চট্টগ্রামের ভাটিয়ারীতে প্রধানমন্ত্রী-মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ সেনা নেতৃত্ব গড়তে চাই
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নবীন অফিসারদের প্রতি দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার পবিত্র দায়িত্ব পালনে সর্বদা প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, তার সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ একটি চৌকস, দেশপ্রেমিক ও দক্ষ সেনা নেতৃত্ব গড়ে তুলতে আগ্রহী। গতকাল বুধবার চট্টগ্রামের ভাটিয়ারীতে বাংলাদেশ সামরিক একাডেমীতে ৬৫তম বিএমএ লং কোর্স এবং ৩৬তম বিএমএ স্পেশাল কোর্সের শিক্ষা সমাপনী
কুচকাওয়াজে প্রধানমন্ত্রী ভাষণ দিচ্ছিলেন। তিনি বলেন, আজ থেকে তোমরা হতে যাচ্ছ একেকজন সুদক্ষ সামরিক অফিসার। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভবিষ্যৎ নেতৃত্বদানের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব তোমাদের ওপর অর্পিত হবে। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার পবিত্র দায়িত্ব পালনে তোমাদের সর্বদা প্রস্তুত থাকতে হবে। তোমাদের প্রথম ও প্রধান ব্রত হবে দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা রক্ষা। শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও তোমাদের এ দায়িত্ব পালন করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী জন্মলাভ করেছে। এ বাহিনী আমাদের
স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতার প্রতীক। বর্তমান সরকার একে আধুনিক ও যুগোপযোগী করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাসসহ দেশের সংবিধান বিএমএর পাঠক্রমে অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় শেখ হাসিনা সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, বিএমএর নতুন পাঠ্যক্রমে উত্তীর্ণ নবীন অফিসাররা সেনাবাহিনীর যথাযথ নেতৃত্ব দিতে সক্ষম হবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, তারা দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশ ও জাতির সেবায় নিয়োজিত হবে। তারা এদেশের জনগণেরই অবিচ্ছেদ্য অংশ হওয়ায় সাধারণ মানুষের সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্নারও সমান অংশীদার হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান বিশ্বে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিশীল, উন্নয়নকামী এবং শান্তিপ্রিয় দেশ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। জাতিসংঘ শান্তি মিশনে সর্বাধিক জনবল নিয়োগের মাধ্যমে আমাদের দেশ বিশ্বশান্তিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
সেনাবাহিনী দেশের সব প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও দুঃসময়ে বরাবরই বিপন্ন মানুষের সেবায় এগিয়ে এসেছে। এ ছাড়া তারা বেসামরিক প্রশাসনের সহায়তার কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। স্বল্প সময়ে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্র এবং ছবিযুক্ত ভোটার আইডি কার্ড প্রণয়নে সশস্ত্র বাহিনীর কার্যক্রম দেশ-বিদেশে প্রশংসিত হয়েছে। সেনাবাহিনী বর্তমানে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট ও মেশিন রিডেবল ভিসা তৈরির দায়িত্ব দক্ষতার সঙ্গে পালন করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার ইতিমধ্যে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের রেশন ও বেতন কাঠামোতে সমতা এনেছে। এ ছাড়া সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্যদের পারিবারিক অবসরভাতা প্রদানের পাশাপাশি সেনাসদস্যদের আবাসন সমস্যা সমাধানে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। আধুনিক ও উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে একটি যুগোপযোগী সেনাবাহিনী গড়ে তোলার লক্ষ্যে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমীর আধুনিকায়নের জন্য গত বছর বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্সের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। কমপ্লেক্সটির নির্মাণ কাজ ২০১৩ সালের জুনের মধ্যে সম্পন্ন হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
গতকাল বাংলাদেশ সামরিক একাডেমীতে সর্বমোট ১২৭ জন ক্যাডেট শিক্ষা সমাপনী কুচকাওয়াজে যোগ দেন। দুই নারীসহ ১১১ জন ক্যাডেট ৬৫তম বিএমএ লং কোর্স এবং এক নারীসহ পাঁচজন ক্যাডেট ৩৬তম বিএমএ স্পেশাল কোর্সে উত্তীর্ণ হন। ৬৫তম বিএমএ লং কোর্সে ছয়জন ক্যাডেট ফিলিস্তিন সেনাবাহিনীতে এবং শ্রীলংকা সেনাবাহিনীর পাঁচজন ক্যাডেট কমিশনপ্রাপ্ত হন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে আকর্ষণীয় কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করেন। তিনি কৃতী ক্যাডেটদের মধ্যে পদক বিতরণ করেন। ব্যাটালিয়ন সিনিয়র আন্ডার অফিসার রেদোয়ান আবায়াজ সেরা ক্যাডেট বিবেচিত হন এবং সোর্ড অব অনারে ভূষিত হন। এ ছাড়া জেন্টেলম্যান ক্যাডেট নাইম হাসনাইন সামরিক বিষয়গুলোতে অসাধারণ নৈপুণ্যের জন্য সেনাবাহিনীর প্রধানের স্বর্ণপদক লাভ করেন।
এদিকে জাহাঙ্গীর কোম্পানি বিভিন্ন আন্তঃকোম্পানি প্রতিযোগিতার ভিত্তিতে শীতকালীন টিমের বিএমএ কালার লাভ করে।
