VERY VERY-কোলাভেরি
শ্রাবণ সরকার গানটাকে গান না বলে ইংরেজিতে 'গান', মানে জি ইউ এন বানানে তৈরি শব্দটা বলাই হয়তো যথাযথ! সত্যি সত্যিই বন্দুকের মতো 'বিধ্বংসী' এর ক্ষমতা! ইতিমধ্যেই জনপ্রিয়তার সব রেকর্ডই ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারতজুড়ে। লাখো-কোটি মানুষের মন জিতে নিয়েছে এবং নিচ্ছে হররোজ। অঙ্কের হিসাবে গত ১৬ নভেম্বর মুক্তি পাওয়ার পর এক মাসেরও কম সময়ে গানটি উপভোগ করতে ইউটিউবে হিট করেছে দুই কোটিরও বেশি মানুষ।
যুক্ত হয়েছে বিশ্বখ্যাত টাইম সাময়িকীর 'সেরার' তালিকায়। জিতে নিয়েছে ইউটিউব গোল্ডেন অ্যাওয়ার্ড পর্যন্ত।
কোন গানের কথা বলা হচ্ছে বুঝে গেছেন নিশ্চয়! কারণ 'কোলাভেরি' সংক্রমণ ভারত ছাড়িয়ে আরো বহু দেশেই ছড়িয়ে পড়েছে অন্তর্জালের কল্যাণে। গানটার প্রথম লাইন 'হোয়াই দিস কোলাভেরি ডি'। বাংলায় যার মানে দাঁড়ায় 'কেন এই খুনে রাগ, মেয়ে?'। ইংরেজি ও তামিল ভাষার মিশ্রণে তৈরি গানের ভাষাটিও বিশেষভাবে চিহ্নিত_'টাংলিশ'।
এই 'কোলাভেরি ডি' নিয়ে টাইম সাময়িকীতে প্রকাশিত প্রতিবেদনটির নাম_'ইন্ডিয়া জাস্ট কান্ট স্টপ লিসেনিং'। সত্যি সত্যিই ভারতবাসী গানটি না শুনে পারছেন না, তা সে হোক সিডি বা ভিসিডি প্লেয়ারে, ইন্টারনেট কিংবা মুঠোফোনে। সর্বত্রই বাজছে কোলাভেরি ডি, সবাই শুনছে কোলোভেরি ডি! এমনকি গাইছেও সবাই!
মুঠোফোনেও সবচেয়ে কম সময়ে সবচেয়ে বেশি ডাউনলোডের নতুন রেকর্ড গড়েছে এ গানটি। রিংটোন, ওয়েলকাম টিউনে এর বাইরে অন্য গানের কথা কেউ ভাবতেই পারছে না যেন! ভারতের মুঠোফোন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান এয়ারটেলের সর্বশেষ জরিপ অনুযায়ী, মুঠোফোন ব্যবহারকারীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মানুষ এই 'কোলাভেরি ডি' গানটি ব্যবহার করছে। 'এয়ারটেল মোবিটিউড ২০১১' নামের ওই জরিপ বলছে, 'মুনি্ন বদনাম হুয়ি' ও 'তেরে মাস্ত মাস্ত ন্যায়ন' এর মতো জনপ্রিয় গানের গড়া রেকর্ডও ভেঙে দিয়েছে 'কোলোভেরি ডি'।
