রমনা মসজিদের ইমাম হত্যায় চারজনের ফাঁসি
রাজধানীর রমনা থানা জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা ইসহাক হত্যা মামলায় ৪ আসামির ফাঁসি ও ১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল বুধবার দুপুরে জনাকীর্ণ আদালতে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ৪-এর বিচারক মোঃ মোতাহার হোসেন এ রায় দেন। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলো_ গোপালগঞ্জ জেলার ভবানীপুরের আবুল কাশেমের ছেলে আবদুর রহিম সরদার, একই জেলার গোপীনাথপুরের মৃত কাজি মাহতাবের
ছেলে কাজি বায়েজিদ, ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলার কদমি পূর্বপাড়ার আবুল কাশেম খানের ছেলে ইকরাম খান ওরফে মাসুদ ওরফে নাঈম খান (পলাতক) ও নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ চরহোগলার আহসানউল্লার ছেলে মুরাদ হোসেন (পলাতক)। অপর আসামি কিশোরগঞ্জের দেওঘরের নাজিম উদ্দিনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় আসামি আবদুর রহিম সরদার, কাজী বায়েজিদ, মোঃ নাজিমুদ্দিন কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। রায় শুনে তারা একে অপরকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন। এ মামলার আসামি ইকরাম খান ও মুরাদ হোসেন শুরু থেকেই পলাতক। যাবজ্জীবন করাদণ্ডপ্রাপ্ত নাজিমুদ্দিন প্রথমে জামিনে থাকলেও গত ১৫ ডিসেম্বর যুক্তিতর্ক শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।
রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কাজি বায়েজিদ, ইকরাম খান ওরফে নাঈম ও মুরাদ হোসেনকে দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারায় এবং মোঃ আবদুর রহিম সরদারকে দণ্ডবিধির ৩০২/১০৯ ধারায় খুনের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে প্রত্যেককে মৃত্যু নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত গলায় ফাঁসির রশি ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত আসামিদের দণ্ড পরোয়ানা ইস্যু করার নির্দেশ দেন। এছাড়া মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অপর দুই আসামি ইকরাম ও মুরাদ হোসেন পলাতক থাকায় তাদের সাজা কার্যকর করার জন্য তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ইসু করারও নির্দেশ দেওয়া হয়। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি নাজিমউদ্দিনকে দণ্ডবিধির ৩০২/১০৯ ধারায় খুনের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করেন।
মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর রাতে রাজধানীর শেওড়াপাড়া শামীম সরণির ৫৪৯/এ নম্বর বাড়ির চারতলা ফ্ল্যাট থেকে শিকলে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ইসহাকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে শেরেবাংলা নগর থানার পুলিশ। এ ঘটনায় চলতি বছরের ১ জানুয়ারি শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ২০ ডিসেম্বর দুপুরে রমনা জামে মসজিদের সামনের রাস্তা থেকে ইসহাককে অপহরণ করে সন্ত্রাসীরা। অপহরণের ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই মোঃ শোয়াইব পরেরদিন রমনা থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন। অপহরণের ১১ দিন পর ১ জানুয়ারি পত্রিকার মাধ্যমে খবর পেয়ে নিহতের ছেলে হাবিবুল্লাহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে নিহতের লাশ শনাক্ত করেন। ২১ জানুয়ারি নিহতের মোবাইল ফোনের কললিস্টের সূত্র ধরে কাজি বায়েজিদকে গোপালগঞ্জ ও নাজিমউদ্দিনকে ঢাকার ফকিরাপুল এলাকা থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে। ২৩ জানুয়ারি আসামি বায়েজিদ হত্যাকাণ্ডে নিজে ও অন্য আসামিদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দেয়।
মামলার অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, নিহত হাফেজ ইসহাকের আত্মীয় ইলিয়াস মোল্লা চট্টগ্রামে তার লবণের কারখানা আসামি আবদুর রহিমের কাছে ১ কোটি ৩৫ লাখ টাকায় বিক্রি করেন। আবদুর রহিম ওই কারখানার মূল্য পরিশোধ করলেও ইলিয়াস কারখানা রেজিস্ট্রি করে না দিলে এতে আপসের চেষ্টা করেন নিহত ইসহাক। তিনি নিজেও আবদুর রহিমের কাছে টাকা পেতেন। লবণ ফ্যাক্টরির মধ্যস্থতা ও ইমাম ইসহাকের পাওনা টাকা না দেওয়ায় তাদের মধ্যে বিরোধ চরম আকার ধারণ করে। মালয়েশিয়া প্রবাসী আবদুর রহিম ইসহাক হত্যার পরিকল্পনা করে আসামি ইকরাম ওরফে মাসুদ ও মুরাদ হোসেনকে মালয়েশিয়া থেকে দেশে পাঠায়। তারা আসামি বায়েজিদ ও নাজিমুদ্দিনের সহায়তায় ইমাম ইসহাককে অপহরণের পর হত্যা করে। রমনা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আলী হোসেন ও মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার মোঃ শহিদুল্লাহ মামলাটি তদন্ত করে এ বছরের ৯ এপ্রিল চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দেয়। আদালত এ মামলায় রায়ের আগে অভিযোগপত্রের ৩৪ সাক্ষীর মধ্যে ২২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন ।