ক্যাডেটরা আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ নেওয়ার পর অভিভাবকরা তাদের র্যাঙ্ক ব্যাজ পরিয়ে দেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএমএ প্যারেড গ্রাউন্ডে পেঁৗছলে সেনাবাহিনী প্রধান মোহাম্মদ আব্দুল মুবীন, চট্টগ্রাম এরিয়া কমান্ডার ও ২৪তম পদাতিক বাহিনীর জেনারেল অফিসার কমান্ডিং মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আসাব উদ্দিন, এআরটিবিওসির জেনারেল অফিসার কমান্ডিং একেএম মুজাহিদ উদ্দিন এবং একাডেমীর কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান ভূঁইয়া তাকে স্বাগত জানান। অন্যদের মধ্যে মন্ত্রিসভার সদস্য, সংসদ সদস্য, কূটনীতিক, সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা এবং ক্যাডেটদের অভিভাবকরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী জন্মলাভ করেছে। এ বাহিনী আমাদের
স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতার প্রতীক। বর্তমান সরকার একে আধুনিক ও যুগোপযোগী করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাসসহ দেশের সংবিধান বিএমএর পাঠক্রমে অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় শেখ হাসিনা সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, বিএমএর নতুন পাঠ্যক্রমে উত্তীর্ণ নবীন অফিসাররা সেনাবাহিনীর যথাযথ নেতৃত্ব দিতে সক্ষম হবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, তারা দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশ ও জাতির সেবায় নিয়োজিত হবে। তারা এদেশের জনগণেরই অবিচ্ছেদ্য অংশ হওয়ায় সাধারণ মানুষের সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্নারও সমান অংশীদার হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান বিশ্বে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিশীল, উন্নয়নকামী এবং শান্তিপ্রিয় দেশ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। জাতিসংঘ শান্তি মিশনে সর্বাধিক জনবল নিয়োগের মাধ্যমে আমাদের দেশ বিশ্বশান্তিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
সেনাবাহিনী দেশের সব প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও দুঃসময়ে বরাবরই বিপন্ন মানুষের সেবায় এগিয়ে এসেছে। এ ছাড়া তারা বেসামরিক প্রশাসনের সহায়তার কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। স্বল্প সময়ে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্র এবং ছবিযুক্ত ভোটার আইডি কার্ড প্রণয়নে সশস্ত্র বাহিনীর কার্যক্রম দেশ-বিদেশে প্রশংসিত হয়েছে। সেনাবাহিনী বর্তমানে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট ও মেশিন রিডেবল ভিসা তৈরির দায়িত্ব দক্ষতার সঙ্গে পালন করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার ইতিমধ্যে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের রেশন ও বেতন কাঠামোতে সমতা এনেছে। এ ছাড়া সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্যদের পারিবারিক অবসরভাতা প্রদানের পাশাপাশি সেনাসদস্যদের আবাসন সমস্যা সমাধানে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। আধুনিক ও উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে একটি যুগোপযোগী সেনাবাহিনী গড়ে তোলার লক্ষ্যে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমীর আধুনিকায়নের জন্য গত বছর বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্সের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। কমপ্লেক্সটির নির্মাণ কাজ ২০১৩ সালের জুনের মধ্যে সম্পন্ন হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
গতকাল বাংলাদেশ সামরিক একাডেমীতে সর্বমোট ১২৭ জন ক্যাডেট শিক্ষা সমাপনী কুচকাওয়াজে যোগ দেন। দুই নারীসহ ১১১ জন ক্যাডেট ৬৫তম বিএমএ লং কোর্স এবং এক নারীসহ পাঁচজন ক্যাডেট ৩৬তম বিএমএ স্পেশাল কোর্সে উত্তীর্ণ হন। ৬৫তম বিএমএ লং কোর্সে ছয়জন ক্যাডেট ফিলিস্তিন সেনাবাহিনীতে এবং শ্রীলংকা সেনাবাহিনীর পাঁচজন ক্যাডেট কমিশনপ্রাপ্ত হন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে আকর্ষণীয় কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করেন। তিনি কৃতী ক্যাডেটদের মধ্যে পদক বিতরণ করেন। ব্যাটালিয়ন সিনিয়র আন্ডার অফিসার রেদোয়ান আবায়াজ সেরা ক্যাডেট বিবেচিত হন এবং সোর্ড অব অনারে ভূষিত হন। এ ছাড়া জেন্টেলম্যান ক্যাডেট নাইম হাসনাইন সামরিক বিষয়গুলোতে অসাধারণ নৈপুণ্যের জন্য সেনাবাহিনীর প্রধানের স্বর্ণপদক লাভ করেন।
এদিকে জাহাঙ্গীর কোম্পানি বিভিন্ন আন্তঃকোম্পানি প্রতিযোগিতার ভিত্তিতে শীতকালীন টিমের বিএমএ কালার লাভ করে।
ক্যাডেটরা আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ নেওয়ার পর অভিভাবকরা তাদের র্যাঙ্ক ব্যাজ পরিয়ে দেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএমএ প্যারেড গ্রাউন্ডে পেঁৗছলে সেনাবাহিনী প্রধান মোহাম্মদ আব্দুল মুবীন, চট্টগ্রাম এরিয়া কমান্ডার ও ২৪তম পদাতিক বাহিনীর জেনারেল অফিসার কমান্ডিং মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আসাব উদ্দিন, এআরটিবিওসির জেনারেল অফিসার কমান্ডিং একেএম মুজাহিদ উদ্দিন এবং একাডেমীর কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান ভূঁইয়া তাকে স্বাগত জানান। অন্যদের মধ্যে মন্ত্রিসভার সদস্য, সংসদ সদস্য, কূটনীতিক, সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা এবং ক্যাডেটদের অভিভাবকরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
No comments