তবে কি বিশ্বব্যাপী আলোড়ন তোলা গানগুলোর এক কাতারেও শামিল হতে যাচ্ছে এই টাংলিশ ভাষার গানটি? জাস্টিন বিবার, জেনিফার লোপেজ, লেডি গাগা, শাকিরার দলে ভিড়তে চলেছেন ধানুশ? তামিল সিনেমার পাঁড়ভক্ত না হলে ধানুশকে চেনার কথা না। তবে দক্ষিণের এই সময়ের হার্টথ্রব তিনি। 'কোলাভেরি ডি' গানটা গেয়েছেন তিনিই। তবে গান গাওয়া কিন্তু তাঁর কর্ম নয়, ধানুশ হচ্ছেন অভিনেতা। তামিল সিনেমার পর্দা কাঁপানো অ্যাকশন হিরো। নিজের আগামী সিনেমা 'থ্রি'-এর জন্য 'কোলাভেরি ডি' গানটি লিখেছেন এবং গেয়েছেন তিনি। আগামী বছর মুক্তি পাবে 'থ্রি'। ধানুশের বিপরীতে এই ছবিতে অভিনয় করেছেন আরেক দক্ষিণী সুপারস্টার কমল হাসানের মেয়ে শ্রুতি হাসান। ছবির পরিচালক ধানুশের স্ত্রী ঐশ্বরিয়া ধানুশ। তিনি দক্ষিণের মহাতারকা রজনীকান্তের একমাত্র মেয়ে। মানে ধানুশ সম্পর্কে রজনীকান্তের মেয়ে জামাই।
গানটির গায়কের পরিচয় তো জানা গেল, কম্পোজার? সত্যিকার অর্থেই ধানুশের মতো গানের কম্পোজারও শতভাগ 'অপরিচিত' আরেক নাম। তিনি অনিরুদ্ধ রবিচন্দ্র। বয়স মোটে ২১। এটিই তাঁর প্রথম কাজ। এর আগে কস্মিনকালেও তিনি কোনো গান কম্পোজ করেননি। 'থ্রি' দিয়েই তামিল ইন্ডাস্ট্রিতে সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে অভিষিক্ত হবেন।
তবে তার আগেই 'কোলাভেরি ডি' যে ধামাকা দেখাচ্ছে। বলিউডের অমিতাভ বচ্চন, জুনিয়র বচ্চন থেকে সবাই বাহবা দিয়েছেন। শাহরুখ খান আর অক্ষয় কুমার নাকি এই গানের স্বত্ব কিনে নেওয়ার জন্যও উঠে পড়ে লেগেছিলেন বলে শোনা গিয়েছিল। ভারতে তো মার্কেটিং বিশেষজ্ঞরা এই গানের সাফল্যের রহস্য উদঘাটন করার জন্য রীতিমতো গবেষণা করেছেন। কিভাবে এমন হিট হলো এই গান? ধানুশ তো বললেন, এটি 'বেক্রিং ল্যাঙ্গুয়েজ বেরিয়ার' গান।
সত্যি কথাই তো, গানের আবার নিজস্ব ভাষা কী! সব ভাষার মানুষকে একসঙ্গে ছুঁতে পারাটা তো গানের সার্থকতা!
কোন গানের কথা বলা হচ্ছে বুঝে গেছেন নিশ্চয়! কারণ 'কোলাভেরি' সংক্রমণ ভারত ছাড়িয়ে আরো বহু দেশেই ছড়িয়ে পড়েছে অন্তর্জালের কল্যাণে। গানটার প্রথম লাইন 'হোয়াই দিস কোলাভেরি ডি'। বাংলায় যার মানে দাঁড়ায় 'কেন এই খুনে রাগ, মেয়ে?'। ইংরেজি ও তামিল ভাষার মিশ্রণে তৈরি গানের ভাষাটিও বিশেষভাবে চিহ্নিত_'টাংলিশ'।
এই 'কোলাভেরি ডি' নিয়ে টাইম সাময়িকীতে প্রকাশিত প্রতিবেদনটির নাম_'ইন্ডিয়া জাস্ট কান্ট স্টপ লিসেনিং'। সত্যি সত্যিই ভারতবাসী গানটি না শুনে পারছেন না, তা সে হোক সিডি বা ভিসিডি প্লেয়ারে, ইন্টারনেট কিংবা মুঠোফোনে। সর্বত্রই বাজছে কোলাভেরি ডি, সবাই শুনছে কোলোভেরি ডি! এমনকি গাইছেও সবাই!
