কেন আমাকে হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে না?
কারাবন্দি
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে তার চিকিৎসা দরকার।
তিনি শারীরিকভাবে খুব অসুস্থ। চলাফেরা করতে পারছেন না। আদালতে আসার ইচ্ছা
থাকলেও শারীরিক অসুস্থতার কারণে তা পারছেন না। তিনি জানতে চেয়েছেন, এখনো
কেন তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে না। শারীরিক সুস্থতার জন্য দেশবাসীর
দোয়া চেয়েছেন তিনি। গতকাল বিকালে নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো করাগারে খালেদা
জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে এসব কথা বলেন তার দুই আইনজীবী মাসুদ আহমেদ
তালুকদার ও সানাউল্লাহ মিয়া।
সাক্ষাৎ শেষে বিকাল পৌনে ৫ টায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তারা। এ সময় সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, বেগম খালোদ জিয়া গত ৫ই সেপ্টেম্বররে জেলখানার ভেতরের স্থাপন করা আদালতে এসেছিলেন। সেদিনও তিনি অসুস্থ ছিলেন। সেদিন তিনি বলেছেন শারীরিকভাবে খুবই অসুস্থ। তার একটা পা প্যারালাইজড হওয়ার মতো। হাতে প্রচণ্ড ব্যথা। হাতের আঙ্গুল বাঁকা হয়ে গেছে। তিনি হাত নাড়াতে পারেন না। পায়ে ব্যথা। পা উঠাতে পারেন না। কিছুক্ষণ বসে থাকলে পায়ে ব্যথা হয়। আবার শুয়ে থাকলেও পায়ে ব্যথা হয়। এভাবেই তার জীবন চলছে।
দ্রুত খালেদা জিয়ার চিকিৎসার দাবি জানিয়ে সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, বহুদিন ধরে খালেদা জিয়া চিকিৎসা চাইছেন। ডাক্তারও এসেছেন। ডাক্তার দেখেছেন। মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। কিন্তু দুঃখের সঙ্গে বেগম খালেদা জিয়া জানালেন, এখনও কেন তাকে হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে না।
মাসুদ আহমেদ তালুকদার বলেন, আদালতে উপস্থিত হওয়া প্রসঙ্গে খালেদা জিয়া বলেছেন আদালতে উপস্থিত থেকে বিচারকার্য শ্রবণ করা, পর্যবেক্ষণ করার মতো যে পরিমাণ শারীরিক সুস্থতা দরকার তা আমার নেই। তার সত্ত্বেও কারা কর্তৃপক্ষ তাকে আদালতে যেতে বলেছেন। জবাবে তিনি বলেছেন, আমিতো আদালতে বরাবরই গিয়েছি। আদালতের প্রতি আমিতো কোনো অশ্রদ্ধা দেখাইনি। আমার ছেলে ও মায়ের মৃত্যুবার্ষিকীর দিনেও আদালতে গিয়েছি। আমি এখনও আদালতে যাব। এই বিচার মোকাবিলা করবো। কিন্তু আমার শরীর আমাকে অনুমতি দিচ্ছে না।
আমার হেল্থ আমাকে পারমিট করছে না। আমি কারা কর্তৃপক্ষের কাছে কখনও বলিনি আমি আদালতে যেতে অনিচ্ছুক। কারা কর্তৃপক্ষ খালেদা জিয়ার বক্তব্যকে ভুল ব্যাখ্যা করেছেন বলে অভিযোগ করেন আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার। তিনি বলেন, এজন্য আদালত আমাদের তার সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি দিয়েছেন। খালেদা জিয়া বলেছেন আমার জন্য খুব জরুরি হচ্ছে চিকিৎসা।
আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার বলেন, জেনে আশ্চর্য হবেন, আবারও দুইদিন আগে বেগম খালেদা জিয়া বাথরুমে পড়ে গিয়েছিলেন। এই হচ্ছে তার শারীরিক অবস্থা। একজন মানুষ যখন বলেন, আমার হাত দিয়ে খেতে পারি না। আমার পা চলে না। এই যদি বিষয় হয় তিনি কী করে আদালতে আসবেন। খালেদা জিয়া আদালতে আসতে পারেন না কারণ তার শরীর পারমিট করে না। অথচ সরকার পক্ষ ভুল মেসেজ দেয়ার চেষ্টা করে যে, খালেদা জিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে আদালতে আসেন না, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। তিনি সুস্থ না হয়ে কীভাবে আদালতে যাবেন?
সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ প্রসঙ্গে আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার বলেন, মেডিকেল বোর্ডের প্রতিবেদনে কোথাও উল্লেখ করা হয়নি তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হবে। প্রতিবেদনে বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসার কথা বলা হয়েছে।
আইনজীবী সানাউল্লাহ্ মিয়া বলেন, তিনি কোথায় চিকিৎসা নিবেন সেটা বড় কথা না। তিনি বলেছেন, তার চিকিৎসা দরকার। কারা কর্তৃপক্ষ বা সরকার নির্ধারণ করবেন তাকে বিশেষায়িত কোনো হাসপাতালে ভর্তি করা হবে। ভর্তির ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ যে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন সে ব্যবস্থায় খালেদা জিয়া চিকিৎসা নিবেন। কিন্তু কারা কর্তৃপক্ষ এখনও তাকে কিছু জানায়নি। কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি বলে জানান সানাউল্লাহ মিয়া।
আইনজীবীরা জানান, খালেদা জিয়া অসুস্থ, এ অবস্থায় তিনি সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত ৮ই ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচবছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। ওইদিন থেকেই নাজিমউদ্দিন রোডের এই পুরনো কারাগারে রয়েছেন খালেদা জিয়া।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে কারাফটকে তার তিনজন আইনজীবী গেলেও তারা সাক্ষাতের অনুমতি পাননি।
সাক্ষাৎ শেষে বিকাল পৌনে ৫ টায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তারা। এ সময় সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, বেগম খালোদ জিয়া গত ৫ই সেপ্টেম্বররে জেলখানার ভেতরের স্থাপন করা আদালতে এসেছিলেন। সেদিনও তিনি অসুস্থ ছিলেন। সেদিন তিনি বলেছেন শারীরিকভাবে খুবই অসুস্থ। তার একটা পা প্যারালাইজড হওয়ার মতো। হাতে প্রচণ্ড ব্যথা। হাতের আঙ্গুল বাঁকা হয়ে গেছে। তিনি হাত নাড়াতে পারেন না। পায়ে ব্যথা। পা উঠাতে পারেন না। কিছুক্ষণ বসে থাকলে পায়ে ব্যথা হয়। আবার শুয়ে থাকলেও পায়ে ব্যথা হয়। এভাবেই তার জীবন চলছে।
দ্রুত খালেদা জিয়ার চিকিৎসার দাবি জানিয়ে সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, বহুদিন ধরে খালেদা জিয়া চিকিৎসা চাইছেন। ডাক্তারও এসেছেন। ডাক্তার দেখেছেন। মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। কিন্তু দুঃখের সঙ্গে বেগম খালেদা জিয়া জানালেন, এখনও কেন তাকে হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে না।
মাসুদ আহমেদ তালুকদার বলেন, আদালতে উপস্থিত হওয়া প্রসঙ্গে খালেদা জিয়া বলেছেন আদালতে উপস্থিত থেকে বিচারকার্য শ্রবণ করা, পর্যবেক্ষণ করার মতো যে পরিমাণ শারীরিক সুস্থতা দরকার তা আমার নেই। তার সত্ত্বেও কারা কর্তৃপক্ষ তাকে আদালতে যেতে বলেছেন। জবাবে তিনি বলেছেন, আমিতো আদালতে বরাবরই গিয়েছি। আদালতের প্রতি আমিতো কোনো অশ্রদ্ধা দেখাইনি। আমার ছেলে ও মায়ের মৃত্যুবার্ষিকীর দিনেও আদালতে গিয়েছি। আমি এখনও আদালতে যাব। এই বিচার মোকাবিলা করবো। কিন্তু আমার শরীর আমাকে অনুমতি দিচ্ছে না।
আমার হেল্থ আমাকে পারমিট করছে না। আমি কারা কর্তৃপক্ষের কাছে কখনও বলিনি আমি আদালতে যেতে অনিচ্ছুক। কারা কর্তৃপক্ষ খালেদা জিয়ার বক্তব্যকে ভুল ব্যাখ্যা করেছেন বলে অভিযোগ করেন আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার। তিনি বলেন, এজন্য আদালত আমাদের তার সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি দিয়েছেন। খালেদা জিয়া বলেছেন আমার জন্য খুব জরুরি হচ্ছে চিকিৎসা।
আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার বলেন, জেনে আশ্চর্য হবেন, আবারও দুইদিন আগে বেগম খালেদা জিয়া বাথরুমে পড়ে গিয়েছিলেন। এই হচ্ছে তার শারীরিক অবস্থা। একজন মানুষ যখন বলেন, আমার হাত দিয়ে খেতে পারি না। আমার পা চলে না। এই যদি বিষয় হয় তিনি কী করে আদালতে আসবেন। খালেদা জিয়া আদালতে আসতে পারেন না কারণ তার শরীর পারমিট করে না। অথচ সরকার পক্ষ ভুল মেসেজ দেয়ার চেষ্টা করে যে, খালেদা জিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে আদালতে আসেন না, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। তিনি সুস্থ না হয়ে কীভাবে আদালতে যাবেন?
সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ প্রসঙ্গে আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার বলেন, মেডিকেল বোর্ডের প্রতিবেদনে কোথাও উল্লেখ করা হয়নি তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হবে। প্রতিবেদনে বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসার কথা বলা হয়েছে।
আইনজীবী সানাউল্লাহ্ মিয়া বলেন, তিনি কোথায় চিকিৎসা নিবেন সেটা বড় কথা না। তিনি বলেছেন, তার চিকিৎসা দরকার। কারা কর্তৃপক্ষ বা সরকার নির্ধারণ করবেন তাকে বিশেষায়িত কোনো হাসপাতালে ভর্তি করা হবে। ভর্তির ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ যে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন সে ব্যবস্থায় খালেদা জিয়া চিকিৎসা নিবেন। কিন্তু কারা কর্তৃপক্ষ এখনও তাকে কিছু জানায়নি। কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি বলে জানান সানাউল্লাহ মিয়া।
আইনজীবীরা জানান, খালেদা জিয়া অসুস্থ, এ অবস্থায় তিনি সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত ৮ই ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচবছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। ওইদিন থেকেই নাজিমউদ্দিন রোডের এই পুরনো কারাগারে রয়েছেন খালেদা জিয়া।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে কারাফটকে তার তিনজন আইনজীবী গেলেও তারা সাক্ষাতের অনুমতি পাননি।
No comments