একবার গা-ঝাড়া দিয়ে উঠেছিলেন নাজমুল। তবে চা বিরতির পর ৬৬ রানের পিছু নিয়ে ফ্লাডলাইটের নিচে ওয়ানডে ক্রিকেটই খেললেন আজহার আলিরা। জয়ের জন্য ১ রান দূরে থাকা পাকিস্তান অবশ্য আজহারকে হারিয়েছিল সানির বোলিংয়ে। তবে মিসবাহ এসে ছক্কা হাঁকিয়ে পুরো সিরিজের শেষ পেরেকটি ঠুকে যান। সেই সঙ্গে শুরু করিয়ে দিয়ে যান বাংলাদেশিদের মুখ থেকে সেই পুরনো কথার স্লোগান_ 'আমাদের বেশি বেশি করে চার দিনের ম্যাচ খেলতে হবে।'
No comments