মামলার রায়ের প্রতিক্রিয়ায় নিহতের ছোট ভাই মামলার বাদী মুফতি মোঃ শোয়াইব সাংবাদিকদের বলেন, আদালতে তিনি ন্যায়বিচার পেয়েছেন। পলাতক দুই আসামি বিভিন্ন মাধ্যমে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কাজি বায়েজিদ, ইকরাম খান ওরফে নাঈম ও মুরাদ হোসেনকে দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারায় এবং মোঃ আবদুর রহিম সরদারকে দণ্ডবিধির ৩০২/১০৯ ধারায় খুনের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে প্রত্যেককে মৃত্যু নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত গলায় ফাঁসির রশি ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত আসামিদের দণ্ড পরোয়ানা ইস্যু করার নির্দেশ দেন। এছাড়া মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অপর দুই আসামি ইকরাম ও মুরাদ হোসেন পলাতক থাকায় তাদের সাজা কার্যকর করার জন্য তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ইসু করারও নির্দেশ দেওয়া হয়। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি নাজিমউদ্দিনকে দণ্ডবিধির ৩০২/১০৯ ধারায় খুনের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করেন।
মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর রাতে রাজধানীর শেওড়াপাড়া শামীম সরণির ৫৪৯/এ নম্বর বাড়ির চারতলা ফ্ল্যাট থেকে শিকলে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ইসহাকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে শেরেবাংলা নগর থানার পুলিশ। এ ঘটনায় চলতি বছরের ১ জানুয়ারি শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ২০ ডিসেম্বর দুপুরে রমনা জামে মসজিদের সামনের রাস্তা থেকে ইসহাককে অপহরণ করে সন্ত্রাসীরা। অপহরণের ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই মোঃ শোয়াইব পরেরদিন রমনা থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন। অপহরণের ১১ দিন পর ১ জানুয়ারি পত্রিকার মাধ্যমে খবর পেয়ে নিহতের ছেলে হাবিবুল্লাহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে নিহতের লাশ শনাক্ত করেন। ২১ জানুয়ারি নিহতের মোবাইল ফোনের কললিস্টের সূত্র ধরে কাজি বায়েজিদকে গোপালগঞ্জ ও নাজিমউদ্দিনকে ঢাকার ফকিরাপুল এলাকা থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে। ২৩ জানুয়ারি আসামি বায়েজিদ হত্যাকাণ্ডে নিজে ও অন্য আসামিদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দেয়।
মামলার অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, নিহত হাফেজ ইসহাকের আত্মীয় ইলিয়াস মোল্লা চট্টগ্রামে তার লবণের কারখানা আসামি আবদুর রহিমের কাছে ১ কোটি ৩৫ লাখ টাকায় বিক্রি করেন। আবদুর রহিম ওই কারখানার মূল্য পরিশোধ করলেও ইলিয়াস কারখানা রেজিস্ট্রি করে না দিলে এতে আপসের চেষ্টা করেন নিহত ইসহাক। তিনি নিজেও আবদুর রহিমের কাছে টাকা পেতেন। লবণ ফ্যাক্টরির মধ্যস্থতা ও ইমাম ইসহাকের পাওনা টাকা না দেওয়ায় তাদের মধ্যে বিরোধ চরম আকার ধারণ করে। মালয়েশিয়া প্রবাসী আবদুর রহিম ইসহাক হত্যার পরিকল্পনা করে আসামি ইকরাম ওরফে মাসুদ ও মুরাদ হোসেনকে মালয়েশিয়া থেকে দেশে পাঠায়। তারা আসামি বায়েজিদ ও নাজিমুদ্দিনের সহায়তায় ইমাম ইসহাককে অপহরণের পর হত্যা করে। রমনা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আলী হোসেন ও মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার মোঃ শহিদুল্লাহ মামলাটি তদন্ত করে এ বছরের ৯ এপ্রিল চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দেয়। আদালত এ মামলায় রায়ের আগে অভিযোগপত্রের ৩৪ সাক্ষীর মধ্যে ২২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন ।
মামলার রায়ের প্রতিক্রিয়ায় নিহতের ছোট ভাই মামলার বাদী মুফতি মোঃ শোয়াইব সাংবাদিকদের বলেন, আদালতে তিনি ন্যায়বিচার পেয়েছেন। পলাতক দুই আসামি বিভিন্ন মাধ্যমে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
No comments