মুঠোফোনেও সবচেয়ে কম সময়ে সবচেয়ে বেশি ডাউনলোডের নতুন রেকর্ড গড়েছে এ গানটি। রিংটোন, ওয়েলকাম টিউনে এর বাইরে অন্য গানের কথা কেউ ভাবতেই পারছে না যেন! ভারতের মুঠোফোন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান এয়ারটেলের সর্বশেষ জরিপ অনুযায়ী, মুঠোফোন ব্যবহারকারীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মানুষ এই 'কোলাভেরি ডি' গানটি ব্যবহার করছে। 'এয়ারটেল মোবিটিউড ২০১১' নামের ওই জরিপ বলছে, 'মুনি্ন বদনাম হুয়ি' ও 'তেরে মাস্ত মাস্ত ন্যায়ন' এর মতো জনপ্রিয় গানের গড়া রেকর্ডও ভেঙে দিয়েছে 'কোলোভেরি ডি'।
তবে কি বিশ্বব্যাপী আলোড়ন তোলা গানগুলোর এক কাতারেও শামিল হতে যাচ্ছে এই টাংলিশ ভাষার গানটি? জাস্টিন বিবার, জেনিফার লোপেজ, লেডি গাগা, শাকিরার দলে ভিড়তে চলেছেন ধানুশ? তামিল সিনেমার পাঁড়ভক্ত না হলে ধানুশকে চেনার কথা না। তবে দক্ষিণের এই সময়ের হার্টথ্রব তিনি। 'কোলাভেরি ডি' গানটা গেয়েছেন তিনিই। তবে গান গাওয়া কিন্তু তাঁর কর্ম নয়, ধানুশ হচ্ছেন অভিনেতা। তামিল সিনেমার পর্দা কাঁপানো অ্যাকশন হিরো। নিজের আগামী সিনেমা 'থ্রি'-এর জন্য 'কোলাভেরি ডি' গানটি লিখেছেন এবং গেয়েছেন তিনি। আগামী বছর মুক্তি পাবে 'থ্রি'। ধানুশের বিপরীতে এই ছবিতে অভিনয় করেছেন আরেক দক্ষিণী সুপারস্টার কমল হাসানের মেয়ে শ্রুতি হাসান। ছবির পরিচালক ধানুশের স্ত্রী ঐশ্বরিয়া ধানুশ। তিনি দক্ষিণের মহাতারকা রজনীকান্তের একমাত্র মেয়ে। মানে ধানুশ সম্পর্কে রজনীকান্তের মেয়ে জামাই।
গানটির গায়কের পরিচয় তো জানা গেল, কম্পোজার? সত্যিকার অর্থেই ধানুশের মতো গানের কম্পোজারও শতভাগ 'অপরিচিত' আরেক নাম। তিনি অনিরুদ্ধ রবিচন্দ্র। বয়স মোটে ২১। এটিই তাঁর প্রথম কাজ। এর আগে কস্মিনকালেও তিনি কোনো গান কম্পোজ করেননি। 'থ্রি' দিয়েই তামিল ইন্ডাস্ট্রিতে সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে অভিষিক্ত হবেন।
তবে তার আগেই 'কোলাভেরি ডি' যে ধামাকা দেখাচ্ছে। বলিউডের অমিতাভ বচ্চন, জুনিয়র বচ্চন থেকে সবাই বাহবা দিয়েছেন। শাহরুখ খান আর অক্ষয় কুমার নাকি এই গানের স্বত্ব কিনে নেওয়ার জন্যও উঠে পড়ে লেগেছিলেন বলে শোনা গিয়েছিল। ভারতে তো মার্কেটিং বিশেষজ্ঞরা এই গানের সাফল্যের রহস্য উদঘাটন করার জন্য রীতিমতো গবেষণা করেছেন। কিভাবে এমন হিট হলো এই গান? ধানুশ তো বললেন, এটি 'বেক্রিং ল্যাঙ্গুয়েজ বেরিয়ার' গান।
সত্যি কথাই তো, গানের আবার নিজস্ব ভাষা কী! সব ভাষার মানুষকে একসঙ্গে ছুঁতে পারাটা তো গানের সার্থকতা!
No comments